
মোল্লা তোফাজ্জল, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে অন্যান্য বছরের মতো এবারের ঈদে যানজটের আশঙ্কা চলাচলকারীদের। বঙ্গবন্ধুসেতুর টোল আদায় ও এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পয়েন্টে ভোগান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ দুটো পয়েন্ট নির্বিঘ্ন করতে পারলেই এবার ঈদ যাত্রা হবে সুখময়।
এদিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ঈদযাত্রা স্বাচ্ছন্দ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। এবারের ঈদে অন্যান্য ঈদের মতো ৩ শিপ্টে ৪টি সেক্টরে ৭ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তার পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবে টাঙ্গাইল শ্রমিক ফেডারেশন। লিংক রোডগুলোতে বসানো হবে বাশ কল।
তবুও যানযটের আশঙ্কা করছেন এই সড়কে চলাচলকারী পরিবহন চালক ও সাধারণ যাত্রীরা। পরিবহন চালকরা বলছেন, মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় দেবে গেছে, ঈদ এলেই শুরু হয় তরিগরি কাজ। এতে গাড়ির গতি ঠিক থাকে না এবং দেবে যাওয়া রাস্তায় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আর মহাসড়কের চার লেনের কাজ শেষ হয়েছে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত। যেকারনে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধুসেতুর টোলবক্স এদুটি স্থানই এ মহাসড়কের গলার কাটা হয়ে দাড়াতে পারে।
এদিকে ফোরলেনের পরেই এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের মাত্র ৩০০ মিটার রাস্তা বছরের বেশিরভাগ সময়ই রুগ্ন অবস্থায় থাকে। এটুকু রাস্তায় সীমাহীন দুর্ভোগ লেগেই থাকে। তারপরও এই ৩শ’ মিটার রাস্তা মেরামতে নেই কোন বড় ধরনের পদক্ষেপ। কিছুদিন পর পর নাম মাত্র মেরামত করেই লাপাত্তা হয়ে যায় সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ।
টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আমিমুল এহ্সান বলেন, এলেঙ্গাকে নিয়ে আমাদের একটি পরিকল্পনা আছে। ইতিমধ্যে আমরা একটি প্রস্তাব মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি, এটাকে রিজিট পেমেন্ট করা হবে, রিজিট পেমেন্ট হয়ে গেলে আগামীতে আর কোন সমস্যা থাকবেনা। রাস্তার যেসব স্থানে দেবে গেছে, সেখানে রিসোলিং এর কাজ চলছে, এখন সাময়িক সমস্যা হলেও, আশা করছি ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন হবে।
এদিকে এবারে ঈদে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। ভোগান্তি নয় বরং আনন্দে বাড়ি ফিরতে পারবেন যাত্রীরা এমনিভাবে কাজ করছেন প্রশাসন।
টাঙ্গাইল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সম্মিলিত ভাবে চেষ্টা করছি জনসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে। আশা করছি টানাবৃষ্টি না হলে, জনগণ নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারবে।