জাতীয়
সব দেখুনসর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুনচলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
রাজধানীর বনশ্রীতে একটি আবাসিক ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন লাগে বলে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স থেকে জানানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমাদের কাছে সংবাদ আসে বনশ্রী ‘সি’ ব্লকের একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এছাড়া হতাহতের সংবাদও পাওয়া যায়নি।
এআই
জামালপুরের তারাকান্দি থেকে যাত্রীদের নিয়ে ছেড়ে আসা যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে লাইনচ্যুত হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানী কারওয়ান বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে এক লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে দেরিতে হলেও ঢাকা থেকে বের হচ্ছে ট্রেনগুলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস।
তিনি বলেন, কারওয়ান বাজারে ঢাকাগামী যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। সেখানে ডাবল লাইন থাকায় ট্রেন চলাচল একেবারে বন্ধ হয়ে যায়নি। একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলছে।
তবে লাইনচ্যুত ট্রেনটি লাইনে আনা ও চলাচল স্বাভাবিক করতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলে জানান ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস।
এআই
হাজারীবাগ বউবাজার এলাকায় বাবার হাতে পাঁচ বছরের জান্নাতুল (৫) নামে এক মেয়ে শিশু খুন হয়েছে। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা মো. রাসেলকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত সারে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২০৪ নম্বর ওয়ার্ডে মারা যায় জান্নাতুল। সোমবার সন্ধ্যার দিকে হাজারীবাগ বউবাজার খালপাড়ের বাসায় ঘটনাটি ঘটে।
মৃত জান্নাতুলেরর মামা মো. রাহাত জানান, তাদের বাড়ি ভোলা জেলার দক্ষিণ আইচা থানার পশ্চিম চড়ভুষন গ্রামে। বর্তমানে হাজারীবাগ বউবাজার খালপাড় এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকত। শিশুটির বাবা মো. রাসেল লেগুনা চালক। মা নাসিমা আক্তার গৃহিণী। জান্নাতুল তাদের একমাত্র সন্তান ছিল।
তিনি আরও জানান, গত দুই মাস যাবৎ গ্রাম থেকে ঢাকায় আসে তারা। এরপর থেকেই হাজারীবাগে থাকত। এর আগে কয়েকবার জান্নাতুলের মায়ের ওপরেও অত্যাচার করছে। গতকাল সন্ধ্যায় ঘরের দরজা বন্ধ করে মেয়ে জান্নাতুলকে খাবার খাওয়াচ্ছিল। খাবার খেতে না চাইলে জোড়ে মাটিতে আছাড় মারে। এতে গুরুতর আহত হয়। পরে হাসপাতালে মারা যায়।
হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাদির শাহ বলেন, গতকাল বিকেলে শিশুটির বাবা মো. রাসেল মেয়ে শিশুটিকে আছাড় মারে এতে শিশুটির মাথায় আঘাত লেগে গুরুতর আহত হয়। স্বজন ও প্রতিবেশীরা শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।
এসআই আরও জানান, মাঝে মধ্যেই স্ত্রী ও মেয়েকে অত্যাচার করত। গতকাল বিকেলে শিশুটিকে তাঁর মা নাসিমা ভাত খাওয়াচ্ছিল। তবে খেতে চাচ্ছিল না জান্নাতুল। বাবা রাসেল রাগান্বিত হয়ে মেয়েকে আছাড় মারে। এতে শিশুটির মাথায় আঘাত লেগে গুরুতর আহত হয়। তবে ঘটনার পরপরই প্রতিবেশীরা রাসেলকে ধরে থানায় খবর দেন। রাসেল থানায় আটক আছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
এআই
রাজধানীর মিরপুরের ভাসানটেক এলাকায় মশার কয়েল জ্বালাতে গিয়ে গ্যাসের আগুনে নারী-শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য
আজ শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ভোরে ভাসানটেক ১৩ নম্বর কালবার্ট রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, মেহরুন্নেছা (৬৫), সূর্য বানু (৩০), লিজা(১৮), লামিয়া (৭), সুজন (৯) ও মো. লিটন (৫২)।
জানা গেছে, মশার কয়েল ধরাতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে ঘরে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণ হয়। এতে একই পরিবারের নারী-শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। পরে ভোর সোয়া ৫টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজ ভোরে মিরপুরের ভাসানটেক থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারী ও শিশুসহ ছয়জনকে বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে মেহরুন্নেসার শরীর ৪৭ শতাংশ, সূর্য বানুর ৮২ শতাংশ, লামিয়ার ৫৫ শতাংশ, মো. লিটনের ৬৭ শতাংশ, লিজার ৩০ শতাংশ ও সুজনের শরীর ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তাদের জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।
বাসার কেয়ারটেকার রিফাত হোসেন বলেন, লিটন মিয়া নামে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ী ওই বাড়ির নিচতলায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। গত রাত চারটার দিকে মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে ঘরের মধ্যে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে ওই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হন।
তিনি বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারটি ঘরের বাইরে ছিল। কিন্তু পাইপের মাধ্যমে ঘরের মধ্যে চুলার সংযোগ ছিল। ওই চুলার সংযোগে লিকেজ থাকায় ঘরে গ্যাস জমে থাকে। মশার কয়েল জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে ধায়। পরে দ্রুত ভোর পাঁচটার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি।
পিএম
রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের সংঘর্ষের রশি ছিড়ে ৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে তিন জন পুরুষ এবং একজন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা নদীবন্দর ট্রাফিকের (সদরঘাট) যুগ্ম কমিশনার জয়নাল আবেদীন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিনজন মারা গেছে। পাঁচজন আহত, তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে আরো দুইজন কে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীসহ সদরঘাট লঞ্চঘাটের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ১১নং পন্টুনের সামনে এমভি তাশরিফ ৪ ও এমভি পূবালী ১ নামক দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিলো। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাসরিফ ৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে পাঁচ জন যাত্রী লঞ্চে উঠার সময় গুরুতর আহত হন। পাঁচ জনের তিন জনই ঘটনাস্থলে মারা যান ও পাঁচজন আহত হন।
সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সযোগে আহতদের মিটফোর্ড হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পরে আরো দুইজনার মৃত্যু হয়।
পিএম
চুয়াডাঙ্গায় শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপদাহের কারণে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জেলায় হিট এলার্ট জারি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় গত ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৭ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৮ এপ্রিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বশেষ ১৯ এপ্রিল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেকর্ড করা হয়।
শুক্রবার সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ০ (শূন্য) ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ৪৫ শতাংশ। দুপুর ১২ টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ দশমিক ০ (শূন্য) ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ তাপমাত্রার পারদ আরো বেড়ে বেলা ৩ টায় দাড়ায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। বিকেল ৬ টায় এ তাপমাত্রা এ তাপমাত্রার পারদ আরো বেড়ে দাড়ায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৩৪ শতাংশ।
তীব্র তাপদাহ ও ঘন ঘন বিদ্যুৎ লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণীকূল। হাসপাতালে বাড়ছে পানিবাহিত ও গরমজনিত রোগীর সংখ্যা। তীব্র তাপদাহে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান সন্ধা ৬ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সাধারণত দুপুর ৩ টা পর্যন্ত তাপমাত্রা উত্তপ্ত থাকে। আজ শুক্রবার দুপুর ৩ টার তাপমাত্র ছিল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রী এবং এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। তবে আজ দুপুর ৩ টার পর তাপমাত্রার পারদ আরো কিছুটা বেড়ে দাড়ায় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে।
তিনি আরো বলেন, এমন তাপদাহ আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এখনই বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। দিনের বেশিরভাগ সময় প্রখর তাপে উত্তপ্ত থাকছে গোটা জেলা জুড়ে। দিনের বেলায় সাধারণ মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছেন। শ্রমজীবী মানুষেরা বের হলেও ফাঁকা রাস্তায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা। তাই একটি প্রশান্তির খোঁজে গাছের নিচে ছায়াযুক্ত স্থানে জিড়িয়ে নিচ্ছেন তারা। আবার অনেকে সড়কের পাশের শরবত ও মাঠা খেয়ে একটু স্বস্তি খুঁজছেন, কেউবা গাছ তলায় ছায়ায় বসে কাটিয়ে দিচ্ছেন দিন।
এমআর
টানা ৪ দিন দেশের সর্বোচ্চ তীব্র তাপমাত্রা বইছে চুয়াডাঙ্গায়। তাপদাহের কারণে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ বিভাগ থেকে জেলায় হিট এলাট জারি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত তীব্র তাপদাহ তার সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে বিদ্যুৎ লোডসেডিং।
গত ১৬ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ১৭ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস চুয়াডাঙ্গা ও সর্বশেষ আজ ১৮ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্র বেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায়।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা ৩৩ দশমিক ০ (শূণ্য) ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ৪৫ শতাংশ। দুপুর ১২ টায় তা বেড়ে দাড়ায় ৪০ দশমিক ০ (শূণ্য) ডিগ্রী সেলসিয়াসে। এ তাপমাত্রার পারদ আরো বেড়ে বেলা ৩ টায় দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
তীব্র তাপদাহ ও ঘন ঘন বিদ্যুৎ লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণীকূল। হাসপাতালে বাড়ছে পানিবাহিত ও গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।
তীব্র তাপদাহে হিট এলার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আরও কয়েকদিন এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে। এখনই বৃষ্টির কোনো সম্ভবনা নেই বলেও আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। দিনের বেশিরভাগ সময় প্রখর তাপে উত্তপ্ত থাকছে গোটা জেলা জুড়ে। দিনের বেলায় সাধারণ মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছেন। শ্রমজীবী মানুষেরা বের হলেও ফাঁকা রাস্তায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা। তাই একটি প্রশান্তির খোঁজে গাছের নিচে ছায়াযুক্ত স্থানে জিড়িয়ে নিচ্ছেন। আবার অনেকে সড়কের পাশের শরবত ও মাঠা খেয়ে একটু স্বস্তি খুঁজছেন, কেউবা গাছ তলায় ছায়ায় বসে কাটিয়ে দিচ্ছেন দিন।
পিএম
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লোহাগড়া ইউনিয়নের চরবকজুড়ি গ্রামের এরশাদ মোল্যা ও একই গ্রামের মো. মহিউদ্দিন মোল্যার মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নাজমা বেগম, এরশাদ মোল্যা, হারুন মোল্যাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষ ।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এরশাদ মোল্যার বাড়িতে এ ঘটনায় । ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
এজাহার ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরবকজুড়ি গ্রামের হুমায়ুন মোল্যার পরিবারের সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে দীর্ঘদিন একই গ্রামের মো. মহিউদ্দিন মোল্যার পরিবারের মধ্যে ঝামেলা চলছিলো। এরই জের ধরে বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় মহিউদ্দিন মোল্যা, আফজাল মোল্যা, উজ্জল মোল্যা, খোকা মোল্যা, লিঠু মোল্যা, মনসুর মোল্যা, জাহিদ মোল্যা, উজ্জ্বল মোল্যা, মুকিত মোল্যা, রঞ্জু মোল্যা, সাইদ মোল্যাসহ আরও ৩/৪ জন মোট ১৪/১৫ জন মিলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নাজমা বেগম, এরশাদ মোল্যা, হারুন মোল্যাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।
এ সময় স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে দ্রুত লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর আহত নাজমা বেগমকে নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ ছাড়া আহত বাকি ২ জন এরশাদ মোল্যা ও হারুন মোল্যা লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় আহত এরশাদ মোল্যা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আহত ভাই-বোনের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ফার্মেসি থেকে ঔষধ কেনার জন্য আসলে পুনরায় দুর্বৃত্তরা এরশাদ মোল্যাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে। এ সময় নিজেকে রক্ষা করার জন্য এরশাদ মোল্যা দৌড়ে লোহাগড়া থানায় আশ্রয় নেন। পরবর্তীতে পুলিশি হেফাজতে তাকে চিকিৎসার জন্য লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৮এপ্রিল) আহতদের বোন লোহাগড়া উপজেলার লংকারচর গ্রামের বাবুল হোসেনের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বাদী হয়ে উল্লিখিত ১১ জনকে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ কে আসামি করে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বরটি ২১/১৮।
এ বিষয়ে আহত মহিউদ্দিন মোল্যা বলেন, এ ঘটনায় আমার কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই, এরশাদ মোল্যার পরিবারের সঙ্গে আফজাল মোল্যার মারামারি হচ্ছিলো। তখন আমি মারামারি ঠেকাতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাকে মারপিট করে আমার বাম হাত ভেঙে দেয়। আমি এখন লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছি।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার পরিদর্শক ( তদন্ত ) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, মারামারির খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ১১ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। প্রতিপক্ষের কেউ থানায় এখনো কোন অভিযোগ করেনি, তবে অভিযোগ পেলে সেটিও তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
পিএম
যশোর শহরের খড়কির আপন মোড়ে সুদে টাকার জামিনদার নুরুজ্জামানকে (৪২) লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটানো হয়েছে। সুদের টাকা না পাওয়ার জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে স্থানীয় বাদল তাকে পিটিয়ে জখম করে বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ। আহত নুরুজ্জামান খড়কি বামনপাড়ার নুর ইসলামের ছেলে। তিনি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত নুরুজ্জামান জানিয়েছেন, আপন মোড়ে তার মায়ের দোয়া নামে গ্রেট-গ্রিল তৈরির ওয়ার্কশপ রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠানের পাশে রিক্সার গোডাউন করে কেশবপুর উপজেলা শহরের আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তি।
নুরুজ্জামান আরও জানান,আবুল কালাম ১ বছর আগে খড়কির আপন মোড় এলাকার আতা মোক্তারের ছেলে বাদলের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা সুদ হিসেবে গ্রহণ করেন। চুক্তি ছিলো প্রতি সপ্তাহে সুদ পরিশোধ করবেন ৪৫শ' টাকা। তিনি ( নুরুজ্জামান) সুদে টাকার জামিনদার ছিলেন।
নুরুজ্জামান জানান, কয়েক মাস আগে আবুল কালাম পালিয়ে যান। এরপর থেকে সুদে কারবারি বাদল টাক পরিশোধ করার জন্য তাকে (নুরুজ্জামান) নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। চাপ সহ্য করতে না পেরে সম্প্রতি তার সন্তানের চিকিৎসার জন্য রাখা ৫০ হাজার টাকা বাদলের হাতে তুলে দেন। বাকি টাকার জন্য প্রায় তাকে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছিলো। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে সুদে কারবারি বাদল তার ওয়ার্কশপে এসে টাকা দেয়ার জন্য চাপাচাপি করতে থাকে। টাকা না দিতে না পারায় তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে বাদল। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সার্জারি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক শুভাশিষ সরকার জানান, আহত নুরুজ্জামানের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সিটিস্ক্যান করার পর আঘাতের গভীরতা নিশ্চিত হওয়া যাবে। এদিকে আহতের স্ত্রী নাসিমা বেগম জানান, তার স্বামী নুরুজ্জামানের ওপর হামলাকারী বাদল একজন চিহ্নিত সুদখোর। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা করবেন জানিয়েছেন।
এমআর
টানা ৩ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বইছে চুয়াডাঙ্গায়। তাপদাহের কারণে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ বিভাগ থেকে জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় অব্যাহত তীব্র তাপদাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে বিদ্যুৎ লোডশেডিং।
গত ১৬ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ১৭ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস চুয়াডাঙ্গায় ও সর্বশেষ আজ ১৮ এপ্রিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্র বেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ও যশোরে।
টানা তীব্র তাপদাহ ও ঘন ঘন বিদ্যুৎ লোডশেডিং এ অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষ। অসহ্য গরমে ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে প্রাণীকূল। হাসপাতালে বাড়ছে পানিবাহিত ও গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।
তীব্র তাপদাহে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাপমাত্রার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আরও কয়েকদিন এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে। এখনই বৃষ্টির কোনো সম্ভবনা নেই বলেও আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে।
এদিকে রাত ও দিনের তাপমাত্রার মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। দিনের বেশিরভাগ সময় প্রখর তাপে উত্তপ্ত থাকছে গোটা জেলাজুড়ে। দিনের বেলায় সাধারণ মানুষ বাইরে কম বের হচ্ছেন। শ্রমজীবী মানুষেরা বের হলেও ফাঁকা রাস্তায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন তারা। তাই একটি প্রশান্তির খোঁজে গাছের নিচে ছায়াযুক্ত স্থানে জিড়িয়ে নিচ্ছেন তারা। আবার অনেকে সড়কের পাশের শরবত ও মাঠা খেয়ে একটু স্বস্তি খুঁজছেন, কেউবা গাছ তলায় ছায়ায় বসে কাটিয়ে দিচ্ছেন দিন।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির হালদা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের সময় আব্দুল জব্বার, ওলিউল্লাহ, মো. খোকন এবং আব্দুল মতিন নামে চারজনকে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় নাজিরহাট পৌর সভার ৯ওয়ার্ডে মতি ভান্ডারের পাশে অভিযানে এই কারাদন্ড দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ হালদা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। আজ চক্রটি নৌকা দিয়ে বালু উত্তোলন করছে এমন খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চালায়। অভিযানে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী চারজনকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় মোবাইল কোর্ট।
অভিযানের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযানে সহযোগিতা করে স্থানীয় কাউন্সিলর, ফটিকছড়ি থানার এসআই ওমরা খান সহ সঙ্গীয় ফোর্স।
পিএম
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীবের নামাজের জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চন্দ্রগঞ্জের উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পাঁচপাড়া গ্রামে দ্বিতীয় নামাজের জানাজার শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সজীবের মরদে দাফন করা হয়। জানাযায় দলীয় নেতাকর্মীসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সজীবের ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মরদেহ লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের বাড়িতে আসে। সজীব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।
জানাযা নামাজে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক পিংকু, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতলব, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ মান্না, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবীর পাটওয়ারী, চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম ছাবির আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ প্রমুখ।
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক পিংকু বলেন, আমরা সজীব হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। প্রশাসনের কাছে জোর দাবি থাকবে, হত্যাকারীরা যতই প্রভাবশালী ও ক্ষমতাশীল হোক, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। এ হত্যার বিচার না হলে, ভবিষ্যতে অনেক সজীবকে আমাদের এভাবে হারাতে হবে। আমি সজীবের মায়ের কান্না, শ্বশুরের কান্না ও স্ত্রীর কান্না দেখেছি। তার একটি শিশু সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী অঝোরধারায় কাঁদছে আর আকুতি জানিয়ে বলেছে, 'সে কার কাছে যাবে, তার বাচ্চার কি হবে'। তাদের কান্না দেখে শান্তনা দেওয়া ভাষা খুঁজে পাইনি। তাদের কান্নায় যেন সবকিছু থমকে গিয়েছিল'।
প্রসঙ্গত, ১২ এপ্রিল (শুক্রবার) রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানোর অভিযোগ রয়েছে। পরে আহত অবস্থায় ওই চারজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীব, সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় প্রেরণ করে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২ টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালের নিবীড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজীব মারা যান।
পিএম
কুমিল্লার সদর দক্ষিণে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রসহ ডাকাত দলের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার দক্ষিণ গোবরকাটা এলাকার মোঃ মফিজুর রহমানের ছেলে মোঃ আমির হোসেন (২৮) ও একই জেলার সুধারাম উপজেলার মাছিমপুর এলাকার মুজিবুল হকের ছেলে সাইদুল হক (২১)।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সদর দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মোঃ আলমগীর ভূঁইয়া বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ২ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, সদর দক্ষিণ থানাধীন আলোকদিয়া জেলখানা বাড়ী সংলগ্ন এনআর ফার্ণিচার এর বিপরীত পাশে ঝোপে ৮/১০ জনের একটি ডাকাত দল দেশীয় তৈরী অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্রসস্ত্রসহ নিয়ে কুমিল্লা-লাকসাম আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহনসহ আশপাশের ঘর-বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সময়, বিশেষ অভিযান পরিচালনা করি। ঘটনাস্থলে, পুলিশি অবস্থান টের পেয়ে ঝোপের মধ্যে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তাদের ২ জন সক্রিয় সদস্যকে দেশীয় পাইপ গান, ২ রাউন্ড রাবার কার্তুজ, ২ টি রামদা,২ টি ছুরি, ১টি এসএস পাইপসহ গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই আমরা অভিযান পরিচালনা করছিলাম ডাকাত দলকে আটক করার জন্য। এই ডাকাত দলের সদস্যরা ঝোঁপের আড়ালে লুকিয়ে থাকে। আর সুযোগ পেলেই ঝোপ থেকে বের হয়ে মানুষকে নিঃস্ব করে দিতো তারা। এই ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে সদর দক্ষিণ থানায় একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়।
এমআর
রাঙামাটি জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র বিশেষ অভিযানে ৫০০ লিটার চোলাই মদ এবং বিপুল পরিমাণ মদ তৈরির উপকরণ উদ্ধারসহ ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল ২০২৪) রাঙামাটি সদরস্থ পিটিআই নতুন পাড়া এলাকায় অবৈধ চোলাই মদ তৈরি এবং কেনাবেচা হয় মর্মে গোপন সংবাদ প্রাপ্ত হয় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শাহনেওয়াজ রাজু, বিপিএম-পিপিএমের তত্ত্বাবধানে রাঙামাটি জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) একাধিক টিম নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মানস বড়ুয়া।
অভিযান পরিচালনাকালে রাঙ্গামাটি সদরস্থ পিটিআই নতুন পাড়া এলাকার উত্তরপাশের শেষ মাথায় একটি পরিত্যক্ত ঘর হতে ৪৫০ লিটার দেশীয় তৈরি চোলাই মদ এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত সুফল তালুকদারের হেফাজত হতে ৫০ লিটার দেশীয় তৈরি চোলাই মদসহ সর্বমোট ৫০০ লিটার দেশীয় তৈরি চোলাই মদ এবং বিপুল পরিমাণ মদ তৈরির উপকরণ উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শাহনেওয়াজ রাজু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উক্ত ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এমআর
কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর প্রাচীনতম নূর মোহাম্মদ চৌধুরী বাজার। ঐতিহ্যবাহী বাজারটির পোষ্ট অফিস ও পরিত্যাক্ত পরিষদসহ একাধিক সরকারি ভবন ভেঙে দখলের তোড়জোড় শুরু করেছে স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যান। উন্নয়নের নাম দিয়ে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সরকারি ভবনগুলো গুড়িয়ে দিয়ে দখলের পর ওই জায়গায় ব্যক্তিগত মার্কেট নির্মাণে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। ইতিমধ্যে কয়েকদফা ভাঙচুর করা হয়েছে ভবনগুলো অংশ। এরই মধ্যে বহিরাগত দাগী সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে সরকারি ভবন ভাঙচুরে মহড়া দিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পিএমখালীর পোষ্ট অফিসসহ সরকারি কয়েকটি পরিত্যাক্ত ভবনের মূল গেট তালা দেওয়া। ভবনের ছাদে বড় হাতুড়ি ও ড্রিল মেশিনসহ যন্ত্রপাতি দিয়ে ভবন ভাঙার কাজ করছেন ৬-৮ জন শ্রমিক। মূল ভবনের পেছনে ছোট্ট যে পুরোনো ১ তলা ভবন ছিল, সেটি আগেই পুরোপুরি ভাঙা হয়ে গেছে। সেখানে পড়ে আছে ইটসহ ভাঙা ভবনের কিছু অংশ। ইতিমধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেখানে ব্যবহৃত লোহার রডও। অনেকেই কৌতুহলবশত দাঁড়িয়ে পরিষদ ও পোষ্ট অফিস ভাঙার কার্যক্রম দেখছেন। কেন, কী কারণে ভবনগুলো ভাঙা হচ্ছে, তা নিয়ে আলোচনা করছেন। সামনে চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহর অনুসারীরা ত্রাস সৃষ্টি করে মহড়া দিচ্ছে যাতে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস না পাই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্বাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নূর মোহাম্মদ চৌধুরীর স্মৃতিবিজড়িত ভবনগুলো ভেঙে উন্নয়নের নাম দিয়ে ব্যক্তিগত মার্কেট তৈরী করতে এমন বেপরোয়া কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই সরকারি ভবনগুলো ব্যক্তিগত শ্রমিক দিয়ে ভেঙে শক্তির জানান দিচ্ছেন তিনি। চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহর অদৃশ্য শক্তির কাছে পুরো পিএমখালীর লোকজন অসহায় হয়ে পড়েছে।
এই ঘটনার খবর পেয়ে তৎকালিন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীষা সরকারি ভবন ভাঙতে নিষেধ করলেও তা কর্ণপাত করেনি তিনি। গতকাল বুধবার ঘটনাস্থলে এসিল্যান্ড উপস্থিত হয়ে বভন ভাঙার কাজ বন্ধ করে দেন। এসিল্যান্ড চলে যাওয়ার পর পুনরায় শুরু করে ভাঙার কাজ।
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তার ইন্ধনে যখন যেভাবে ব্যবহার হওয়ার হয়ে আসছে এই জনপ্রতিনিধি। হঠাৎ কোটিপতি হয়ে জনপ্রতিনিধির পদ ভাগিয়ে নেওয়া ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে পেরে উঠা এই আব্দুল্লাহর সাহস এখন আকাশচুম্বি। প্রসাশন যেখানে নস্যি সেখানে সাধারণ মানুষ তার কাছে কিছুই নয়।
ইতিহাসের স্বাক্ষী পোষ্ট অফিস ও সরকারি ভবন ভেঙে সবাইকে নতুন দোকান দেওয়ার প্রচারনা চালিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ইতিমধ্যে তার পরিকল্পনার কথা শেয়ারও করেছেন অনেকের সাথে। একটি নয়, পুরোটাই ভাঙা হচ্ছে ভবনগুলো। ইতোমধ্যে আব্দুল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন ভবনগুলো ভেঙে ফেলা হচ্ছে সদর উপজেলার ইঞ্জিনিয়ার হেলাল উদ্দিনের যোগসূত্রে। বাজার সেটের নাম দিয়ে সেখানে সরকারি বরাদ্ধের কোটি কোটি টাকা খরচ করে ৩ তলা বিশিষ্ট ভবন করে ভাড়া দেবেন। ইতিমধ্যে অনেকের সাথে চুক্তিও করেছেন সেভাবে।
ইতিহাস বলছে ও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাধীনতা পূর্ববর্তী নূর মোহাম্মদ চৌধুরী ছিলেন পিএমখালীর একজন জমিদার। পাহাড় ঘেঁষা জনপদে জাদরেল এই জমিদার নিজের জমিতে বসান একটি বাজার। যার নামকরণ হয় নূর মোহাম্মদ চৌধুরীর নামে। একসময় বাজারটি খুব জমজমাট এবং জনবহুল ছিলো। আশেপাশে তেমন কোন পরিচিত বাজার না থাকায় পণ্য বেচাকেনায় সেসময় দুরদুরান্তের লোকজনের কাছে এটিই ছিলো একমাত্র ভরসা। লোকসমাগমকে কেন্দ্র করে তৎকালিন সরকার বাজারটির পাশে পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এবং পোষ্ট অফিস নির্মাণ করে।
যুগযুগ ধরে বাজারটির পাশে পরিষদ ও পোষ্ট অফিসের কার্যক্রম চলে আসলেও কালের পরিক্রমায় একসময় বিভিন্ন এলাকায় নতুন নতুন বাজার বসতে শুরু করে। ফলে কার্যক্রম কমতে থাকে নূর মোহাম্মদ চৌধুরীর বাজারটির। গত দুই যুগ আগে পিএমখালী-খুরুশকুল সড়কের পাশের চেরাংঘর বাজার সংলগ্ন এলাকায় পরিষদের নতুন ভবন স্থানান্তর করা হয়। এরপর পুরোনো ভবনটি কৃষকদের সারের গুদাম হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। গত নির্বাচনে ফুলে ফেঁপে উঠা আব্দুল্লাহ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর থেকে ভবনগুলোসহ পরিত্যাক্ত জায়গাটির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তার। এটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেন তিনি। মাসকয়েক আগে উন্নয়নের দোহাই দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে ভবন ভাঙার কার্যক্রম শুরু করলে স্থানীয়রা বাধা দেন। বিষয়টি তৎকালিন ইউএনও সম্রাট খীষা অবগত হলে কাজটি বন্ধ করে দেন। ভবিষ্যতে সেখানে কোন কিছু না করার নির্দেশনা দেন। কিছুদিন ভবন ভাঙা বন্ধ রাখলেও গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে নিজস্ব শ্রমিক দিয়ে ফের ভবন ভাঙার কাজ শুরু করেন।
স্থানীয় নজির আহমদ, সাইফুল, হারুণ, জুয়েল, শহিদুল্লাহসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, পিএমখালীর ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি হিসেবে ব্যক্তি ছিলেন নূর মোহাম্মদ চৌধুরী। তৎকালিন তার জমিতে বাজারসহ পরিষদ-পোষ্ট অফিসসহ তার প্রাসাদোপম ভবন পরিণত হয় মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রস্থলে। আজও বহু মানুষ বাজারটির সরকারি ভবনগুলোর সামনে একবার ঢুঁ মারতে ভোলেন না। একসময়ের জনপ্রিয় বাজারটি তিনি গড়ে তোলেন তার জমিতে। পরে সেটি সরকার খাস করে পোষ্ট অফিস, পরিষদ ভবন, সার রাখার সব ব্যবস্থার পাশাপাশি নান্দনিকতার ছোঁয়ায় ভরপুর ছিল বাজারটিতে।
তাদের দাবি, কালো টাকা ছিটিয়ে আব্দুল্লাহ চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে পিএমখালীর ব্যক্তিমালিকানা ও বিরোধপূর্ণ জমি, খাস জমিসহ পাহাড় দখল করা যেন তার নেশায় পরিণত হয়েছে। একসময়ের রিক্তহস্ত আব্দুল্লাহ টাকা কুমির বনে মুর্তিমাণ আতংক হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষের কাছে। আর এই কালো টাকা ছিটিয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই যেকোন কিছুই করে চলেছেন গায়ের জোরে। এখনই তার লাগাম টেনে ধরার পাশাপাশি ভবন ভাঙার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও করেন স্থানীয়রা।
পিএমখালীতে বহু জমি রয়েছে বাজার সেট করার জন্য। কিন্তু সেখানে না করে পোষ্ট অফিসসহ সরকারি ভবন ব্যক্তিগত শ্রমিক দিয়ে ভেঙে বাজার সেটের জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পিএমখলী সাবেক এক জনপ্রতিনিধি। তিনি বলেন, সরকারি যেকোন ভাঙা-গড়ার ক্ষেত্রে টেন্ডারের মাধ্যমে করতে হয়। কেউ ব্যক্তিগতভাবে সরকারি কোন স্থাপনা ধ্বংস করলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র মামলা করার বিধান রয়েছে। আমার আমলে কোন সরকারি স্থাপনায় আমি হাত দিই নি। কিন্তু প্রশাসনসহ কাউকে তোয়াক্কা না করে দিনে দুপুরে উন্নয়নের নাম দিয়ে ভবন গুড়িয়ে দিয়ে মার্কেট তৈরী করে নিজের পকেট ভারী করতে এই অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন আব্দুল্লাহ। কিন্তু তার সাথে মিলেমিশে উপজেলা প্রশাসনের কথিক কয়েকজন কর্মকর্তা বরাদ্ধের কোটি কোটি টাকা লোটপাট করতে বাজার সেটের নামে এই পরিকল্পনা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ভবন ভাঙার বিষয়টি স্বীকার করে দাম্ভিকতার সাথে বলেন, বাজার সেটের জন্য একটি একটি বরাদ্ধ এসেছে একারণে ভবনগুলো ভাঙা হচ্ছে। বাজার সেট নির্মাণ ও ভবন ভাঙা গড়ার দায়ীত্ব সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের, আপনি ব্যক্তিগত শ্রমিক দিয়ে এই কাজ করা আইন সম্মত কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি যা করছেন জনগনের কল্যাণের জন্য করছেন বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এব্যাপারে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা রহমান বলেন, পরিত্যাক্ত হলেও সরকারী কোন ভবন কিংবা ঝুপড়ি ঘরও ব্যক্তিগতভাবে ভাঙা তো দুরের কথা; কেউ টোকাও দিতে পারেনা। পোষ্ট অফিসসহ পরিত্যাক্ত পরিষদের ভবন ভাঙার বিষয়টি অবগত হওয়ার সাথে সাথে এসিল্যান্ডকে পাঠিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহকে সতর্ক করে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরপর যদি তিনি আবার ভবন ভাঙার কার্যক্রম চালায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আসন্ন উপজেলা পরষিদ নর্বিাচনে হলফনামায় সম্পদ কম দেখাতে তিন কোটি টাকার মূল্যে ডুপ্লেক্স বাড়ি বাবাকে দান করলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদর্প্রাথী ফারজানা নাজনীন। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে বইছে আলোচনা ও সমালোচনা। এই ভবন নর্মিাণরে এত র্অথ জোগান নযি়ওে রয়ছেে নানা গুঞ্জন।
গত ৯ এপ্রিল মাদারীপুর সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসে হেবা ঘোষণার মাধ্যমে নিজের পিতা ইসমাইল হোসেনকে বিলাসবহুল তিনতলা অট্টালিকাসহ বাড়িটি দান করেন মেয়ে ফারজানা নাজনীন।
ফারজানা নাজনীন মাদারীপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করে বাচাই বাছাইয়ে টিকেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের বাসভবনের পেছনে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন অত্যাধুনিক তিনতলা ডুপ্লেক্স বাড়ি। যা নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা।
মাদারীপুর পৌরসভার ১১১নং শকুনী মৌজার ৩৮৭, ৩৮৮ ও ২৮৯ নং দাগে ৭ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত হয়েছে ৩ তলা বিশিষ্ট বিলাস বহুল ডুপ্লেক্স বাড়িটি। এই সম্পত্তির মালিক ফারজানা নাজনীন ও তার মেয়ে তাসনিম জাহান মীম। ফারজানা নাজনীন তার বাবা কুনিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেনের নামে গত ৯ এপ্রিল ২৩৩৭ নং দলিলে ‘হেবা ঘোষণার’ মাধ্যমে মালিকানা পরিবর্তন করেন। পরে দাখিল করেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র। নির্বাচনের হলফনামায় সম্পত্তি কম দেখাতেই বাবার নামে লিখে দিলেন কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি।
মাদারীপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ ভূমি জরিপ বিআরএস রেকর্ডে সংশ্লিষ্ট দাগ ও খতিয়ানে ডোবা থাকায় ভবন নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ মনে করায় অনুমোদন দেয়া হয়নি। ওই জায়গায় ভবন নির্মাণের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অনুমোদন চাইলেও সবশেষ পৌরসভার সার্ভেয়ার ও ইঞ্জিনিয়ারসহ বিশেষজ্ঞরা দেননি কোন অনুমোদন। পরে ফারজানা নাজনীন ক্ষমতার অপব্যবহার করেই এই ভবন নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী যুবলীগ নেত্রী ফারজানা নাজনীনের নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিলের হলফনামায় তিনি ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন তিন লাখ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে মাত্র ২ হাজার টাকা। আর নগদ অর্থ সাড়ে ৪ লাখ টাকা উল্লেখ করেছেন। হলফনামার তথ্য নিয়ে মাদারীপুরের জনমনে এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বিপুল অর্থে নির্মিত ডুপ্লেক্স বাড়িটির অর্থ জোগান আসলো কোথা থেকে? সম্প্রতি এ নিয়ে বেশ কয়েকজন সচেতন নাগরিক বাড়িটি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। ফেসবুকে দুদককে অনুসন্ধান করতেও অনুরোধ জানিয়েছেন স্থানীয়রা নাগরিকেরা।
মাদারীপুরের যুব মহিলা লীগ নেত্রী ফারজানা নাজনীন সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্বামী লিয়াকত হাওলাদার ইতালি থেকে টাকা পাঠিয়েছেন, সেই টাকা থেকে নির্মাণ করা হয়েছে এই বাড়ি। এছাড়া আমি জেলার একমাত্র নারী ঠিকাদার, আমি ব্যবসা করি, আমার ব্যবসার টাকায় বাডিটি নির্মাণ ব্যয় করা হয়েছে। পৌরসভা থেকে কোন অনুমোদন নেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছিলাম, কিন্তু পৌরসভা অনুমোদন দেয়নি। পরে অনুমোদন ছাড়াই ভবন নির্মাণ করেছি। এই শহরের অনেক বাড়িই অনুমোদন ছাড়া তৈরী হয়েছে। সবাই যেভাবে বাড়ি নির্মাণ করছে আমিও সেভাবেই বাড়ি নির্মাণ করেছি।
সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আগেই বাড়ির মালিকানা কেন পরিবর্তন হয়েছে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, বাড়ির জমি নিয়ে ঝামেলা থাকায় বাবার নামে লিখে দেয়া হয়েছে। জমিটা মূলত বাবার, কিন্তু বাড়ি আমি নির্মাণ করেছি।
মাদারীপুর পৌরসভার সার্ভেয়ার এনায়েত হোসেন বলেন, ফারজানা নাজনীন ভবন নির্মাণের জন্য আবেদন করেছিলেন, পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জায়গাটি ডোবা। বিআরএস রেকর্ডে ডোবা থাকায় পৌরসভা এজন্য কোন অনুমোদন দেয়নি। কিন্তু বাড়িটি তারা অনুমোদন না নিয়েই নিজেদের মতন করেই তৈরী করেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের মাদারীপুরের উপ-পরিচালক আতিক রহমান বলেন, সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ আসলে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণের অর্থ জোগানের বিষয়েও খোঁজ-খবর নেয়া হবে।
এফএস
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে চাচা মতিউর রহমান বাদশাকে (৬২) দেশীয় অস্ত্র টেটা-বল্লম দিয়ে জখম করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ভাতিজার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে মতিউর রহমান বাদশা মিয়ার ছেলের নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মতিউর রহমান উপজেলা মসুয়া ইউনিয়নেন চরবেতাল গ্রামে মৃত ফালু মিয়ার ছেলে।
নিহতের চাচাত ভাই জসিম উদ্দিন জানান মতিউর রহমান বাদশা সঙ্গে চাচাত ভাতিজা ইসমাঈলের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বৃহস্পতিবার সকালে মতিউর রহমান তার ছেলের বাড়িতে যাওয়ার পর তার ভাতিজাসহ বাড়ির লোকজন মিলে মতিউর রহমানকে টেটা-বল্লম দিয়ে আঘাত করলে বল্লমের আচার ভেঙ্গে টেটা-বল্লম বুকে আটকে যায়। আহত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোররাতে মৃত্যুবরণ করেন।
কটিয়াদী মডেল থানার (ওসি) তদন্ত মো. মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেলেই মামলা হবে। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের এক সৌদি প্রবাসী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ভাগলপুর হাসপাতালে তিনি মারা যান। নিহত সাইফুল ইসলাম রতন (৫৫) জালালপুর ইউনিয়নের টুনিয়ারচর বিরামের বাড়ি মহল্লার বাসিন্দা।
একবছর আগে সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনাটায় আহত হয়ে কোমায় থাকতে হয়। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে এই রমজানে লোক-মারফত দেশে পাঠানো হয়। সম্প্রতি উনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করালে আজ শুক্রবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিকেলে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
পিএম
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে শসার দামে ধস নেমেছে। ক্রমেই কমছে এই সবজির দাম। ফলে শসা চাষীদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে। অথচ কদিন আগেও তা ছিলো চড়া দাম। কয়েকদিন আগে শেষ হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। এরপর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের আমেজও শেষদিকে। কটিয়াদীতে চলতি মৌসুমে শসার ফলন ভালো হলেও হঠাৎ দাম কমাতে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
যেই শসা কিছু দিন আগেও পাইকাররা ক্ষেত থেকে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন এখন পাইকাররা ৩-৫ টাকা কেজি দরেও কিনতে রাজি হচ্ছেন না। নদীর বাঁধ বাজারে ১৯ এপ্রিল শুক্রবার প্রতি কেজি শসা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬ -৮ টাকায়। পাইকারি ৩-৫ টাকা কেজি। দাম কমে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা। অন্যদিকে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ।
কটিয়াদী উপজেলার কয়েকটি সবজি বাজারে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে কম বেশি শসার সরবরাহ রয়েছে। তবে ক্রেতা না থাকায় প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৭-৮ টাকা কেজি দরে। রমজান মাসেও এই শসার কেজি ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি । তখন অনেক ক্রেতাই কিনতে পারে নাই। এখন দাম কমে যাওয়ায় অনেকেই কিনছেন এই শসা।
জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা গ্রামের শসা চাষি জমির মিয়া বলেন, এ বছর তিনি এক একর জমিতে শসার আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে এক লাখ বিশ হাজার টাকা। এখন যে দাম, তাতে শ্রমিকদের মজুরি খরচ উঠবে না। শসার বাজার নিয়ে বর্তমানে তিনি অনেক দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
শসা বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, রমজান মাসে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি ছিল। এখন সরবরাহ অনেক বেশি তাই দাম কম। তবে দাম কম হলেও বাজারে শসার ক্রেতা কম। এছাড়া অন্যান্য সবজির দামও অনেক কম। ক্রেতারা সাধ্যমতো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
নদীর বাঁধ বাজারে সবজি কিনতে আসা আব্দুর রহিম বলেন, দাম এখন অনেকটা হাতের নাগালেই আছে। রমজান মাসের তুলনায় অনেক দাম কম। দাম কম থাকলেও বাকি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেক চড়া। রমজান মাসে তো হাতেই দেয়া যাচ্ছিলো না শসায়। এখন রমজান শেষ ও আমদানি বাড়ায় তাই দাম কমেছে। শসা কিনেছি ডাল দিয়ে রান্না করে খাব বলে।
পিএম
বঙ্গবন্ধু সেতু টাঙ্গাইল- ঢাকা মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা থেকে জোকারচর পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় কোথাও থেমে থেমে আবার কোথাও ধীর গতিতে চলছে যানবাহন।
গাড়ির চাপ বৃদ্ধি ও শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৭টায় সড়কের কামাক্ষার মোড় এলাকায় ট্রাক- কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষের ঘটনায় এ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার এসআই লিটন মিয়া জানান, সকাল পৌনে ৭টায় সড়কের কামাক্ষার মোড় এলাকায় ট্রাক- কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান সড়কের মাঝখানে চলে আসে। ফলে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেলে উভয় পাশে সৃষ্টি হয় যানবাহনের দীর্ঘ সারি। পরে সড়ক থেকে ওই গাড়ি দুটি সরিয়ে নেয়া হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পিএম
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নে দীর্ঘ ১৮ বছর আগে হারানো সন্তান শ্যাম্ভু মা-বাবার বুকে ফিরে এসেছে । নিখোঁজ থাকা সন্তানকে কাছে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা মা-বাবা।
শ্যাম্ভু পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর-কাকচিড়া পুরান ভাড়ানী খাল সংযোগ ও নৌ-পুলিশ ফাঁড়ী সংলগ্ন পূর্ব লেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা জেলে সেলিম মিয়ার বড় পুত্র।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, নিখোঁজের ১৮ বছর পরে গত সোমবার দুপুরে কাকচিড়া বাজারে এসে বাবার নাম ধরে জিজ্ঞেস করতে করতে সে পৌঁছে যায় তার পরিবারের কাছে। ছেলেকে পেয়ে আবেগময় হৃদয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন শ্যাম্ভুর মা-বাবাসহ পুরো পরিবার। পরিবারে মা-বাবা, ভাই সোহেল ও সেলিনা নামের বোন রয়েছে। শ্যাম্ভুর বর্তমান বয়স প্রায় ৩৪ বছর, তার কথা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত কোনো সাংসারিক জীবনে আবদ্ধ হয়নি।
বাড়ি ফেরা নিয়ে শ্যাম্ভুর কাছে জানতে চাইলে বলেন, বাড়ি থেকে না বলেই চট্টগ্রাম যাই, সেখান থেকে গিয়ে সিলেটে থাকা শুরু করি, এতদিন থাকার পরে বাড়ির কথা খুব মনে পড়ছিল, তাই ঠিকানা পুরোপুরি মনে না থাকা স্বত্বেও অনুমান করে করে বাড়িতে পৌঁছাই।
এদিকে নিখোঁজ সন্তানের ব্যাপারে জানতে চাইলে তার মা-বাবা বলেন, ২০০৫ সালের শেষের দিকে না বলে আমাদের সন্তান বাড়ি ছাড়ে, তখন বয়স ছিল ১৬ বছর, সেই থেকে বিভিন্ন জায়গায় আমরা খোঁজ করেছি কিন্তু কোথাও কোনো সন্ধান মেলেনি, হয়তো আল্লাহ আমাদের ওপরে দয়া করে আমাদের কাছে সন্তান ফিরিয়ে দিয়েছেন। সন্তান কাছে পেয়ে আমাদের পুরো পরিবার খুবই আনন্দিত।
তারা আরও বলেন, সিলেট যে জায়গায় এতদিন বসবাস করতো সেই মালিকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে সেখানে শ্যাম্ভুর তিনটি অটোরিকশা আছে। সবকিছু মিলিয়ে আমরা ছেলেকে নিয়ে সিলেটে যাব মালিকের সঙ্গে দেখা করে আমাদের সন্তান আমাদের কাছে নিয়ে আসবো।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আফছানা নামের ১৩ বছরের এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে কলাপাড়া থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পূর্ব টিয়াখালী গ্রামের গাজী বাড়ি এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় পাওয়া গেছে। মৃত আফছানা ওই এলাকার নূরসায়েদ সিকদারের মেয়ে।
মৃতের ভাই আবু সাইদ জানান, প্রতিদিনের মতো বাজার করে এসে ঘরের ভিতর থেকে দরজা লাগানো দেখতে পায়। ডাকাডাকিতে কোন সাড়া না পেয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে বোনের ঝুলন্ত পাঁ দেখতে পাই। সন্দেহ হলে বেড়া কেটে ঘরে ঢুকে বোনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন। তবে, কি কারণে সে গলায় ফাঁস দিতে পারে তার সঠিক কোন কারন খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কলাপাড়া থানার এসআই গোলাম মাওলা জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনার থানার একটি ইউ ডি মামলা হয়েছে।
পিএম
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল সংবাদ প্রকাশের জেরে ২ জন সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার করার দায়ে আরো ১০ জনকে আসামি করে মোট ১২ জনকে সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা করেছেন তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য (সাবেক) সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদিন মিঠু।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেন নারী কেলেঙ্কারিতে ভাইরাল হওয়া তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য (সাবেক) সাধারণ সম্পাদক।
মামলার আসামি দুই সাংবাদিক হলেন- দৈনিক কালবেলার তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি ও তালতলী উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম, দৈনিক মানবকন্ঠের তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি ও তালতলী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন। সাংবাদিকসহ স্থানীয় আরো ১০ জন গণ্যামন্য ব্যক্তিদের মামলার আসামী করার কারণে সাংবাদিক মহল সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়। আর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।
বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অভিযোগটি তদন্ত করে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) কে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘটনার সংবাদ প্রকাশ ও ওই সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের মাধ্যমে সুনাম নষ্ট হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার ৩ নং আসামী দৈনিক কালবেলা'র তালতলী উপজেলা প্রতিনিধি নাঈম ইসলাম বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ওই মামলার সাক্ষীরা এক নারীকে ধর্ষণ করেন এবং তাদের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে এ ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নিউজ না করার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আমরা তাদের কথা না শুনে নিউজ প্রকাশ করি, সেই আক্রোশে আমাদের নামে সাইবার আইনে মামলা করেছে। মামলা হামলা দিয়ে সাংবাদিকদের কলম কখনো থামিয়ে রাখা যায়নি আর যাবেও না।
জানতে চাইলে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম খান বলেন, মামলার বিষয়ে আমি এখনো আমি কিছু জানি না। মামলার কপি হাতে পেলে তখন আমি এ বিষয়ে কথা বলতে পারবো।
পিএম
রাখাইন বর্ষবরণ উপলক্ষে কুয়াকাটায় রাখাইনদের জলকেলি অথবা রাখাইন ভাষায় ‘সাংগ্রাই’ উৎসবটি কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৪ টায় রাখাইন পুরাতন বছর ১৩৮৫ সাল বিদায় ও নতুন বছর ১৩৮৬ কে বরণে এদিন রাখাইন তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের নারী-পুরুষ এ অনুষ্ঠানে মেতে উঠেন।
রাখাইন তরুণীদের নৃত্য পরিবেশনা শেষে সেখানে তরুণ-তরুণীদের ভালোবাসায় সিক্ত জল একে অপরের গায়ে ছিটিয়ে পালন করা হয় রাখাইন সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় এ উৎসব।
এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রবিউল ইসলাম , বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কুয়াকাটা পৌর মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার, কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল বারেক মোল্লা,কুয়াকাটা পৌর কাউন্সিলর শহীদ দেওয়ান সহ অনেকেই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উচান চিন মাতুব্বর।
রাখাইন সম্প্রদায়ের মানুষ বলছেন, পুরোনো বছরের সব গ্লানি ও দুঃখ জলে মুছে নতুনভাবে জলে জলে পরিশুদ্ধির জন্য এই উৎসব। টানা ৩ দিন চলবে এই উৎসব।
রাখাইন তরুণ লু চিং বলেন, নতুন বর্ষকে বিদায় ও বরণের ওই হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী সামাজিক উৎসবের রীতি। এ উৎসব ঘিরে ৩ দিনব্যাপী জলকেলি ছাড়াও বাড়িতে বাড়িতে রান্না হচ্ছে নিজস্ব খাবার।
কুয়াকাটা পৌর মেয়র মোঃ আনোয়ার হাওলাদার বলেন, রাখাইনদের ৩ দিনের জলকেলি উৎসব সার্বিক সফল ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা কাজ করছে এবং তিনি বলেন, 'জলকেলি উৎসবটি রাখাইনদের হলেও এটি কালক্রমে এ অঞ্চলের মানুষের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছে। এ জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্যান্ডেলগুলোতে পুলিশ সদস্য ও গোয়েন্দারা অবস্থান করে।
এমআর
ঝালকাঠির গাবখান সেতুতে ট্রাক দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি ।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান তিনি।
এ সময় আমির হোসেন হোসেন আমু হতাহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে গাবখান সেতুর টোলপ্লাজায় সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা নিয়ে খাদে পড়ে গেলে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ১৪ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়।
স্থানীয়, প্রত্যক্ষদর্শী, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্র জানায়, দুপুর ২টার দিকে রাজাপুর থেকে বরিশালের দিকে যাচ্ছিল সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক। গাবখান সেতু থেকে নামার সময় ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। পরে টোল প্লাজায় অবস্থানরত একটি মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাকে ধাক্কা দিয়ে যানবাহনগুলোকে নিয়ে খাদে পড়ে। এতে ট্রাকের ক্ষতি কম হলেও মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় ট্রাকচালক আল আমিন হাওলাদার ও তার সহকারী নাজমুল শেখকে আটক করেছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকটিও।
এমআর
নেত্রকোনার মদনে হাওরে ধান কিনতে এসে ইজিবাইকের চাপায় এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে মদন-খালিয়াজুরি সড়কে উচিতপুরে এ ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনায় আলী মিয়া (৬১) নামের এক ধান ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত আলী মিয়া নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রাজিবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নাছির উদ্দিনকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে মদন উপজেলার হাওরে ধান কিনতে আসেন ব্যবসায়ী আলী মিয়া। ধান কিনে উচিতপুর থেকে মোটরসাইকেলে কেন্দুয়ার দিকে রওনা হন। পথে চালের বস্তা বোঝাই একটি ইজিবাইক বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।
এতে মোটরসাইকেল চালক ও ব্যবসায়ী আলী মিয়া গুরুতর আহত হলে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক ব্যবসায়ী আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
মদন থানার এসআই আব্দুল হাই স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় আলী মিয়া নামের একজন ধান ব্যবসায়ী মারা গেছেন। মরদেহটি হাসপাতালে রয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পিএম
নেত্রকোনায় বিয়ের মাইক্রোবাস আটকে ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের চার ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ ৩টি মোবাইল ফোন ও স্বর্ন টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার রুজুর ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পুলিশি অভিযানে ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
শুক্রবার(১৯ এপ্রিল) সকালে সাড়ে ১০টার দিকে নেত্রকোণা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ভৈরবের অষ্টগ্রামের জাকির হোসেন (২৪), হবিগঞ্জ বানিয়াচংয়ের মো আরিফ হোসেন (২৯), চুনারুঘাটের মো. শাহীন আলম (৩৫) ও নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার শ্রীরামপাশার মো বাবুন মিয়া (২৪)।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে গত ১৫ এপ্রিল মদনের মো. মোবাশ্বের হোসেন বিয়ের বরযাত্রী নিয়ে পাবনার বেড়ার উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা হন। দুটি মাইক্রোবাস যোগে যাওয়ার পথে মদন কেন্দুয়ার সীমান্ত এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে গতিরোধ করে ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাইক্রোবাসের গ্লাস ভেঙে ৭ ভরি স্বর্নালংকার, নগদ প্রায় লাখ টাকার কাছাকাছি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। একই রাতে মোটরসাইকেল আটকেও ডাকাতি করে।
পরে এসকল ঘটনায় ডাকাতির শিকার মোবাশ্বের সহ ক্ষতিগ্রস্তরা সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।
আলাদা থানায় দুটি মামলার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার করে প্রথম একজনকে আটক করে। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী অন্যদেরকে আটক করে এবং লুট হওয়া অর্থসহ অল্প কিছু জিনিস উদ্ধার করে।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হারুন অর রশীদ, (বিশেষ শাখা) মো. লুৎফর রহমান, মদন খালিয়াজুরী সার্কেল রবিউল ইসলামসহ পুলিশের উর্ধতনরা উপস্থিত ছিলেন।
পিএম
নেত্রকোনার কলমাকান্দা লেঙ্গুরা সীমান্তে ঘুরতে গিয়ে রাবার ড্যামে গোসল করতে নেমে স্বাক্ষর মজুমদার নামের এক যুবক ডুবে মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার লেঙ্গুরা এলাকার গণেশ্বরী নদীতে ডুবে যুবকের মুত্যুর ঘটনাটি ঘটে। নিহত স্বাক্ষর মজুমদার ময়মনসিংহ শহরের চরপাড়া কিষ্টপুর এলাকার বাচ্চু মজুমদারের ছেলে।
কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ লুৎফুল হক স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে পাহাড়ি নদী গনেশ্বরীতে কৃষি সেচের জন্য বিএনডিসির ড্যামের পানিতে গোসলে নেমেছিল।
পরে ডুব দিয়ে আর না ওঠায় বন্ধুরা তাৎক্ষনিক তাকে উদ্ধার করলেও তাকে আর বাঁচাতে পারেনি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরিবারের লোকজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এমআর
প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ,গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের মতো ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের সহযোগিতায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদযাপন করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ত্রিশাল দুখুমিয়া পার্কে প্রদর্শনীটি হয়।
এর আগে সকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী এর শুভ উদ্বোধন বিটিভি কর্তৃক সরাসরি সম্প্রচার অনুষ্ঠানমালাটি উপভোগ করেন অতিথিরা।এরপর স্থানীয়ভাবে ফিতা কেটে ও পাইরা উড়িয়ে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুয়েল আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ত্রিশাল আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মতিন সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা,নাজরীন সুলতানা। অনুষ্ঠান শেষে সংসদ সদস্য এবিএম আনিছুজ্জামান বিজয়ী খামারিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এআইময়মনসিংহের গৌরীপুরে তুচ্ছ ঘটনায় কিল ঘুষিতে মোফাজ্জল হোসেন (১২) নামে এক কিশোর খুন হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বাঘবেড় গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত কিশোর মোফাজ্জল হোসেন মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় পাইবাকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় বোকাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আল মুক্তাদির বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। শুনেছি চেয়ারে বসা নিয়ে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।
গৌরীপুর থানার ওসি সুমন চন্দ্র রায় বলেন, বাড়ির পাশে বসে খেলাধুলা করছিল একদল শিশু ও কিশোররা। এ সময় চেয়ারে বসা নিয়ে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মোবারক হোসেনের (১৪) সাথে কথা কাটাকাটি ও তর্কবির্তক হয় নিহত মোফাজ্জল হোসেনের। এ ঘটনায় মোবারক হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে মোফাজ্জল হোসেনকে কিল-ঘুষি, চড় থাপ্পড় ও লাথি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মোফাজ্জল।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোবারক হোসেনকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পিএম
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে গরু চুরির বিচার-মামলার জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে রাহিদুল ইসলাম বাবু (৩২) নামে যুবক খুন হয়েছেন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নে আমলাগাছি-ঢোলভাঙা সড়কের বেলতলা এলাকায় এ হামলার শিকার হন তিনি।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মুত্যু হয়।
রাহিদুল ইসলাম ওই ইউনিয়নের পূর্বগোপালপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমিরুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি এলাকায় গরু চুরির বিচার-মামলার জেরে বাবুর ওপর ক্ষিপ্ত ছিল প্রতিপক্ষরা। এরই ধারাবাহিকতায় গেলো রাতে আমলাগাছি-ঢোলভাঙা সড়কের বেলতলা এলাকায় বাবুর ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন।
হামলাকারীদের ছুরির আঘাত বাবুর বুক ভেদ করে হার্ট পর্যন্ত পৌঁছায় তার মৃত্যু হয়েছে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ওসি আজমিরুজ্জামান সময়ের কণ্ঠস্বরকে আরও জানান, এ ঘটনার নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে বলেও জানান তিনি।
এআই
নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নুরুজ্জামান (৩৫) নামে এক ধান ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার রামগঞ্জ-বেরুবন্দ সড়কের পুটিমারীর দোলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরুজ্জামান উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের দুহুলি পাড়ায় এলাকার নূর উদ্দিন মিয়ার বড় ছেলে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ‘রাতে রামগঞ্জ-বেরুবন্দ সড়কের ডান পাশে বসে ফোনে কথা বলছিলেন নুরুজ্জামান। এসময় রামগঞ্জের এই দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি মোটরসাইকেলের চালক বাম দিক থেকে ডান দিকে গিয়ে তাকে সজরে ধাক্কা দেয়। পরে সেখানকার সেচ পাম্পের মটর ঘরে থাকা এক ব্যক্তি শব্দ শুনে বাহিরে এসে দেখেন নুরুজ্জামান ধান খেতে পরে আছে আর মোটরসাইকেল চালোক পালিয়ে যাচ্ছে। এ সময় তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য রংপুর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।’
নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, ‘গতকাল রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তি আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর হাসপাতালে মারা যাওয়ার খবর তিনি পেয়েছেন।’
এআই
কুড়িগ্রামের উলিপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিপা সরদার, উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মর্তুজা।
এছাড়াও উলিপুর সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ আবু যোবায়ের আল মুকুল, উপজেলা কৃষক প্রতিনিধি পার্থ সারথি সরকারসহ বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এআইদিনাজপুরের বিরামপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালন করা হয়েছে। এসময় উপজেলা বঙ্গবন্ধু মোড়ালে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য ও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মুরাদ ইসলাম উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কাউসার আলী, বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার,ছাত্র-ছাত্রীসহ অনেকে।
এআই
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে আবু সাঈদ (৪৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে শহরের প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু সাঈদ কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গদা কেরানীপাড়া এলাকার জবান উদ্দিনের ছেলে। আবু সাঈদের লাশ উদ্ধারের বিষয় নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘মরদেহ থানায় আছে। অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আবু সাইদ গতকাল বিকেলে হঠাৎ প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল মোড় এলাকার শরিফুল ইসলামের পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাঁকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজনেরা জানান, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আবু সাইদ একটি বৃদ্ধাশ্রমে থাকতেন। তিনি মানসিক রোগে ভুগছিলেন।
এআই
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে খাইরুল ইসলাম (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ী আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের একজনের বাম হাতের কব্জি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করার ঘটনা ঘটেছে।
নিহত খাইরুল ইসলাম চরগড়গড়ী আলহাজ্ব মোড় পশ্চিমপাড়ার মৃত নসিম উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। আর কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া ইসাই ব্যাপারি (৫০) একই গ্রামের শফি ব্যাপারির ছেলে।
আহতদের মধ্যে কয়েক জনের নাম জানা গেছে, তারা হলেন- সাজু হুদী (৫০), জামাত ফকির (৫০), নাসিরউদ্দিন (৩০), জিল্লুর, ওলিউর রহমান, মজিদ, ইছাই প্রামানিক, মো. মিঠুন (৩৫), মোসলেম উদ্দিন (৬০), মানু প্রামানিক (৫৫), মো. খোকন প্রামাণিক (৩৫), নুর বেগম (৫০)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন আগে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ধরে দুই গ্রুপের লোকজনদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এনিয়ে গত দুই দিনে দুই গ্রুপের মধ্যে ছোটোখাটো মারামারির ঘটনা। এইসব ঘটনার জের ধরে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ঘটনাস্থলেই খাইরুল মারা যান।
এ সময় রিয়াজুল ব্যাপারি পক্ষের ইসাই ব্যাপারির বাম হাতের কব্জি হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা। আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আমরা (পুলিশ) ঘটনাস্থলে আছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারবো।
পিএম
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় গাছের গুঁড়ির চাপায় আমির হামজা (৫) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ৩ টার দিকে উপজেলার কৈডাঙ্গা চরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি ওই গ্রামের আসাদুল ইসলামের ছেলে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের(ইউপি)সদস্য মো.সাগর হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা ৩ টার দিকে শিশু আমির হামজার পিতা আসাদুলসহ কয়েকজন ব্যক্তি গাছের গুঁড়ি গড়িয়ে রাস্তায় আনছিলেন। এসময় গাছের গুঁড়ির চাপায় আমির হামজা মারাত্মক আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসার সময় পথেই তার মৃত্যু হয়।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর চিকিৎসক ডা. বৃষ্টি আক্তার বলেন, মৃত অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। এসময় তার নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল।আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক বলেন, মৃত্যুর বিষটি তার জানা নেই। তিনি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবেন।
এফএস
পাবনার চাটমোহরে ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) উপজেলার ধানকুনিয়া দক্ষিণ পাড়া মমিন বাজারের পার্শ্ববর্তী মাঠে দুই দিন ব্যাপী এ ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ডি.এন.এফ মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশন চাটমোহর পাবনা বৈশাখ মাস উপলক্ষে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।
ডি.এন.এফ মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আব্দুল কুদ্দুস সরকার।
আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল, টাঙ্গাইল, বগুড়া, পাবনা, নাটোরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত প্রায় ৫০টি ঘোড়া প্রথম দিনের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বাছাইকৃত ঘোড়া শনিবার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। ঘোড়াগুলোকে ছোট মাঝারী বড় এ তিন ভাগে ভাগ করে প্রতিযোগিতা হচ্ছে। শনিবার চূড়ান্ত বিজয়ীদের মাঝে ফ্রিজ, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন আকর্ষনীয় পুরষ্কার বিতরণ করা হবে।
ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা দেখতে আসা সিংড়ার আদিমপুর গ্রামের মিলন হোসেন জানান, ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা আমাদের লোকজ সংস্কৃতির অংশ। দিনে দিনে এ প্রতিযোগিতা প্রায় বিলুপ্তির পথে। এ প্রতিযোগিতা দর্শককে চরম আনন্দ দেয়।
এ ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় চাটমোহর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিক, নিমাইচড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকন, নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরজাহান বেগম মুক্তি, বিলচলন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, ইউপি সদস্য রতন আলী, ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার সিতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পাবনা, নাটোর সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার নারী পুরুষ এ ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন।
পিএম
নিখোঁজের ২দিন পর সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের করতোয়া নদী থেকে মোতালেব হোসেন (৫৫) নামের এক বৃদ্ধের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। মোতালেব হোসেন বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়া বেড়া গ্রামের মৃত গুজরত আলী ব্যাপারীর ছেলে, সে পেশায় একজন তাঁত শ্রমিক।
জানা যায়, শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল আনুমানিক ৭টার দিকে শাহজাদপুর উপজেলার হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নের নারুয়া গ্রামের করতোয়া নদীর তীরে শিশুরা একটি অজ্ঞাত লাশ ভাসতে দেখে। পরে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে শতশত গ্রামবাসী লাশটি দেখার জন্য ভিড় জমায়।
খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে খবর পেয়ে নিহত মোতালেব হোসেনের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি সনাক্ত করেন।
এই বিষয়ে নিহতের মেয়ে জামাই এবং ভাতিজা বলেন, বুধবার বিকেলে মোতালেব হোসেন মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় স্বজনেরা তার মুঠোফোনে কল দিয়ে বন্ধ পায়।
পরে মোতালেব হোসেনের স্বজনেরা বেলকুচি থানায় যোগাযোগ করলে মোবাইল লোকেশন পেয়ে তাঁরা আজ সকালে শাহজাদপুরের নারুয়া গ্রামে খোঁজ করতে আসেন।
স্থানীয়দের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন যে করতোয়া নদীতে একটি অজ্ঞাত লাশ পাওয়া গেছে। এরপর তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি মোতালেব হোসেনের হিসেবে সনাক্ত করেন।
এই বিষয়ে শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন জানান, করতোয়া নদীতে ভাসমান লাশের খবর পেয়ে অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। প্রথমে অজ্ঞাত থাকলেও পরে লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, সিরাজগঞ্জ নৌ পুলিশকে ঘটনাটি অবহিত করা হয়েছে। উপ-পরিদর্শক আরিফের নেতৃত্বে নৌ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে। তারা এসে লাশটি উদ্ধার সহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পিএম
সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। র্দীঘ ৭ বছর পর খুব কাছাকাছি সময়ের মধ্যে ছাত্রলীগ কমিটি গঠন হতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে। সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে পরিচ্ছন্ন ছাত্রনেতা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল সেখ আলী। সাবেক এই ছাত্র নেতাকে শীর্ষ নেতৃত্বে দেখতে চায় তৃণমূলের ছাত্রনেতা কর্মীরাও।
আওয়ামী লীগ পরিবারে বেড়ে ওঠা রাসেল সেখ আলী ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সিরাজগঞ্জ শহরের নাজমুল চত্বরে তৎকালীন সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা মাহাবুব হোসেন রব্বানী গুলিবিদ্ধ হলে বড় ভাইদের সাথে রাজপথে আন্দোলন করেন ।
তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ড.জান্নাত আরা তালুকদার হেনরীর আস্থাভাজন র্কমী।
সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লিমন বলেন, প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাসেল সেখ রাজপথে ছিল। সামনের সারির কর্মী হিসেবে সে নিবেদিত প্রাণ।সাধারণ মানুষের কাছেও সে সমধিক প্রিয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গণতন্ত্রের মানস কন্যা মানবতার মা শেখ হাসিনা এমপির পক্ষ হতে মহামারী করোনা পরিস্থিতির সময় জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ সাহায্য সহযোগিতা করেছে । বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মসূচী অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে ।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ইং উপলক্ষ্যে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের নির্বাচন কালীন আসন ভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত সমন্বয় কমিটিতে রাসেল সেখ আলী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ।
সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ বিন আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এবং প্রতিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে রাসেল সেখ আলী অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে ।
রাসেল সেখ আলী বলেন, 'আজকের ছাত্রলীগ দেশের সকল অনৈতিক ও অপরাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দমন করে কাঙ্খিত লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে চলেছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রশ্নে জীবনবাজি রেখে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার ছাত্র সমাজকে সাথে নিয়ে ধারাবাহিক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজ করতে চাই। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আমার অতীত ত্যাগ, শ্রম ও অভিজ্ঞতা মূল্যায়ণ করবেন বলে আমি মনে করি।
পিএম
কৃষি মন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেছেন, দেশের কৃষক বাঁচার জন্য যা প্রয়োজন সেটাই করবে সরকার। আমি সিলেট অঞ্চলের মানুষ। আমি হাওরের মানুষের দুঃখ বুঝি। সুনামগঞ্জ একটি ঝুঁকি পূর্ণ এলাকা আমরা বিগত সময়ে দেখেছি যে হাওরের বন্যা কারণে পুরো জেলার বোর ফসল নষ্ট হয়ে গেছে ,মানুষের কিছুই ছিল না। বন্যা মোকেবেলা করে যাতে আমরা ফসল উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারি সে লক্ষ্যই কাজ করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল)সকাল সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জের দেখার হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসবে প্রধান অতিথি বক্তব্যে কথা গুলে বলেন তিনি।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, ধান বিক্রিতে যেন কোনও সিন্ডিকেট তৈরি না হয় সে দিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কৃষিকে সহজ করতে সরকার যান্ত্রিকরন বাড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,আমাদের এখানে জেলায় কর্মকর্তা আছেন তাদেরকে বলবও ধানের দামে যেন মধ্যে সত্ব ভোগী কেউ যাতে সুবিধা নিতে না পারে। প্রকৃত কৃষকরাই যেন সঠিক দামে যেন ধান বিক্রি করতে সে দিকে কঠোর ভাবে লক্ষ রাখতে হবে। ধান বিক্রিতে যেন কোনও সিন্ডিকেট তৈরি না হয় সেদিকে ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা চেয়ারম্যানদের লক্ষ রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন,আমরা যে মেশিন দেই সেগুলো নষ্ট হতেই পারে। আমরা যে গাড়ী চালাই সেগুলোও নষ্ট হয় পরে আমরা ঠিক করি। এ ভাবে মেশিন গুলোকেও ঠিক রাখতে হবে মেরামত করার মাধ্যমে। আমরা আশা করি এ বছর ভাল ভাবেই ফসল ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড.মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ চন্দ্র সরকার সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধি কৃষকরা সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
পিএম
স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে গেলেও স্থানীয়দের প্রাণের দাবি সোনাই নদীর উপরে একটি ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। এ পথে নিয়মিত দশটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউরা ও বহরা ইউপির সংযোগস্থল মরাচর এলাকায় নদীর উপর একটি নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা। তবে স্রোত বাড়লে ভেঙে যায় সাঁকোটি।
জানা যায়, স্থানীয়রা নৌকা দিয়ে অতিকষ্টে পারাপার হলেও ঝুঁকি নিয়ে অনেককে সাঁতার কেটে সোনাই নদী পার হতে দেখা যায়। তবে বর্ষাকালে পানি নদীর স্রোত বেড়ে গেলে তারা কোনোভাবেই পারাপার হতে পারেন না। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। স্রোত বাড়লে শিক্ষার্থীদের স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিতে হয়।
সূত্র জানায়, ব্রিজ না হওয়ায় উপজেলার আন্দিউরা ও বহরা ইউনিয়নের ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় হরিশ্যামা, কুটানিয়া, উতলারপাড়, সুন্ধাদিল, মুরাদপুর ভাংগারপাড়, দিঘিরপাড়, ধনীচানপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ব্রিজ নির্মাণের জন্য জোর দাবি জানিয়ে আসছে।স্থানীয়রা জানান, এবারও ওই এলাকার সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমনের কাছেও আবেদন জানিয়েছে। এবার এমপির আশ্বাসে আশার আলো দেখছেন স্থানীয়রা।
ওই স্থানটি মাধবপুর উপজেলার বহড়া ও আন্দিউরা ইউনিয়নের সংযোগস্থলে হওয়ায় উভয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা দায়সাড়া ভাব নেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তবে স্থানীয় আন্দিউড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আতিক ব্রিজটি নির্মাণের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করলেও এখন পর্যন্ত মেলেনি তেমন ফল।
দীর্ঘদিন ধরে ব্রিজ বানাতে বিভিন্ন ফোরামে কথা বলে আসা স্থানীয় উপজেলার আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক মো. এরশাদ আলী বলেন, এখানে ব্রিজ বানানো অত্যন্ত জরুরি। স্কুলশিক্ষার্থীরা বর্ষাকালে স্কুলে নদী পার হয়ে যেতে পারে না। নিশ্চয়ই নতুন এমপি এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।মাধবপুর এলজিইডি অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটি সরেজমিনে দেখে ব্রিজ নির্মাণে জেলাতে প্রস্তাবনা পাঠাব।
হবিগঞ্জ জেলা এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. ইশতিয়াক হাসান বলেন, সোনাই নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ জরুরি। আমি নতুন কর্মস্থলে যোগদান করায় ওই ব্রিজের বিষয়ে মোটামুটি অবগত হয়েছি। খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। উপজেলাকে এটির প্রতিবেদন ও প্রস্তাব দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এআই
সুনামগঞ্জে বাস-সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে গীতিকার, সুরকার ও সংগীত শিল্পী মতিউর রহমান হাসানসহ (পাগল হাসান) ২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অটোরিকশাচালকসহ ৩ জন। তাৎক্ষণিক আহতদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ৭টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সুরমা ব্রিজ এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম।
নিহত সংগীত শিল্পী পাগল হাসানের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের শিমুলতলা গ্রামে। নিহত অপরজন হলেন ছাত্তার।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অটোরিকশাটি যাত্রী নিয়ে দোয়ারাবাজার থেকে আসছিল। বাসটি গোবিন্দগঞ্জ থেকে ছাতক যাচ্ছিল। পথে সুরমা ব্রিজ এলাকায় অটোরিকশা ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় পাগল হাসানসহ ২ জন ঘটনাস্থলে নিহত হন।
ছাতক ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জালাল আহমদ বলেন, ‘আহত ৩ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা পুলিশের কাছে মরদেহ দুটি হস্তান্তর করেছি।’
এআই
মায়ের নামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহত হাফিজ উল্লাহ (৩০) উপজেলার ভীমখালি ইউনিয়নের কলকতখাঁ গ্রামের বাসিন্দা রাশিদ উল্লাহ ছেলে। এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধ রাতেই দু জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলা ভীমখালি ইউনিয়নের কলকতখাঁ গ্রামে ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,মায়ের নামে থাকা জমি নিয়ে ভাইদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধ মেটাতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে বৈঠকে বসে স্থানীয়রা। এর মধ্যে ছোট ভাই রায়হান (২৮) ও বড় ভাই হাফিজ (৩০) বাকবিতন্ডায় জড়ায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রায়হান হাফিজকে কিল-ঘুষি মারলে মাটিতে ঢলে পড়ে। পরে রায়হান ও তাঁর শালা-সম্বন্ধীসহ তাঁর আরেক বড় ভাই উসমান (৪৫) মিলে এলোপাতাড়ি মারপিট করলে গুরুতর আহত হয় হাফিজ।
পরে স্থানীয়রা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জামালগঞ্জ থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস জানান, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনায় সাথে জড়িত থাকায় আব্দুল লতিফ ও মো. সায়েম নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
পিএম
হবিগঞ্জের মাধবপুরে গরু চুরির মামলায় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আরজু মিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. সাইফুল আলম চৌধুরী আরজু মিয়ার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. হেলাল মিয়া তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার উত্তর বেজুড়া গ্রামের আব্দাল মিয়ার স্ত্রী শিরিন আক্তার তার দুইটি গরু চুরি যাওয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় জগদীশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আরজু মিয়াসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়।
অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক মো. সাইফুল আলম চৌধুরী মামলাটি এফআইআর এর নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে মাধবপুর থানার ওসি মামলাটি দায়ের করেন।
এরই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মামলার আসামি আরজু মিয়া এবং মাহমুদ হোসেন নামে দুই আসামি আদালতে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে আরজু মিয়ার জামিন আবদেন না মঞ্জুর করেন এবং মাহমুদ হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন।
আরজু মিয়া উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও জগদীশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
এআই