
সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা- টানা ১০ দিন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) লাইফ সাপোর্টে থাকার পর রোববার মৃত্যুবরণ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।
তার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে রোববার রাতেই ভারতের আজমীর শরীফ থেকে ঢাকায় আসেন সাবেক স্ত্রী বিদিশা। এরপর সোমবার সকালে সোয়া সাতটার দিকে তিনি এরশাদের বারিধারা ‘প্রেসিডেন্ট পার্ক’র বাসভবনে সন্তান এরিককে দেখতে গেলে তাকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট পার্কের নিরাপত্তাকর্মী ও দলের কিছু কর্মী তার সাথে এমন আচরণ করেছেন বলে বিদিশার অভিযোগ। এ সময় বিদিশা তাদের কাছে জানতে চান, ‘আমি কি তবে আমার সন্তানকে দেখতে পারবো না?’
তিনি বলেন, ‘এরিকের অবস্থা ভাল না। আমি কিছুই চাই না। আমার সন্তানকে দেখতে চাই। সে ভালো নেই। সে একা রয়েছে। কান্নাকাটি করছে। তার সাথে দেখা করতে দেন। এমন অনুরোধ করার পরও তারা বিদিশাকে ঢুকতে দেননি তারা।’
আজ বিকাল সাড়ে তিনটায় গুলশান-১ অবস্থিত বিদিশা ফাউণ্ডেশনের অফিসে সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গুরুতর অসুস্থ এরশাদের আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা করতে বিদিশা ছুটে গিয়েছিলেন ভারতের বিখ্যাত আউলিয়া হজরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতীর (রহ.) মাজারে। সেখানে প্রার্থনারত অবস্থায়ই খবর পান, তার সন্তান এরিকের বাবা আর বেঁচে নেই।
এ নিয়ে আফসোস জানিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাসে বিদিশা লিখেছেন: ‘এ জন্মে আর দেখা হলো না। আমিও আজমীর শরীফ আসলাম আর তুমি ও চলে গেলে। এত কষ্ট পাওয়ার থেকে মনে হয় এই ভালো ছিল। আবার দেখা হবে হয়তো অন্য এক দুনিয়াতে, যেখানে থাকবে না কোনো রাজনীতি।’
উল্লেখ্য, রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা এইচ এম এরশাদ।
এর আগে শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়লে গত ২৬ জুন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি ফুসফুসে সংক্রমণসহ বয়সজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।