জাতীয়
সব দেখুনসর্বশেষ প্রকাশিত
রাজনীতি
সব দেখুনচলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত
রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বইছে তীব্র তাপদাহ। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। তীব্র তাপদাহের এই সময়ে অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে রাজধানীর পুরান ঢাকার ইসলামপুরের গোল তালাব পুকুর দিচ্ছে সব বয়সের মানুষের গোসল করার স্বস্তি।
সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় ২০০ বছরের এই পুরনো পুকুরে গরম থেকে বাঁচতে শুধু শিশু-কিশোর নয় সব বয়সের মানুষ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তালা পুকুরে।
স্থানীয়ভাবে এই পুকুরকে নবাব বাড়ির পুকুর নামে পরিচিত। ১৮৩০ সালে নবাব খাজা আলিমুল্লাহ পুকুরটি খনন করেন। পারসহ ৮ বিঘা জমির পুকুরটির ঐতিহ্য এখনো জানান দেয়। প্রায় ২০০ বছর পরও এই পুকুরের পানির স্বচ্ছতা ও সৌন্দর্য অন্য যেকোনো পুকুরের থেকে আলাদা। মাত্র পাঁচ টাকার বিনিময়ে যতক্ষণ খুশি ততক্ষণ আপনি এ পুকুরে করতে পারবেন গোসল।
পুকুরে গোসল করতে আসা মো.আবদুল হামিদ (৭০) বলেন, আমি গ্রামের মানুষ, গ্রাম থেকে এসেছি। ঢাকাতে তো তেমন একটা পুকুর বা নদী নেই। ৫ টাকার বিনিময়ে এখানে গোসল করতে পেরে গরমে শান্তি পাচ্ছি।
মারুফ (১৮) বলেন, আমরা এখানের স্থানীয় বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকেই এই পুকুরে সাঁতার শিখেছি। মাঝেমধ্যেই এখানে গোসল করতে আসা হয়। এখন প্রচন্ড গরম। পানি থেকে উঠতেই মন চায় না। তাই প্রতিদিন ২-১ ঘন্টায় এসে এখানে গোসল করি সাঁতার কাটি।
তবে পুকুর কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে জানান, এই পুকুর ব্যবহারে রয়েছে বেশ কিছু শর্ত। পুকুরের পানিতে ব্যবহার করা যাবে না সাবান শ্যাম্পু। সাবান ব্যবহারের জন্য পাশেই রয়েছে গোসলখানা এবং পোশাক পরিবর্তনের স্থান। সাঁতার জানা না থাকলে নামা যাবে না পুকুরে। পুকুরে গোসল করতে আসা অতিথিদের সেবা দেওয়ার জন্য সবসময় প্রস্তুত নবাব বাড়ির বংশধরেরা। নিরাপত্তার জন্য পুকুরের ভিতরে রাখা আছে নৌকা এবং জীবন্তরি।
তবে শত বছরের এই পুরাতন পুকুরেও রয়েছে সৌন্দর্য হারানোর ভয়। ভূমি খেকো দের নজর পড়ে এই পুকুরের উপর। জাল দলিল তৈরি করে পুকুর দখলের চলছে অপচেষ্টা। নবাব বংশধরদের আশা রাজধানী বা সারাদেশের মানুষের কাছে এই পুকুরের পরিচিতি পৌঁছালে টিকিয়ে রাখানো সম্ভব শত শত বছরের ঐতিহ্য। তাই তারা সকলকে এখানে ঘুরতে আসার আহ্বান জানান।
এআই
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট অস্বাভাবিক তাপদাহে রাজধানীর জনজীবন দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। আগুন ঝরা বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন নারী-শিশু-সাধারণ কর্মজীবী মানুষসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। এরইমাঝে একদিকে নতুন করে আরো ৭২ ঘন্টার হিট এ্যালার্ট জারির খবরে শঙ্কিত রাজধানীসহ গোটা দেশবাসী।
অপরদিকে, কাঠফাটা উত্তপ্ত রোদ, ভ্যাপসা গরম ও অসহনীয় তাপমাত্রাকে পায়ে ঠেলে ইউনিফর্ম পরে পিচঢালা উত্তপ্ত সড়কে দাঁড়িয়ে নিজেদের উপর অর্পিত দায়িত্ব একাগ্রচিত্তে পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর গাবতলী, মিরপুর, কল্যানপুর, শ্যামলীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র অসহনীয় গরমে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নগরবাসীর স্বাভাবিক চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে দায়িত্ব পালন করছেন ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশ বিভাগের সদস্যরা।
বেলা আনুমানিক ১.৩০ মিনিট। নগরীর অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক মিরপুর-১ নম্বর গোল চত্বরে দেখা গেল কাঠফাঁটা রোদে একটি পানির বোতল হাতে সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্ব পালনকালে প্রচন্ড গরমে ঘেমে জবুথবু হয়ে পড়েছেন একজন সার্জেন্ট। নাম তাঁর মো. সাইদুর রহমান টিপু। মুখ-মন্ডল বেয়ে ঝড়ছে ঘাম। মুখ-মণ্ডলজুড়ে ক্লান্তির ছাপ সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। ব্যস্ততম কয়েকমুখী সড়কের এই চত্বরে যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় কয়েক মিনিটের জন্যেও বিশ্রাম নেয়ার জোঁ নেই। পাশেই ছাতা মাথায় আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য দাঁড়িয়ে ট্রাফিক সামলানোর দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে এর ফাঁকেই হাতের বোতল থেকে দু'এক ঢোক পানি গিলছেন সার্জেন্ট টিপু। অসহনীয় তাপমাত্রায় সামান্য স্বস্তির লক্ষ্যে সড়কে দাঁড়িয়েই হাতেের বোতল থেকে চোখে-মুখে কয়েক দফা পানি ছিটিয়ে ধুয়ে নিচ্ছিলেন। ঠিক সেসময়ই দৃশ্যটি ধরা পড়ে সময়ের কণ্ঠস্বরের ক্যামেরায়।
এসময় এগিয়ে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে "অস্বস্তিকর দূর্বিষহ গরম ও কাঠফাটা রোদে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে নিরবচ্ছিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন; একটু বিশ্রাম নিয়ে নিলেও তো পারেন" এমন প্রশ্নের উত্তরে নিমিষেই সকল ক্লান্তি পায়ে ঠেলে একগাল হেসে বললেন, আমরা ট্রাফিক পুলিশে চাকরি করি। দায়িত্ব পালনকালে এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। এর থেকে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেও তা নিয়ে ভাববার সুযোগ আমাদের নেই। মানুষকে সেবা দেয়াই পুলিশের কাজ। মহানগরবাসী তথা মানুষকে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করাই আমাদের মূল কাজ। সেলক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। বলেই অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের উদ্দেশ্যে হাত উঁচিয়ে সিগনাল ছাড়তে ইশারা দিতে দিতে ফের সড়কে দাঁড়িয়ে গেলেন তিনি।
এদিকে, দূর্বিষহ তাপদাহ ও অসহনীয় ভ্যাপসা গরমে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের নানা সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে ভাবনার কমতি নেই পুলিশের উর্ধতন মহলেও।
এসময় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে একদিকে ফোসের্র মনোবল যেমন চাঙা হচ্ছে, অপরদিকে দাবদাহের মধ্যেও ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে নগরবাসী পাচ্ছেন সর্বোত্তম সেবা।
এ বিষয়গুলোকে বিশেষ বিবেচনায় রেখেই গত বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের সকল পুলিশ সদস্যদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাবার স্যালাইন সরবরাহের উদ্যোগ নেন। এই তীব্রে তাপদাহ যতদিন থাকবে ততদিন পুলিশের এই কার্যক্রম চলবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মুনিবুর রহমান জানান, এই অসহনীয় গরমে রাস্তায় ডিউটি করা সত্যিই কষ্টকর। এই উপলব্ধি থেকেই ট্রাফিকের সকল পুলিশ সদস্যদের জন্য নিয়মিত বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইনের সর্বরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই উদ্যোগ ট্রাফিক পুলিশের সকল সদস্যদের এই তীব্র গরমের মাঝেও দায়িত্ব পালনে আরও উদ্বুদ্ধ করবে বলে যোগ করেন ট্রাফিক পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এমআর
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পৃথক জায়গা থেকে দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে দুজনে ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত। হিট স্ট্রোক অথবা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
রবিবার (২১ এপ্রিল) রাতে পৃথক স্থান থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাপস মণ্ডল সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, অজ্ঞাত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। যাত্রাবাড়ী দক্ষিণ শেখদি ৫ নম্বর রোড থেকে রাতে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যক্তি ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিল। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মাথা ঘুরে হিট স্ট্রোক বা অন্য কোনো অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এদিকে, যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদা রহমান জানান, রাতে যাত্রাবাড়ী জনপদ মোড়ের পশ্চিম খাজা হোটেলের সামনের ফুটপাত থেকে উদ্ধার করা হয় অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তির মরদেহ। তাঁর বয়স হবে আনুমানিক (৩০) বছর। তিনিও ভাবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিল। অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের জন্য ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এআই
রাজধানীর গুলিস্থানের গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন রাস্তা থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওই মরদেহ উদ্ধার করে শাহবাগ থানা-পুলিশ। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফ নেওয়াজ জানান, সকালে খবর পেয়ে গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন রাস্তা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মাজার সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে এসআই আরও জানান, ওই ব্যক্তি ভবঘুরে মাদকসেবী ছিল। মাজার এলাকাতেই থাকত। ধারণা করা হচ্ছে, অসুস্থ অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আঙুলের ছাপের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তে সিআইডি ক্রাইম সিন ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে।
এআই
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে আগুন লেগেছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটের দিকে হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউ ইউনিটে এই আগুন লাগে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার লিমা খানম জানান, শুক্রবার পৌনে বেলা ২টার দিকে হাসপাতালের আট তলা একটি ভবনের পঞ্চম তলায় কার্ডিয়াক বিভাগে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের তিনটি, সিদ্দিক বাজার থেকে একটি এবং তেজগাঁও থেকে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে।
তবে কীভাবে সেখানে আগুনের সূত্রপাত হল বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে দিতে পারেননি তিনি।
এদিকে আগুন লাগার পর হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অসুস্থ বাচ্চাদের নিয়ে অনেকে ভবন ছেড়ে নিচে নেমে আসেন।
তীব্র গরমে খালাসের অপেক্ষায় থাকা ভারত থেকে আমদানি করা ৩৭০ টন আলু বেনাপোল বন্দরে পঁচতে শুরু করেছে। এসব আলু রংপুরের একটি বেভারেজ কোম্পানীতে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি।
অন্যদিকে দ্রুত খালাস না হলে এসব আলু খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে আমদানি করা এ আলু খোলা বাজারে বিক্রি হবে না। চিপস তৈরিতে এ আলু ব্যবহার করা হবে।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত ২১ এপ্রিল রাতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ১৬ ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়। তবে আমদানি করা আলু ২০০ কিলোমিটার দূরে থেকে লোড করে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ছয় দিন লেগে যায়। বেনাপোল বন্দর থেকে ৩ দিনেও আলু খালাস না হওয়ায় তীব্র গরমে ট্রাকে থাকা আলু পঁচে রস পড়তে দেখা গেছে।
আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রংপুরের ইন্টিগ্রেটেড ফুড অ্যান্ড বেভারেজ। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আমদানিকারকের স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেডের প্রতিনিধি মাসুম বিল্লা জানান, ১৬ ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয় ভারত থেকে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে না পাওয়ায় এখনো বন্দর থেকে খালাস নিতে পারেনি। কাগজপত্র এলেই খালাস করা হবে আমদানিকৃত এ আলু। বর্তমানে ভারতীয় ট্রাক থেকে এ আলু বাংলাদেশী ট্রাকে লোড করে রাখা হয়েছে।
আলুবাহী ট্রাক চালক শাহাদৎ হোসেন জানান, তারা ভারতীয় ট্রাক থেকে আলু খালাস করে রংপুরে নিয়ে যাবেন। কিন্তু খালাস না হওয়ায় গরমে বন্দরেই ট্রাকে আলু পচতে শুরু করেছে। দ্রুত খালাস না হলে এগুলো আরও নষ্ট হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্তু কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। এসব আলু মান পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৬টি ট্রাকে ৩৭০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। আলুর চালানটি এখনও বন্দরে রয়েছে। দ্রুত ছাড়করণের জন্য আমদানিকারকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এআইঝিনাইদহে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে বিশেষ নামাজ সালাতুল ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা ইমাম পরিষদের উদ্যোগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৮টায় শহরের ওয়াজির আলী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে নামাজের আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে সকাল থেকেই মাঠে উপস্থিত হতে থাকেন সব শ্রেণি, বয়সের মুসল্লি। পরে নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।
নামাজে অংশ নেওয়া সাধরাণ মুসল্লিরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহসহ সারাদেশে বৃষ্টি নেই। তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আল্লাহ যেন বৃষ্টির মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে সবাইকে পরিত্রাণ করেন– এটাই প্রার্থনা।
ঝিনাইদহ ইমাম পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, যখন দীর্ঘদিন বৃষ্টি হতো না, তখন নবী করিম (স.) সাহাবাদের নিয়ে যে বিশেষ সালাত আদায় করতেন, তাকে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ বলে। ইসতিসকা মানে বৃষ্টি প্রার্থনা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
এআইটানা ১৩ দিনের তীব্র ও অতি তীব্র তাপদাহেরমাঝে চুয়াডাঙ্গায় অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বজ্রবৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চুয়াডাঙ্গায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে দমকা হাওয়া সহ বজ্র বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা স্থায়ী হয় এই ঝড় বৃষ্টি।
এসময় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার। তবে জায়গা ভেদে বৃষ্টির পরিমাণ কম বেশি হবে। একটানা ১৩ দিন তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহের পর মধ্য রাতের বৃষ্টি ও শীতল বাতাস জনমনে স্বস্তি আনে।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় স্থানীয় টাউন ফুটবল মাঠে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। এদিন জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
এআই
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জনসহ ১৩ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস- চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৫ জন, ভাইস- চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে ১৬১ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২১ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই হয় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল এবং ভোট গ্রহণ ২১মে।
চেয়ারম্যান পদে ৭জনের মধ্যে ৬ জনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ৪ নং নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এ.কে. এম ফয়জুল হক রোম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ৬ নং জয়পুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম শরিফুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুন্সী নজরুল ইসলাম (সাবেক নিবন্ধক- আই.জি.আর), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য শেখ সাজ্জাদ হোসেন মুন্না এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নড়াইল শাখার সভাপতি মো: তারিকুল ইসলাম উজ্জ্বল। চেয়ারম্যান পদে ৭ জনের মধ্যে একমাত্র আওয়ামী লীগ নেতা মো: আইয়ুব হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
অপরদিকে ভাইস-চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে মনোনয়ন বৈধ হয়েছেন ৩ জনের মধ্যে ২ জন। তারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, জেলা আওয়ামী মহিলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ইতি এবং মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মিসেস কনিকা ওছিউর।
ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে একমাত্র প্রার্থী পৌর মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মোছা: কাকলি বেগমের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২১০৭৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১০৫৭৮৫ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ১০৪৯৮৩ জন। এই উপজেলা ১২ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।
এআই
আগামী ৮ই মে প্রথম ধাপের ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের জন্য ঝিনাইদহ সদর ও কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনের প্রতিক বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় জেলা নির্বাচনঅফিসের সম্মেলণ কক্ষে জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মোখলেছুর রহমান বৈধ এ সকল প্রার্থীকে প্রতিক বরাদ্ধ দেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানাযায়, প্রথম ধাপের এ নির্বাচনে জেলা সদর থেকে ১৪ জন ও কালিগঞ্জ থেকে ১০ জন প্রার্থী ভিন্নভিন্ন প্রতিক উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন । ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন ১৮ জন এর মধ্যে যাচায় বাছায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার শেষে বৈধ প্রার্থী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন।
তারা হলেন চেয়ারম্যান পদে মোঃ নুর এ আলম (সদর থানা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক), মোঃ মিজানুর রহমান মাসুম (ঝিনাইদহ পৌর আওয়ামীলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি), গোলাম ছরওয়ার খাঁন (ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি), জে,এম রশীদুল আলম (ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক স্ধাারণ সম্পাদক)।
আরো জানাযায়, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে প্রতীক বরাদ্ধ পেয়েছেন এনামুল হক, মোঃ জাহিদ হাসান, মোঃ রতন মিয়া, মোঃ বাবু জোয়ার্দ্দার, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস ও মোঃ সোহাগ হোসেন সাগর । অন্যদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন আরতী দত্ত, মাহফুজা তাহের, পাপিয়া সমাদ্দার ও তৃতীয় লিঙ্গের বর্ষা খাতুন।
এর আগে সকল প্রার্থীদেরকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন নির্বাচন কর্মকর্তা। আজ দুপুর থেকে বৈধ প্রার্থীদেরকে প্রচারণার জন্য অনুমতিও প্রাদান করেন এ কর্মকর্তা।
এ সময় প্রার্থীরাও তাদের বক্তব্য প্রদান করেন । নির্বাচন চলাকালীন সময় আইনশৃঙ্খলা সুুষ্ঠ রাখা ও নির্বাচনি পরিবেশ যাতে স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়ে গুরুত্বআরোপ করা হয় ।
এআই
'সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে লিফলেট বিতরণ, র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় কুমিল্লা নগরীর নগর উদ্যানের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে থেকে র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এসে র্যালি সমাপ্তি হয়। এর আগে দিনটি উপলক্ষে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
পরে দিনটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাহমিদা মোস্তফার সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
কুমিল্লা সদর সার্কেল কামরান হোসেন ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুল আলম।
কুরআন তিলওয়াতের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়। পরে, শব্দ দূষণ রোধ ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন বক্তারা।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোসাব্বের হোসেন রাজিব। তিনি বলেন, বাংলাদেশে তিন ধরণের দূষণ বেশী হয়। সেগুলো হলো, পানি, বায়ু ও শব্দ। শব্দ দূষণের কারণে হৃদরোগসহ আরো অনেক রোগ ব্যাধি দেখা দেয়। এতে শিশুর মেধা বিকাশেও বাধা দেয়। তাই আমারা শব্দ দূষণ রোধে সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। ইতিমধ্যে, কুমিল্লা নগরীতে আমরা শব্দের মাত্রা জরিপ করে দেখেছি, কুমিল্লা নগরীর ৬ টি স্থানে শব্দ দূষণ বেশী হচ্ছে। তার মধ্যে, কান্দিরপাড়ে ৮২.১ ডেসিবেল, পুলিশ লাইনে ৭৯.৩ ডেসিবেল, শাসনগাছা ৯২.২ ডেসিবেল, টমসমব্রীজে ৮০.৮ ডেসিবেল, চকবাজারে ৮৬.৬ ডেসিবেল, জাঙ্গালিয়ায় ৭৮.৭ ডেসিবেল। যা স্বাভাবিক শ্রবণমাত্রা চাইতে অনেক বেশী। আমাদের দেহের স্বাভাবিক শ্রবণমাত্রা ৪৫-৬০ ডেসিবেল। তাই, শব্দ দূষণের মাত্রা কমাতে আমাদের পাশাপাশি সবাইকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
এসময়, আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ‘শব্দ দুষণ মানব দেহে মারত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। শব্দ মানব দেহের কান দিয়ে প্রবেশ করে মস্তিস্কে প্রবেশ করে। ফলে মানুষ বিশেষ করে শিশুরা বধির হয়ে পড়ে। যানবাহনের হর্ণ শব্দ দূষণের একটি অন্যতম মাধ্যম। তাই, বিআরটিএ'র উচিৎ একটা গাড়ি যখন লাইসেন্স নিতে আসবে তখন সেটা কোন হর্ণ ব্যবহার করছে সেটা দেখে লাইসেন্স দেওয়া। এছাড়াও, শব্দদূষণের ফলে মানুষের বহুমাত্রিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ হলো- মাথাব্যাথা, অনিদ্রা, কানে কম শোনা এবং আংশিক বা পুরোপুরি বধিরতা, মানসিক চাপ, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ, ক্ষুধামন্দা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর জন্ম হওয়া। জনস্বাস্থ্য ও সাধারণ মানুষের জীবনমানের ওপর শব্দের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে এবং সকলকে সচেতন হতে হবে।’
বাংলাদেশ বেতারের উপস্থাপক রুমানা রুমির উপস্থাপনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. এ কে এম আসাদুজ্জামান, জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি আবদুস সালাম, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন কুমিল্লা জেলার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম, সাপ্তাহিক অভিবাদন সম্পাদক আবুল হাসানাত বাবুল সহ বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এআই /জাহিদ হাসান নাইম
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী ঈদ স্পেশাল বিশেষ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় এ লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ওই বিশেষ ট্রেনটি রওয়া দেয়। সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় বিকটশব্দে ওই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
চট্টগ্রামে উদ্ধারকারী ট্রেনকে খবর দেয়া হয়েছে। ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেরামতের কাজ শেষ করলেই ওই রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে জানান ওই স্টোশন কর্মকতা মো. গোলাম রব্বানী।
এআই
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সৈয়দুল আমিন (৪৫) নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উখিয়ার ক্যাম্প-২ ডব্লিউ-এর ডি ব্লকে এই ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক ২ নং ক্যাম্পের এ/১১ ব্লকের আশরাফ আলীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন।
তিনি জানান, সৈয়দুল আমিন নামের এক রোহিঙ্গা যুবক বাড়ি ফেরার পথে ২ ক্যাম্পের ডব্লিউ-এর ডি ব্লকের মসজিদের পাশে তাকে গতিরোধ করে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা।
এ সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে সৈয়দুল আমিন ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ওসি আরো জানান, কী কারণে এ খুনের ঘটনা পুলিশ তা নিশ্চিত নয়। তবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারের জেরে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান শামীম হোসেন। তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এমআর
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার, সকল আসামীকে গ্রেফতার এবং হামলার নেতৃত্বদানকারী কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা, চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবিতে বিশাল মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় কক্সবাজার সাংবাদিক ফেডারেশন (সিএসএফ) ও সদর উপজেলা প্রেসক্লাব কক্সবাজার এবং কুতুবদিয়া কর্মরত সাংবাদিকদের যৌথ উদ্যােগে কক্সবাজার কোর্ট বিল্ডিং চত্বরে সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কক্সবাজার সাংবাদিক ফেডারেশন এর সভাপতি এবং দৈনিক একাত্তর পত্রিকার সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার এর সভাপতিত্বে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা হামলার ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করে বলেন, জড়িত সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আগামী একসপ্তাহের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ সহ দলের ন্যূন্যতম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার ও জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ সহ ঘটনায় জড়িত সকল আসামীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে দৈনিক সকালের কক্সবাজারের সম্পাদক ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন এর সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, ঘটনার পরে হামলার শিকার সাংবাদিক মিজানুর রহমান থানায় বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। গত রবিবার (২১ এপ্রিল) ভোরে পুলিশ প্রধান আসামি কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর ও তাঁর ভাই মোজাহিদুল ইসলাম সেলিমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তবে কোন এক অদৃশ্য কারণে ঘটনার মূল নায়ক আওরঙ্গজেব ও তার ভাই একদিনের মাথায় জামিনে জেল থেকে বের হয়ে আসেন। একের পর এক আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মী এবং সরকারি কর্মকর্তার উপর হামলা চালিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন আওরঙ্গজেব। সাবেক ফ্রীডম পার্টির নেতা আওরঙ্গজেবকে আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার ও জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোসহ জড়িত সকল আসামীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি। অন্যথায় আওয়ামী লীগের সুনাম ক্ষুন্ন হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল হক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ মফস্বল ইউনিয়ন সাংবাদিক (বিএমইউজে) এর কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল্লাহ, দৈনিক সকালের কক্সবাজার পত্রিকার সম্পাদক এবং কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, কক্সবাজার সাংবাদিক ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক সকালের কক্সবাজার এর নির্বাহী সম্পাদক মহসীন শেখ, সদর উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি ও কক্সবাজার সাংবাদিক ফেডারেশন এর সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ উল্লাহ নূরী, সী ওয়ার্ড টেরিটোরিয়াল নিউজের প্রধান নির্বাহী তৌহিদুল ইসলাম তোহা, সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম সিকদার, কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল এর ত্যাগী নেতা রেজাউল করিম ও কক্সবাজার সাংবাদিক ফেডারেশন এর উপ-দপ্তর সম্পাদক এ আর মোবারক হোছেন প্রমূখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক ইমাম খাইর ও জামাল হোসাইন, কক্সবাজার সাংবাদিক ফেডারেশন এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক গণসংযোগ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সংগঠনের নির্বাহী সদস্য শাহেদ মিজান, মিজানুর রহমান, জেলা প্রেস ক্লাব এর অর্থ সম্পাদক জাহেদ হোসেন, সাংবাদিক নাজমা সুলতানা রুমা, আব্দু শুক্কুর সহ-সভাপতি সদর উপজেলা প্রেস ক্লাব, ইয়াসিন আরাফাত, জিয়াউল হক জিয়া, রায়হান উদ্দিন, মোহাম্মদ নোমান, খোরশেদ আলম, সায়েক আহমেদ, ফরিদ মিয়া, আবসার কামাল, মিজানুর রহমান, ওসমান গনী ইলি, ফরিদ উদ্দিন, সরওয়ার হোসেন মানিক, মইন উদ্দিন মুরাদ, জলবায়ু ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা শান্ত নূর, ইমরান ও কায়ছার সিকদার প্রমূখ।
উল্লেখ্য, কুতুবদিয়া কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মলমচর এলাকায় একটি অসহায় পরিবারের সদস্যদের উপর হামলাসহ তাদের লাশের মাংস খুজে না পাওয়ার প্রকাশ্যে হুমকির একটি ভিডিও প্রচার করায় বাংলাদেশ প্রতিদিন ও এশিয়া টেলিভিশনের প্রতিনিধি মো. মিজানুর রহমানকে দিনদুপুরে পিটিয়ে হত্যাচেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা উদ্ধার করে কুতুবদিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে আঘাত গুরুতর হওয়ায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
এফএস
কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে কোস্টগার্ড সদস্যরা ইয়াবা ভর্তি একটি ইজিবাইকসহ এক মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে।
সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপে কর্মরত কোস্টগার্ড সদস্যরা গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী, দ্বীপের উত্তর পাড়া নতুন রাস্তা নামক এলাকায় মাদক বিরোধী একটি অভিযান অভিযান পরিচালনা করার সময় একটি ইজিবাইক গাড়ীর পিছনে ঝুলিয়ে রাখা মাছের ড্রামের ভিতর থেকে ৮০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এসময় মাদক পাচারে জড়িত ইজিবাইক চালক মাহাবুর রহমানকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত বৃক্তি শাহপরীরদ্বীপ ডাঙ্গর পাড়া এলাকার বাসিন্দা মো.ছৈয়দের পুত্র।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি (বিএন) সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা মাদক পাচার প্রতিরোধ করার জন্য উক্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় দায়িত্বরত কোস্টগার্ড সদস্যরা সদা জাগ্রত রয়েছে। তারেই ধারাবাহিকতায় টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ দায়িত্বরত সদস্যরা ৮০ হাজার ইয়াবাসহ একজন ইজিবাইক চালককে আটক করতে সক্ষম হয়।এসময় মাদক বহনে ব্যবহারে ইজিবাইকটিও জব্দ করা হয়। আটক মাদক পাচারকারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার জন্য টেকনাফ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এফএস
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মাদকাসক্ত ছেলের ধাক্কায় তপন সাহা (৫৫) নামে এক ব্যাবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার হামিদপুর সাহাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তপন সাহা ওই গ্রামের মৃত অনুদাস সাহার ছেলে। তিনি হামিদপুর বাজারের একজন মুদি ব্যাবসায়ী ছিলেন।
স্থানীয়রা জানায়, নিহতের ছেলে তন্ময় সাহা(২৫) একজন চিহ্নিত মাদকসেবি। মঙ্গলবার দুপুরে তার বাবা দোকান থেকে বাসায় আসে। এ সময় মাদক সেবনের জন্য বাবাকে চাপ দেয় ছেলে তন্ময়। বাবা টাকা দিতে গড়িমসি করলে সে তার বাবাকে কিলঘুসি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তার বাবা ঘরের মেঝেতেই লুটিয়ে পড়ে সাথে সাথেই মারা যান।
তবে তার পরিবার বলছে, তিনি আগে থেকেই অসুস্থ ও হার্টের রোগী ছিলেন। তবে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি মহল অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া( পিপিএম) জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করা হয়নি।
এআই
টাঙ্গাইল-বাসাইল সড়কে নথখোলা ব্রিজের কাছে একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে পানির গিজারের ভেতর অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৪৯ কেজি গাঁজাসহ চার বিক্রেতাকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র্যাব-১৪)।
মঙ্গলবার(২৩ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-১৪ প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আটককৃতরা হচ্ছেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার কালাচরা গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মো. ডালিম (৩০), একই গ্রামের মো. মিয়া চাঁনের ছেলে মো. নাঈম(২৩), একই উপজেলার সেজামুড়া গ্রামের মো. তোতা মিয়ার ছেলে রফিকুল ইসলাম(২৬) এবং প্রাইভেটকার চালক কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের রশিদাবাদ গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে হৃদয় মিয়া(২৪)।
র্যাব-১৪ প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল বাছেদের নেতৃত্বে র্যাবের একটি চৌকষ দল গোপণে খবর পেয়ে সোমবার দিনগত রাত ৭টার দিকে বাসাইল উপজেলার নথখোলা আঞ্চলিক সড়কে অভিযান চালায়। অভিযানকালে একটি প্রাইভেটকার(নং- ঢাকা মেট্রো-গ ৩১-০২০১) তল্লাশি করে অভিনব কায়দায় পানির গিজারের ভেতর লুকিয়ে রাখা ৪৯ কেজি গাঁজা, ৪টি পানির গিজার, ১০টি প্লাস্টিকের পাইপ, চারটি মোবাইল ও নগদ এক হাজার তিনশ’ টাকা সহ উল্লেখিত চার যুবককে আটক করা হয়।
র্যাব-১৪ আরও জানায়, আটককৃতদের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের পূর্বক বাসাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এআই
টাঙ্গাইলে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে মৃদু থেকে মাঝারি এবং কোথাও কোথাও তীব্র মাত্রার তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কাঠফাঁটা রোদে কৃষকরা ফসলের মাঠে কাজ করতে পারছেনা। বৈশাখের ভ্যাপসা গরমে বয়স্ক ও শিশুদের অস্বস্তি চরমে উঠেছে।
বিভিন্ন ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াজনিত বিভিন্ন রোগবালাইয়ে আক্রান্তরা হাসপাতালে ভিড় করছেন। তীব্র দাবদাহের কারণে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু ও বয়স্ক রোগীর চাপ ক্রমাগত বাড়ছে। তাদের বেশির ভাগ রোগীই ডায়রিয়া ও পেটের পীড়ায় আক্রান্ত। প্রতিদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। তাদের সামলাতে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। শুধুমাত্র ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত ১২ দিনে এক হাজার ৫৩৯ রোগী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন- অতিরিক্ত গরমে শিশুরা পেটের সমস্যা, ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস ও অ্যালার্জিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভির করছে। ডায়াবেটিস, ক্যানসার, কিডনি রোগী ও বয়স্কদের হিট স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ, শরীর জ্বালা-পোড়া, পেটের পীড়া, ডায়রিয়া, ত্বকের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি ও মাথাব্যথাসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, কয়েক দিন ধরে হাসপাতালগুলোতে রোগীর ভিড় বাড়ছে। শিশুদের হঠাৎ জ্বর, গরমজনিত ঠান্ডা, পানিশূন্যতা, দুর্বলতা, হাম, মাম্পস, পেটব্যথা, বমির মতো উপসর্গ নিয়ে অভিভাবকরা হাসপাতালে আসছেন।
এছাড়া অনেক শিশু ডায়রিয়া জনিত অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানান, অসহনীয় গরম এবং অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরে পানিশূন্যতাদেখা দিচ্ছে। আবার বাতাসের আদ্রতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম হওয়ায় তাপপ্রবাহের মধ্যে ঠোঁট শুকিয়ে ও ফেঁটে যায়। তীব্র গরমে শিশু, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, রিকশাচালক, কৃষক ও নির্মাণ শ্রমিকদের মতো শ্রমজীবী, স্থুলকায় ব্যক্তি এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ, বিশেষ করে যাদের হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন ব্যক্তিরা হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
চিকিৎসকরা আরও জানান, প্রচ- গরম থেকে রক্ষা পেতে পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরা, বাড়ির বাইরে থাকার সময় সরাসরি রোদ এড়িয়ে চলা এবং শরীরে পানিশূন্যতা এড়াতে অতিরিক্ত পানি ও শরবত পান করা প্রয়োজন। স্যালাইন পানিতে থাকা সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও চিনি শরীর সজীব রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর।
গ্রীষ্মকালীন ফলের তাজা জুস পান করা, মাংস এড়িয়ে বেশি করে খেতে হবে ফল ও সবজি। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
এদিকে, টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক জামাল হোসাইন জানান, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার(২২ এপ্রিল) এর মাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মূলত বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। এরপর ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
এফএস
মানিকগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে সাটুরিয়া উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ে নারী উন্নয়ন প্রচার প্রকল্পের আওতায় মহিলা সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় সাটুরিয়া উপজেলার পরিষদের হল রুমে এর আয়োজন করা হয়।
জেলা তথ্য অফিসার মোহাম্মদ নূর হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শান্তা রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সাটুরিয়া।
এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৫টি বিশেষ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ সময় বক্তৃতারা মাদক , বাল্যবিবাহ, সন্ত্রাস প্রতিরোধ, সরকারের বৃহৎ প্রকল্পসমূহ, তথ্য প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার,সর্বজনীন পেনশন স্কিম, জেন্ডার সমতা, বিগত ১৫ বছরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যসমূহ সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি তথ্য অফিসার, মোহাম্মদ নূর হোসেন বলেন, আমাদের দেশে বর্তমানে আবহাওয়া প্রচুর গরম যাচ্ছে, যে কারণে বিভিন্ন রোগ ব্যধি, হিট-স্ট্রোক দেখা দিচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েক জেলায় মানুষ মারা গিয়েছে। তাই আমাদের উচিৎ খুব জরুরী না হলে বাইরে না যাওয়া, বেশি করে পানি পান করা, তরল জাতীয় খাবার খাওয়া, ছায়া যুক্ত স্থানে অবস্থান করা।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে সচেতনতা আমার সবচেয়ে জরুরী বিষয়। তথ্য অফিস আপনাদের পাশে সব সময় আছে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব বজলুর রশিদ আকন্দ, জেল সুপার, জেলা কারাগার,মানিকগঞ্জ।
এছাড়াও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং শতাধিক নারী উপস্থিত ছিলেন।
এফএস
প্রথম দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় তিন জনই বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে।
সোমবার তিন পদে অন্য সব প্রার্থী প্রার্থীতা প্রত্যাহার করায় বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় তিন প্রার্থী বিজয়ের পথে রয়েছেন। এছাড়া একই দফায় মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলায় সব পদেই প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ডাঃ মো. সেলিম মিয়া ও ফাহিমা আক্তার নামে ২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এদের মধ্যে ফাহিমা আক্তার সোমবার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএম আতাউর রহমান (আতাহার) ও মো. মনিরুজ্জামান মনির মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও মো. মনিরুজ্জামান মনির প্রার্থিত প্রত্যাহার করেছেন। ফলে বিএম আতাউর রহমান (আতাহার) একক প্রার্থী হওয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ের পথে। একইভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আয়শা সিদ্দিকা ও শিফাতুন হক অহনা দুই জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও শিফাতুন হক অহনা প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে এই পদেও আয়শা সিদ্দিকা বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে।
এব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আহমেদ আলী বলেন, ‘শেষ দিনে শিবচর উপজেলায় ৩জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। যে কারণে তিন পদে তিন জন প্রার্থী থাকায় ভোট গ্রহণ হবে না। তিন জনই বিজয়ের পথে। তবে এখনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়া না গেলেও তারাই মূলত নির্বাচিত। অন্য দুটি উপজেলায় প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সব ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যেন স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নির্বাচন হয়, সেদিকে আমাদের নজর আছে।’
এমআর
বরগুনা পাথরঘাটায় দুই পা ও এক হাত হীন প্রতিবন্ধী শিশু সুলতানা পারভীন (৩) সকলের সহযোগিতা নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়। ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে দিনমজুর সুলতানের ঘরে ও মা খাদিজার কোলে জন্মনেয় ফুটফুটে শিশু সুলতানা পারভীন।
প্রথম সন্তান সুমনের জন্ম নেয়ার ১৭ বছর পর জন্মনেয় সুলতানা। সুমন বাবার আর্থিক সচ্ছলতা না থাকার কারণে স্বল্প বয়সে দিনমজুরের কাজ করতে হয়। ৪ জনের সংসারে এক ছেলে ও প্রতিবন্ধী মেয়ে সুলতানা কে নিয়ে অভাবে কাটে তাদের সংসার। অভাব অনটনের ঘরে জন্ম নিলে ও সুলতানা কে নিয়ে মা-বাবার অনেক স্বপ্ন। স্বপ্ন থাকা সত্ত্বেও অভাব অনটনের কাছে স্বপ্ন থমকে যাচ্ছে তাদের।
প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সুলতানার জন্ম থেকেই সকলে খোঁজ রাখছেন প্রতিবেশীরা । তার মা তাকে নিয়ে খুব কষ্ট করছেন এবং দু:শ্চিন্তায় দিন পার করছেন। পরিবারটি খুব গরিব হওয়ায় আমরা যে যখন পারছি তাকে সহযোগীতা করছি। সুলতানার মায়ের কষ্ট দেখে প্রতিবেশীদেরও খুব কষ্ট হয়। এই মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় রয়েছে বলেও জানান তিনি।
সুলতানার মা কান্না চোখে বলেন,আমি অন্যের বাড়ি কাজ করে সংসার চালাই। সুলতানা মাঝে মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়ে ওরে কোন ভালো ডাক্তার দেখাতে পারি না ওষুধও কিনতে পারিনা। আমরা গরিব আমাদের যদি কেউ আর্থিক সহায়তা করত তাহলে আমার শিশুটাকে কৃত্রিম হাত পা লাগাতে পারতাম। আমার শিশুটা অন্য সকল শিশুদের সাথে হাঁটাচলা ও খেলা করতে পারত। এই স্বপ্নটা মনে হয় আমার স্বপ্নই থেকে যাবে।
সুলতানার বাবা বলেন, আমার মেয়েটা হাত-পা ছাড়াই জন্ম নিয়েছে। আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালায় আমি চাই মেয়েকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে যে কোন একটি চাকুরী দিতে পারলে অন্য কারো উপর নির্ভরশীল হতে হবে না। আমার মেয়েটার লেখাপড়ার করানোর জন্য অর্থের প্রয়োজন। আপনারা যদি আমাকে একটু আর্থিক সহযোগিতা করেন তাহলে আমার মেয়েটার আগামী দিন গুলো নিয়ে চিন্তা করতে হত না। আমাদের সহযোগিতা করার বিকাশ নাম্বার- 01718374233
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, আমি সমাজসেবা অফিসারের সাথে কথা বলে প্রতিবন্ধী সুলতানার খোঁজ নিচ্ছি। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্য তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ভাতা ব্যাবস্থা করা হলে । উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষথেকে সকল প্রকার সহযোগিতা তার জন্য থাকবে।
এআই
বরগুনার পাথরঘাটায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টকার্ড অভিযান চালিয়ে হরিণের মাংস উদ্ধার করে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে চরলাঠিমারা তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় হরিণের ৪টি পাসহ ২৫ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করে।
পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার শাকিব মেহবুব বলেন, মাংস উদ্ধার কালে কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে হরিণের মাংস পাচারকারীরা পালিয়ে য়ায় তাই কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে জব্দকৃত হরিণের মাংস পাথরঘাটা বন বিভাগের নিকট হস্থান্তর করা হয়।
এআই
বরগুনায় বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ গত ২৪ ঘন্টায় ৮৩ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বরগুনা সদর হাসপাতালসহ ও ছয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। ডায়রিয়া আকান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকেরা। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না এসে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকদের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বরগুনা সিভিল সার্জন কাযালয় সূত্রে জানা গেছে,গত ২৪ ঘন্টায় বরগুনায় ৮৩ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালসহ জেলা ছয় স্বাস্থ্য কমল্পেক্স ভর্তি হয়েছে।
এরমধ্যে আমতলীতে১৭জন তালতলীতে ৬ জন,পাথরঘাটায় ৬ জন,বামনায় ৩ জন,বেতাগীতে ৬ জন।গত এক সপ্তাহে জেলায় ৭৬২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। চলতি মাসে গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) পর্যন্ত বরগুনা সদর হাসপাতালে ৯২৭ জন আকান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে বরগুনা সদর হাসপাতালে গতকাল ৪৫ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। এসব রোগীদের সেবা দিতে চিকিৎসকদের বেগ পেতে হচ্ছে । গত মাসে এই ৫৪৬ জন ডায়রিয়ার রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। হাসপাতাল কতৃপর্ক্ষ জানিয়েছেন হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমান কলেরা ও খাবার স্যালাইন রয়েছে।
বরগুনা সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক একেএম নজমুল আহসান বলেন, হঠাৎ করে ডায়রিয়া প্রকোপ দেখা দিয়েছেন।অনেক রোগী আমরা সামাল দিতে পারছি না। আমাদের চিকিৎসকরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।এই সময় ডায়রিয়া রোগ বেড়ে যায়।বর্ষা শুরু হলে ডায়রিয়া রোগ কমে যাবে।
সরেজমিনে বরগুনা সদর হাসপাতালে ঘুরে দেখা গেছে,শিশু ও বয়স্ক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শয্যাসংকটের কারণে হাসপাতালের মেঝে ও করিডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালে রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। তবে হাসপাতালের নোংরা পরিবেশে দুগন্ধ ছাড়াচ্ছে।
তালতলী কড়ইবাড়িয়া এলাকা থেকে মোসা লিজা বেগম জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত মেয়েকে নিয়ে শনিবার সকালে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করিয়াছেন। তিনি বলেন এই হাসপাতালে শুধু আইভি স্যালাইন দিয়ে থাকে।বাকি ঔষুধ বাহির থেকে কিনে চিকিৎসা করাতে হয়।তাছাড়া এই হাসপাতালে কোনো শয্যা নেই।মেঝেতে বিছানা করে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।
বরগুনা সদর উপজেলা জাকিরতবক এলাকা আবদুল্লা ডায়রিয়ার আক্রান্ত হয়ে রোববার সকারে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।চিকিৎসা সেবা ভালো হলেও হাসপাতালের পরিবেশ খুব নোংরা। এতে সূস্থ্ মানুষ ও অসুস্থ হয়ে যায়।
সিভিল সার্জন প্রদীপ চন্দ্র মন্ডল বলেন, বরগুনায় ডায়রিয়া প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তন ও ময়লা যুক্ত পানি পান করা সহ নানা কারণে ডায়রিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। আমাদের পযাপ্ত পরিমান ঔষুধ রয়েছে।
এমআর
পটুয়াখালীর বাউফলে হিট স্ট্রোকে মোহাম্মদ শাহ-আলম (৫০) নামের একজন পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তিনি পুলিশের ঢাকা গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) কর্মরত ছিলেন।
জানা গেছে, গত শনিবার (২০ এপ্রিল) তিনি ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বাউফলে আসেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় তাকে বাউফল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে তাকে বরিশালে পাঠানো হয়৷ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
নিহতের মেয়ে শিমু আক্তার জানান, তিনি হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন বলে তাদের জানিয়েছেন ডাক্তার।
এ বিষয়ে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, তিনি শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশালে পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি।
এআই
বরগুনার আমতলীতে অজিতুন নেছা (৬০) নামে এক নারীর হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাতে উপজেলার চাওড়া চালিতাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আমজেদ প্যাদার স্ত্রী অজিতুন নেছা অতিরিক্ত গরমে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। পরে স্বজনরা তাকে দ্রুত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. চিম্ময় হালদার বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে।
এআই
নেত্রকোনার মদনে ভেকু বহকারি ট্রাকের ধাক্কায় লেগে রকি মিয়া(২১) নামের এক ডেকোরেটর শ্রমিক নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ২টার দিকে মদন-খালিয়াজুরী সড়কে পৌরসভার মদন সাইনবোর্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তর জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত রকি জেলার আটপাড়া উপজেলার বাউসা গ্রামের সোনা মিয়া ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রকি মদন উপজেলার রফিক নামক একটি ডেকোরেটর দোকানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো। মঙ্গলবার রাতে ডেকোরেটর মালিক রফিক মিয়া মোটরসাইকেল কুলিয়াটি থেকে মদন নিয়ে আসছিল। পথে মদন-খালিয়াজুরী সড়কের মদন পৌরসভার সাইনবোর্ড এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা ভেকু বহনকারী একটি ট্রাকের সাথে (লবেট) রকি বারি খায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক থাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মদন থানায় রাখা হয়। বুধবার সকালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে ঘাতক ট্রাক চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আটকৃত ট্রাক চালকের নাম বিজয়।
মদন থানার ওসি তদন্ত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, মঙ্গলবার রাতে রকি নামে এক ব্যক্তি ট্রাক থাকা ভেকু সাথে বারি লেগে নিহত হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এআই
ময়মনসিংহে রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ২ রিকশাযাত্রী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে এক শিশু।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বিদ্যাময়ী রেলক্রসিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নাজমুল হক খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার পথে বিদ্যাময়ী রেলক্রসিং রেললাইনে উঠে পড়া রিকশাটিকে ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মাারা যান। এ ঘটনায় আহত হয় এক শিশু।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করছে। পরে আরও বিস্তারিত বলা যাবে।
এমআর
এক পা দু’পা করে স্বপ্নপূরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন শেরপুরের নারী ফুটবলার ভাবনা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে ওঠে আসা কিশোরী ভাবনা এখন নাম লিখিয়েছে দেশের নারী ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে।
বাংলাদেশ ওমেন্স ফুটবল লীগে জামালপুর কাচারীপাড়া ফুটবল একাদশের রেজিস্টার্ড খেয়োয়াড় হয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় রয়েছেন ভাবনা।শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পল্লীর বাসিন্দা এক ডেকোরেটর কর্মীর মেয়ে এই ভাবনা।
প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই তার ফুটবলে হাতেখড়ি। মেয়ে খেলাধুলায় আগ্রহী হওয়ায় তাকে বাধা দেননি তার বাবা-মা। পাড়া-প্রতিবেশীরা বাঁকা চোখে দেখলেও তাকে ভ্রুক্ষেপ করেননি। বরং তারা মেয়ে ভাবনার ভবিষ্যৎ ফুটবল ভাবনায় সবসময় সহযোগী হয়েছেন।
কয়েক বছর আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে শেরপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে খেলার সময় ভাবনা নজর কাড়েন স্থানীয় ফুটবল অনুরাগীদের। মানিক ফুটবল একাডেমির প্রধান কোচ গোলাম শাহরিয়ার রবীন ভাবনাকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেন।
তাকে তার একাডেমিতে বিনা বেতনে প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেন। সেই থেকে শুরু আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রতিদিন অটোরিকশায় করে গ্রাম থেকে শেরপুর শহরে এসে স্টেডিয়ামে ছেলেদের সঙ্গে মানিক ফুটবল একাডেমিতে অনুশীলন ও কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকেন। তার অধ্যবসায় এবং অনুশীলন সবাইকে চমৎকৃত করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার খেলায় পরিপক্কতার ছাপ পরিলক্ষিত হয়।
মানিক ফুটবল একাডেমির কর্ণধার ও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানিক দত্ত ভাবনার ফুটবল প্রতিাভায় মুগ্ধ হয়ে তাকে শেরপুর জেলা নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক নির্বাচিত করে তার বড় ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন সারথী হন। নানাভাবে অনুপ্রেরণা যোগাতে থাকেন।
মেয়ে বিভিন্ন জায়গাতে খেলতে যাওয়া এবং জেলা দলে সুযোগ পাওয়া, অধিনায়ক হওয়ায় বাবা-মার মনেও অন্যরকম ভালো লাগা অনুভূত হতে থাকে। তারা মেয়েকে ফুটবল খেলতে আরও উৎসাহিত করতে থাকেন। নিয়মিত একাডেমিতে পাঠান। ভাবনাও নিজেকে বড় ফুটবলার হিসেবে গড়ে তুলতে নতুন নতুন স্বপ্ন বুনতে থাকেন।
ভাবনা বলেন, বাংলাদেশ ওমেন্স ফুটবল লীগে দল পাওয়ায় আমি দারুণ খুশী। এটা দেশের নারী ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়। এটা আমার জন্য, নিজেকে প্রমাণ করার জন্য বড় সুযোগ। আমি মাঠে নামার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি। ক্লাব যদি আমাকে পর্যাপ্ত সময় মাঠে খেলায়, তাহলে নিজের সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, কোচ রবীন ভাইর (গোলাম শাহরিয়ার রবীন) অনুপ্রেরণা, সাহস জোগানো ও শাসনের জন্য আমি আমার স্বপ্ন পূরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তার জন্যই আমার নারী ফুটবল লীগে খেলার সুযোগ হয়েছে। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
নিজের স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে ভাবনা জানায়, আমার স্বপ্ন একদিন জাতীয় নারী ফুটবল দলের হয়ে খেলার। আমাদের জেলার জ্যোতি আপা (নিগার সুলতানা জ্যোতি) বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। আমিও স্বপ্ন দেখি, তার মতো একদিন ফুটবলেও আমার দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার। আমি নিজেকে একজন বড় ফুটবলার হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চাই।
ভাবনার বাবা বলেন, মাইনষে অনেকে অনেক কথা বলেছে, আমি কোনো কথায় কান দেই নাই। মেয়ে যখন ফুটবল খেলবার চায়, আমি তারে বাধা দেই নাই। যহন আমার মেয়েরে স্যারেরা খেলবার নেয়, তহন আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমি চাই মেয়ে আমার আরও আগাই যাক। ওর জন্য আমি সবার কাছে দোয়া চাই।
মানিক ফুটবল একাডেমির প্রধান কোচ গোলাম শাহরিয়ার রবীন বলেন, ভাবনা অনেক পরিশ্রমী, স্কিলফুল এবং স্বপ্নবাজ। পরিবারও তার পাশে থাকার কারণে ফুটবলকে ভালোবাসে ফুটবলার হিসেবে বেড়ে ওঠার পথ সুগম হয়েছে। ওমেন্স লীগে খেলার সুযাগ হওয়ায় ভাবনার ফুটবল জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের শুরু হতে যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস সে ভালো করবে। তার জন্য শুভকামনা রইলো।
শেরপুর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মানিক দত্ত বলেন, ভাবনা আমাদের শেরপুর জেলা নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক। সে এখন পেশাদার নারী ফুটবলে খেলতে যাচ্ছে, এটা আমাদের জন্য গর্বের। আমাদের জেলা থেকে সে-ই প্রথম দেশের শীর্ষ ফুটবল আসরে খেলার এমন সুযোগ পেয়েছে। তার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।
এমআর
প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী দুই উপজেলা দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় আজ থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। এর আগে বেলা ১২টায় জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা।
এদিকে প্রতীক পাওয়ার পরপরই প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। এর আগে সকাল থেকেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভীড় করতে থাকেন উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সমর্থকরা।
প্রথম দাফের এই নির্বাচনে শুরু হওয়া প্রচার-প্রচারণা শেষ হবে আগামী ৬ই মে। আর ৮ই মে সারাদিন ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে সাতজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নাজমুল হাসান নীরা (মোটরসাইকেল), পারভিন আক্তার (ঘোড়া), ফারুক আহমেদ (হেলিকপ্টার), মোঃ আব্দুল্লাহ হক (আনারস), মোহাম্মদ কামাল পাশা (কাপ পিরিচ), মোঃ নুরুল হুদা (দোয়াত কলম), সাজ্জাদুর রহমান (কই মাছ)।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুল কাইয়ুম খান (উড়োজাহাজ), গোলাম ফাহমী ভূঁঞা (তালা), ছায়েদুল রহমান (টিউবওয়েল)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাকিয়া সুলতানা জবা (ফুটবল), তহুরা বেগম (কলস), শারমিন আক্তার (হাঁস) প্রতীক পেয়েছেন।
এছাড়া কলমাকান্দা উপজেলায় পরিষদ চেয়ারম্যান পদে সাতজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আরো দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এরমধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে আব্দুল কদ্দুছ (দোয়াত কলম), মোস্তাফিজুর রহমান (ঘোড়া), মো ফজলুল হক (আনারস), মো মাহতাব উদ্দিন (মোটরসাইকেল), রফিক উদ্দিন খোকন (কই মাছ), শাহ জাহাঙ্গীর কবির (হেলিকপ্টার), শাহীন মিয়া (টেলিফোন)।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে অলি আহমেদ (তালা), হাবিবুর রহমান (চশমা) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কুমকুম নকরেক (ফুটবল), মোছা রুনা আক্তার (কলস)।
গত ১৫ই এপ্রিল অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন প্রার্থীরা। ১৭ই এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই ও ২২ই এপ্রিল প্রত্যাহারের শেষ দিনে দুর্গাপুর একজন ও কলমাকান্দায় তিন প্রার্থী মনোনয়ন তুলে নেন।
সীমান্তবর্তী দুই উপজেলার মধ্যে দুর্গাপুরে মোট ভোটার ১ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯৬ জন, নারী ভোটার ৯৮ হাজার ৭৭৩ জন, হিজড়া ১ জন। অপরদিকে কলমাকান্দায় মোট ভোটার ২ লাখ ২৫ হাজার ১২৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৭ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৯ হাজার ৭৫ জন, হিজড়া ৩ জন।
এমআর
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে গোলাম রাব্বানী (৪৮) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। নিহত রব্বানী উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের পশ্চিম গিলাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। তিনি গুঠাইল বাজারে মরিচের ব্যবসা করতেন। ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এ এম আবু তাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নিজ বাড়িতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী গোলাম রাব্বানী। পরে তাকে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এ এম আবু তাহের বলেন, ওই ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা ধারণা করছি অতিরিক্ত গরমের কারণেই উনার মৃত্যু হয়েছে।
এমআর
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি'র তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ (৬১ বিজিবি) প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ বিজিবি ক্যাম্পে ওই মাদকদ্রব্য ধ্বংকরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে বিজিবি।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন সিমান্ত থেকে মালিকবিহীন মাদকদ্রব্য আটক করা ভারতীয় মদ-১৪৭৯ বোতল, মদ-৪৩৮ জুস প্যাকেট, লোকাল মদ-৪৬.৫০০লিটার, ইস্কাপ সিরাপ-১০৪৭ বোতল, গাঁজা-৭৫.২৫০ কেজি, ফেন্সিডিল-৪৫৯৭ বোতল, কডিসেফ সিরাপ-১১৬ বোতল, এ্যামোডিটাস সিরাপ-১২৬ বোতল, ইয়াবা ট্যাবলেট-৭৮০ পিস, ডি কফ সিরাপ-৫০ বোতল, সিগারেট-৩২৫পিস ও ভারতীয় ট্যাপেন্ডাডল ট্যাবলেট-৭৮০ পিস ধ্বংস করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য সাতান্ন লক্ষ আটাশি হাজার দুইশত পঞ্চাশ টাকা।
মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথীর বক্তব্যে রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শফিকুজ্জামান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দেশের সিমান্ত রক্ষার পাশাপাশি মাদক প্রতিরোধে রাত-দিন অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তিনি আরও বলেন, মাদক নির্মুলে তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ সিমান্ত এলাকা গুলোতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক মাইকিং, সভা,সেমিনার, আলোচনা করে আসছে। মাদককে জিরো টলারেন্স আনতে হলে সকলকে সচেতন হতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মামুনুর রশিদ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গনমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এআই
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের দারিদ্র বিমোচন ঋণ কর্মসূচীর পরিবার ভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের প্রায় দেড় কোটি টাকা অনিয়ম করে আত্নসাতের চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে দফায় দফায় তদন্ত অনুষ্ঠিত হলেও এ অনিয়মের সাথে কে বা কাহারা জড়িত তা এখনো অজানাই রয়ে গেছে। ফলে আবারও ৫ সদস্য বিশিষ্ট অভ্যন্তরীণ অডিট টিম গঠন করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য অফিস আদেশ জারি হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের দারিদ্র বিমোচন ঋণ কর্মসূচীর পরিবারভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের আওতায় ৪৮০ কেন্দ্রে কয়েক কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। প্রথম প্রথম ভালো চললেও ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটির ঋণ কর্মসূচী মূখ থুবরে পরে। এই সুযোগে এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তারা কৌশলে বেশীর ভাগ কেন্দ্রে ভুয়া তালিকা প্রনয়ন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। কর্মচারীদের একাংশ বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও দুনীতিবাজদের ঘাটি শক্ত হওয়ায় তা চাপা পড়ে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন পর প্রতিষ্ঠানটির প্রায় দেড় কোটি টাকা অনিয়মের মাধ্যমে আত্নসাতের বিষয়টি অভিযোগ আকারে উত্থাপিত হয়।
গত ৩১ মার্চ ২০২৪ ইং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের দারিদ্র বিমোচন ঋণ কর্মসূচীর পরিচালক এ কে এম মফিজুল ইসলাম সাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে নতুন করে ৫ সদস্য অডিট টিম গঠন করা হয়েছে। অফিস আদেশে বলা হয়েছে, পরিবারভিত্তিক ঋণ কার্যক্রমের দৈনিক আদায় রেজিষ্টারে গরমিল, ঋণের মাষ্টার রেজিষ্টারের পরিবর্তে ডুপ্লিকেট রেজিষ্টার তৈরি করণ, ঋণীগ্রহীতাদের ব্যক্তিগত ঋণের আবেদন নথি না থাকা সহ ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রধান কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, উপজেলাটির পরিবারভিত্তিক কর্মসূচিতে ১ কোটি ২৯ লাখ ৬৩ হাজার টাকা খেলাপী রয়েছে।
সরেজমিনে ৪৬৭ নং কেন্দ্রে গিয়ে জানা যায়, কেন্দ্রটিতে প্রথম দফায় ৪৫ জন সদস্যের জনপ্রতি ৭ হাজার টাকা করে ঋণ অনুমোদিত হলেও ১১/০৭/২০০৫ তারিখে ঋণের চেক প্রদান করা হয় ৩০ জনকে। অন্যদিকে একই স্মারক ব্যবহার করে অপর একটি ৪৬৭ নং কেন্দ্র গঠন করে ৪৫ জন সদস্যের নামে জনপ্রতি আবারও ৭ হাজার টাকা করে ঋণ বিতরণ দেখানো হয়। এরপর ২৮/০৫/২০২৪ ইং তারিখ দ্বিতীয দফায় একই স্মারক ব্যবহার করে দুইটি কেন্দ্রের একটিতে ৪৫ জন এবং অপরটিতে ৩২ জন সদস্যের মাঝে জনপ্রতি ৮ হাজার টাকার চেক বিতরণ দেখানো হয়। যাহা ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র প্রধানসহ অন্যান্য সদস্যরা কিছুই জানেন না। চার দফায় ওই কেন্দ্রটি থেকে ওই অসাধু চক্রটি ১২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা উত্তোলন করলেও ৩০ জন সদস্য শুধুমাত্র এক দফায় জনপ্রতি ৭ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ ১০ হাজার টাকা ঋণ প্রাপ্ত হন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সদস্য জানান, প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে নামে বেনামে ঋণ অনুমোদন করে চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে যার পরিমান দাড়িয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা।
৪৬৭ নং কেন্দ্রের কেন্দ্র প্রধান মজিবর রহমান বলেন, আমিসহ আমার কেন্দ্রের ৩০ জন সদস্য গ্রুপ এ্যানিমেটর সেহাব স্যারের মাধ্যমে একবার জনপ্রতি ৭ হাজার টাকা করে ঋণ উত্তোলন করি। পরবর্তীতে আমরা আর কোন ঋণ গ্রহন করি নাই। সদস্যরা তাদের ঋণের টাকা যথা সময়ে পরিশোধ করেছেন।
এ বিষয়ে তৎকালীন গ্রুপ এ্যানিমেটর সেহাব উদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে তৎকালীন অপর এক গ্রুপ এ্যানিমেটর ও বর্তমানে রাজারহাট উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল আনোয়ারী জানান, আমি সে সময় চন্দ্রখানা শাখায় কর্মরত ছিলাম। এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রধান কার্যালয় থেকে তদন্ত টিম গঠন হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ললিত মোহন রায় জানান, ডুপ্লিকেট রেজিষ্টার তৈরী করে ঋণ উত্তোলনের ঘটনাটি আমিও শুনেছি। এখন প্রধান কার্যালয় থেকে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এক দফা অডিট টিম তদন্ত করেছে। আবারও কয়েক দিনের মধ্যে ৫ সদস্য বিশিষ্ট অভ্যন্তরীণ অডিট টিমতদন্ত হলে সবকিছু বেরিয়ে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।
পিএম
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে নামসর্বস্ব সংগঠনের সাইনবোর্ড বসিয়ে সরকারি খাল দখলের অভিযোগ উঠেছে।
খালটি উদ্ধারে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট গণস্বাক্ষরসহ লিখিত অভিযোগ করেন খাল সংলগ্ন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। উপজেলা প্রাণী সম্পদ দফতরের বিপরীত দিকে সরকারি খালের উপর বাঁশের ঘেরা দিয়ে সাইনবোর্ড বসিয়েছে দেবীগঞ্জ উপজেলা ডেকোরেশন মালিক সমিতি, দেবীগঞ্জ উপজেলা মাইক ব্যবসায়ী সমিতি, সমাজসেবা ও মাদকবিরোধী সংগঠন, মুন্সিপাড়া বয়েজ ক্লাব নামক সংগঠনসহ আরও বেশ কয়েকটি সংগঠন।
স্থানীয়রা জানায়, বাজারের মূল ড্রেনেজ ব্যবস্থার একটি অংশ খালটিতে এসে যুক্ত হয়েছে। এতে করে বাজারের বড় একটি অংশের পাশাপাশি বাজার সংলগ্ন আবাসিক এলাকার দৈন্দিন ব্যবহৃত পানিও খালে আসে। বর্ষার মৌসুমে বাড়তি পানির বেশির ভাগ অংশ এই খালে এসে পড়ায় জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই মিলে।
খালটি এভাবে দখল হয়ে গেলে অদূর ভবিষ্যতে দুর্ভোগ পোহাতে হবে আশপাশের বাসিন্দাদের। সেই সাথে খালের পাশের সড়কটি ব্যবহার করে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যায়। এখানে এমন নাম সর্বস্ব সংগঠনগুলো তাদের অফিস গড়ে তুললে বখাটেদের আড্ডা যেমন বাড়বে তেমনি ইভটিজিংয়ের ঘটনাও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
মোছাঃ খালেদা বেগম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এইটা সরকারি জায়গা। এত বছর ধরে খালি ছিলো। ঈদের পর থেকে রাতারাতি বাঁশের খুঁটি, পিলার, সাইনবোর্ড বসিয়ে দখল করার চেষ্টা করছে। কারা করছে তা জানি না, রাতারাতি সব কিছু হচ্ছে।
মোঃ রুহুল আমিন নামে এক বাসিন্দা বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে খালটি রয়েছে। মুন্সিপাড়াসহ দেবীগঞ্জ বাজারের বৃষ্টির পানি এখানে এসে পতিত হয়। এভাবে খালটি দখল করা হলে বর্ষা মৌসুমে আমারা জলাবদ্ধতার সম্মুখীন হবো।
লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল আলম বলেন, আমারা অভিযোগ পেয়েছি। অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। যারা দখল করার চেষ্টা করেছে তাদের সেখান থেকে উচ্ছেদ করা হবে।
এআইদিনাজপুরের ফুলবাড়ীর চাঞ্চল্যকর পাঁচ বছরের শিশু মিরাজ হত্যা মামলায় মমতাজ উদ্দিন নামে এক বৃদ্ধের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেছেন বিচারক। এই মামলায় দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর তিনজনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শ্যামসুন্দর রায় এ রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি মমতাজ উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেছেন বিচারক।
আসামি মমতাজ উদ্দিন ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম খাজাপুর গ্রামের মৃত মীর উদ্দিনের ছেলে। নিহত শিশু মিরাজ কাজী একই গ্রামের মাহাবুব কাজীর ছেলে।
খালাস প্রাপ্তরা হলেন- মমতাজ উদ্দিনের বোন মর্জিনা বেগম, ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও ছেলের বউ জেসমিন আরা।
দিনাজপুরের কোট পুলিশ পরিদর্শক একেএম লিয়াকত আলী এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই শিশু মিরাজ কাজী প্রতিবেশি মমতাজ উদ্দিনের বাড়িতে খেলতে যায়। এরপর শিশুটি নিখোঁজ ছিল। পরদিন ৯ জুলাই ওই এলাকার একটি ডোবা থেকে শিশু মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৯ জুলাই নিহত শিশুর বাবা মাহবুব বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এআই
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্যানেল সংস্কার কাজে মাটি খননের সময় দুটি মাইন, একটি মর্টারশেল ও একটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ উপজেলার সিটরাজিব গ্রামে একটি পতিত জমি খননের সময় এসব সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘ক্যানেলের বাজার এলাকায় শ্রমিকরা পুকুর খননের জন্য মাটি খুঁড়তে গেলে শ্রমিকদের কোদালের সঙ্গে ভারী কিছু আটকে যায়। পরে কৌতূহলী শ্রমিকেরা মাটি সরিয়ে একটি রাইফেল, দুইটি মাইন ও একটি মর্টারশেল দেখতে পান। স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে জায়গাটি ঘিরে রাখে।’
পুলিশ জানায়, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো ব্যবহার করা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত রাইফেলের যন্ত্রাংশ মরিচা ধরে অকেজো হয়ে পড়লেও মাইন ও মর্টারশেলটি তাজা রয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘থ্রি নট থ্রি রাইফেল, দুইটি মাইন ও একটি মর্টারশেল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে বোম ডিসপোজাল ইউনিটের অপেক্ষায় আছে।’
এ বিষয়ে নীলফামারী পুলিশ সুপার গোলাম সবুর জানান, ‘বর্তমানে ঘটনাস্থলটি পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। নিকটস্থ ক্যান্টনমেন্টের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে এসব মাইন ও মর্টারশেল নিষ্ক্রিয় করবে।’
এআই
রাজশাহীতে পদ্মায় গোসল করতে নেমে নিখোঁজ তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে রাজশাহীর শ্যামপুর বালুর ঘাটে পদ্মায় গোসল করতে নেমে এই তিন শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। এরপরে আড়াইটার দিকে ওই তিন শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিহত কিশোররা হলো- রাজশাহী মতিহার থানা এলাকার মো. রেন্টুর ছেলে যুবরাজ (১৪), একই এলাকার নূর ইসলামের ছেলে নুরুজ্জামান (১৫) ও লিটনের ছেলে আরিফ (১৪)। তারা কাটাখালি পৌরসভার শ্যামপুর এলাকার একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী।
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক ওবায়দুল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পবা উপজেলার শ্যামপুর বালুর ঘাটে পদ্মায় গোসল করতে নেমে তারা নিখোঁজ হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল তাদের উদ্ধারে নামে। মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানও সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজশাহী নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহা. মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়। তিন কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষ তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।
বগুড়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ও সাধারণ পথচারীদের জন্য বিশুদ্ধ সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় শহরের সাতমাথাস্থ মুজিব মঞ্চের সামনে এ বুথ স্থাপন করা হয়। জেলা পুলিশের উদ্যোগে স্থাপিত এ বুথের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রচন্ড দাবদাহে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। তাই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই সামান্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একজন পথচারী এই গরমের মধ্যে পানি পিপাসার্ত হয়ে বুথ থেকে পানি পান করতে পারবে। এদিকে একজন পুলিশ সদস্যের পোশাক পরা অবস্থায় প্রচন্ড গরমের মধ্যে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ডিউটি করা আসলেই অসম্ভব ব্যাপার। ট্রাফিক পুলিশের এই সদস্যরা দেশ ও মানুষের জন্য অসম্ভব রকমের কষ্ট করে যাচ্ছেন। তাদের ক্লান্তি দূর করতে খাবার স্যালাইন, পানি ও জুস বিতরণ করা হয়েছে।’ গরম চলাকালে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
এদিকে, তীব্র এই দাবদাহে জেলা পুলিশের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান সাধারণ পথচারীরা। তারা পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উদ্বোধনকালে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সুমন রঞ্জন সরকার, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ্সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এআই
নাটোরের সিংড়ায় ট্রাক চাপায় ইলিয়াস হোসেন রনি (৩০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। এ সময় মুন্না (৩৫) নামের একজন আরোহী আহত হয়েছে। আহত মুন্নাকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল চারটার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়া উপজেলার জোলারবাতা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল আরোহী ইলিয়াস হোসেন রনি উপজেলার কাকিয়ান গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। আহত মুন্না রনির চাচাতো ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, সোমবার বিকেল চারটার দিকে নাটোর থেকে একটি মিনি ট্রাক বগুড়ার দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি জোলারবাতা এলাকায় পৌঁছালে একই সময় সিংড়া দমদমার দিক থেকে জোলারপাতার পার্শ্ব রাস্তা থেকে মহাসড়কে উঠছিলেন ইলিয়াস হোসেন রনি। ইলিয়াস হোসেন রনি মোটরসাইকেল নিয়ে মহাসড়কে উঠতেই ট্রাকটি তাদের মোটরসাইকেল চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইলিয়াস হোসেন রনি নিহত হন।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা রনির চাচাতো ভাই মুন্না গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী মুন্নাকে উদ্ধার করে দ্রুত সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিয়ে ভর্তি করে। দুর্ঘটনার পর ট্রাক চালক ট্রাক ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ মরদেহ এবং দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাকটি উদ্ধার করে সিংড়া থানায় নিয়ে আসে।
এআই
৭ বছর আগের সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে ঘটে যাওয়া চাঞ্চল্যকর সুবর্ণা (৮) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আটজন যুবক ও কিশোর মিলে পালাক্রমে ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে সুবর্ণাকে-তদন্তে এমনটাই বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চৌহালী উপজেলার দত্তকান্দি গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে মো. ছাব্বির হোসেন (২০), একই গ্রামের আরফান মেম্বারের ছেলে মো. শাকিব খান (২১)। ইতিমধ্যেই ছাব্বির ও সাকিব আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লোমহর্ষক এ ঘটনার বিবরণ জানান পিবিআইএর পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।
এ সময় পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ২০১৭ সালের ২৭ মার্চ সকালে চৌহালী উপজেলার মধ্য শিমুলিয়ার চর থেকে সুবর্ণার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সুবর্ণার বাবা মো. শুকুর আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করলে বাদী আদালতে নারাজি আবেদন দেন। মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর পিবিআই এসআই আশিকুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব নেন। তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তি এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৯ এপ্রিল ভিকটিমের ফুফাতো ভাই মো. ছাব্বির হোসেনকে (২০) আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে ওইদিনই দত্তকান্দি শোলে বাজার থেকে আরফান মেম্বারের ছেলে শাকিব খানকে আটক করা হয়। এর আগে এ ঘটনার মূল নায়ক মিলন পাশাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তার কাছ থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে গ্রেপ্তার ছাব্বির ও শাকিব খানকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার মূল রহস্য বেরিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে তারাসহ আরও ছয়জন দত্তকান্দি হাইস্কুল মাঠে যায়। সেখানে সুবর্ণাকে তার ফুফাতো ভাই ছাব্বিরের সঙ্গে খেলতে দেখে। তখনই তারা সুবর্ণাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী মিলন পাশা ও সাকিবসহ বাকি আসামিরা ছাব্বিরকে বলে তার মামাতো বোন সুবর্ণাকে মধ্যশিমুলিয়া চরে নিয়ে যেতে।
সন্ধ্যার পর ছাব্বির ও শাকিব মিলে সুবর্ণাকে কৌশলে মধ্যশিমুলিয়ার চরে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই বাকি আসামিরা অবস্থান করছিল। এরপর সুবর্ণার হাত-পা চেপে ধরে আটজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে সুবর্ণা নিস্তেজ হয়ে যায়। তখন সে কাঁদতে কাঁদতে ঘটনাটি সবাইকে বলে দেওয়ার কথা বলে। এ অবস্থায় আসামিরা নিজেদের বিপদের কথা চিন্তা করে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক সুবর্ণার ওড়না গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। এরপর শরীরে মাটি ছিটিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
পিবিআই এসপি আরও বলেন, ২৬ মার্চ বিকেলে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান দেখতে দত্তকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে যায় সুবর্ণা। পরিবারের লোকজন চিন্তা করে সুবর্ণা ওই স্কুলের পাশে তার ফুফুর বাড়িতেই আছে। এ জন্য খোঁজাখুঁজিও করে নাই। পরদিন তার মরদেহ পাওয়া যায়। পিবিআই তদন্তকালে সুরুতহাল রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখে সুবর্ণাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও তার গোপনাঙ্গে রক্ত দেখে তা আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। আলামতের ডিএনএ পরীক্ষায় তার পরনের পোশাকে সিমেন্সের নমুনা পাওয়া যায়। এতেই নিশ্চিত হওয়া যায় সুবর্ণাকে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে জানান পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার।
এমআর
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবা'র (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন তুকাজ্জেবার ওপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুর বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১ জুলাই সালাউদ্দিন তাঁর স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুত্বরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশি রবিউল ইসলাম লাথি মেরে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পায় তারা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদীয় হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দোষী নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান।
সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে। এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন এই আইনজীবী।
এআই
মৌলভীবাজারের রাজনগর সরকারি কলেজে অধ্যক্ষের কক্ষ ভাঙচুর করেছে কতিপয় শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ মো: মনছুর আলমগীর রাজনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। গত ২১ এপ্রিল দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
জিডি ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, ২১ এপ্রিল দুপুরে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ চলাকালিন সময়ে কতিপয় যুবক ফরম পূরণের সময় কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে বেতন কমানোর দাবি তোলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি না মানায় কলেজের সম্পদ ভাঙচুর করে।
অধ্যক্ষ মো: মনছুর আলমগীর বলেন, এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী আমার কাছে বেতন কমানোর দাবি জানান। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলার জন্য কলেজের পক্ষ থেকে একটি কমিটি ঘটন করা হয়। গত ১৮ এপ্রিল দুপুর ২টায় ওই কমিটির সদস্যরা এসব শিক্ষার্থীদের সাথে বসার কথা ছিল। অনেক্ষণ অপেক্ষার পরও শিক্ষার্থীরা না আসায় ওই দিন বসা হয়নি।
পরবর্তীতে ঘটনার দিন বসার আগেই কতিপয় যুবক আমার কক্ষে হামলা করে গ্লাস, চেয়ার, বোর্ড সহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এমআর
সুনামগঞ্জের পৌর শহরের হাছননগর এলাকার বুবির পয়েন্টে মাহিন্দ্র ট্রাক ও সিএনজি অটো রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সুরেশ রবি দাস (৪০)নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি সিএনজি অটো রিকশার যাত্রী ছিলেন ও ওয়েজখালী এলাকার বাসিন্দা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে হাছননগর এলাকার ভুবির পয়েন্টে দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন,শহরের হাছননগর এলাকার সিএনজি চালক জীবন মিয়া(২০) ও ইব্রাহীমপুরের কৃষ্ণ রবি দাস (৩২)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,ভবন নির্মাণের সাটারিংয়ের মালপত্র নিয়ে মাহিন্দ্র ট্যাকটি বুড়ির স্থল এলাকার দিকে যাচ্ছিল, একেই সময় বুড়িস্থল থেকে একটি সিএনজি যাত্রী নিয়ে শহরের দিকে আসার পথে ভুবির পয়েন্টে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সুরেশ রবি দাস (৪০) মারা যায়। গুরুত্বর আহত সিএনজি চালক ও অপর যাত্রীকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদ চৌধুরী বলেন,ঘটনাস্থল গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এমআর
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হলেন- পশ্চিম চান্দশীরকাপন গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে রিহান আত্তার ইয়াছিন (১০) ও নেত্রকাণার বারহাট্রা থানার নৈহাটি গ্রামের ইউসুফ রুহান (১১)। সম্পর্কে তারা ফুফাতো ও মামাতো ভাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্বনাথ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত সরকার।
ইয়াছিন ও রুহান দুজনেই বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির ছাত্র। ইউসুফ রুহানের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বনাথ পুরান বাজারের ময়নুলের বাসায় বসবাস করে আসছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার বিকেল পাঁচটার দিকে উপজেলা সদরের তাদের বাড়ির পাশে পুকুরে পানিতে ইয়াছিন ও রুহান পড়ে যায়। এরপর তাদের পরিবারের সদস্যরা দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। পরে তাদের মরদেহ পুকুরের পানিতে ভেসে ওঠলে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাদের দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
বিশ্বনাথ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জয়ন্ত সরকার বলেন, রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ওসি রমা প্রসাদ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান আছে।
এআই
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা এলাকায় তীব্র দাবদাহে হিট স্ট্রোক করে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
মৃত রিকশাচালক হানিফ মিয়া (৩৪) হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং সিলেট শহরে অস্থায়ীভাবে বসবাস করে রিকশা চালাতেন।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান গণমাধ্যমকে জানান, দুপুর ১২টার দিকে এক রিকশাচালক দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নিহত রিকশাচালকের মরদেহ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৬ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল থেকেই তীব্র গরম পড়েছে, প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ নিম্নবিত্ত সহ সব ধরনের মানুষের। অতিরিক্ত গরমে হাসপাতালেও বাড়ছে গরমজনিত রোগীর সংখ্যা।
শনিবার দুপুর ৩টার দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৬ ডিগ্রি রেকর্ড করে মৌলভীবাজার জেলা আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আগের দিন শুক্রবার বিকেল এবং রাতের দিকে হালকা বৃষ্টি হলেও শনিবার সকাল থেকে জেলার আবহাওয়া ছিল উত্তপ্ত। দুপুর নাগাদ রোদের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে তাপদাহ। এতে বিপাকে পড়েছেন রিকশা চালক, ভ্যান চালক সহ বাইরের কাজে নিয়োজিত নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষরা। অতিরিক্ত গরমের কারণে সড়কে মানুষজনের আনাগোনা ও অনেক কম।
এ দিকে গত কয়েকদিনের চলমান গরমের কারণে মৌলভীবাজারের সদর হাসপাতালে বেড়েছে গরম জনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা। তীব্র গরমে ডায়রিয়া, সর্দি, জ্বর কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া সহ নানান ধরনের রোগীর আনাগোনা বেড়েছে হাসপাতালে।
এ বিষয়ে হাসপাতালে কর্মরত নার্সরা জানান, গরম জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে এই কয় দিনে প্রচুর সংখ্যক রোগী এসেছেন, এদের মধ্যে নবজাতক ও বৃদ্ধের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণের।
অতিরিক্ত গরমের এই সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। তাছাড়া ঘন ঘন পানি পান করার কথাও জানান চিকিৎসকরা। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে পুরো এপ্রিল মাস জুড়েই থাকতে পারে এরকম তাপদাহ।