জাতীয়
সব দেখুনসর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুনচলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট অস্বাভাবিক তাপদাহে রাজধানীর জনজীবন দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। আগুন ঝরা বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন নারী-শিশু-সাধারণ কর্মজীবী মানুষসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। এরইমাঝে একদিকে নতুন করে আরো ৭২ ঘন্টার হিট এ্যালার্ট জারির খবরে শঙ্কিত রাজধানীসহ গোটা দেশবাসী।
অপরদিকে, কাঠফাটা উত্তপ্ত রোদ, ভ্যাপসা গরম ও অসহনীয় তাপমাত্রাকে পায়ে ঠেলে ইউনিফর্ম পরে পিচঢালা উত্তপ্ত সড়কে দাঁড়িয়ে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব একাগ্রচিত্তে পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর গাবতলী, মিরপুর, কল্যানপুর, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র অসহনীয় গরমে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নগরবাসীর স্বাভাবিক চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে দায়িত্ব পালন করছেন ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের সদস্যরা।
বেলা আনুমানিক ১.৩০ মিনিট। নগরীর অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্বরে দেখা গেল কাঠফাঁটা রোদে একটি পানির বোতল হাতে সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্ব পালনকালে প্রচন্ড গরমে ঘেমে জবুথবু হয়ে পড়েছেন একজন সার্জেন্ট। নাম তাঁর মো. সাইদুর রহমান টিপু। মুখ-মন্ডল বেয়ে ঝড়ছে ঘাম। মুখ-মণ্ডলজুড়ে ক্লান্তির ছাপ সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। ব্যস্ততম কয়েকমুখী সড়কের এই চত্বরে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় কয়েক মিনিটের জন্যেও বিশ্রাম নেয়ার জোঁ নেই। পাশেই ছাতা মাথায় আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে এর ফাঁকেই হাতের বোতল থেকে দু'এক ঢোক পানি গিলছেন সার্জেন্ট টিপু। অসহনীয় তাপমাত্রায় সামান্য স্বস্তির লক্ষ্যে সড়কে দাঁড়িয়েই হাতেের বোতল থেকে চোখে-মুখে কয়েক দফা পানি ছিটিয়ে ধুয়ে নিচ্ছিলেন। ঠিক সেসময়ই দৃশ্যটি ধরা পড়ে সময়ের কণ্ঠস্বরের ক্যামেরায়।
এসময় এগিয়ে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে "অস্বস্তিকর দূর্বিষহ গরম ও কাঠফাটা রোদে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন; একটু বিশ্রাম নিয়ে নিলেও তো পারেন" এমন প্রশ্নের উত্তরে নিমিষেই সকল ক্লান্তি পায়ে ঠেলে একগাল হেসে বললেন, আমরা ট্রাফিক পুলিশে চাকরি করি। দায়িত্ব পালনকালে এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। এর থেকে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেও তা নিয়ে ভাববার সুযোগ আমাদের নেই। মানুষকে সেবা দেয়াই পুলিশের কাজ। মহানগরবাসী তথা মানুষকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করাই আমাদের মূল কাজ। সেলক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। বলেই অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের উদ্দেশ্যে হাত উঁচিয়ে সিগনাল ছাড়তে ইশারা দিতে দিতে ফের সড়কে দাঁড়িয়ে গেলেন তিনি।
এদিকে, দূর্বিষহ তাপদাহ ও অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের নানা সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে ভাবনার কমতি নেই পুলিশের উর্ধতন মহলেও।
এসময় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে একদিকে ফোসের্র মনোবল যেমন চাঙা হচ্ছে, অপরদিকে দাবদাহের মধ্যেও ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে নগরবাসী পাচ্ছেন সর্বোত্তম সেবা।
এ বিষয়গুলোকে বিশেষ বিবেচনায় রেখেই গত বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের সকল পুলিশ সদস্যদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার স্যালাইন সরবরাহের উদ্যোগ নেন। এই তীব্রে তাপদাহ যতদিন থাকবে ততদিন পুলিশের এই কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মুনিবুর রহমান জানান, এই অসহনীয় গরমে রাস্তায় ডিউটি করা সত্যিই কষ্টকর। এই উপলব্ধি থেকেই ট্রাফিকের সকল পুলিশ সদস্যদের জন্য নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইনের সর্বরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই উদ্যোগ ট্রাফিক পুলিশের সকল সদস্যদের এই তীব্র গরমের মাঝেও দায়িত্ব পালনে আরও উদ্বুদ্ধ করবে বলে যোগ করেন ট্রাফিক পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এমআর
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পৃথক জায়গা থেকে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে দুজনে ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত। হিট স্ট্রোক অথবা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
রবিবার (২১ এপ্রিল) রাতে পৃথক স্থান থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস মণ্ডল সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, অজ্ঞাত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। যাত্রাবাড়ী দক্ষিণ শেখদি ৫ নম্বর রোড থেকে রাতে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যক্তি ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মাথা ঘুরে হিট স্ট্রোক বা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে, যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদা রহমান জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী জনপদ মোড়ের পশ্চিম খাজা হোটেলের সামনের ফুটপাত থেকে উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তির মরদেহ। তাঁর বয়স হবে আনুমানিক (৩০) বছর। তিনিও ভাবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিল। অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এআই
রাজধানীর গুলিস্থানের গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন রাস্তা থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ নেওয়াজ জানান, সকালে খবর পেয়ে গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন রাস্তা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মাজার সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে এসআই আরও জানান, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে মাদকসেবী ছিল। মাজার এলাকাতেই থাকত। ধারণা করা হচ্ছে, অসুস্থ অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আঙুলের ছাপের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তে সিআইডি ক্রাইম সিন ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে।
এআই
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন লেগেছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটের দিকে হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ ইউনিটে এই আগুন লাগে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, শুক্রবার পৌনে বেলা ২টার দিকে হাসপাতালের আট তলা একটি ভবনের পঞ্চম তলায় কার্ডিয়াক বিভাগে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের তিনটি, সিদ্দিক বাজার থেকে একটি এবং তেজগাঁও থেকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে।
তবে কীভাবে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হল বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে দিতে পারেননি তিনি।
এদিকে আগুন লাগার পর হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অসুস্থ বাচ্চাদের নিয়ে অনেকে ভবন ছেড়ে নিচে নেমে আসেন।
রাজধানীর বনশ্রীতে একটি আবাসিক ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন লাগে বলে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স থেকে জানানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমাদের কাছে সংবাদ আসে বনশ্রী ‘সি’ ব্লকের একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এছাড়া হতাহতের সংবাদও পাওয়া যায়নি।
এআই
চুয়াডাঙ্গার মানুষ এখন মরুভূমির দেশে বাস করছে। টানা ১০ দিনের তীব্র ও অতি তীব্র দাবদাহে চুয়াডাঙ্গা জেলার বেশিরভাগ গ্রাম গুলোতে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচ ও খাওয়ার পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। প্রচন্ড গরমে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে এ জেলার মানুষ। তার উপর পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া চরম সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। আর এ সমস্যা সবচাইতে বেশি সম্নুখিন হয়েছে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার মানুষ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে পানির স্তর ১৫/২০ ফুট নিচে নেমে গেছে। ফলে নলকূপ ও পাম্পে উঠছে না পানি। কিছু কিছু জায়গায় পানি উঠলেও সেটা খুব সীমিত। তবে পানি পেতে অনেকই ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ করে আড়াশো তিনশো ফুট গভীরে ৪ ইঞ্চি পাইপ দিয়ে মাটির ১২-১৪ ফুট গভীরে সাবমারসেবল পাম্প স্থাপন করছে।
এদিকে চরম বিপাকে পড়েছেন টিউবওয়েল ব্যবহারকারীরা। তবে গ্রামবাসীরা পানির চাহিদা মিটাতে গভীর নলকূপ বসানোর চিন্তাভাবনা করছেন। পানির চাহিদা পূরণ করতে ১২/১৫ ফুট গর্ত খুঁড়ে সিমেন্টের ও মাটির রিং বসিয়ে পাম্প নিচে নামানোর পর পানি তুলতে হচ্ছে।
দামুড়হুদা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলায় সরকারি পাঁচ হাজারের বেশি ও ব্যক্তি মালিকানা প্রায় ৪০ হাজার সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজারের উপরে নলকূপ রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি নলকূপে পানি উঠছে না বাকিগুলোতে যে পরিমাণে পানি উঠছে প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। দামুড়হুদা উপজেলা সদর, মদনা, দর্শনা, কুড়োলগাছি, সদাবরী, নতিপোতা, হাউলি, কার্পাসডাঙ্গা, কুতুবপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রায় বেশ কয়েক হাজার নলকূপে একেবারেই পানি উঠছে না। বাকি নলকূপগুলোতে সামান্য পানি উঠছে। এ অবস্থায় অনেক পরিবার রান্না গোসল সহ অন্যান্য প্রয়োজনে পরিমাণ মতো পানি পাচ্ছেন না।
দামুড়হুদা উপজেলা সদরের চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন আমার ইউনিয়নের বেশ কিছু জায়গায় তীব্র দাবদাহের কারণে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে টিউবওয়েলের পানি খুবই কম উঠছে। মাঠের সেচ পাম্পগুলোর একই অবস্থা।
দামুড়হুদার উপজেলার কুড়োলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান মো: কামাল বলেন,অতি তিব্র দাবদাহে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় আমার ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামেই টিউবওয়েলে পানি ওঠা একেবারেই কমে গেছে। কিছু টিউবওয়েলে পানি উঠছেনা।
দামুড়হুদা মদনা-পারকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কৃষক জিয়াউর রহমান বলেন আমাদের এই এলাকার মাঠের শেচ পাম্পগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ প্রয়োজনের তুলনায় পানি উঠছে না এতে শেচ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া গ্রামের বেশিরভাগ টিউবয়েল গুলোতে একেবারেই পানি উঠছে না। কিছু কিছু টিউবয়েল গুলোতে পানি উঠলেও তাও খুবই কম।
দামুড়হুদা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, পানির স্তর বছর বছরে নিচে দিকে নামছে । ৭/৮ বছর আগেও এই অঞ্চলে ৫০-৬০ ফুটের মধ্যে ভূগর্ভস্থ সুপেয় পানির স্তর ছিল। এখন বর্ষা মৌসুমেও ১২০/১৩০ ফুটের মধ্যে পানির স্তর পাওয়া যাচ্ছে না।
এ পরিস্থিতির কারণ হিসেবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যত্রতত্র পুকুর-খাল-বিল ভরাট করে ভূগর্ভস্থ পানির অতিরিক্ত ব্যবহার ও অপরিকল্পিতভাবে স্যালো মেশিন দিয়ে পানি তোলা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সামনে বৃষ্টিপাতের পরিমান বেশি না হলে পরিস্থিতি খারপ হবে বলে ধারনা কোরছেন।
এআইএক টানা ৮ দিনের অতি তীব্র তাপদাহ, সাথে কড়া রোদ আর অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গাসহ এ অঞ্চলের জনজীবন। নেই বৃষ্টির দেখা। তীব্র এই গরম থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে চুয়াডাঙ্গায় ২ রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের টাউন ফুটবল মাঠে এই ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন চুয়াডাঙ্গাবাসি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সম্মিলিত উলামা কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ নামাজে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করেন।
নামাজ শেষে তীব্র তাপদাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির জন্য বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সম্মিলিত উলামা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা বশির আহমেদ।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও তত্বাবধান করেন ওলামা কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাওলানা মুহা. শফিকুল ইসলাম ও মিডিয়া বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম।
এদিকে, তীব্র গরমের মধ্যে ২২ এপ্রিল সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে এই তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্র রেকর্ড করা হয় ৩২ দশমি ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৩৭ শতাংশ। এবং দুপুর ১২ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ২৫ শতাংশ।
ইসতিসকার নামাজে ইমামতি করেন চুয়াডাঙ্গা বড় মসজিদের ঈমাম মাওলানা নুরুদ্দীন। নামাজ শেষে দেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা তীব্র দাবদাহ থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ ও বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়।
এআই
যশোরের অভিশপ্ত ভবদহ অঞ্চলে বোরো ধান চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। বাম্পার ফলনই চাষিদের এই খুশির কারণ। বর্তমানে ধান ঘরে তুলতে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেখা মন্ডল জানান, এ বছর বিল কেদারিয়ায় ৫শ' ৮০ হেক্টর জমির মধ্যে ৫শ' ১০ হেক্টর এবং বিল বোকড়ে ১ হাজার ৩শ' ২০ হেক্টর জমির মধ্যে ৭শ' ৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। উবশি ধানের ফলন গড়ে ৩৩ শতকের বিঘা প্রতি ২২ মণ ও হাইব্রিড ধানের ফলন বিঘা প্রতি ২৮ মণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিল কোদালিয়া ও বিল বোকড় এলাকায় দেখা গেছে, মাঠের শতকরা ৮০ শতাংশ জমির ধান কাটার উপযোগী হয়েছে। এখন ঘরে তোলার পালা। লখাইডাংগা গ্রামের প্রতাপ মন্ডল বলেন, তার তিন বিঘা জমির ধান পেঁকেছে। ধান কাটাও শুরু করেছে। কুলটিয়া গ্রামের বিদ্যুৎ মন্ডল সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, তার অর্ধেক জমির কাটা শেষ। তবে বাজেকুলটিয়া, আলীপুর, পোড়াডাঙ্গা, নেহালপুর, সুজাতপুর গ্রামের অনেক কৃষকই শঙ্কায় রয়েছে। তারা জানান, আবহাওয়ার উপর নির্ভর করছে সব ফসল ঘরে তোলার।
চাষিদের ভাষ্যমতে, গত বছর এই দুই বিল পাড়ের কৃষকরা ঘরে ধান তুলতে পারলেও শঙ্কা ছিল এ বছর ফসল হবে কিনা। কিন্তু বাম্পার ফলনে এবারও তাদের মুখে রয়েছে হাসির ঝলক।
মণিরামপুরের কুলটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায় বলেন, ভবদহে ২০ সেচযন্ত্র বসিয়ে পানি সেচ দেয়ার সুফল এলাকার কৃষকরা ভোগ করছে। তাই এ বছরও তাদের মুখে হাসি ফুটেছে।
এআই /বিল্লাল হোসেন
চুয়াডাঙ্গায় গত ৩ দিনের তীব্র তাপমাত্রা আজ সোমবার কিছুটা কমেছে। আজ সোমবার বিকেল ৬ টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্র ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে । এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৩৯ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবদাহে গত দুদিনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিট স্ট্রক ও ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ দুজন মারা গেছেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অনেকেই।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুত্যু হয় নির্মাণ শ্রমিক সিদ্দীক আলীর (৪৫)। নিহত সিদ্দিক আলী দামুড়হুদা উপজেলার পুরোনো বাস্তপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে।
সিদ্দীক আলী দু'দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা শহরে রড মিস্ত্রীর কাজ করছিলেন। শুক্রবার তিনি তীব্র গরমে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর শনিবার রাতে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রোববার দুপুর ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সিদ্দীক আলীর ভাই সিরাজ মাস্টার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে শনিবার ৪২.৪ ডিগ্রী তাপদাহের দিন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা হিটস্ট্রোকে এক যুবক ও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে তীব্র তাপমাত্রায় হিটস্ট্রোক দামুড়হুদা উপজেলা সদরে মর্জিনা খাতুন (৬০) নামে এক নারী মারা যান। নিহত মর্জিনা খাতুন উপজেলা সদরের ইউনিয়ন পরিষদ পাড়ার আজিম উদ্দীনের স্ত্রী।
নিহত মর্জিনা খাতুনের ছেলে কামরুল ইসলাম কামু জানান, বেলা ৩টার দিকে অতিরিক্ত তাপে আমার মা (মর্জিনা খাতুন) হটাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় আমরা মাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার জন্য অটো ভ্যানে উঠানোর সঙ্গেই মা মারা যান।
এর আগে শনিবার সকাল ৭ টার দিকে মাঠে কৃষিকাজ করতে গিয়ে প্রচণ্ড গরমে স্ট্রক করেন সীমান্তবর্তী ঠাকুরপুর গ্রামের জাকির হোসেন (৩৬)। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সকাল ৮টার দিকে তিনি মারা যান। গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র ও অতি তীব্র তাপদাহ। এই তাপদাহে জেলায় হিট এলাট জারি করে মাইকিং করা হচ্ছে এক সপ্তাহ থেকে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৭৫ শতাংশ। দুপুর ১২ তপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ২৫ শতাংশ। বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ। এবং বিকেল ৬ টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস যৌথ ভাবে রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও খুলনায়।
গত এক সপ্তাহ ধরে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। হিট এলার্ট জারী আছে। এর মধ্যে তাপমাত্রার পারদ সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রীতে উঠে গেছে। এপ্রিল মাস জুড়েই এ অবস্থা থাকবে। তাপমাত্রা আরো বাড়বে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, রোববার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার একটি মিটিং করেছি। সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু হিট স্ট্রক হচ্ছে। সেহেতু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। সেই সঙ্গে সবার যে অবলম্বন বিশেষ করে কৃষি, গবাদি পশু-পাখির প্রতি যত্নশীল হতে হবে এ মুহূর্তে। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে যে তথ্য ও নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে সে অনুযায়ী মাইকিং করা হচ্ছে।
এমআর
বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা জিয়েলতলা এলাকার একটি মৎস্য ঘের পাড়ে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় আনোয়ারুল নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকারসহ অপর জড়িতের নাম উল্লেখ করে জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আনোয়ারুল সিদ্দিপাশা জিয়েলতলা গ্রামের মনিরুল ইসলাম ওরফে মনে শেখের ছেলে।
এদিকে, কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি গ্রহণের পর রোববার (২১ এপ্রিল) পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, নড়াইল থেকে যশোরের অভয়নগর উপজেলার সিদ্দিপাশা জিয়েলতলা গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে ওই কিশোরী। শনিবার বিকেলে সে স্থানীয় হাফেজিয়া মাদ্রাসায় তার ভাগ্নেকে আনতে যায়।
ফেরার সময় আনোয়ারুল ও তার সহযোগীর সাথে দেখা হলে তারা তাকে ফুসলিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে রাতে মৎস্য ঘেরের পাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর ফেলে রেখে চলে যায়। সন্ধ্যা পেরিয়ে যাওয়ায় ওই কিশোরী বাড়ি না ফেরায় তার দুলাভাই খুঁজতে গিয়ে অসুস্থ অবস্থায় ঘের পাড় থেকে তাকে উদ্ধার করে খুলনার ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর পিতা ওই রাতেই আনোয়ারুল ও তার সহযোগী মাহিম গাজীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগে অভয়নগর থানায় মামলা করেন। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার আনোয়ারুলকে গ্রেপ্তার করে রোববার আদালতের সোপর্দ করে। আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন, ওই কিশোরী তাদের পূর্ব পরিচিত।
শনিবার ওই কিশোরীর সাথে তাদের দেখা হয়। এরপর তারা বিভিন্ন স্থানে ঘুরে রাতে স্থানীয় একটি স্কুলের পাশের ঘেরে যায়। সেখানে তারা দুইজন পর্যায়ক্রমে পাহারা দিয়ে ধর্ষণ করেছে। এদিকে রোববার কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।
অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আকিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় আনোয়ারুলকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অপরজনকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এমআর
কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে কোস্টগার্ড সদস্যরা ইয়াবা ভর্তি একটি ইজিবাইকসহ এক মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে।
সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে কর্মরত কোস্টগার্ড সদস্যরা গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, দ্বীপের উত্তর পাড়া নতুন রাস্তা নামক এলাকায় মাদক বিরোধী একটি অভিযান অভিযান পরিচালনা করার সময় একটি ইজিবাইক গাড়ীর পিছনে ঝুলিয়ে রাখা মাছের ড্রামের ভিতর থেকে ৮০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এসময় মাদক পাচারে জড়িত ইজিবাইক চালক মাহাবুর রহমানকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত বৃক্তি শাহপরীরদ্বীপ ডাঙ্গর পাড়া এলাকার বাসিন্দা মো.ছৈয়দের পুত্র।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি (বিএন) সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা মাদক পাচার প্রতিরোধ করার জন্য উক্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় দায়িত্বরত কোস্টগার্ড সদস্যরা সদা জাগ্রত রয়েছে। তারেই ধারাবাহিকতায় টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ দায়িত্বরত সদস্যরা ৮০ হাজার ইয়াবাসহ একজন ইজিবাইক চালককে আটক করতে সক্ষম হয়।এসময় মাদক বহনে ব্যবহারে ইজিবাইকটিও জব্দ করা হয়। আটক মাদক পাচারকারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার জন্য টেকনাফ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এফএস
সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ ও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সংসদ সদস্য পদ স্থগিত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তাঁর ছেলেকে অন্য উপজেলা থেকে এনে সুবর্ণচর উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির বিরুদ্ধে প্রার্থী করিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন। একই সাথে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসন ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে অরাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। অনতিবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত ও দলের সভাপতির কাছে তার বহিষ্কার দাবি করেন । এ সময় ভোট না দিলে উন্নয়ন না করার যে বক্তব্য দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এইচ এম খায়রুল আনাম চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র শহিদ উল্যা খান সোহেল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন প্রমুখ।
জেলা আওয়ামী লীগের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগে আমার কোনো পদ নেই, কি থেকে বহিষ্কার করবে। সংসদের ভিতরে কোনো অনিয়ম করলে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হয়। এর বাহিরে সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা বা বহিষ্কার করার কোনো নিয়ম নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ওরা এত পাগল হয়ে গেছে কেন, সুস্থভাবে ভোট এনা করবে।
পিএম
লক্ষ্মীপুরে ইউপি সদস্য কামরুল সরকারের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না পেয়ে হামলার অভিযোগও তার বিরুদ্ধে। এমনটি অভিযোগ করেন সদর উপজেলার ২০নং চর রমনী মোহন ইউনিয়নের সাহাবুদ্দিন মোল্লা ও তার পরিবার। সাহাবুদ্দিন ঐ ইউনিয়নের উত্তর চর রমনী গ্রামের মৃত সোলেমান মাষ্টারের ছেলে।
অভিযুক্ত কামরুল সরকার একই এলাকার ইমাম হোসেন করাতির ছেলে ও ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। এছাড়া তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
সাহাবুদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, গত দেড় বছর আগে কামরুল সরকার তার পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করেন। এতে পার্শ্ববর্তী আমাদের জমির পাড় সহ একটি অংশ ভেঙে যায়। ঐ পাড় বেঁধে দেওয়ার জন্য কামরুল সরকারকে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং দিচ্ছি দেবো বলে কালক্ষেপণ করেন। সম্প্রতি আমার ছেলে মোঃ মানিক মিয়া ও কামাল হোসেন প্রবাস থেকে আসে। কামরুল সরকার তাদের কাছ থেকে ৩লাখ চাঁদা দাবি করে। সে টাকা না দেওয়ায় গত ১৭এপ্রিল সন্ধ্যায় কামরুল সরকার ও তার লোকজন ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় আমার ছেলে মানিক ও কামালকে আটকে রাখে এবং মারধর করে। পরে আমি গিয়ে ১৫হাজার টাকা দেওয়ার আশ্বাসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসি। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করি।
সাহাবুদ্দিনের ছেলেরা বলেন, কামরুল সরকার ইউপি সদস্য হওয়ায় এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে। গত ২১এপ্রিল রাতে তার লোকজন দিয়ে আমাদের গাছ গাছালি কেটে ফেলে। এছাড়া আমাদের উপর হামলা ও চাঁদা দাবি করে। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে কামরুল সরকার বলেন, ড্রেজারে বালু উত্তোলন করা সত্য নয়। জোয়ারের পানিতে তাদের জমি ভেঙ্গেছে। এছাড়া চাঁদা দাবি ও মারধরের ঘটনাও মিথ্যা। মোঃ আলি নামের এক ব্যবসায়ী মানিকের কাছ থেকে টাকা পাবে। টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সমাধানের চেষ্টা করি।
এমআর
মাত্র ৮ বছর আগে তিনি কখনো গাড়ি ধোয়ামোছার কাজ, কখনো বাসের হেলপার (সহযোগী) হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু বর্তমানে দৃশ্যমান কোন ব্যবসা বানিজ্য না থাকলেও তিনি গড়ে তুলেছেন বহুতল ভবণ, ডুপ্লেক্স বাড়ির পাশাপাশি দামি মোটরবাইক-কার কিনেছেন। টাকার জোরে রোহিঙ্গাসহ বিয়েও করেছেন ৩টি। ইয়াবা ও অস্ত্র কারবার করেই কয়েক কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন কক্সবাজার শহরের প্রবেশ পথ কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল সংলগ্ন পূর্ব লারপাড়া এলাকার মিজানুর রহমান। এমনটাই দাবী করেছেন এলাকাবাসীসহ প্রশাসনের একাধিক সূত্র।
র্যাব, পুলিশ, ইউনিয়ন পরিষদ ও এলাকাবাসী থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, মিজান সদরের ঝিলংজার ১ নং ওয়ার্ডের পূর্ব লারপাড়ার দিনমজুর ইয়ার মোহাম্মদ ও রোকেয়া বেগম দম্পত্তির ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় একাধিক ইয়াবা মামলা এবং একটি অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছোট বেলা থেকে বাস টার্মিনালে গাড়ি ধোয়ামোছার কাজ করতেন মিজান। বাবা ইয়ার মোহাম্মদ ছিলেন দিনমজুর। তিনি শহরের বড় বাজারে পণ্য উঠানামার কাজ করতেন। অর্থিক অনটনে পড়া লেখায় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাটিতে পা রাখা হয়নি মিজানের। জীবন যুদ্ধে নেমে কাজ নেন গাড়ি ধোয়ামোছার। কয়েক বছর যেতে না যেতেই হয়ে উঠেন গাড়ির হেলপার। ২০১৬ সাল পর্যন্ত মিজান ও তার বাবা ইয়ার মোহাম্মদ এভাবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কখনো কখনো বাবা-ছেলে টমটম চালিয়ে সংসারের হাল ধরতেন। ২০২০ সালের দিকে লারপাড়া সড়কের মাথায় আল্লাহ দান টেলিকম নামের ছোট একটি ইলেক্টিক ও বিকাশের দোকান দেন মিজান। দোকানটি ২০২২ সাল পর্যন্ত চালু থাকলেও এরপর থেকে বন্ধ রয়েছে। দোকান দেওয়ার আগে থেকেই সক্রিয় হয়ে উঠেন মাদক ও অস্ত্র কারবারে। দুটি অস্ত্রসহ মিজান র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগও করেছেন। কিছুদিন তিনি অস্ত্র-ইয়াবা ব্যবসায় নিষ্ক্রিয় থাকলেও চলতি বছরে এসে বাস টার্মিনালের শীর্ষ মাদক কারবারি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন মিজান। এই দীর্ঘ সময়ে তাঁর দৃশ্যমান কোন ব্যবসা বানিজ্য না থাকলেও গড়ে তুলেছেন কোটি টাকার পাহাড়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬ সাল পর্যন্ত গাড়ির হেলপারি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসলেও ১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে তার ঘনিষ্ঠ রোহিঙ্গা বান্ধবী নিয়ে গড়ে তুলেন এক মাদক পাচারকারী সিন্ডিকেট। এরপর থেকে তাকে পেছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। একসময় তার মাদক পাচারকারি সিন্ডিকেটের প্রধান নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করতেন টেকনাফের পুরাতন রোহিঙ্গা নারী নুর হাফিজা। মাদক সিন্ডিকেট থেকে গড়ে উঠে প্রেমের সম্পর্ক। বর্তমানে নুর হাফিজাকে বিয়ে করে দিয়েছেন স্ত্রীর মর্যাদাও। কাগজে-কলমে নুর হাফিজা মিজানের স্ত্রী হিসেবে থাকলেও তিনিই মূলত মাদক পাচারকারি সিন্ডিট প্রধানের ভূমিকায় রয়েছেন। নুর হাফিজাকে বিয়ের পর থেকে নতুন সেটআপে রাজার হালতে শুরু করে মিজানের মাদক সাম্রাজ্য। সেই থেকে আজ পর্যন্ত নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন ইয়াবা পাচার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে থেকে যান ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অভিযোগ রয়েছে, সদর, রামু থানা পুলিশসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জব্দকৃত মাদক ক্রয় করেন মিজান। বাস টার্মিনাল এলাকায় থানা পুলিশের একাধিক অফিসারদের সাথে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা দিতে দেখা যায় মিজানকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সময়ের রিক্তহস্ত মিজান বাস টার্মিনাল এলাকায় বিডিআর ক্যাম্পের সেলিম গংদের কাছ থেকে ১ কোটি ৫ লাখ টাকায় ক্রয় করেছেন সাড়ে ৩ গন্ডা জমি। সেটি বর্তমানে শ্যামলী কাউন্টার হিসেবে ভাড়া দিয়েছেন। পাশের জমিতে বর্তমানে চলছে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ। পূর্ব লারপাড়া এলাকায় দুই স্ত্রীর জন্য নির্মাণ করেছেন দুটি আলাদা ভবন। বর্তমানে তারা আলাদা আলাদাভাবে বসবাস করছেন। বাবার বসত ভিটায় নির্মাণ করেছেন ডুপ্লেক্স বাড়ি। এছাড়াও মিজানের রয়েছে ১ টি কার, একাধিক সিএনজি ও দামি বাইক রয়েছে। এই গাড়িগুলো মূলত মাদক পাচারের কাজে ব্যবহৃত হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
খোঁজ নিয়ে আরো জানা গেছে, মেজর সিনহা হত্যাকান্ডের আগে একাধিকবার ইয়াবাসহ থানা পুলিশের হাতে আটক হন মিজান। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইনের মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মিজান। এছাড়া তিনি ২০২২ সালের শুরুতে পূর্ব লারপাড়া তাঁর বাড়ি থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র সহ আটক হয়। এই মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী তিনি। তাছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মাদকের মামলা রয়েছে।
এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি বলেন, এক সময় মিজান ও তাঁর পরিবার দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করতেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থান বদলে গেছে। তাদের পরিবার ইয়াবা ও অস্ত্র কারবার করেই টাকার পাহাড় গড়েছেন। এদের বিরুদ্ধে ইয়াবা মামলাও রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মিজান কিংবা তাঁর পরিবারের দৃশ্যমান কোন ব্যবসা বানিজ্য নেই। তবে বর্তমানে তাদের রয়েছে বহুতল ভবন, গাড়ির কাউন্টার ও গাড়িসহ সহ আরো অনেক সম্পদ।
স্থানীয়রা বলেন, ইয়াবা অস্ত্রসহ র্যাব-পুলিশের হাতে আটক হওয়া মিজান একটি ইয়াবা সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁর গ্রুপে স্ত্রী রোহিঙ্গা হাফিজাসহ আরো অনেকে রয়েছে। পুলিশের হাতে আটকের পর থেকে কথিত দুর্নীতিবাজ পুলিশ সদস্যদের সাথে তাঁর সখ্যতা গড়ে উঠে। তাদের জব্দকৃত মাদকের ক্রেতা হিসেবে মিজান বর্তমানে কাজ করছেন। তার স্ত্রী নুর হাফিজার মাধ্যমে সেই মাদক সারা দেশে পাচার করছেন মিজান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, মিজানের অবৈধ সম্পদ ও মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এখন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তবে অভিযুক্ত মিজান বলেন, আমি ও আমার পরিবার এক সময় দরিদ্র ছিলো একথা সত্য। ১ কোটি ৫ লাখ টাকা দিয়ে জমিটি আমার নামে ক্রয় করলেও সেই টাকা বিদেশ থেকে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পাঠিয়েছেন। কি এমন কারণে শ্বশুর বাড়ির লোকজন আপনার নামে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা দিয়ে জমি কিনেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেনি।
উদ্দেশ্যপ্রণোদিত র্যাব দুটি অস্ত্র দিয়ে তাঁকে চালান দিয়েছে দাবি করে তিনি আরো বলেন, তাঁর কাছে বিদেশ থেকে টাকা আসার ডকুমেন্টপত্র রয়েছে। তবে অনেকদিন সময় দেওয়া হলেও তিনি সেই কাগজ দেখাতে পারেননি।
বাস টার্মিনালের একাধিক শ্রমিক নেতা ও লারপাড়ার সমাজ নেতারা বলেন, মিজানের পারিবারিক অবস্থা একসময় খুবই খারাপ ছিল। তবে এটা অনেকটা পরিবর্তণ হয়েছে। তাদেরকে এখন উচ্চবিত্ত পরিবার বলা চলে।
তারা আরও বলেন, মিজানের মাদক মামলা ও অস্ত্র আইনে মামলা রয়েছে বলে শুনেছি। তাছাড়া তাঁর স্ত্রী নুর হাফিজা একজন রোহিঙ্গা এবং মাদক সম্রাজ্ঞী। তবে কারবারীদের সামাজিক ও রাজনৈতিক বয়কট করা দরকার।
এমআর
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে হিট স্ট্রোকে মজিবুর রহমান (৪৫) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গরমের মাত্রা সহ্য করতে না পেরে হিটস্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়।
মৃত মজিবুর সদর উপজেলার জগতপুর গ্রামের নিজাম হাজীর বাড়ীর আলফাজ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বুড়িচংয়ের ব্যবসায়ী মো: রুহুল আমিনের বাড়িতে কাজ করতে যান মজিবুর। তিনি বিল্ডিংয়ের বেইজ কাটার সময় হিটস্ট্রোক করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে বুড়িচং থানার এসআই মো: নুরুল ইসলাম বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে থানায় নিয়ে যান।
এসআই মো: নুরুল ইসলাম বলেন, লাশের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। এতে বুঝা যায়, তিনি স্ট্রোক করেই মারা গেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে সঠিকটা বলা যাবে।
এআই /জাহিদ হাসান নাইম
মানিকগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে সাটুরিয়া উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ে নারী উন্নয়ন প্রচার প্রকল্পের আওতায় মহিলা সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় সাটুরিয়া উপজেলার পরিষদের হল রুমে এর আয়োজন করা হয়।
জেলা তথ্য অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শান্তা রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সাটুরিয়া।
এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫টি বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ সময় বক্তৃতারা মাদক , বাল্যবিবাহ, সন্ত্রাস প্রতিরোধ, সরকারের বৃহৎ প্রকল্পসমূহ, তথ্য প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার,সর্বজনীন পেনশন স্কিম, জেন্ডার সমতা, বিগত ১৫ বছরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যসমূহ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি তথ্য অফিসার, মোহাম্মদ নূর হোসেন বলেন, আমাদের দেশে বর্তমানে আবহাওয়া প্রচুর গরম যাচ্ছে, যে কারণে বিভিন্ন রোগ ব্যধি, হিট-স্ট্রোক দেখা দিচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েক জেলায় মানুষ মারা গিয়েছে। তাই আমাদের উচিৎ খুব জরুরী না হলে বাইরে না যাওয়া, বেশি করে পানি পান করা, তরল জাতীয় খাবার খাওয়া, ছায়া যুক্ত স্থানে অবস্থান করা।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে সচেতনতা আমার সবচেয়ে জরুরী বিষয়। তথ্য অফিস আপনাদের পাশে সব সময় আছে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব বজলুর রশিদ আকন্দ, জেল সুপার, জেলা কারাগার,মানিকগঞ্জ।
এছাড়াও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং শতাধিক নারী উপস্থিত ছিলেন।
এফএস
প্রথম দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় তিন জনই বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে।
সোমবার তিন পদে অন্য সব প্রার্থী প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় তিন প্রার্থী বিজয়ের পথে রয়েছেন। এছাড়া একই দফায় মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলায় সব পদেই প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ডাঃ মো. সেলিম মিয়া ও ফাহিমা আক্তার নামে ২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে ফাহিমা আক্তার সোমবার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএম আতাউর রহমান (আতাহার) ও মো. মনিরুজ্জামান মনির মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও মো. মনিরুজ্জামান মনির প্রার্থিত প্রত্যাহার করেছেন। ফলে বিএম আতাউর রহমান (আতাহার) একক প্রার্থী হওয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ের পথে। একইভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আয়শা সিদ্দিকা ও শিফাতুন হক অহনা দুই জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও শিফাতুন হক অহনা প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে এই পদেও আয়শা সিদ্দিকা বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে।
এব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, ‘শেষ দিনে শিবচর উপজেলায় ৩জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। যে কারণে তিন পদে তিন জন প্রার্থী থাকায় ভোট গ্রহণ হবে না। তিন জনই বিজয়ের পথে। তবে এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়া না গেলেও তারাই মূলত নির্বাচিত। অন্য দুটি উপজেলায় প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যেন স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নির্বাচন হয়, সেদিকে আমাদের নজর আছে।’
এমআর
ক্রিকেট খেলতে বাধা দেওয়ায় মাদারীপুরে রাতের আঁধারে একটি বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২০০টি গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। গাছের সাথে এ কেমন এ শত্রুতামী।
গাছ কেটে ফেলায় বিচারের দাবিতে পাগলের মত স্থানীয় সালিশিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন সমাধান না পেয়ে মঙ্গলবার সকালে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন সেলিম বেপারী। তিনি বাগান মালিকদের একজন। মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের তাল্লুক গ্রামের এ ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সেলিম বেপারী মোতাহার বেপারীর ছেলে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তাল্লুক গ্রামের একটি খেলার মাঠের পাশে পৈত্রিক জমিতে সেলিম বেপারী ও পরিবারের লোকজনেরা মিলে ৪০ শতাংশ জমিতে কয়েক বছর আগে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২০০টি গাছের চারা রোপণ করেন। চারা গাছ ভেঙে যাওয়ার ভয়ে মাঠে ক্রিকেট খেলতে থাকা লোকজনকে একটু সরে গিয়ে খেলতে বলায় ওই চারা গুলো বাড়ন্তের সময় দুর্বৃত্তরা গত ১০ এপ্রিল রাতের আঁধারে বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলে বাগান নষ্ট করে দেয়। পৈত্রিক ভূমিতে গাছ লাগালেও প্রতিহিংসা বসত রাতের আঁধারে বারবার গাছ কাটায় শঙ্কার মধ্যে রয়েছে পরিবারটি।এদিকে গাছ কাটছে অন্যদিন এরচেয়ে আরও বড় ঘটনা ঘটাতে পারে এমন ভয়ে পরিবার পরিজন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। স্থানীয় কয়েকজন এ জানান, যারা এই অসহায় পরিবারের দুই শতাধিক গাছ কেটেছে প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি
তাদেকে বিচারের আওতায় আনা হোক। তাদের সাথে যে কাজটা করেছে তা আর কারো সাথে এরকম কাজ না করতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা সজীব বলেন, রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা সেলিম বেপারী বাগানের একাধিক ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলায় আমি দুর্বৃত্তদের শাস্তি ও বিচারের দাবি জানাই।
ভুক্তভোগী সেলিম ও তার পরিবার জানান, আমাদের গাছের বাগানের সাথে খেলার মাঠ রয়েছে। আমাদের গাছের বাগানে ছোট ছোট চারা রয়েছে। আর এই বাগানের যখন বল খেলে তখন বল আসে আমরা তাদেরকে বল সরে গিয়ে খেলতে বারণ করায়। দুই একদিন পরে দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে আমাদের ২ শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে। পরে স্থানীয় স্থানীয় সালিশিরা মীমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে কয়েক সপ্তাহ ঘুরিয়ে আর সালিশি করে দেয়নি আমাদের। কোন উপায় না পেয়ে আমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আমরা প্রশাসনের কাছে যারা গাছ কাটছে তাদের কঠিন বিচার দাবি জানাই।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাতের আঁধারে এক পরিবারের বাগানের গাছ কাটার বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআর
যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে দূরত্ব ভিত্তিক যে রেয়াত (ছাড়) দেয়া ছিল, তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে নতুন করে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজবাড়ী শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ খুশী রেলওয়ে মাঠে শিল্প ও বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ট্রেনে কোন ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না। ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের উপরে যে ভর্তুকি দেওয়া হতো, সেটা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। গত ১৫-২০ বছরের মধ্যে ট্রেনে কোন ভাড়া বাড়েনি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে বলেছেন, এই মুহূর্তে জনগণের ওপর চাপ দেয়া যাবে না। তাই আমরা ভাড়া বাড়ানোর কোন চেষ্টাও করছি না। ভর্তুকি প্রত্যাহারের জন্য যতটুকু ভাড়া বাড়বে, সেটুকু তো মেনে নিতেই হবে। এই সিদ্ধান্ত ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।
এ সময় রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী কেরামত আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.কে.এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, জেলা পুলিশ সুপার জি. এম. আবুল কালাম আজাদ (পিপিএম), রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজবাড়ী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি কাজী ইরাদত আলী, রাজবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতুসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রেলওয়ের রেয়াতি ব্যবস্থায় ট্রেনের ভাড়ায় ১০০ কিলোমিটারের পরবর্তী ১৫০ কিলোমিটার ২০ শতাংশ ছাড় দেয়া হয়। অর্থাৎ ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটারে পাওয়া যায় ২০ শতাংশ ছাড়। এরপর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ এবং ৪০১ থেকে তদূর্ধ্ব কিলোমিটার পর্যন্ত ৩০ শতাংশ ছাড় দেয়া হয়। ৪ মে থেকে এ সুবিধা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এতে সর্বনিম্ন ভাড়া বাড়বে ১০ শতাংশ। তবে ১০০ কিলোমিটারের কম দূরত্বের ক্ষেত্রে ভাড়া অপরিবর্তিত থাকবে।
এমআর
মাদারীপুরের ডাসারে তীব্র গরমের মধ্যে জমিতে কাজ করতে গিয়ে আজগর আলী বেপারী (৭৫) নামে বৃদ্ধ কৃষক হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে নিহতের পরিবার। নিহত আজগর আলী উপজেলার গোপালপুর এলাকার পশ্চিম বনগ্রাম গ্রামের মৃত বরম আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কৃষক আজগর আলী বেপারী প্রচণ্ড রোদের মধ্যে তার বাড়ির পাশের একটি জমিতে কাজ করতে যান। এ সময় তিনি প্রচণ্ড গরমের ফলে হিট স্ট্রোকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নেয়ার পথেই তিনি মারা যান।
ইউপি সদস্য হালিম জানান, গরমের ভেতর জমিতে কাজ করতে গিয়ে শুকুর হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।
এব্যাপারে ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম শফিকুল ইসলাম জানান, বৃদ্ধ বয়সে আজগর আলী জমিতে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে তাপমাত্রা সইতে না পেরে হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। ঘটনাটি হৃদয়বিদারক। পারিবারিকভাবে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এআই
পটুয়াখালীর বাউফলে হিট স্ট্রোকে মোহাম্মদ শাহ-আলম (৫০) নামের একজন পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পুলিশের ঢাকা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, গত শনিবার (২০ এপ্রিল) তিনি ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বাউফলে আসেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় তাকে বাউফল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে তাকে বরিশালে পাঠানো হয়৷ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতের মেয়ে শিমু আক্তার জানান, তিনি হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন বলে তাদের জানিয়েছেন ডাক্তার।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, তিনি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশালে পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি।
এআই
বরগুনার আমতলীতে অজিতুন নেছা (৬০) নামে এক নারীর হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে উপজেলার চাওড়া চালিতাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আমজেদ প্যাদার স্ত্রী অজিতুন নেছা অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। পরে স্বজনরা তাকে দ্রুত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিম্ময় হালদার বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এআই
বরগুনার পাথরঘাটায় ৬ কোটি টাকার অবৈধ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে পাথরঘাটা কোস্টগার্ড।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষখালী নদী সংলগ্ন পাথরঘাটা, নিশান বাড়িয়া, কালমেঘা, ছনবুনিয়া, বাইনচোটকি, রূপধান ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানের সময় এই সকল এলাকা থেকে ১৭ লাখ ৩০ হাজার মিটার ব্যবহার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ করে। জব্দকৃত জালের আনুমানিক বাজার মূল্য ৬কোটি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহারকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলে কাউকে আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড।
পাথরঘাটা কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম ফিরোজ্জামান বলেন,জব্দকৃত জাল পাথরঘাটা মেরিন ফিশারী কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ হোসেন এর উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
এমআর
বরগুনার পাথরঘাটা পৌর শহর এলাকায় একটি বসতঘর অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত ৫ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন পরিবার। খবর শুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে নগদ ৫ হাজার টাকা ও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়েছেন বরগুনা ২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুর ১টার সময় পাথরঘাটা পৌর শহর ৩নং ওয়ার্ডের মৃত করিম হাওলাদারের ছেলে ইউনুস হাওলাদারের বসতঘরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নাতিকে চা বানিয়ে দিতে ইউনুস হাওলাদার ঘরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারের চুলা জ্বালাতে গেলে হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। এতে ইউনুস হাওলাদার আগুনে কিছুটা দগ্ধ হয়। পরে আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে তারা নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এসে এক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে মালামালসহ বসতঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই ঘটনায় ঘরে থাকা স্বর্ণ অলংকার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা পুড়ে হয়ে গেছে বলে জানায় ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
পরে খবর শুনে এমপি সুলতানা নাদিরা প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার টাকা ও খাদ্য সামগ্রী দিয়ে অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ান, এসময় ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌর মেয়রও ওখানে ছুটে যান।
পাথরঘাটা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন ,অগ্নিকান্ড কথা শুনে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে যাই। আমাদের ফায়ার কর্মীসহ স্থানীয় যুবকদের সহায়তায় ৩০ মিনিট মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।
এআই
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা বরগুনার ছেলে অলিউল হক রুমি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোর চারটার দিকে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
তার মৃত্যুতে বরগুনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে, অভিনেতার প্রথম জানাজা হয়েছে সকাল ৯টায় শহীদবাগ জামে মসজিদে। এছাড়া বাদ আছর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বরগুনা শহিদ আবুল হোসেন ঈদগাহ মাঠে। জানাজা শেষে বরগুনায় তার মায়ের পাশে দাফন করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন অভিনেতা মীর সাব্বির। তার লাশবাহী গাড়ি ঢাকা থেকে বরগুনার পথে। বরগুনা জেলার বামনায় জন্ম রুমির। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল হক ও মা হামিদা হক। পরিবারে তিন বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে রুমি মেজ। ভাইদের মধ্যে তিনি বড়। রুমির দুই সন্তান। মেয়ে আফরা আঞ্জুম রুজবা স্বামী ও সন্তান নিয়ে থাকেন কানাডাতে। আর ছেলে ফারদিন হক রিতম একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্প্রতি লেখাপড়া শেষ করেন।
রুমির অভিনয়ের শুরু থিয়েটার বেইলি রোডের ‘এখনও ক্রীতদাস’ নাটকের মধ্য দিয়ে। সেটা ১৯৮৮ সালে। একই বছর ‘কোন কাননের ফুল’ নাটকের মাধ্যমে ছোট পর্দায় অভিষেক হয় তার। টেলিভিশনের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন সিনেমায়ও। ২০০৯ সালে ‘দরিয়াপাড়ের দৌলতি’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। এরপর থেকে অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নাটক হলো- সাজেশন সেলিম, বোকাসোকা তিনজন, মেকআপ ম্যান, ঢাকা টু বরিশাল, ঢাকা মেট্রো লাভ, বাপ বেটা দৌড়ের উপর, আমেরিকান সাহেব, জার্নি বাই বাস, বাকির নাম ফাঁকি, রতনে রতন চিনে, আকাশ চুরি, চৈতা পাগল, জীবনের অলিগলি, মেঘে ঢাকা শহর ইত্যাদি।
এআই
প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী দুই উপজেলা দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় আজ থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। এর আগে বেলা ১২টায় জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা।
এদিকে প্রতীক পাওয়ার পরপরই প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। এর আগে সকাল থেকেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভীড় করতে থাকেন উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সমর্থকরা।
প্রথম দাফের এই নির্বাচনে শুরু হওয়া প্রচার-প্রচারণা শেষ হবে আগামী ৬ই মে। আর ৮ই মে সারাদিন ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে সাতজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান নীরা (মোটরসাইকেল), পারভিন আক্তার (ঘোড়া), ফারুক আহমেদ (হেলিকপ্টার), মোঃ আব্দুল্লাহ হক (আনারস), মোহাম্মদ কামাল পাশা (কাপ পিরিচ), মোঃ নুরুল হুদা (দোয়াত কলম), সাজ্জাদুর রহমান (কই মাছ)।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুল কাইয়ুম খান (উড়োজাহাজ), গোলাম ফাহমী ভূঁঞা (তালা), ছায়েদুল রহমান (টিউবওয়েল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাকিয়া সুলতানা জবা (ফুটবল), তহুরা বেগম (কলস), শারমিন আক্তার (হাঁস) প্রতীক পেয়েছেন।
এছাড়া কলমাকান্দা উপজেলায় পরিষদ চেয়ারম্যান পদে সাতজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আরো দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এরমধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আব্দুল কদ্দুছ (দোয়াত কলম), মোস্তাফিজুর রহমান (ঘোড়া), মো ফজলুল হক (আনারস), মো মাহতাব উদ্দিন (মোটরসাইকেল), রফিক উদ্দিন খোকন (কই মাছ), শাহ জাহাঙ্গীর কবির (হেলিকপ্টার), শাহীন মিয়া (টেলিফোন)।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অলি আহমেদ (তালা), হাবিবুর রহমান (চশমা) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কুমকুম নকরেক (ফুটবল), মোছা রুনা আক্তার (কলস)।
গত ১৫ই এপ্রিল অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন প্রার্থীরা। ১৭ই এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই ও ২২ই এপ্রিল প্রত্যাহারের শেষ দিনে দুর্গাপুর একজন ও কলমাকান্দায় তিন প্রার্থী মনোনয়ন তুলে নেন।
সীমান্তবর্তী দুই উপজেলার মধ্যে দুর্গাপুরে মোট ভোটার ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯৬ জন, নারী ভোটার ৯৮ হাজার ৭৭৩ জন, হিজড়া ১ জন। অপরদিকে কলমাকান্দায় মোট ভোটার ২ লাখ ২৫ হাজার ১২৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৭ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ৭৫ জন, হিজড়া ৩ জন।
এমআর
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে গোলাম রাব্বানী (৪৮) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। নিহত রব্বানী উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের পশ্চিম গিলাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। তিনি গুঠাইল বাজারে মরিচের ব্যবসা করতেন। ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এ এম আবু তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নিজ বাড়িতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী গোলাম রাব্বানী। পরে তাকে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এ এম আবু তাহের বলেন, ওই ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা ধারণা করছি অতিরিক্ত গরমের কারণেই উনার মৃত্যু হয়েছে।
এমআর
বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শাহীনা বেগম। ১৯৮৩ সালে উপজেলা পরিষদ গঠনের পর আর কোনো নারী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আরও তিনজন প্রার্থী রয়েছেন। শাহীনা বেগম পৌর শহরের মালিরচর নয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
জানা গেছে, শাহীনা বেগমের বড় ভাই প্রয়াত আবুল কালাম আজাদ মেডিসিন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। শাহীনা বেগম মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং বকশীগঞ্জের সভাপতি ছিলেন। ২০১৭ সালে বকশীগঞ্জ পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি নির্বাচন করেন।
অন্য প্রার্থীরা হলেন– স্থানীয় এমপির ভাই নজরুল ইসলাম সাত্তার, বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ ফড়িং।
শাহীনা বেগম বলেন, ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মী আমার সঙ্গে আছেন। তাই প্রার্থী হয়েছি আমি।
পিএম
চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে এবং ক্যাম্পাসকে সুরক্ষা রাখতে কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশে এক হাজারের বেশি বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছে নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগ।
এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (২২ এপ্রিল) নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক মোহাম্মদ আল-মুক্তাদির খান লিহানের নেতৃত্বে নেত্রকোনা পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ফলজ, বনজ ও ঔষধি ১০০টি গাছের চারা রোপণ করা হয়। এ কর্মসূচি আরও ১০ দিন চলবে। রোপণকৃত গাছের মধ্যে রয়েছে- আম, কাঠাঁল, পেয়ারা, নিমসহ বিভিন্ন কাঠ জাতীয় গাছ।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে জেলা ও পৌর ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মোহাম্মদ আল-মুক্তাদির খান লিহানের বলেন, ‘এসডিজি লক্ষমাত্রা অর্জন এবং তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সারাদেশে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের এই বৃক্ষরোপণ। আমাদের এই কর্মসূচি চলবে।’
তিনি আরও বলেন, আমরা বন কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে বিভিন্ন গাছ সিলেকশন করেছি। তারপর আমার গাছ গুলো পরিচর্যার জন্য একজন নির্ধারিত লোক রেখেছি যিনি প্রতিদিন দুইবেলা পানি কিছুদিন পরপর ইউরিয়া সার দিবে এবং গাছের গোড়া পরিষ্কার রাখবে ও অন্যান্য কাজ নিয়মিত করে যাবে।
এর আগে, ২১ থেকে ৩০ এপ্রিল ১০ দিনে সারাদেশে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণ করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এছাড়াও পরিবেশ দিবস-২০২৪ উপলক্ষে এক কোটি বৃক্ষরোপণ করে গিনেজ বুকস অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অন্তর্ভুক্তির কর্মসূচি পরিকল্পনা রয়েছে সংগঠনটির।
সাম্প্রতিক তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ১০ দিনে ৫ লক্ষের অধিক বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি ঘোষণা করছে।
চলতি এপ্রিল মাসের ২১-৩০ তারিখের মধ্যে এই কর্মসূচি শেষ করতে হবে। কৃষি বিশেষজ্ঞ ও সরকারের কৃষি বিভাগ থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও সহযোগিতা নিয়ে উপযুক্ত স্থানে নিয়মমাফিক বৃক্ষরোপণ করবে। শুষ্ক মৌসুম বিধায় নিয়মিত গাছে পানি দিতে হবে। রোপণকৃত বৃক্ষের পরিচর্যা করতে হবে। প্রতিটি উপজেলা ইউনিট এক হাজার এবং প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইউনিট পাঁচ শত বৃক্ষ রোপণ করবে। বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে উপজেলা পর্যায় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বৃক্ষরোপণের ছবি, ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করতে হবে।
একইসাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মী ও অন্যান্য সাংগঠনিক ইউনিটকে নিজ উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এআই
শেরপুরের শ্রীবরদীতে ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে প্রতারনা করে বিবাহ, অর্থ আত্মসাৎ ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদানকারীর সহযোগী মো. রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় তাকে শেরপুর পৌর শহরের সজবরখিলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল শ্রবিরদী উপজেলার কুরুয়া এলাকার মো. আক্কাস আলীর ছেলে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, ফেইসবুকের সূত্র ধরে জেলা সদরের চান্দের নগর (মুসলিম পাড়া) এলাকার মোঃ আব্বাস আলীর ছেলে মিলন সরকার ওরফে লিটনের সাথে কুরুয়া এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে মোছা. জোসনা পারভীনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই প্রেক্ষিতে গত বছরের ২০ মে মো. মিলন সরকার ওরফে লিটন পুলিশের এএসআই পরিচয় দিয়ে ২ লক্ষ টাকা কাবিনে মোছা. জোসনা পারভীনের সাথে বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরবর্তীতে পুলিশের ডিউটির কথা বলে মোছা. জোসনা পারভীনকে তার বাবার বাড়ীতে রেখে চলে যায়।
এর কিছুদিন পর লিটন এসআই পদে পদোন্নতির কথা বলে তার স্ত্রীর নিকট ৬ লক্ষ টাকা দাবি করে। স্বামীর ভবিষ্যতের কথা ভেবে জোসনা পারভিন জমিজমা এবং স্বর্ণালংকার বন্ধক রেখে লিটনকে বিভিন্ন সময়ে ৯ লক্ষ টাকা মো. রফিকুল ইসলামের সন্মুখে লিটনকে প্রদান করে। ওই টাকা পাওয়ার পর মো. মিলন সরকার ওরফে লিটন তার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে জোসনা পারভিন তার শ্বশুর বাড়ীতে গেলে মো. রফিকুল ইসলাম জোছনা পারভিনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ খুন করার হুমকি দিয়ে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দিলে মোছা. জোসনা পারভীন বাদী হয়ে শ্রবিরদী থানায় প্রতারনার মামলা দায়ের করে। এরপর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে তারা আত্মগোপনে ছিল রফিকুল।
পরে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মো. আবরার ফয়সাল সাদীর নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে শেরপুর পৌর শহরের সজবরখিলা পাইওনিয়ার একাডেমী স্কুলের সামনে থেকে মো. রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। পরে গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে শ্রীবরদী থানায় মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এমআর
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে নামসর্বস্ব সংগঠনের সাইনবোর্ড বসিয়ে সরকারি খাল দখলের অভিযোগ উঠেছে।
খালটি উদ্ধারে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট গণস্বাক্ষরসহ লিখিত অভিযোগ করেন খাল সংলগ্ন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। উপজেলা প্রাণী সম্পদ দফতরের বিপরীত দিকে সরকারি খালের উপর বাঁশের ঘেরা দিয়ে সাইনবোর্ড বসিয়েছে দেবীগঞ্জ উপজেলা ডেকোরেশন মালিক সমিতি, দেবীগঞ্জ উপজেলা মাইক ব্যবসায়ী সমিতি, সমাজসেবা ও মাদকবিরোধী সংগঠন, মুন্সিপাড়া বয়েজ ক্লাব নামক সংগঠনসহ আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন।
স্থানীয়রা জানায়, বাজারের মূল ড্রেনেজ ব্যবস্থার একটি অংশ খালটিতে এসে যুক্ত হয়েছে। এতে করে বাজারের বড় একটি অংশের পাশাপাশি বাজার সংলগ্ন আবাসিক এলাকার দৈন্দিন ব্যবহৃত পানিও খালে আসে। বর্ষার মৌসুমে বাড়তি পানির বেশির ভাগ অংশ এই খালে এসে পড়ায় জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই মিলে।
খালটি এভাবে দখল হয়ে গেলে অদূর ভবিষ্যতে দুর্ভোগ পোহাতে হবে আশপাশের বাসিন্দাদের। সেই সাথে খালের পাশের সড়কটি ব্যবহার করে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায়। এখানে এমন নাম সর্বস্ব সংগঠনগুলো তাদের অফিস গড়ে তুললে বখাটেদের আড্ডা যেমন বাড়বে তেমনি ইভটিজিংয়ের ঘটনাও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
মোছাঃ খালেদা বেগম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এইটা সরকারি জায়গা। এত বছর ধরে খালি ছিলো। ঈদের পর থেকে রাতারাতি বাঁশের খুঁটি, পিলার, সাইনবোর্ড বসিয়ে দখল করার চেষ্টা করছে। কারা করছে তা জানি না, রাতারাতি সব কিছু হচ্ছে।
মোঃ রুহুল আমিন নামে এক বাসিন্দা বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে খালটি রয়েছে। মুন্সিপাড়াসহ দেবীগঞ্জ বাজারের বৃষ্টির পানি এখানে এসে পতিত হয়। এভাবে খালটি দখল করা হলে বর্ষা মৌসুমে আমারা জলাবদ্ধতার সম্মুখীন হবো।
লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল আলম বলেন, আমারা অভিযোগ পেয়েছি। অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। যারা দখল করার চেষ্টা করেছে তাদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করা হবে।
এআইদিনাজপুরের ফুলবাড়ীর চাঞ্চল্যকর পাঁচ বছরের শিশু মিরাজ হত্যা মামলায় মমতাজ উদ্দিন নামে এক বৃদ্ধের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেছেন বিচারক। এই মামলায় দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর তিনজনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শ্যামসুন্দর রায় এ রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি মমতাজ উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেছেন বিচারক।
আসামি মমতাজ উদ্দিন ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম খাজাপুর গ্রামের মৃত মীর উদ্দিনের ছেলে। নিহত শিশু মিরাজ কাজী একই গ্রামের মাহাবুব কাজীর ছেলে।
খালাস প্রাপ্তরা হলেন- মমতাজ উদ্দিনের বোন মর্জিনা বেগম, ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও ছেলের বউ জেসমিন আরা।
দিনাজপুরের কোট পুলিশ পরিদর্শক একেএম লিয়াকত আলী এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই শিশু মিরাজ কাজী প্রতিবেশি মমতাজ উদ্দিনের বাড়িতে খেলতে যায়। এরপর শিশুটি নিখোঁজ ছিল। পরদিন ৯ জুলাই ওই এলাকার একটি ডোবা থেকে শিশু মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৯ জুলাই নিহত শিশুর বাবা মাহবুব বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এআই
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্যানেল সংস্কার কাজে মাটি খননের সময় দুটি মাইন, একটি মর্টারশেল ও একটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ উপজেলার সিটরাজিব গ্রামে একটি পতিত জমি খননের সময় এসব সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘ক্যানেলের বাজার এলাকায় শ্রমিকরা পুকুর খননের জন্য মাটি খুঁড়তে গেলে শ্রমিকদের কোদালের সঙ্গে ভারী কিছু আটকে যায়। পরে কৌতূহলী শ্রমিকেরা মাটি সরিয়ে একটি রাইফেল, দুইটি মাইন ও একটি মর্টারশেল দেখতে পান। স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে জায়গাটি ঘিরে রাখে।’
পুলিশ জানায়, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত রাইফেলের যন্ত্রাংশ মরিচা ধরে অকেজো হয়ে পড়লেও মাইন ও মর্টারশেলটি তাজা রয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘থ্রি নট থ্রি রাইফেল, দুইটি মাইন ও একটি মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে বোম ডিসপোজাল ইউনিটের অপেক্ষায় আছে।’
এ বিষয়ে নীলফামারী পুলিশ সুপার গোলাম সবুর জানান, ‘বর্তমানে ঘটনাস্থলটি পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। নিকটস্থ ক্যান্টনমেন্টের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে এসব মাইন ও মর্টারশেল নিষ্ক্রিয় করবে।’
এআই
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে সেলিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পালিয়ে থাকার এক বছর পর হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ। গত শনিবার মাদারীপুর জেলা থেকে মামলার প্রধান আসামী ফরিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম।
এর আগে গত বছর বসতবাড়ির জমি নিয়ে সেলিম ও ফরিদুলদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই অবস্থায় ঘটনার দিন (২৫ মার্চ) স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মজিদের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ার দিয়ে বসতবাড়ী সীমানার জরিপ চলছিল। জরিপের এক পর্যায়ে আসামী ফরিদুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে ইউক্যালিপটাস গাছের মোটা কাঠ দিয়ে সেলিমের মাথায় সজোরে আঘাত করে।
এতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সেলিম। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিম মারা যান। এই ঘটনার পরদিন (২৬ মার্চ) সেলিমের স্ত্রী বেবী আক্তার বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে দেবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর জসিনা বেগম নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে মামলার পরই আত্মগোপনে চলে যান ফরিদুল ইসলাম। দীর্ঘদিন পর গত শনিবার ফরিদুলকে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতারে সক্ষম হয় দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ।
দেবীগঞ্জ থানার ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, দীর্ঘ দিনের প্রচেষ্টায় আমরা সেলিম হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী ফরিদুলকে মাদারীপুর থেকে গ্রেফতার করতে পেরেছি। আসামীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
এমআর
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের রতনপুর দলদলিয়া গ্রামের দক্ষিণ পাশে এক কৃষকের আড়াই বিঘা বোরো জমির ধান গাছে প্রতিপক্ষরা আগাছা নাশক বিষ স্প্রে করায় ধান গাছের পাতা পুড়ে খেত বিনষ্ট হয়েছে। এতে ঐ কৃষক পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, বিরামপুর উপজেলার টাটকপুর গ্রামের মৃত দানেজ আলীর ছেলে আব্দুস সালাম বর্গা নিয়ে বোরো ধান চাষ করে। ধান প্রায় পাকার পর্যায়ে। ইতিমধ্যে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে দলদলিয়া কুর্শাখালী গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে বুলবুল হোসেন’সহ অজ্ঞাতনামা কয়েক জন গত ১৮ এপ্রিল রাতে বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করে সমুলে বিনষ্ট করে দিয়েছে। গত ২১ এপ্রিল রাতে বিরামপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, দ্রুত সময়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এটি একটি জঘন্নতম অপরাধ।
খানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন পাহান বলেন, বিষাক্ত কীটনাশক স্প্রে করে বোরো ধানক্ষে নষ্ট করেছে। জানতে পেরে কৃষকের ধানক্ষেত পরিদর্শন করেন। তিনি অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।এসময় খানপুর কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন।
বিরামপুর থানার উপ-পরিদর্শক এসআই তুহিন বাবু জানান, জমির বোরো খেত নষ্ট করে দুর্বৃত্তরা অমানবিক কাজ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমআর
রাজশাহীতে পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে রাজশাহীর শ্যামপুর বালুর ঘাটে পদ্মায় গোসল করতে নেমে এই তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। এরপরে আড়াইটার দিকে ওই তিন শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিহত কিশোররা হলো- রাজশাহী মতিহার থানা এলাকার মো. রেন্টুর ছেলে যুবরাজ (১৪), একই এলাকার নূর ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান (১৫) ও লিটনের ছেলে আরিফ (১৪)। তারা কাটাখালি পৌরসভার শ্যামপুর এলাকার একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ওবায়দুল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পবা উপজেলার শ্যামপুর বালুর ঘাটে পদ্মায় গোসল করতে নেমে তারা নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল তাদের উদ্ধারে নামে। মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানও সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজশাহী নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়। তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষ তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।
বগুড়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ও সাধারণ পথচারীদের জন্য বিশুদ্ধ সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের সাতমাথাস্থ মুজিব মঞ্চের সামনে এ বুথ স্থাপন করা হয়। জেলা পুলিশের উদ্যোগে স্থাপিত এ বুথের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রচন্ড দাবদাহে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। তাই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই সামান্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একজন পথচারী এই গরমের মধ্যে পানি পিপাসার্ত হয়ে বুথ থেকে পানি পান করতে পারবে। এদিকে একজন পুলিশ সদস্যের পোশাক পরা অবস্থায় প্রচন্ড গরমের মধ্যে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ডিউটি করা আসলেই অসম্ভব ব্যাপার। ট্রাফিক পুলিশের এই সদস্যরা দেশ ও মানুষের জন্য অসম্ভব রকমের কষ্ট করে যাচ্ছেন। তাদের ক্লান্তি দূর করতে খাবার স্যালাইন, পানি ও জুস বিতরণ করা হয়েছে।’ গরম চলাকালে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
এদিকে, তীব্র এই দাবদাহে জেলা পুলিশের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান সাধারণ পথচারীরা। তারা পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উদ্বোধনকালে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ্সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এআই
নাটোরের সিংড়ায় ট্রাক চাপায় ইলিয়াস হোসেন রনি (৩০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। এ সময় মুন্না (৩৫) নামের একজন আরোহী আহত হয়েছে। আহত মুন্নাকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়া উপজেলার জোলারবাতা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল আরোহী ইলিয়াস হোসেন রনি উপজেলার কাকিয়ান গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। আহত মুন্না রনির চাচাতো ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, সোমবার বিকেল চারটার দিকে নাটোর থেকে একটি মিনি ট্রাক বগুড়ার দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি জোলারবাতা এলাকায় পৌঁছালে একই সময় সিংড়া দমদমার দিক থেকে জোলারপাতার পার্শ্ব রাস্তা থেকে মহাসড়কে উঠছিলেন ইলিয়াস হোসেন রনি। ইলিয়াস হোসেন রনি মোটরসাইকেল নিয়ে মহাসড়কে উঠতেই ট্রাকটি তাদের মোটরসাইকেল চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইলিয়াস হোসেন রনি নিহত হন।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা রনির চাচাতো ভাই মুন্না গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী মুন্নাকে উদ্ধার করে দ্রুত সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে ভর্তি করে। দুর্ঘটনার পর ট্রাক চালক ট্রাক ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ মরদেহ এবং দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি উদ্ধার করে সিংড়া থানায় নিয়ে আসে।
এআই
৭ বছর আগের সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর সুবর্ণা (৮) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আটজন যুবক ও কিশোর মিলে পালাক্রমে ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে সুবর্ণাকে-তদন্তে এমনটাই বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চৌহালী উপজেলার দত্তকান্দি গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে মো. ছাব্বির হোসেন (২০), একই গ্রামের আরফান মেম্বারের ছেলে মো. শাকিব খান (২১)। ইতিমধ্যেই ছাব্বির ও সাকিব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লোমহর্ষক এ ঘটনার বিবরণ জানান পিবিআইএর পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।
এ সময় পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ সকালে চৌহালী উপজেলার মধ্য শিমুলিয়ার চর থেকে সুবর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সুবর্ণার বাবা মো. শুকুর আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করলে বাদী আদালতে নারাজি আবেদন দেন। মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর পিবিআই এসআই আশিকুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব নেন। তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তি এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ এপ্রিল ভিকটিমের ফুফাতো ভাই মো. ছাব্বির হোসেনকে (২০) আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে ওইদিনই দত্তকান্দি শোলে বাজার থেকে আরফান মেম্বারের ছেলে শাকিব খানকে আটক করা হয়। এর আগে এ ঘটনার মূল নায়ক মিলন পাশাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তার কাছ থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে গ্রেপ্তার ছাব্বির ও শাকিব খানকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার মূল রহস্য বেরিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে তারাসহ আরও ছয়জন দত্তকান্দি হাইস্কুল মাঠে যায়। সেখানে সুবর্ণাকে তার ফুফাতো ভাই ছাব্বিরের সঙ্গে খেলতে দেখে। তখনই তারা সুবর্ণাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী মিলন পাশা ও সাকিবসহ বাকি আসামিরা ছাব্বিরকে বলে তার মামাতো বোন সুবর্ণাকে মধ্যশিমুলিয়া চরে নিয়ে যেতে।
সন্ধ্যার পর ছাব্বির ও শাকিব মিলে সুবর্ণাকে কৌশলে মধ্যশিমুলিয়ার চরে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই বাকি আসামিরা অবস্থান করছিল। এরপর সুবর্ণার হাত-পা চেপে ধরে আটজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে সুবর্ণা নিস্তেজ হয়ে যায়। তখন সে কাঁদতে কাঁদতে ঘটনাটি সবাইকে বলে দেওয়ার কথা বলে। এ অবস্থায় আসামিরা নিজেদের বিপদের কথা চিন্তা করে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক সুবর্ণার ওড়না গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। এরপর শরীরে মাটি ছিটিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
পিবিআই এসপি আরও বলেন, ২৬ মার্চ বিকেলে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান দেখতে দত্তকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে যায় সুবর্ণা। পরিবারের লোকজন চিন্তা করে সুবর্ণা ওই স্কুলের পাশে তার ফুফুর বাড়িতেই আছে। এ জন্য খোঁজাখুঁজিও করে নাই। পরদিন তার মরদেহ পাওয়া যায়। পিবিআই তদন্তকালে সুরুতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখে সুবর্ণাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও তার গোপনাঙ্গে রক্ত দেখে তা আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। আলামতের ডিএনএ পরীক্ষায় তার পরনের পোশাকে সিমেন্সের নমুনা পাওয়া যায়। এতেই নিশ্চিত হওয়া যায় সুবর্ণাকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার।
এমআর
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবা'র (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন তুকাজ্জেবার ওপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুর বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১ জুলাই সালাউদ্দিন তাঁর স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুত্বরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশি রবিউল ইসলাম লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পায় তারা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদীয় হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান।
সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন এই আইনজীবী।
এআই
সুনামগঞ্জের পৌর শহরের হাছননগর এলাকার বুবির পয়েন্টে মাহিন্দ্র ট্রাক ও সিএনজি অটো রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সুরেশ রবি দাস (৪০)নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি সিএনজি অটো রিকশার যাত্রী ছিলেন ও ওয়েজখালী এলাকার বাসিন্দা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে হাছননগর এলাকার ভুবির পয়েন্টে দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন,শহরের হাছননগর এলাকার সিএনজি চালক জীবন মিয়া(২০) ও ইব্রাহীমপুরের কৃষ্ণ রবি দাস (৩২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,ভবন নির্মাণের সাটারিংয়ের মালপত্র নিয়ে মাহিন্দ্র ট্যাকটি বুড়ির স্থল এলাকার দিকে যাচ্ছিল, একেই সময় বুড়িস্থল থেকে একটি সিএনজি যাত্রী নিয়ে শহরের দিকে আসার পথে ভুবির পয়েন্টে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সুরেশ রবি দাস (৪০) মারা যায়। গুরুত্বর আহত সিএনজি চালক ও অপর যাত্রীকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদ চৌধুরী বলেন,ঘটনাস্থল গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এমআর
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হলেন- পশ্চিম চান্দশীরকাপন গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে রিহান আত্তার ইয়াছিন (১০) ও নেত্রকাণার বারহাট্রা থানার নৈহাটি গ্রামের ইউসুফ রুহান (১১)। সম্পর্কে তারা ফুফাতো ও মামাতো ভাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত সরকার।
ইয়াছিন ও রুহান দুজনেই বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির ছাত্র। ইউসুফ রুহানের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বনাথ পুরান বাজারের ময়নুলের বাসায় বসবাস করে আসছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলা সদরের তাদের বাড়ির পাশে পুকুরে পানিতে ইয়াছিন ও রুহান পড়ে যায়। এরপর তাদের পরিবারের সদস্যরা দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। পরে তাদের মরদেহ পুকুরের পানিতে ভেসে ওঠলে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্বনাথ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত সরকার বলেন, রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।
এআই
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোক করে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
মৃত রিকশাচালক হানিফ মিয়া (৩৪) হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং সিলেট শহরে অস্থায়ীভাবে বসবাস করে রিকশা চালাতেন।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান গণমাধ্যমকে জানান, দুপুর ১২টার দিকে এক রিকশাচালক দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নিহত রিকশাচালকের মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৬ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল থেকেই তীব্র গরম পড়েছে, প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ নিম্নবিত্ত সহ সব ধরনের মানুষের। অতিরিক্ত গরমে হাসপাতালেও বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।
শনিবার দুপুর ৩টার দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৬ ডিগ্রি রেকর্ড করে মৌলভীবাজার জেলা আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আগের দিন শুক্রবার বিকেল এবং রাতের দিকে হালকা বৃষ্টি হলেও শনিবার সকাল থেকে জেলার আবহাওয়া ছিল উত্তপ্ত। দুপুর নাগাদ রোদের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে তাপদাহ। এতে বিপাকে পড়েছেন রিকশা চালক, ভ্যান চালক সহ বাইরের কাজে নিয়োজিত নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষরা। অতিরিক্ত গরমের কারণে সড়কে মানুষজনের আনাগোনা ও অনেক কম।
এ দিকে গত কয়েকদিনের চলমান গরমের কারণে মৌলভীবাজারের সদর হাসপাতালে বেড়েছে গরম জনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা। তীব্র গরমে ডায়রিয়া, সর্দি, জ্বর কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া সহ নানান ধরনের রোগীর আনাগোনা বেড়েছে হাসপাতালে।
এ বিষয়ে হাসপাতালে কর্মরত নার্সরা জানান, গরম জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে এই কয় দিনে প্রচুর সংখ্যক রোগী এসেছেন, এদের মধ্যে নবজাতক ও বৃদ্ধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণের।
অতিরিক্ত গরমের এই সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। তাছাড়া ঘন ঘন পানি পান করার কথাও জানান চিকিৎসকরা। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে পুরো এপ্রিল মাস জুড়েই থাকতে পারে এরকম তাপদাহ।
বৃন্দাবন সরকারি কলেজে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের রজত জয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাসের বটতলায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন টানা চতুর্থবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়রম্যান আলেয়া আক্তার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আবু জাহির বৃন্দাবন সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল স্থাপনের আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়াও অতীতের ন্যায় এ কলেজে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
রজত জয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সৈয়দ মোঃ ছগির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও প্রাক্তণ শিক্ষক ফখরুদ্দিন খান পারভেজ।
বক্তব্য রাখেন উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মুসলেম উদ্দিন, আবু জাহির উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দাওয়াত কমিটির আহবায়ক লায়ন মোঃ আসাদুজ্জামান, জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফ-ই রহমান তন্ময়, সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন প্রমুখ।
দিনব্যাপি রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে, র্যালি, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং র্যাফেল ড্র করা হয়। এতে উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তণ ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে রজতজয়ন্তী উপলক্ষে স্মরণিকা ‘স্পিরুলিনার’ মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
এআই