এইমাত্র
  • কপালে ব্যান্ডেজ নিয়ে ইফতার পার্টিতে মমতা
  • কুড়িগ্রামের খাবার খেয়ে খুশি ভুটানের রাজা
  • বিশ্ববাজারে সোনার দামে রেকর্ড
  • নিরস্ত্র ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর বালিচাপা দিল ইসরায়েলি সেনারা
  • ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার!
  • দিনে ৭৮ কোটির বেশি মানুষ অভুক্ত, অথচ নষ্ট হয় ১০০ কোটির খাবার: জাতিসংঘ
  • বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: কাদের
  • প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত
  • কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
  • ‘বিএনপির নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়ি কিনেন না’
  • আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৮ মার্চ, ২০২৪
    ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার!
    দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। শুক্রবার (২৯ মার্চ) এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে দেশে আসছে। শুক্রবারের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে। জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।   বুধবার (২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ভারতের ন্যাশনাল করপোরেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে এই ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। সরকারই এই প্রতিষ্ঠানটিকে ঠিক করে দিয়েছে।এমএইচ
    বিশ্ববাজারে সোনার দামে রেকর্ড
     বিশ্ববাজারে সোনার দামে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম দুই হাজার দুইশ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে এই মাইলফলক স্পর্শ করে সোনা। এখন পর্যন্ত প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৯ ডলার। সোনার এত দাম আগে কখনো দেখিনি বিশ্ববাসী। বিশ্ববাজারের পাশাপাশি বাংলাদেশের বাজারেও রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা। দেশের বাজারে সোনার দাম সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ, যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে।বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বাড়ার কারণ উল্লেখ করে সেদিন সব থেকে সোনার দাম বাড়ে। ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। দেশের বাজারে সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে এই দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।অবশ্য সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গয়না বিক্রি করা হয়। একই সঙ্গে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে এক লাখ ২৩ হাজার ২৭৭ টাকা। দেশের বাজারে সর্বশেষ যখন সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ১৫৫ ডলারের কাছাকাছি। অর্থাৎ দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর পর এরই মধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৫০ ডলারের মতো বেড়ে গেছে। 

    জাতীয়

    সব দেখুন
    ‘ড. ইউনূসের পুরস্কার গ্রহণ গাজায় গণহত্যা সমর্থনের সামিল’
     ইসরাইলি ভাস্করের কাছ থেকে ড. ইউনূসের পুরস্কার গ্রহণ করা গাজায় গণহত্যা সমর্থনের সামিল বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে নিজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। সম্প্রতি সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ২ বাংলাদেশি ভারত সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ করায় বিএসএফ গুলি করে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আগে থেকেই সীমান্তে হত্যা বন্ধে অনুরোধ করা হয়েছে। বিজিবি প্রতিবাদ জানিয়েছে, পতাকা বৈঠকও করেছে। তবে এখনো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কোনো প্রতিবাদ করা হয়নি।’ সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহর বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছে সরকার। নাবিকদের খাদ্যের সংকট অতীতেও হয়নি। এখনো হবে না।’  ড. ইউনূসের সম্প্রতি পুরস্কার গ্রহণের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইসরাইলি ভাস্করের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন ড. ইউনূস। এই সময়ে ইসরাইলি ভাস্করের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করা আর গাজায় গণহত্যাকে সমর্থন করার সামিল।’ ‘তিনি আরও বলেন, ‘ইউনূস সেন্টার থেকে বরাবরের মত মিথ্যাচার করা হয়েছে। তবে গাজায় যখন নারী শিশুদের হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরও কোনো প্রতিবাদ জানাননি ইউনূস।
    আগামী মাসে ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির
    এপ্রিলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এই সফরে জনশক্তি, জ্বালানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় উভয় দেশ।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দুদেশের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, যেগুলো সফরকালে সই করা হবে। আগামী ২১ থেকে ২২ এপ্রিল দুই দিনের এই সফর হতে পারে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাতারের আমিরের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যেসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হবে, সেগুলো নিয়ে এখন কাজ করছে উভয় দেশের কর্মকর্তারা। সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছে।গত বছরের মার্চে কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলো বিষয়ক জাতিসংঘ সম্মেলনের (এলডিসি-৫) সাইডলাইনে আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জ্বালানি চাহিদা মেটাতে কাতারের কাছে জ্বালানি, বিশেষ করে এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার আহ্বান জানান।১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের পর ১৯৭৪ সালের ৪ মার্চ কাতার বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দোহায় বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক মিশন চালু করে। ১৯৮২ সালে ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলে দেশটি।বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অভিন্ন মূল্যবোধ, ধর্মীয় ভিত্তি, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।এমএইচ
    বাংলাদেশের গণতন্ত্র বাস্তবায়নে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র
     আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ব্রিফিংয়ে মিলারের কাছে বাংলাদেশী সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে, সচিব ব্লিঙ্কেন তার বিবৃতিতে, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণ এবং মানবাধিকারের প্রচারে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই, এ ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেবে?উত্তরে মিলার বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে, সে বিষয়ে পর্যালোচনা করে বলার মতো কিছু আমার হাতে এখন নেই। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের বাইরে আমরা যেটা স্পষ্ট করে বলেছি, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের পররাষ্ট্রনীতির  সর্বোচ্চ গুরুত্বের তালিকায় রয়েছে গণতন্ত্রের বিকাশ। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সংলাপের সময় এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে আমরা কথা বলে যাচ্ছি।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় সময়ই আমরা এ ইস্যুতে কথা বলেছি। বিষয়টা ছিলো অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে। আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।গণতান্ত্রিক শাসন জোরদার এবং মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে স্বাধীনতা দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন যে বিবৃতি দিয়েছেন সেই অবস্থানেরই পুনরাবৃত্তি করেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।এমএইচ
    কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
    কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নাময়িগেল ওয়াংচুক। সেখানে তিনি পরিদর্শন করবেন ধরলার পাড়ের কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত জায়গা।বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় স্ত্রী জেৎসুন পেমা সহ ১৪ জন সফর সঙ্গী নিয়ে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতনের পর সড়ক পথে এসে দুপুর সাড়ে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌঁছাবেন তিনি।সেখানে দুপুরের ভোজ সেরে দেড়টায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের জায়গা পরিদর্শন শেষে সড়ক পথে সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে নিজ দেশে যাবেন ভুটানের রাজা।এদিকে ভুটানের রাজা আসার বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা। আর রাজাকে বরণে নিরাপত্তাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সাইদুল আরীফ জানান, কুড়িগ্রাম সদ উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত জায়গায় ১৫ মিনিট অবস্থান করবেন ভুটানের রাজা। তারপর সড়ক পথে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটানে যাবেন। রাজার আগমনে সব ধরনের প্রস্তুতির নেয়া হয়েছে।পিএম
    খালেদা জিয়ার মু্ক্তির মেয়াদ বাড়ল আরও ৬ মাস
     সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এসময়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না তিনি।আজ বুধবার (২৭ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশে মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারের নির্বাহী আদেশে আগের মতো দুই শর্তে (বর্ধিত মেয়াদের মধ্যে বিদেশে যেতে পারবেন না ও ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া) খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।এতে আরও বলা হয়, গত ২৫ মার্চ থেকে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত কার্যকর হবে। এ সময় তিনি নিজ বাসায় থেকেই চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করবেন এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না।এর আগে, গত ২০ মার্চ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, খালেদা জিয়াকে যে দুটি শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল, সেটি সাতবার বাড়ানো হয়েছে। একই শর্তে আবার তার সাজা স্থগিত রেখে মুক্তির আদেশ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হচ্ছে।এর আগে গুরুতর অসুস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর ভাই মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো ও বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ চেয়ে আবেদন করেন।এমএইচ
    বউদের ভারতীয় শাড়িগুলো পুড়িয়ে দিলে বুঝব সত্যিকারের বর্জন: প্রধানমন্ত্রী
      প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপির এক নেতা চাদর খুলে বলে দিয়েছেন, ভারতের পণ্য ব্যবহার করবেন না। যে নেতারা বলছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন করেন, তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে? তারা বউদের কাছ থেকে শাড়িগুলো এনে কেন পুড়িয়ে দিচ্ছে না?, বউদের শাড়িগুলো পুড়িয়ে দিলে বুঝবো সত্যিকারের পণ্য বর্জন করেছেন।আজ বুধবার (২৭ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি জানি, বিএনপির বহু মন্ত্রীর বউ ওখানে গিয়ে শাড়ি কিনে এনে এখানে বেচতো। আমি বিএনপি নেতাদের বলব, তাদের বউরা যেন ভারতীয় শাড়ি না পরেন। যেদিন ওগুলো এনে অফিসের সামনে পোড়াবেন, সেদিন বিশ্বাস করব, আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জন করলেন।’ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাকে ক্ষোভ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কারও পাকের ঘরে যেন ভারতীয় মসলা না দেখা যায়। এটা তারা করতে পারবে কিনা? আপনারা রংঢং করতে ওস্তাদ। সত্যিকার অর্থে বর্জন করছেন কিনা, এটা জানতে চাই।’বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন সময়ে দেওয়া বক্তব্যের জবাব দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘বিএনপির নেতারা বলছেন, গণতন্ত্র কোথায়? গণতন্ত্র আপনি দেখবেন কীভাবে। না দেখতে পারা তাদের মুদ্রাদোষ বলা যায়। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কী? গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল। এটাই তো। ক্যান্টনমেন্টের হাতে ক্ষমতা থাকলে গণতন্ত্র থাকবে? যাদের হাতে ডান্ডা আছে, তাদের হাতে ক্ষমতা থাকলে আপনারা ঠান্ডা? জনগণের হাতে ক্ষমতা থাকুক চান না?’প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কিছু আঁতেল আছে এদেশে, বুদ্ধিজীবী! বুদ্ধি বেচিয়া জীবিকা নির্বাহ করে যারা। বুদ্ধির অবশ্যই দরকার আছে। কারণ বুদ্ধি না হলে তো দেশ এগোতে পারবে না। জনগণের গণতন্ত্রে তারা বিশ্বাস করে না। কিছু অতিবাম ও অতিডান একসঙ্গে হয়ে গেছে। বিপ্লব করতে করতে দাঁড়ি-কমা-সেমিকোলন হতে হতে তারা নিজেরাই শেষ হয়ে গেছেন।’এমএইচ
    সরকারি ছুটির চেয়ে শ্রমিকদের ছুটি কম দেওয়া যাবে না: প্রতিমন্ত্রী
    সরকারি ছুটির চেয়ে শ্রমিকদের ছুটি কোনোভাবেই কম দেয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী। বুধবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।তিনি বলেন, ঈদের আগেই শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করতে হবে। মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে সরকারি ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে যাতায়াতের সুবিধা অনুযায়ী ঈদের ছুটি দিতে হবে। কোনোভাবেই ঈদের ছুটি সরকারি ছুটির চেয়ে কম হবে না।  ঈদের আগে কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করা যাবে না উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক খাত ও  ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি নিশ্চিত করতে মালিকপক্ষকে তাগাদা দেয়া হচ্ছে। নজরুল ইসলাম বলেন, কোনো অবস্থায় শ্রমিকরা রাস্তায় নামবেন না। যে কোনো কিছুর বিনিময়ে তাদের পাওনা মিটিয়ে দেয়া হবে। তবে কবে শ্রমিকদের পাওনা দেয়া হবে তা বলতে পারেননি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ঈদের আগেই দেয়া হবে। একেকটি কারখানা একেক সময় দেবে। সবাই একসঙ্গে দিতে পারবে না। তবে ঈদের ছুটির আগে শ্রমিকদের পাওনা দিতে হবে। ঈদের আগে লে-অফ ঘোষণা করা যাবে না।
    আজ থেকে এক ঘণ্টা বেশি চলবে মেট্রোরেল
    ঈদুল ফিতর সামনে রেখে আজ বুধবার থেকে প্রতিদিন এক ঘণ্টা বেশি চলবে মেট্রোরেল। প্রতিদিন রাত ৮টা ৪০ মিনিটের পরিবর্তে ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করবে।মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মেট্রোরেল চলাচলের নতুন সময়সূচিতে এ তথ্য জানিয়েছে, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ঈদুল ফিতরের আগের দিন পর্যন্ত নতুন এ সময়সূচি বহাল থাকবে।নতুন সময়সূচিতে বলা হয়, ২৭ মার্চ থেকে মেট্রো ট্রেন চলাচলের সময়সীমা এক ঘণ্টা বাড়ছে। মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন রাত ৮টা ৪০ মিনিটের পরিবর্তে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ছাড়বে এবং ট্রেনটি প্রতিটি স্টেশনে থেমে উত্তরা উত্তর স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ১০টা ১৪ মিনিটে। এই বর্ধিত সময়ে ১২ মিনিট বিরতিতে আরও ১০ বার মেট্রো ট্রেন চলাচল করবে। প্রতিদিন মোট চার লাখ ৪৭ হাজার ৭৫২ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন।রাত ৯টার পর মতিঝিল মেট্রো স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনে শুধু এমআরটি/র‌্যাপিড পাস ব্যবহার করে ভ্রমণ করা যাবে। আগে এ সময় ছিল রাত ৮টা।আগে রাত ৭টা ৫০ মিনিট শেষ সময় হলেও বুধবার থেকে রাত ৮টা ৫০ মিনিটের পর মেট্রোরেল স্টেশনের সব টিকিট বিক্রির অফিস এবং টিকিট বিক্রির মেশিন বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল।মেট্রোরেল এখন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলাচল করে। পিক আওয়ারে (সকাল ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা এবং দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা) প্রতি ৮ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করছে। এছাড়া বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অফ পিক আওয়ারে মেট্রোরেল চলাচল করে ১২ মিনিট পরপর।এআই 

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    রাজনীতি

    সব দেখুন
    বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: কাদের
     আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই তারা স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। তাই বিএনপি সবসময় জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। বিবৃতিতে সই করেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃবৃন্দের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছিলো। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিলো। সুতরাং বাংলার জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সশস্ত্র লড়াইয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে। এরপর জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হতে থাকে। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে জাতিকে সংবিধান উপহার দেন। ধর্মের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেন। কিন্তু জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করে; ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করে। স্বৈরাচার জিয়া রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধী দল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূলের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার ও নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।এমএইচ
    বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়: কাদের
     আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই তারা স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। তাই বিএনপি সবসময় জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। বিবৃতিতে সই করেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতৃবৃন্দের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছিলো। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিলো। সুতরাং বাংলার জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতার অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ পরিক্রমায় বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সশস্ত্র লড়াইয়ে স্বাধীনতা অর্জন করে। এরপর জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হতে থাকে। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে জাতিকে সংবিধান উপহার দেন। ধর্মের ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেন। কিন্তু জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করে; ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করে। স্বৈরাচার জিয়া রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন ও উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করে। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধী দল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূলের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার ও নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।এমএইচ
    ‘বিএনপির নেতাদের স্ত্রীরা ভারতীয় শাড়ি কিনেন না’
        বিএনপির নেতাদের স্ত্রীরা ‘ভারতীয় শাড়ি কিনেন না’ বলে দাবি করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ এর প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এই দাবি করেন। তিনি বলেন, গতকাল (বুধবার) প্রধানমন্ত্রী বলেন, আচ্ছা ওরা এতো কিছু করছে, শাল পোঁড়ায় … তো বউয়ের শাড়িটা পুঁড়াতে পারে না, ইন্ডিয়া থেকে আনা শাড়ি। আমি বলতে চাই, আমাদের বিএনপি নেতারা ইন্ডিয়া থেকে শাড়ি তেমন কিনে না।নিজের পুরনো স্মৃতি তুলে রিজভী বলেন, আমার নানার বাড়ি হচ্ছে ইন্ডিয়া। বিয়ের পরে একবার গিয়েছিলাম। আমার ছোট মামা একটা শাড়ি দিয়েছিলেন। আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, ওই শাড়িটা কৈ? সেটা কবেই… আমাদের দেশের মেয়েরা শাড়ি পুরনো হলে সেটা দিয়ে কাঁথা সেলাই করতে দেয়… আমার মিসেস বললেন, কাঁথা সেলাই করতে কবে দিয়েছি সেটাও ছিঁড়ে গেছে।”শেখ হাসিনা আপনি আজকে দেশ নিয়ে, দেশের স্বার্থ নিয়ে আপনি তামাশা করেন।গতকাল (বুধবার) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের কর্মসূচিতে সমর্থন দেয়ার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বিএনপির এক নেতা চাদর খুলে পুড়াল। যে নেতারা বলছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন করবেন, তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে? আমি জানি, ঈদের আগে দেখি বিএনপির মন্ত্রীদের বউরা ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করত।
    দমন নির্যাতন আওয়ামী লীগের হাতিয়ার: মির্জা ফখরুল
    বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির ৮০ ভাগ নেতাকর্মী দমন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। দমন নির্যাতন আওয়ামী লীগের হাতিয়ার। এটা না করলে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।  আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার আন্দোলনে নিহত, গুম, পঙ্গুত্বের শিকার নেতাকর্মীর পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, সারাদেশে একটা ভীতিকর, ত্রাসের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় থাকতে বিভিন্ন কৌশলে নির্বাচন ব্যবস্থাকে হাতিয়ার বানিয়েছে।সরকারের নিপীড়ন-নির্যাতনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এটা একটা ভয়াবহ ব্যাপার। একটা জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।সামনে উপস্থিত শিশু ও তরুণদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তোমরা আশা হারাবে না। কখনও ভাববে না সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। কোন ভীরুতা, হতাশা যেন কাজ না করে। মনে রাখতে হবে গণতন্ত্রের আন্দোলন ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন। সেই আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হবো।‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহবায়ক আতিকুর রহমান রুম্মনের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।এমএইচ
    যারা জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক করে তারা স্বাধীনতাবিরোধী: ফখরুল
    স্বাধীনতার ঘোষণা জিয়াউর রহমান দিয়েছেন, এটা নিয়ে কোন বিতর্ক চলে না। যারা এ নিয়ে বিতর্ক করে তারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  বুধবার (২৭ মার্চ) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি বক্তব্য দেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ বারবার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলণ্ঠিত করে বাকশাল কায়েম করেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান৷ এখন তারাই আবার জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। অথচ, স্বাধীনতার ঘোষণা জিয়াউর রহমান দিয়েছেন, ‘এটা নিয়ে বিতর্ক করলে স্বাধীনতা হতো না। যারা বিতর্ক সৃষ্টি করে তারা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি যারা করে তাদের জমি, ঘরবাড়ি, ব্যবসা দখল করে নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। এটা বর্ণবাদ ছাড়া কিছু না। দেশটাকে দুভাগে ভাগ করে সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করছে তারা। এ দুভাগের মধ্যে একটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ, আরেকটা হচ্ছে বিরোধী দল।গোটা দেশকে গিলে ফেলে, লুট করে, টাকা পাচার করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব৷  একই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও আওয়ামী লীগ নিজে তা বিশ্বাস করে না।এ বিএনপি নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন করছে বিএনপি। আওয়ামী লীগের মতো লগি-বৈঠার রাজনীতি করে না বিএনপি। যতদিন পর্যন্ত জনগণের অধিকার ফিরে না পাবে, ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বিএনপি।আর দলটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শেখ মুজিব অনেক বড় নেতা। তাকে সবাই শ্রদ্ধা করেন। কিন্তু সব কৃতিত্ব তার একার নয়। এসব মুক্তিযোদ্ধাদের দিতে হবে, কারণ তারা রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন, শত্রুর মোকাবিলা করেছেন।তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের ঘোষণায় মানুষ উজ্জীবিত হয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। মুক্তিযুদ্ধ না হলে দেশ আজও পাকিস্তান থাকতো, যা ইতিহাসে লেখা নেই। বরং বিকৃত করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।এমএইচ
    সীমান্তে দুই বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনায় মির্জা ফখরুলের প্রতিবাদ
     নওগাঁর পোরশা উপজেলার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আল আমিন নামে এক বাংলাদেশিকে হত্যা এবং লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে গুলি করার পর লিটন মিয়া (১৯) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ বুধবার (২৭ মার্চ) এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনেও সীমান্তে পৈশাচিকভাবে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, আরেকজনকে গুলি করে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব এখন চরম সংকটে।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ ধরনের প্রাণ বিনাশি রক্তাক্ত ঘটনা হৃদয় বিদারক ও আত্ম মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে। সীমান্তে এক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা ও আর একজনকে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরও ডামি সরকার ও তাদের মন্ত্রীরা এখনও নিশ্চুপ। প্রতিবাদ বা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া দূরে থাক টু শব্দটিও পর্যন্ত তারা করেনি, বরং মন্ত্রীরা নির্বিকারভাবে এ সমস্ত রক্তাক্ত ঘটনা মেনে নিচ্ছে। ডামি সরকারের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন নিরাপত্তাহীন। ক্ষমতার জন্য এরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেও দ্বিধা করে না। শুধু সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাঙচুর, এমনকি ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রতিবাদ করে না শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন তাবেদার সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার ধরে রাখার জন্য দেশকে জিম্মি করে ফেলেছেন। তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে সব কিছু উজাড় করে দিলেও দেশের মানুষ এক বিন্দু ছাড় দেবে না। তাই দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। একমাত্র অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দেশের মানুষের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে পারে।’বিএনপির মহাসচিব মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনেও সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক দুই বাংলাদেশি হতাহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
    ১৮ কোটি মানুষের একটিই প্রশ্ন, গণতন্ত্র কোথায় গেল?: মঈন খান
    বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খা বলেছেন, 'আজকে ৫৩ বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের একটিই প্রশ্ন, গণতন্ত্র কোথায় গেল? সেই দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি কোথায় গেল?'মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।মঈন খান বলেন, 'যে উদ্দেশ্য ও আদর্শ নিয়ে লাখো মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, সেই আদর্শের জন্য নাম ছিল গণতন্ত্র এবং উদ্দেশ্য ছিল, বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করা।'তিনি বলেন, 'একটি সরকার আজকে দেশে এসেছে, সে সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা মুখে বলে গণতন্ত্র, তারা বাস্তবে করেছে এক দলীয় শাসন। এবার করেছে বাকশাল টু। এটা আমার কথা নয়, এটা বিশ্ববাসীর কথা।'বিএনপির এই নেতা বলেন, আজকে আপনারা দেখেছেন কীভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেওয়া হয়েছে। মেগা উন্নয়নের নামে কীভাবে মেগা দুর্নীতি হয়েছে।তিনি আরও বলেন, ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য বিরোধী দলের বিরুদ্ধে এক লাখ মামলা দেওয়া হয়েছে। ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা অভিযোগে আসামি বানানো হয়েছে। এখানে যদি মানুষের ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ না থাকে। এ দেশে যদি মানুষের গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ না থাকে, তাহলে আজকে যারা কবরে শায়িত বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাদের যে প্রশ্ন, কেন তারা এ দেশটি স্বাধীন করেছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তর আজকের আওয়ামী লীগ সরকারকে দিতে হবে।‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার পাঠক হতে পারেন, ঘোষক নন’- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আমি ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না। আপনারা জানেন, ব্যক্তির রাজনীতি আমরা করি না। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বলেছিলেন-ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। এটা আজকে অত্যন্ত স্পষ্ট।তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে নিজে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধ করেছিলেন, পালিয়ে যাননি। ইতিহাসের যে সত্য সেটা ইতিহাসই নির্ধারিত করে। আজকে এ কথা কাউকে বলে দিতে হবে না যে, কারা সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করে এ দেশের কোটি বাঙালিকে স্বাধীনতা অর্জন করে দিয়েছেন।’এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।
    ৫৩ বছর পরও স্বাধীনতার সাধ উপভোগ করতে পারেনি জনগণ: গয়েশ্বর
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ৫৩ বছর পরও স্বাধীনতার সাধ উপভোগ করতে পারেনি বাংলাদেশের জনগণ, লুটতরাজ, লুন্ঠনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগার আজ খালি। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি মন্তব্য করেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন। তিনি সাধারণ মানুষকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন। অনেক ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা পেয়েছি। যে কারণে দেশ স্বাধীন হয়েছে, আজ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য আমাদের লড়াই চলমান থাকবে।তিনি আরও বলেন, দেশে মানুষের কোনও মৌলিক অধিকার নেই, বাকস্বাধীনতা নেই, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। দ্রব্য-মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ আজ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    দেশজুড়ে

    সব দেখুন
    ‘স্বপ্ন’এখন মনিপুর ৬০ ফিটে

    দেশের অন্যতম রিটেইল চেইন শপ ‘স্বপ্ন’ মিরপুর ১-এর মনিপুর ৬০ ফিটের বারেক মোল্লার মোড়ে নতুন আউটলেট চালু করেছে। 

    বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল ১১টায়  স্বপ্ন’র নতুন এই আউটলেট উদ্বোধন করা হয়।  স্বপ্নের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন,  “আমার বিশ্বাস, নতুন এ আউটলেটে আমাদের সেবার পরিসর আরো বিস্তৃত হবে।”

    স্বপ্নের পরিচালক (অপারেশনস) আবু নাছের বলেন, “উদ্বোধন উপলক্ষে গ্রাহকদের জন্য রয়েছে মাসব্যাপী আকর্ষণীয় সব অফার। বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি ছাড়াও থাকছে নগদ মূল্যছাড়।”

    উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  ইনভেস্টর রুবেল আহম্মেদ, স্বপ্নের হেড অব বিজনেস এক্সপ্যানশন মো. শামছুজ্জামান, স্বপ্ন'র  রিজিওনাল হেড অফ অপারেশন  সাকের নুর, এরিয়া সেলস অপারেশন ম্যানেজার আলী আকবরসহ অনেকে।  

    পিএম

    ওষুধ কিনতে না পেরে রিকশাচালকের আত্মহত্যা

    ঢাকার হাতিরঝিলের মধুবাগের একটি বাসায় অভাবের সংসারে চিকিৎসার জন্য ওষুধ কিনতে না পেরে জয়নাল আবেদীন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ওই ব্যক্তি পেশায় রিকশাচালক ছিলেন।

    মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত পৌনে ৯টায় মারা যান তিনি।

    জয়নাল আবেদীন রংপুরের পীরগঞ্জ থানার হাসানপুর গ্রামের মৃত মোজামিয়ার ছেলে। বর্তমানে মগবাজার মধুবাগের ৩ নম্বর গলির বাসায় ভাড়া থাকতেন।

    নিহতের স্ত্রী মঞ্জিলা বেগম জানান, আমার স্বামী রিকশা চালাতেন। চার বছর আগে হার্টের রোগ ধরা পড়ে তার। আমি বাসা বাড়িতে কাজ করি। আমার এক মেয়ে এক ছেলে। মেয়েটি একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে। ছেলেটির বয়স পাঁচ বছর। আমরা গরিব মানুষ। হার্টের রোগের চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা পয়সা লাগে। আমার স্বামী এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কোনো কাজই করতে পারত না। আমাদের মা-মেয়ের সামান্য এই টাকায় সংসার চলত। অভাবের সংসারে খুব কষ্ট করে দিন চলে আমাদের। স্বামীর হার্টের রোগের চিকিৎসার জন্য এত টাকা পয়সা আমাদের নেই। তাই কখনো আমরা তার জন্য ওষুধ কিনে দিতে পারতাম, আবার অনেক সময় পারতাম না।

    তিনি আরও জানান, আজ সন্ধ্যার পর শরীরের ব্যথায় আমার স্বামী কাতর হয়ে পড়ছিলেন। কিন্তু টাকা না থাকায় তার জন্য ওষুধ আনতে পারিনি। এই কষ্টে আমার স্বামী নিজের পেটে চাকু চালিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। পরে আমরা এই অবস্থা দেখে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। পরে এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রাতের দিকে মারা যায়।

    ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাতিরঝিল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি হাতিরঝিল থানাকে জানিয়েছি। ঘটনাটি তারাই তদন্ত করছে।

    এফএস


    বনানী কড়াইল বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট

    রাজধানীর বনানী এলাকার কড়াইল বস্তিতে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সাত ইউনিট ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। একটি ইউনিট কাজ করছে।



    রবিবার (২৪ মার্চ) বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।


    তিনি জানান, খবর পেয়ে একটি গিয়ে কাজ শুরু করেছে। আরও সাত ইউনিট পথে আছে।

    এআই 

    চকবাজারে কেমিক্যাল গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণ

    রাজধানীর চকবাজারের ইসলামবাগ এলাকায় কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। 


    শনিবার (২৩ মার্চ) রাত সাড়ে তিনটার দিকে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।



    আগুন লাগার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ বলেন, চকবাজারের ইসলামবাগে একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার খবর আসে রাত সাড়ে ৩টায়। খবর পেয়ে ৫ মিনিটের মধ্যে প্রথম ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। আগুনের মাত্রা বেশি হওয়ায় এরপর একে একে আটটি ইউনিট পাঠানো হয়।


    তিনি আরও জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে পানির স্বল্পতায়। অগ্নিকাণ্ডে ভবনের সামনে ও পেছনে লাগোয়া অনেকগুলো ভবন থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ারও একটা শঙ্কা ছিল। সর্বশেষ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে সকাল ৬টায়। আগুনের পাশাপাশি প্রচন্ড ধোয়ার কারণে প্রথমে ভেতরে প্রবেশ করতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের।


    আগুনের কারণ বা ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের কারণ জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গেছেন। তারা পরিদর্শন করবেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এরপরে জানা যাবে আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।


    প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।

    এআই 

    ৬ এপ্রিল বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু, ১৩০টি লঞ্চ চলবে ৪১ রুটে

    পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৬ এপ্রিল থেকে যাত্রী পরিবহনের জন্য সারাদেশের বিভিন্ন নৌপথে নিয়মিত লঞ্চের পাশাপাশি বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু হবে। সেই সঙ্গে অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্তে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ।

    বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের চার-পাঁচ দিন আগে আগামী ৬ এপ্রিল ঢাকার সদরঘাট নৌ-টার্মিনাল থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু করবে। এ জন্য ইতোমধ্যে ১৩০টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটে এসব লঞ্চ চলাচল করবে।

    বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক ইসমাইল হোসেন বলেন, আগামী ৬ এপ্রিল সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল শুরু হবে। ইতিমধ্যে ১৩০টি লঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। ঈদে নদীপথে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। অগ্রিম টিকিট বিক্রি বিষয়ও সভায় আলোচনা হয়েছে কিন্তু দিনতারিখ এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এক সপ্তাহ বা পাঁচ-ছয়দিন আগেই জানানো হবে।

    বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দক্ষিণাঞ্চলগামী বেশ কয়েকজন যাত্রী সদরঘাট টার্মিনালে এসে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিটের জন্য ঘুরছেন। তারা টার্মিনালের পন্টুনে ভেড়ানো লঞ্চগুলোতে গিয়ে অগ্রিম টিকিটের খোঁজ করেন। ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট কাটতে আসা সদরঘাট টার্মিনালে সাইফুল আকবর। তিনি বলেন, ৮ এপ্রিল গলাচিপায় গ্রামের বাড়ি যাব। তাই ভিড় এড়াতে আগে থেকেই লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বুকিং দিতে এসেছি। এসে শুনলাম, এখনো লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়নি। শিগগিরই অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। এ কথা শুনে সেখান থেকে ফিরে আসি। ভাবছি, দুই থেকে তিন দিন পর আবার সদরঘাট আসব।

    আরেক যাত্রী মিরপুর এলাকা থেকে আসা ফেরদৌসী জাহান বলেন, ঈদে প্রতিবছর পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করি। লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রির ঘোষণার পর টিকিট নিতে এলে অনেক ভিড় থাকে। আবার প্রায় সময় টিকিটও পাওয়া যায় না। সেই কথা ভেবে আগেভাগে টিকিট নিতে এসেছি। চর ফ্যাশনগামী এমভি টিপু লঞ্চে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, কিছুদিন পর অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। তখন এসে টিকিট সংগ্রহ করব।

    এমভি টিপু লঞ্চের কর্মচারী দিদার হোসেন বলেন, এখনো লঞ্চের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা শুরু হয়নি। কবে থেকে বিক্রি হবে, সে ব্যাপারে মালিকপক্ষ জানে।

    এদিকে লঞ্চমালিকপক্ষের ভাষ্য, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কেবিনের যাত্রীর চাপ কম। যারা লঞ্চে নিয়মিত যাতায়াত করেন, সাধারণত তারাই অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করে থাকেন। অগ্রিম টিকিট ছাড়ার ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া আসেনি।

    অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক ও এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের মালিক হামজা লাল জানান, যাত্রীদের ওপর নির্ভর করে বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা করা হবে। সরকার নির্ধারিত ভাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে যাত্রীরা লঞ্চের অগ্রিম টিকিটের জন্য আসছেন। তবে অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

    বিআইডব্লিউটিএ’র পিআরও মোবারক হোসেন মজুমদার জানান, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অভ্যন্তরীণ নদীপথে যাত্রীবাহী নৌযানের নিরাপদ ও দুর্ঘটনামুক্ত চলাচল নিশ্চিত করা এবং যাত্রী সাধারণের জানমালের নিরাপত্তায় যাবতীয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে করার লক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    মোবারক আরও জানান, ঈদের পাঁচ দিন আগে ও পাঁচ দিন পর পর্যন্ত টার্মিনালে লঞ্চের মাধ্যমে কোনও মোটরসাইকেল যাতায়াত করতে পারবে না। এসময় নদীতে কোনও বাল্কহেড চলতে পারবে না। যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করা সব নৌপথে ৬ এপ্রিল থেকে বিশেষ লঞ্চ চলাচল করবে। চাহিদা অনুযায়ী ঈদের পাঁচ দিন পর পর্যন্ত এ বিশেষ লঞ্চ চলবে।

    উল্লেখ্য, আসন্ন ঈদে লঞ্চে যাতায়াতকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেখানো ও সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে কেবিনে যাতায়াতকারীদের এনআইডি সংরক্ষণ করতে লঞ্চ মালিক-শ্রমিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

    পিএম

    চুয়াডাঙ্গায় পা‌খিভ্যা‌ন নিয়ন্ত্রণ হা‌রি‌য়ে চালকের মৃত্যু

    চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় শেখ ইট ভাটার ইট বোঝাই এক‌টি পা‌খিভ্যা‌নের (ই‌ঞ্চিন চালিত ভ্যান) নিয়ন্ত্রণ হা‌রি‌য়ে গা‌ছের সা‌থে মে‌রে চালক মুকরা‌মিন (৩০) মারা‌ গে‌ছে।  


    আজ বৃহস্প‌তিবার (২৮ মার্চ) সকাল ১০দি‌কে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতা‌লে চি‌কিৎসা‌ধীন অবস্থায় সে মারা যায়। নিহত মুকরা‌মিন উপ‌জেলার উ‌জিরপুর গ্রা‌মের মোল্লাপাড়ার হা‌মিদুল ইসলা‌মের ছে‌লে।


    দামুড়হুদা ম‌ডেল থানার অ‌ফিসার ইনচার্জ (ও‌সি) আলমগীর ক‌বির জনান, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দি‌কে দামুড়হুদার শেখপাড়ায় অব‌স্থিত বকুল মিয়ার শেখ ইট ভাটার পা‌খিভ্যান চালক মুকরা‌মিন ইট বোঝাই ক‌রে উ‌জিরপুর গ্রা‌মে যা‌চ্ছি‌লো। যাওয়ার প‌থে দর্শনা-চুয়াডাঙ্গা সড়‌কের দামুড়হুদা ম‌ডেল মস‌জি‌দের সাম‌নে পা‌খিভ্যা‌নের নিয়ন্ত্রণ হা‌রি‌য়ে সড়‌কের পা‌শে এক‌টি গা‌ছে ধাক্কা মে‌রে মারাত্মকভাবে আহত হয়। স্থানীয়রা তা‌কে উদ্ধার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি ক‌রে। সেখা‌নে চি‌কিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০টার দি‌কে সে মারা যায়। 


    চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতা‌লের জরুরী বিভা‌গের চি‌কিৎসক ডা. সা‌দিয়া মুকরা‌মি‌নের মুত্যুর বিষয়টি নি‌শ্চিত ক‌রেছেন। 

    ৫ বছর জেলে থাকার পর দেশে ফিরলেন ভারতীয় নাগরিক দিপক

    নিরুদ্দেশ হয়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিক দীপক কুমারকে (৩৩) পাঁচ বছর পর পরিবারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। 


    আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা এবং ভারতের গেদে বন্দরের শুন্য রেখায় দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, ইমিগ্রেশন, কাস্টমস ও থানা পুলিশের কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। 


    মানসিক ভারসাম্যহীন দীপক বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলা কারাগারে বন্দি ছিল প্রায় ৫ বছর। দীপকের কুমারের বাড়ি ভারতের বিহার রাজ্যের সামস্তীপুর জেলার মনিহারপুর গ্রামে। 


    বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে পিরোজপুর জেলা পুলিশের হাতে আটক হয় দীপক। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আদালতের মাধ্যমে তাকে পিরোজপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। সাজার মেয়াদ শেষ হলে ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর প্রত্যাবসনের জন্য সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।  


    পরে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দর্শনা বন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে দীপক কুমারকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়। দর্শনা সীমান্তে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে দীপক কুমারের বাবা রাম নরেশ ঠাকুর এবং দুলাভাই গৌরব কুমার উপস্থিত ছিলেন।


    হস্তান্তর অনুষ্ঠানের বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার সুবেদার এনামুল কবির, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিক, কাস্টমস কর্মকর্তা মো. জাহিদুজ্জামান, শরীফ উদ্দিন, দর্শনা থানার এস আই ফাহিম হোসেন, চেকপোস্টের এএসআই মোমিন প্রমুখ।  


    ভারতের পক্ষে ছিলেন ১৩২ বিএসএফ সীমানগর ব্যাটালিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর পি নাগা রঞ্জন, গেঁদে ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এসি বিতাশী, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জিসি দে, কাস্টমস কর্মকর্তা রামাতার পি যাদব, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এএসআই তন্ময় দাস, ডিআইবি সাধন মন্ডল ও নব কুমার চক্রবর্তী, রেডক্রস প্রতিনিধি চিত্তরঞ্জন ন্থা প্রমুখ।

    নাশকতার মামলায় চুয়াডাঙ্গা বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

    নাশকতা মামলায় চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ জন নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 


    হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা ১১টায় নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ, মো, জিয়া হায়দার তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় ৬ নেতা-কর্মীর জামিন দেন তিনি। 


    এদিকে, হাজিরা দিতে আসা বিএনপি জামায়াতের ৫৩ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে পালিয়ে যান।


    অ্যাডভোকেড শাহাজাহান মুকুল (বিএনপি'র দলীয় আইনজীবী) বলেন, নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপি জামায়াত নেতা-কর্মীরা। আগামী রোববার (৩১ মার্চ) আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এ সময় জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার এদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন ও বাকি ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় আদালত থেকে ৫৩ জন নেতা-কর্মী হাজিরা না দিয়ে পালিয়ে যান। 


    এ্যাডভোকেট শাহজাহান আরও জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।


    এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সবকিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে। 


    তিনি বলেন, তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে। 

    বজ্রপাতে কোরআনের হাফেজসহ দুই যুবকের মৃত্যু

    মাগুরার মহম্মদপুরে বজ্রপাতে কোরআনের হাফেজ দুই যুবক মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (২৮মার্চ) বিকালে বৃষ্টির সময় আকস্মিক বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। 


    নিহতরা হলেন- মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কানুটিয়া গ্রামের জামান মির্জার ছেলে তন্ময় মির্জা (২২) ও একই এলাকার চরপাড়া গ্রামের বাক-প্রতিবন্ধী উমেদ শেখ (২০)। 


    পরিবারের স্বজনেরা জানায়, তন্ময় একজন কোরআনের হাফেজ ছিল। বাড়ির পাশে রাস্তায় থাকায় অবস্থায় বজ্রপাতে আহত হলে তাকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। 


    অন্যদিকে উমেদ শেখের পরিবারের স্বজনেরা জানায়, মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে আহত হয় উমেদ শেখ। এসময় মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। আফরান মোল্যার বড় ছেলে উমেদ।  


    একই এলাকার দুইজনের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

    মেহেরুল্লানগর রেলস্টেশন আধুনিকায়ন ও শাটল ট্রেন চালুর দাবি

    যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির ঐতিহ্যবাহী মেহেরুল্লানগর রেলস্টেশনটি আধুনিকায়ন করে পূর্নাঙ্গভাবে চালুর দাবি করা হয়েছে। একই সাথে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম শাটল ট্রেন চালুর জোর দাবি উঠেছে। এছাড়া এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সময় ও আর্থিক অপচয় রক্ষা হওয়ার পাশাপাশি এলাকার উন্নয়ন হবে বলে সচেতন মহলের অভিমত। বর্তমানে শাটল ট্রেন চালু ও মেহেরুল্লানগর রেলস্টেশন আধুনিকায়ন করা যেনো মানুষের প্রাণের দাবি হয়েছে।

    জানা গেছে, ২০০৬ সালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) স্থাপিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে যশোর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যবিপ্রবি পর্যন্ত একটি শাটল ট্রেন চালুর মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। যবিপ্রবির প্রথম উপাচার্য প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম সরকার (আর আই সরকার) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পর্যন্ত শাটল ট্রেন চালু, মেহেরুল্লাহ নগর রেল স্টেশনটি আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহন করেন। সংশ্লিষ্ট দফতরে তিনি যোগাযোগও করেছিলেন। 

    কিন্তু উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়নি । পরবর্তীকালীন উপাচার্য. প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার পরিকল্পনা নেন যশোর বিমান বন্দর হতে ঝাউদিয়া, বাদিয়াটোলা, নলডাঙ্গা, বাগডাঙ্গা, দৌগাছিয়া গ্রামের ওপর দিয়ে যবিপ্রবির ক্যাম্পাস পর্যন্ত একটি রাস্তা নির্মাণের। যাতে বিমান থেকে নেমে সকলে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারেন। রাস্তাটি নির্মাণের সাথে এই এলাকা দিয়ে একটি ইকোনমিস ভিলেজ এবং ইপিজেড শিল্প এলাকা প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা ছিলো তার। তিনিও চাকরি জীবন থেকে অবসরে যাওয়ার পর এসব পরিকল্পনা থমকে যায়। অথচ ওই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলে এলাকার জনগনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখতো ও ব্যবসা বাণিজ্যের দ্রুত প্রসার ঘটার সম্ভাবনা ছিলো। অথচ প্রায় ১৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি।

    এদিকে, যবিপ্রবিতে অধ্যয়নরত উত্তরবঙ্গের রাজশাহী, রংপুর,দিনাজপুর,বগুড়া, ঠাকুরগাও, পঞ্চগড়ের ছাত্র ছাত্রীদের ট্রেনে যাতায়াতকালে যশোর রেলস্টেশন পর্যন্ত যেতে হয়। এতে তাদের অর্থ ও সময় দুটোই অপচয় হচ্ছে। যবিপ্রবিতে শাটল ট্রেন ও চুড়ামনকাটির মেহেরুল্লাহ নগর রেলস্টেশন চালু করে আধুনিকায়ন করলে এটি লাঘব হবে। শিক্ষার্থীরা এই অসুবিধার নিরসন চান। শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।

    যবিপ্রবির শিক্ষার্থী তামজিদ আহমেদ জানান, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে শাটল ট্রেন চালুর দাবি করে আসলেও বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নেই। শাটল ট্রেন চালু করলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দুর হবে।

    আরেক শিক্ষার্থী তানিয়া সুলতানা জানান, চুড়ামনকাটি এলাকায় অনেক শিক্ষার্থী ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। বাস বা অন্য কোন যানবাহনে চড়ে ক্যাম্পাসে যেতে তাদের দারুন অসুবিধা হয়। চুড়ামনকাটির মেহেরুল্লানগর রেলস্টেশন আধুনিকায়ন করে শাটল ট্রেন চালু করলে অনেক সুবিধা হতো। কেননা স্টেশন থেকে শাটল ট্রেন যোগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারতেন। যৌক্তিক এই দাবি বাস্তবায়নের দাবি করে এই শিক্ষার্থী।

    চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবক অধ্যাপক ও প্রবীন সাংবাদিক মসিউল আযম জানান, তার জীবদ্দশায় এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারলে অত্যান্ত আনন্দ লাভ করতেন। এ ব্যাপারে জনমত গঠনে সাংবাদিক সমাজের অগ্রনী ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

    চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন দফাদার জানান, ঐতিহ্যবাহী মেহেরুল্লানগর স্টেশনটি প্রায় বন্ধ হতে চলেছে। বর্তমানে এখানে কোন কার্যক্রম নেই বললেই চলে। মুন্সী মেহেরুল্লাহর প্রতি সম্মান দেখিয়ে হলেও কর্তৃপক্ষের স্টেশনটি আধুনিকায়ন করা উচিৎ। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম শাটল ট্রেন চালু করার জন্য কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ করেন তিনি।

    যবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন জানান, যবিপ্রবিতে শাটল ট্রেন চালুর দাবি দীর্ঘদিনের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত দিনে শাটল ট্রেন চালুর দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। 

    শাটল ট্রেন ও মুন্সী মেহেরুল্লানগর রেল স্টেশন সংস্কার করে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা হয় তাহলে বৃহত্তর যশোর ও খুলনা থেকে আগত শিক্ষার্থী ,শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতে অনেক উপকৃত হবেন। তারা চুড়ামনকাটি নেমে শাটল ট্রেন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাতে পারবেন। ফলে পরিবহন খরচ কমে যাবে। অবসরে চলে যাওয়া দুই জন উপাচার্যের মতো তিনিও শাটল ট্রেন চালুর বিষয়ে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন।

    এমআর

    সেনবাগে পুকুরের পানিতে ডুবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর মৃত্যু

    পুকুরের পানিতে ডুবে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৪নং কাদরা ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামের মোহাম্মদ তাহসিন মাহমুদ (৪) নামে এক শিশু মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ ) দুপুরের দিকে তাহিরপুর গ্রামের মিজি বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত মোহাম্মদ তাহসিন মাহমুদ তাহিরপুর তামিরুল উম্মাত ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ব্যবসায়ী হেদায়েত উল্যা মিয়াজীর ২য় সন্তান ও তাহিরপুর নূরানী তালিমুল কুরআন হাফেজি মাদ্রাসার প্রথম জামায়াতের ছাত্র।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে শিশু মোহাম্মদ তাহসিন মাহমুদের মা তাকে ঘরে রেখে ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলো। এসময় মায়ের অগোচরে সে বাড়ীর পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। দীর্ঘ সময়েও তার সাড়া শব্দ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা উদ্বেগ উৎকণ্ঠ নিয়ে তাকে খোঁজাখুজি শুরু করে। কিন্তু কিছুতেই দেখা মিলছে না তাহসিনের এক পর্যায়ে দুপুর ২টার দিকে পুকুরে ভাসতে দেখে শোর চিৎকারে বাড়ির পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। দ্রুত পুকুর থেকে শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিশুর মৃত্যুর খবরে পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া ।

    এ বিষয়ে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজিম উদ্দিন বলেন, পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় বিষয়টি অবগত করা হয়নি।

    এফএস

    কক্সবাজারে কথা কাটাকাটির জেরে যুবককে হত্যা

    কক্সবাজারের রামুতে ছুরিকাঘাতে নিহত কৃষকলীগ নেতা নাজেম মওলা সাহেদ হত্যাকান্ডে জড়িত দুই জনকে ৪৮ ঘন্টা না পেরোতেই আটক করেছে রামু থানা পুলিশ। বুধবার মধ্যরাতে কচ্ছপিয়া এলাকা থেকে তোদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছে রামু থানার ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান এ তথ্য জানিয়েছেন।

    গ্রেপ্তার ২ জন হলেন, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড কমলাপাড়া এলাকার কাদের মিস্ত্রির ছেলে আলা উদ্দিন ও একই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে ওসমান।

    সংবাদ সম্মেলনে ওসি মো. আবু তাহের দেওয়ান জানান, গ্রেপ্তার ২ জন সহ ৩ জন রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বধুপাড়া ব্রিজের মাথায় অবস্থান করছিলেন। এসময় জনৈক ফেরদৌস প্রকাশ ফিরোর সাথে এক ব্যক্তির সাথে ৩ জনের কথা কাটাকাটি হয়। এ বিষয়টি ফেরদৌস নিহত সাহেদকে কল করে জানান। সাহেদ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তার সাথেও কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ৩ জন তাদের সাথে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে নাজেম মাওলা সাহেদকে এলোপাথাড়ি চুরি দিকে আঘাত করে গুরুত্বর রক্তাক্ত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতাল কক্সবাজারে নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যু বরণ করে।

    ওসি রামু জানান, এ ঘটনায় তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারে মাধ্যমে আসামীদের মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্রাক করে তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষন করিয়া প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অপর আসামী পেঠান সওদাগরের পুত্র দেলোয়ার পলাতক রয়েছে এবং তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।

    মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে ছুরিকাঘাতে কচ্ছপিয়ার রূপনগর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে সাহেদ নিহত হন।

    এফএস

    কুমিল্লায় বেসরকারি হাসপাতালকে দুই লাখ টাকা জরিমানা

    পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকা, অবৈধ চেম্বার স্থাপন ও নানা অনিয়মের অভিযোগে কুমিল্লা নগরীর কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল (কুমিল্লা টাওয়ার) কে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।


    আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান।


    সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে কুমিল্লা নগরীর কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে নগদ ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ লিফট ও অবৈধ চেম্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ও অবৈধ অক্সিজেন প্ল্যান্ট ৩০ দিনের মধ্যে পুনঃপ্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে লিখিত জমা দিতে বলা হয়েছে। 


    এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আদর্শ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মনজুরুল ইসলাম ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. রাহাত।

    লক্ষ্মীপুরে ৫ ইউপিতে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ৩৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী

    ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫ ইউনিয়নে মোট ৩৭জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে স্ব-স্ব ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে প্রার্থীরা তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়া ৪৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে ২৫১ জন এবং ১৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৬৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।


    বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বিকাল ৪টা পর্যন্ত জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন প্রার্থীরা। 


    জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


    জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ২নং দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ০৫ জন, ৩নং দালালবাজার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ০৬ জন, ৬নং বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ৬ জন, ১৫নং লাহারকান্দি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ১০ জন এবং ১৯নং তেওয়ারিগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এছাড়া ৫টি ইউনিয়নে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৬৪ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৫১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।


    ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৯ মার্চ ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। আগামী সোমবার (১ এপ্রিল) হবে মনোনয়নপত্র বাছাই, আপিল দায়েরের সময় ২ থেকে ৪ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ এপ্রিল। আর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ৯ এপ্রিল।


    এ ৫ ইউপি নির্বাচনে মোট ৪৬টি ভোট কেন্দ্রের ২৩৮টি ভোটকক্ষের মাধ্যমে আগামী আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ২২ হাজার ২২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৪ হাজার ৬৮ জন ও নারী ৫৮ হাজার ৮৫৮ জন এবং হিজড়া ভোটার রয়েছেন ২জন।


    উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন মামলা জটিলতায় লক্ষ্মীপুর সদরের ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন বন্ধ ছিল। এর মধ্যে চররুহিতা ইউনিয়ন বাদে বাকি ৫টিতে গত ১০ মার্চ তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

    পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং বোটে আগুন, দগ্ধ ৪

    চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীতে নোঙ্গররত ফিশিং বোটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে কোস্ট গার্ড জাহাজ প্রমত্ত। এ ঘটনায় ৪ জন দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।


    বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে কর্ণফুলী নদীর ১৫ নম্বর ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।


    দগ্ধ চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন- জামাল উদ্দিন (৫৫), মাহমুদুল করিম (৪৫), মফিজুর রহমান (৪৫) ও এমরাম (২৮)।


    চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, পতেঙ্গা এলাকায় ফিশিং বোটে বিস্ফোরণে দগ্ধ ৪ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।

    এআই 

    ঘাটাইলের দেওপাড়া গণ উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরিক্ষা বাতিলের দাবি

    টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া গণ উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্থের বিনিময়ে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দু’টি পদে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছেন।


    জানা গেছে, সম্প্রতি দেওপাড়া গণ উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও অফিস সহকারী কাম হিসাব সহকারী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে বেশ কয়েকজন প্রার্থী আবেদন করেন। কিন্তু বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান সরকার ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম মিয়া কাউকে না জানিয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে মোঃ শহীদুল ইসলাম ও অফিস সহকারি পদে মো. তাওহীদ এর নিকট থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছেন বলে লিখিত অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আফরোজা আক্তার, মোনছের আলী ও ফরিদ মিয়া। 


    তারা জানান, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি যোগসাজশে ওই দু’জনকে নিয়োগ দেওয়ার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। আগামী ৩০ মার্চ দেওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক নিয়োগ পরিক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। নিয়োগ পরিক্ষা স্থগিতের দাবিতে তাঁরা জেলা প্রশাসক ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।


    দেওপাড়া গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সেলিম মিয়া জানান, নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয়।


    বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মো. আ. মান্নান জানান, সকল নিয়ম মেনে রেজুলেশনের মাধ্যমে নিয়োগ পরিক্ষার প্রক্রিয়া করা হয়েছে। অর্থ লেনদেনের বিষয়টি তার জানা নেই।


    নিয়োগ কমিটির (ডিজি) প্রতিনিধি বাসাইল সরকারি গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার জানান, এ ধরনের অভিযোগ থাকলে সুুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং সবকটি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হবে।


    জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা জানান, অভিযোগ পেয়েছেন এবং এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।

    যমুনার বুকে বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৩.৭ কিমি দৃশ্যমান

    প্রমত্তা যমুনার বুকে দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণের কাজ ৮০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইল অংশে ৯২ শতাংশ ও সিরাজগঞ্জ অংশে ৮০ শতাংশের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ফলে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান। 


    আগামি ডিসেম্বরের মধ্যে এ মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সেতুটি চালু হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারাদেশের যোগাযোগ ও পরিবহন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি ট্রান্সএশিয়ান রেলপথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি বেগবান হবে।


    যমুনার ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ডুয়েলগেজের এ সেতুতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। তবে শুরুতে (উদ্বোধনের ১ বছর) সেতুর ওপর দিয়ে দুইটি ব্রডগেজ ও মিটারগেজ ট্রেন ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে। প্রায় ৭ হাজার দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও শ্রমিকের দিনরাত পরিশ্রমে দ্রুত এগিয়ে চলেছে রেল সেতুর নির্মাণকাজ। 


    টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ অংশে দুইটি প্যাকেজের আওতায় ৫০টি পিলার ও ৪৯টি স্প্যানের সমন্বয়ে এ রেল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪৯টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা ৩৭টি স্টিলের স্প্যান পিলারের ওপর বসানো হয়েছে। বাকি ১৬টি স্প্যান বসানোর কাজ চলছে। রেল সেতুতে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ দুই ধরনের ট্রেনই সেতুর সঙ্গে রেল সংযোগ তৈরি করতে দুই প্রান্তে  ভায়া ডাক ও ৩০ কিলোমিটার ডাবল লাইনের রেলপথের কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। সেতুর স্প্যানে পারবিহীন রেললাইন বসানো হচ্ছে। দেশের রেললাইনে জাপানি এ প্রযুক্তির ব্যবহার এটাই প্রথম। এ প্রযুক্তিতে স্টিল স্ট্রাকচারের গার্ডারের সঙ্গে রেললাইনের সংযোগ প্রযুক্তিতে কোনো স্লীপার থাকবে না।


    সরেজমিনে দেখা যায়, যমুনার বুকে ভারি ভারি যন্ত্র বসিয়ে সারিবদ্ধভাবে নদীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ৪৯টি পিলার। উত্তাল যমুনার ওপর দেশের এ মেগা প্রকল্পকে ঘিরে নদীর টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জের দুই প্রান্তে দিন-রাত দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও নির্মাণ শ্রমিকরা বিরতহীনভাবে কাজ করছেন। কেউ পাইলিং করছেন, কেউ স্প্যানের কাজ করছেন। আবার কাউকে ঢালাইয়ের কাজ করতে দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর ৫০টি পিলারের মধ্যে ৪৯টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে এবং মাত্র একটি পিলার বসানো বাকি রয়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে স্টিল অবকাঠামোর সেতুটি চালু করা হবে। মেগা প্রকল্পের এ সেতুর অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল হবে ১০০ বছর।


    বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, দেশের সবচেয়ে বড় এ রেলসেতুতে মোট পিলার (খুঁটি বা পিলার) রয়েছে ৫০টি। ক্রেনের সাহায্যে হ্যামার দিয়ে বসানো হচ্ছে পাইলিং পাইপ। রেলসেতুতে কংক্রিটের পিলার বসানো হচ্ছে। ওপরের সুপার স্ট্রাকচার হচ্ছে স্টিলের।


    অপরদিকে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্মাণকালীন কিছু ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে। 


    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- অনুমোদিত ইএমপি অনুযায়ী সড়কের ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রকল্প এলাকার জনগণ ও সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশগত ঝুঁকিতে রয়েছে। আইএমএডি প্রতিবেদনে প্রকল্পের কিছু দুর্বল দিকও প্রকাশ করা হয়েছে। এরমধ্যে রেলওয়ে সড়কবাঁধ নির্মাণে যথাযথ এবং অনুমোদিত পদ্ধতি অনুসরণ না করা, প্রকল্পের কার্যক্রম সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত না করা, চুক্তি মোতাবেক প্যাকেজ ডবিউডি২-এর ল্যাবরেটরিতে মেশিনারি ও জনবল মোবালাইজ না করা, প্রকল্পের ম্যানেজমেন্ট সাপোর্ট কনসালট্যান্ট নিয়োগ না করা, অনুমোদিত ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক পালস (ইএমপি) অনুযায়ী নির্মাণকালীন সড়কের ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়নি ও প্যাকেজে ডব্লিউডি২ সম্পূর্ণ ল্যাবরেটরি টেস্টিং ইক্যুইপমেন্ট শ্রেণি বিন্যাস করা হয়নি ইত্যাদি।


    এক্সিট প্ল্যান হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়নের পরে প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার প্যাকেজ ভিত্তিক এক বছর সেতু রক্ষণাবেক্ষণ করবে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে প্রকল্পের আওতায় নির্মিত সেতু ও যাবতীয় ভৌত অবকাঠামো হস্তান্তর করার কথা রয়েছে। নিয়মিত ও প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের দক্ষ জনবল, যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে এই সেতু এবং ভৌত অবকাঠামোর ডিজাইন লাইফ ১০০ বছর সচল রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।


    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানবিরুল ইসলাম জানান, সেতুর পিলারগুলোর ফাউন্ডেশন জাপানি এসপিএসপি ফাউন্ডেশন পদ্ধতিতে দেওয়া হয়েছে। আগামি মে মাসের মধ্যে পুরো স্প্যান বসানো সম্ভব হবে। এ সেতুর ফলে  রেলের মাধ্যমে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে পণ্য পরিবহনে নিজেদের সক্ষমতা তৈরি হচ্ছে। সেতুটি চালু হলে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগে যেমন গতি বাড়বে- তেমনি প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে রেলে পণ্য পরিবহনে সক্ষমতা তৈরি হবে।


    তিনি জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৮টি রেল চলাচল করতে পারে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু চালু হলে প্রতিদিন ৬৮টি রেল চলাচল করতে পারবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে ভারতের সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে নীলফামারীর চিলাহাটি এবং চিলাহাটি বর্ডারের মধ্যে ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের কাজও চলছে। ভারতের ফুলবাড়ী অংশে শিলিগুড়ি পর্যন্ত সেখানকার রেল বিভাগ রেলপথ নির্মাণ করছে।


    পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম অসীম কুমার তালুকদার জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের গতি সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার। এছাড়া সেতুর ওপর দিয়ে একই সময়ে একটির বেশি ট্রেন চলাচল করতে পারেনা। নতুন রেলসেতু চালু হলে একদিকে যেমন ট্রেনে গতি ফিরবে তেমনি যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।


    সংশ্লিষ্টরা জানান, সেতু থেকে রাজশাহী স্টেশন পর্যন্ত রেললাইন সংস্কার ও ডাবল লাইন না করা গেলে এই রেলসেতু পুরোপুরি কাজে আসবে না। তা ছাড়া ট্রেনে লাগেজ বগিও যুক্ত করতে হবে। স্টেশনগুলোতে পণ্য পরিবহনে বিশেষ করে কাঁচামাল পরিবহনের উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। রাজশাহীতে উৎপাদিত আম, সবজি ও মাছের মতো কাঁচামালের ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। একইভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আমদানি করা শিল্প কলকারখানার জন্য কাঁচামাল রেলযোগে সরাসরি উত্তরবঙ্গে আনার সুব্যবস্থাও করতে হবে। তবেই এই রেলসেতুর পুরোপুরি সুফল আসবে।


    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে। ইতোমধ্যে মোট প্রকল্পের ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে টাঙ্গাইল অংশে ৯২ শতাংশ ও সিরাজগঞ্জ অংশে ৮০ শতাংশ রয়েছে। এটি রেলের জন্য যুগান্তকারী একটি প্রকল্প। সেতুর ওপর দিয়ে ১২০ কিলোমিটার বেগে একত্রে চলচল করতে পারবে দুটি ট্রেন। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে।


    প্রকাশ, অভ্যন্তরীণ, ক্রস বর্ডার এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে ট্রাফিকের বর্ধিত চাহিদা বিবেচনায় রেখে নির্বিঘ্নে নিরবচ্ছিন্ন রেল চলাচল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিদ্যমান সড়ক সেতুর ৩০০ মিটার উজানে যমুনা নদীর ওপর আরেকটি ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাক সম্পন্ন ৪ দশমিক ৮০ কিমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু ও প্রায় ৭ দশমিক ৬ কিলোমিটার ডাবল লাইন সমন্বিত রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ অ্যামবাঞ্চমেন্ট নির্মাণ করা হচ্ছে।


    প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলসেতুটি নির্মাণ করার কথা থাকলেও প্রথম সংশোধনীর পর সেতু প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দেশীয় অর্থায়ন থাকছে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ বা চার হাজার ৬৩১ কোটি টাকা এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিচ্ছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা- যা পুরো প্রকল্পের ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ।

    টাঙ্গাইলে ৯৬৬ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক ৪

    বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে টাঙ্গাইল শহরের রাবনা বাইপাসে বুধবার রাতে ঢাকাগামী একটি মাইক্রেবাসে তল্লাণি চালিয়ে ৯৬৬ বোতল বিক্রি নিষিদ্ধ ফেনসিডিলসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪।


    বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-১৪ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।


    র‌্যাব-১৪ জানায়, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মনজুর মেহেদী ইসলামের নেতৃত্বে গোপনে সংবাদ পেয়ে বুধবার রাত ৮টার দিকে মহাসড়কের রাবনা বাইপাসে গাড়িতে তল্লাশি চালায়। তল্লাশিকালে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাসে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৯৬৬ বোতল বিক্রি নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ ও চারজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল সেট, নগদ এক হাজার ৬৫০ টাকা ও ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।



    আটককৃতরা হচ্ছেন- লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ উপজেলার সেবকদাস গ্রামের মো. কফুর উদ্দিনের ছেলে মো. দুলু মিয়া(৪০), একই এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে মাইক্রোবাস চালক মো. রিপন ইসলাম (২২), মো. আমিনুল হকের ছেলে মিনাজুল ইসলাম (২১) এবং একই উপজেলার সেবকদাস নিথক গ্রামের মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রহিম বাদশা (২৭)।


    র‌্যাব-১৪ আরও জানায়, আটককৃতরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে প্রতিনিয়ত অভিনব কৌশল অবলস্বন করতেন। তারা রংপুর জেলা থেকে আমদানী নিষিদ্ধ অবৈধ ভারতীয় ফেন্সিডিল সংগ্রহ করে ঢাকা মহানগর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা ব্যক্তির কাছে বিক্রি করতেন। আটককৃতদের নামে সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


     


    গাজীপুরে কভার্ড ভ্যান চাপায় মাছ ব্যবসায়ী নিহত

    গাজীপুরের শ্রীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাসে ওঠার সময় কভার্ড ভ্যানের চাপায় এক মাছ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। 


    বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান মাওনা হাইওয়ে থানার এসআই মো. ইসমাইল হোসেন। 


    নিহত মো. শফিক নূর (৪০) সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কামালপুর গ্রামের মো. হারুন উর রশিদের ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌর এলাকার বেড়াইদেরচালা গ্ৰামের রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থেকে মাছের ব্যবসা করতেন। 


    এ ঘটনায় কভার্ড ভ্যানের চালক জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে আটক করেছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে কভার্ড ভ্যানটি। 


    স্থানীয়দের বরাতে এসআই ইসমাইল জানান, ভোরে ময়মনসিংহের ভালুকা যাওয়ার জন্য ১ নম্বর সিঅ্যান্ডবি থেকে বাসে উঠতে চেষ্টা করেছিলেন শফিক নূর। এ সময় ময়মনসিংহগামী একটি কভার্ড ভ্যান তাকে চাপা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি। তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 


    স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফারাহ বলেন, “হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল শফিক নূরকে।” 


    এসআই ইসমাইল আরও বলেন, কভার্ড ভ্যান ও চালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান।

    এআই 

    রাজবাড়ীতে ভাঙ্গা ব্রিজে সাইকেল নিয়ে পরে এক বৃদ্ধ গুরুতর আহত

    রাজবাড়ীতে ভাঙ্গা ব্রিজ থেকে বাইসাইকেল নিয়ে ব্রিজের নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন এক বৃদ্ধ। আহত ব্যক্তির নাম রমজান বেপারী (৬০) তিনি জেলার পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ গ্রামের বাসিন্দা।


    বুধবার (২৭ মার্চ) বেলা সাড়ে চারটার সময় উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের বাগদুলী গ্রামে অবস্থিত চত্রা নদীর ব্রিজে এ ঘটনা ঘটে।


    স্থানীয়রা জানান ঘটনার সময় আহত রমজান বেপারী সাইকেল চালিয়ে ব্রিজের উপর ওঠে আসেন। এ সময় অপর পাশ থেকে একটি ভ্যান এসে তার মুখোমুখি হয় এ সময় ভ্যান গাড়িটাকে সাইট দিতে গিয়ে পা ফসকে সাইকেলসহ ব্রিজের নিচে পড়ে যান তিনি। ব্রিজের রেলিং ভাঙ্গা থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।



    বিল চত্রা গ্রামের বাসিন্দা ইয়াকুব আলী বলেন, এটা এখন আর ব্রিজ নেই আমাদের জন্য মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ব্রিজটি। বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ এখান দিয়ে যাতায়াত করে, সামনেই ঐতিহ্যবাহী বাগদুলীর হাট। এই হাটে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য দূর-দূরান্ত থেকে আসেন। ব্রিজের অবস্থা বেহাল হাওয়ায় এই হাটে এখন আর আগের মত কৃষক-ব্যবসায়ীরা আসেন না।



    স্থানীয় আরেকজন বলেন, কয়েক বছর আগেই ব্রিজের রেলিং ভেঙ্গে গেছে, কিছুদিন হল ব্রিজের মাঝখানে ভেঙ্গে গেছে। সেখানে বাঁশের চরাট দিয়ে কোন মত যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষি পণ্য বোঝাই ভর্তি গাড়ি নিয়ে ব্রিজের উপরে উঠলে থরথর করে কাপে ভয়ে থাকি কোন সময় যেন ভেঙ্গে নিচে পড়ে মৃত্যু হয়। তিনি আরো বলেন ব্রিজটি এত সরু একটি ভ্যান উঠলে আরেকটি সাইকেল যাওয়ার মত অবস্থা থাকে না যার কারণেই গতকাল এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।



    মৌরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ প্রামানিক বলেন, ব্রিজটি অনেক আগেই ভেঙ্গে গেছে আমি ফ্রি ফ্রি বাঁশ দিয়ে ব্রিজটি মেরামত করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছি। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি তারা বলেছে বাজেট নেই। এখানে অবশ্যই একটি নতুন ব্রিজ প্রয়োজন।



    উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি কর্মকর্তা জাকির হাসান বলেন, নতুন ব্রিজের জন্য চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে অনুমোদন হয়ে আসলেই টেন্ডার দিয়ে কাজ শুরু করা হবে। সেই সাথে সবাইকে একটু সাবধান হয়ে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

    এআই 

    পটুয়াখালীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শ্রমিক লীগ সভাপতির সংবাদ সম্মেলন

    পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লতাচাপলি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনসার উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলার মহিপুর থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি আবুল কালাম ফরাজী।  


    বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। 


    এসময় মো. আবুল কালাম ফরাজী লিখিত বক্তব্য বলেন, আমি জাতীয় শ্রমিক লীগ মহিপুর থানা শাখার সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছি।  আমার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কোন অপরাধনীতি করি নাই। কিন্তু আপনারা জানেন, লতাচাপলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক  বহিষ্কারের সুপারিশ প্রাপ্ত এবং লতাচাপলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব আনসার উদ্দিন মোল্লা গত ২৫ মার্চ আলিপুরস্থ বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করেছেন। ২৪ মার্চ গভীর রাতে তার বাসভবনে হামলা হয়েছে এমন দাবি করে আমি ও আমার লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। আমি যতটুকু খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি যে তার বাসভবনের হামলার ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো নাটক। আমি ও আমার লোকজনকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার চক্রান্তে এমন নাটক সাজানো হয়েছে। 


    তিনি আরো বলেন, গত ২৭ মার্চ মহিপুর থানায় জিআর ৩৪/২৪ নং একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার বাদী জোলেখা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা যারা আনছার উদ্দিন মোল্লা সকল অপকর্মের সহযোগী ও অনুসারী। দায়েরকৃত মামলায় আমাকে সহ আমার রাজনৈতিক সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করেছে।  দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের মধ্য দিয়ে প্রত্যাহারের দাবি করছি। 


    আবুল কালাম ফরাজী বলেন, মামলার এজাহারে উল্লিখিত ঘটনার সাথে আমিও আমার লোকজনের কোন সম্পৃক্ততা নাই। আমি ও আমার লোকজন প্রত্যাক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততা ছিল না মর্মে দূঢ়ভাবে আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই। 


    আনসার উদ্দিন মোল্লা ইউনিয়নের অপরাধনীতির মূল হোতা এবং মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে মামলা-মোকদ্দমা দায়ের করতে পারদর্শী বলেও মন্তব্য করেন। 

    ঝালকাঠিতে নদী থেকে নিখোঁজ অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার

    ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলায় নিখোঁজের ২ দিন পর সন্ধ্যা নদী থেকে মামুন হোসেন (২৫) নামে এক অটোচালকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 


    বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সাতুরিয়া ইউনিয়নের সাতুরিয়া গ্রামের ইদুরবাড়ি এলাকার সন্ধ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার  করা হয়। মামুন উপজেলার পশ্চিম সাতুরিয়া গ্রামের চেয়ারম্যান বাড়ি সংলগ্ন এলাকার মোকসেদ আলীর ছেলে।  


    স্থানীয়রা জানান, অটোগাড়ি চালাতো মামুন। গত ২ দিন ধরে সে নিখোঁজ ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশ খবর দেয় স্থানীয়রা। 


    রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে, পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

    ফেসবুকে ফেইক আইডিতে প্রেম, দেখা করতে গিয়ে যুবক ধরা

    বরগুনার তালতলীতে প্রেমের টানে ছুটে এসেছে  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার প্রতিবন্ধী যুবক আলআবি মৃধা (২৩) । বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে ওই যুবককে পুলিশ হেফাজতে নেয়। শারীরিক প্রতিবন্ধী ( বাম হাতের কবজি নেই) আলআবি মৃধা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার তুলাই শিমুল গ্রামের জনৈক মনিরুজ্জামান মৃধার ছেলে।

    আলআবি মৃধা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কলেজ পড়ুয়া আলআবি মৃধার সঙ্গে আরিফা ইসলাম নামে এক কিশোরীর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রেম হয়। প্রেমের এক পর্যায় ম্যাসেঞ্জারে ম্যাসেজ দিয়ে দেখা করতে তালতলীর নয়াপাড়া এলাকায় আসতে বলে ওই কিশোরী।

    মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে প্রেমিকাকে দেওয়া কথা রাখতে উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় আসেন আলাআবি মৃধা।

    ভুক্তভোগী প্রেমিক আলআবি বলেন, ফেসবুকের মেসেঞ্জারের মাধ্যমে তার সাথে বেশ কয়েকবার কথা ও ম্যাসেজের মাধ্যমে সব সময় কথা হয়েছে। তার ফেসবুক আইডির নাম ছিল (আরিফা ইসলাম)। সে আমাকে আসতে বলেছে আমি এ এলাকায় এসেছি তার সাথে দেখা করতে। আমি এসে জানতে পারি ওটা একটি ফেক আইডি ছিলো। রাতে আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলো স্থানীয়রা। পরের দিন সকালে ওই মেয়ের পরিবার আমাকে মারধর করে। পরে পুলিশ এসে আমাকে থানায় নিয়ে আসে।

    স্থানীয় বাসিন্দা মো. রনি বলেন, রাতে ওই ছেলে এই এলাকায় এসেছে তার প্রেমিকাকে দেখার জন্য। পরে আমরা বিষয়টি শুনে তাকে বলেছি, তিনি যে মেয়ের জন্য এসেছেন সেই মেয়ে বিবাহিত এবং এখানে থাকে না শ্বশুর বাড়ী থাকে।

    ওই গৃহবধুর শ্বশুর আবুল মিয়া বলেন, কে বা কারা ফেসবুকে আমার ছেলের স্ত্রীর ছবি নাম ব্যবহার করে ওই ছেলের সাথে কথা বলেছে। আমার ছেলের বউ এ ব্যাপারে কিছুই জানে না।

    ভুক্তভোগী আলআবির মা খোরশেদা বেগম বলেন, আমার ছেলের তালতলীতে এসে প্রতারণা শিকার হয়েছে। আমি খবর শুনে এসেছি। আমার ছেলে সুস্থ ও স্বাভাবিক আছে আমার কোন অভিযোগ নেই।

    তালতলী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম খান জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা থেকে এক যুবক এসেছে তার প্রেমিকাকার সাথে দেখা করতে। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে পুলিশি হেফাজতে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তার মা ও বোনের নিজ জিম্মায় আলআবি মৃধাকে দেওয়া হয়েছে। তাদের কোনো অভিযোগ নেই।

    এমআর

    ভিঙি নৌকার স্থলে সেতু নির্মাণ করে দিলেন চেয়ারম্যান

    বরগুনার তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম শারিকখালী ও দক্ষিণ নলবুনিয়া গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত খালের উপর ১৫০ ফুট লম্বা কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবী-উল-কবির উল কবির। এলাকাবাসীর ভোগান্তির কথা চিন্তা করে নিজস্ব তহবিল থেকে ওই সেতুটি নির্মাণ করে দেন তিনি।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম শারিকখালী ও দক্ষিণ নলবুনিয়া গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত খালের উপর ব্রিজটি ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরে ভেঙ্গে খালে পড়ে যায়। এরপর থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর পূর্ব শারিকখালি, পশ্চিম শারিকখালী, দক্ষিণ শারিকখালি, মধ্যে শারিকখালি ও নলবুনিয়াসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতেন। এছাড়াও এলাকার উৎপাদিত ফসল পরিবহন করতে পারতেন না। জরুরি সময়ে অসুস্থরা চলাচল করতে পারতেন না। সেতুটির অভাবে আশপাশে গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের দুর্ভোগে শেষ ছিল না।

    শারিকখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য ওলি আহমেদ বলেন, সেতু না থাকায় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে এলাকাবাসীকে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের জরুরি চিকিৎসায় দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এছাড়া উৎপাদিত ফসল সময়মতো ঘরে তুলতে পারতো না আবার উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হতো।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কৃষ্ণ ধোফা বলেন, এখান থেকে প্রতিদিন ৫ শতাধিক মানুষ ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হত। এখন এই সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় স্বস্তিতে মানুষ পারাপার হতে পারবে। আমরা দ্রুত এখানে একটি পাকা সেতু চাই।

    করাইবাড়িয়া টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী সুদেব দাস বলেন, আগে ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে গিয়ে অনেকেই বই-খাতা হারিয়ে ফেলতাম। এখন আর এমন হবে না। এখন নিরাপদে সেতু দিয়ে পার হতে পারব। এজন্য চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ।

    তালতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজবী-উল-কবির বলেন, এই খাল দিয়ে এলাকাবাসী ডিঙি নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে দেখে কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিয়েছি এতে মানুষের ভোগান্তি লাঘব হবে।

    পিএম

    বরগুনায় বন্য শূকরের কামড়ে নারীসহ আহত ৫

    বরগুনার পাথরঘাটায় বন্য শূকরের কামড়ে নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।


    বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের দক্ষিণ গাববাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


    আহতরা গাববাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বেলায়েত মীর (৬০) ও তার ছেলে ইব্রাহিম মীর (৩৫) একই গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে আব্বস প্যাদা (৩৩), আব্দুর রবের মেয়ে ছকিনা (৩২), বড় টেংরা  এলাকার আব্দুল হানিফ মোল্লার ছেলে সাইফুল মোল্লা (৩০) এর নাম জানা গেছে।


    প্রত্যক্ষদর্শী মো. জসিম হাওলাদার জানায়, হঠাৎ করে বসতবাড়ির বাগান থেকে একটি বন্য শূকর বেরিয়ে বেলায়েত মীরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় বাবার চিৎকার শুনে বাঁচাতে ছেলে ইব্রাহিম মীর গেলে তাকেও কামড় দিয়ে ওখান থেকে চলে যায়। পরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী  ছকিনা বেগমকে দাওয়া করে তাকেও আহত করে। সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী বড় টেংরা এলাকার বাসিন্দা সাইফুল মোল্লাকেও কামড় দেয়। প্রত্যেকের পায়ে ও হাতে এবং পিঠে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে।


    তাৎক্ষণিক এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। বর্তমানে বন্য শূকর নিয়ে ঐ এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করতেছে। 


    এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশেদা আনজুম হেনা জানান, শুকরের কামড়ে পাঁচ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছে। তাদের মধ্যে দুজন গুরুতর হওয়ায় তাদের বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। 


    টেংরা বিট কর্মকর্তা আরিফ রহমান বলেন, শুকর মানুষকে শুধু শুধু কামড়ায় না, হয়তো শুকরকে কেউ মারধর করেছে তাই লোকালয়ে এসে মানুষকে কামড়িয়েছে। বর্তমানে শুকরটি গভীর জঙ্গলে চলে গেছে।

    এআই 

    বকশীগঞ্জে দেড় ঘন্টা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ

    জামালপুরের বকশীগঞ্জে নিজ কার্যালয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা অবরুদ্ধ ছিলেন সাব-রেজিস্টার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছচারিতা, দলিল লেখক ও জমির দাতা গ্রহীতাদের সাথে অসাদাচরনের অভিযোগে দলিল লেখকরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তার অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। 


    বুধবার (২৭ মার্চ) বিকালে সাব-রেজিস্টি অফিসে এই ঘটনা ঘটে। তবে তার বিরুদ্ধে দলিল লেখকদের সকল অভিযোগ অস্বীকার করে সাব্-রেজিস্টার বলেন দলিল লেখকদের অনৈতিক আবদার না মানার কারনেই তারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। এই ঘটনায় তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান। 


    দলিল লেখকরা জানান, গত বছরের ১৫ অক্টোরব বকশীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেন আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম। এর আগে তিনি লক্ষীপুর জেলার রামগতি সাব-রেজিস্ট্রার ছিলেন। তিনি যোগদানের পর থেকেই দলিল লেখকসহ জমির দাতা গ্রহীতাদের সাথে অসাধাচরন করে আসছেন। কথায় কথায় তিনি দলিল লেখকদের সনদ বাতিলের হুমকি দেন। সকাল বেলার দলিল তিনি রাতে পাশ করেন। মনগড়া ভাবে চালাচ্ছিলেন সরকারি অফিস। সকল দলিল লেখকরা তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়েন। দিন দিন তার হয়রানি বেড়েই চলছিল। 


    বুধববার রেহেনা বেগম নামে এক নারী তারই সহোদর বোন রুবিনা আক্তারকে ৫৮ শতাংশ জমি হেবা মুলে দলিল করে দিতে যান। ওই দলিল নিয়ে সাব-রেজিস্টারের কামরায় যান দলিল লেখক শহিদুল্লাহ। এ সময় সাব-রেজিস্টার জমির দাতার কাছে জানতে চান কেনো তিনি তার বোনকে হেবা মুলে জমির দলিল করে দিচ্ছেন। কত টাকা নিয়েছেন। 


    তার এমন পশ্নে এক পর্যায়ে জমির দাতা বলেন তার বোন তাকে কিছু টাকা দিয়েছেন তাই দলিল করে দিচ্ছেন। এই কথা শোনেই সাব-রেজিস্টার রেগে যান এবং দলিলটি সম্পাদন না করেই ফিরিয়ে দেন। বিষয়টি জানতে দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি আলী আহসান খোকা সাব-রেজিস্টারের কাছে যান। এ সময় সাব-রেজিস্টার আলী আহসান খোকা ও শহিদুল্লাহর সাথে অসাদাচরন করেন এবং তাদের দুজনকেই সাসপেন্ড করেন। মুহুর্তেই এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে অন্যন্যা দলিল লেখকদের মাঝেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ করে সাব-রেজিস্টারের অপসারন দাবি করেন। এক পর্যায়ে সাব-রেজিস্টারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন দলিল লেখকরা। সেই সাথে সাব-রেজিস্টারের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতীর ঘোষনা দেন। ফলে বেকায়দায় পড়ে যায় দাতা গ্রহীতারা। 


    বকশীগঞ্জ দলিল লেখক সমিতির সাবেক সভাপতি আলী আহসান খোকা বলেন, সাব-রেজিস্টার কোন মানুষকে মানুষ মনে করেন না। অনিয়মকে তিনি নিয়মে পরিনত করেছেন। কথায় কথায় দলিল লেখকদের সনদ বাতিলের হুমকি দেন। আজ বৈধ এক দলিল না করে তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন। জানতে চাইলে তিনি আমিসহ একাধিক দলিল লেখকের সাথে খারাপ আচর করেন এবং আমিসহ দুইজনকে সাসপেন্ড করেন। আমরা দলিল লেখকরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি তার অপসারনের দাবিতে। 


    দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ফিরোজ মিয়া বলেন, বকশীগঞ্জের কোন দলিল লেখক সাব-রেজিস্টারকে এই অফিসে দেখতে চাইনা। তার আচরনে সবাই অতিষ্ট। কোন কারন ছাড়াই দলিল লেখকসহ জমির দাতা গ্রহীতাদের সাথে তিনি খারাপ আচরন করেন। মনগড়া ভাবেই চলছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। আমরা তার অপসারন চাই। সাব-রেজিস্টারের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতী চলবে বলে জানান তিনি। কোন দলিল লেখক যদি সাব-রেজিস্টারের পক্ষ নিয়ে কোন দলিল সম্পাদন করার চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।  


    বগারচর এলাকার আল আমিন বলেন, ঢাকার কর্মস্থল থেকে একদিনের ছুটি নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করতে এসেছিলেন তিনি। ব্যাংক চালানসহ সকল কাজই সম্পন্ন করেন। হঠাৎ করেই সাবরেজিস্টার ও দলিল লেখকদের দ্বন্ধে তিনি আর দলিলটি করতে পারেননি। পুনরায় আবার ছুটি নিয়ে তাকে আসতে হবে বলে হতাশা প্রকাশ করেন। 


    এব্যাপারে সাব-রেজিস্ট্রার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই কিছু দলিল লেখক তার কাছ থেকে অনৈতিক আবদার করে আসছিলেন। তাদের কথামত কাজ না করায় তারা আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। 


    তিনি আরও বলেন, কাউকে সাসপেন্ড করার সূযোগ আমার নেই, তাদের শোকজ করেছি মাত্র। তারা সরকারি সম্পদ বিনষ্টের চেষ্টা এবং কিছু বিনষ্ট করেছে। বিষয়টি আমি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি। পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করেছে। দলিল লেখকরা আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। এই ঘটনায় তিনি মামলা করবেন বলে জানান। 


    বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান,এ বিষয়ে লিখিতভাবে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 


    উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর থেকে টানা ৭ দিন সাব-রেজিস্টার আবদুর রহমান মুহাম্মদ তামীম এর অপসারন দাবিতে আন্দোলন ও কর্মবিরতী পালন করেছিলেন দলিল লেখকরা। বুধবার ২য় বারের মত সাবরেজিস্টারের অপসারন দাবিতে আন্দোলনে নামলের দলিল লেখকরা।

    এআই 

    চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে যুবকদের ধরে এনে টর্চারসেলে নির্যাতন

    ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সাবিকুর রহমানের (শফিক মাস্টার) টর্চার সেল থেকে মঙ্গলবার রাত ৯ টায় আরও এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. সাবিকুর রহমানের ভাই শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বুধবার (২৭ মার্চ) গৌরীপুর থানায় মামলা হয়েছে।

    ‘পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণার জন্য’ ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় ঘেঁষে বন-জঙ্গলে ঘেরা উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের সুতিরপাড়া মুন্সিবাড়ি এলাকায় চার ভাইয়ের নেতৃত্বে গড়ে তোলে এই টর্চার সেল। এই টর্চার সেলে এবার নির্যাতনের শিকার হন খুলনার কয়রা উপজেলার হাবিবুর রহমানের পুত্র মাকসিদুল গাজী।

    মাকসিদুল গাজী বলেন, অনার্স-মাস্টার্স করে বেকার হয়ে ঘুরছিলাম। একটি জাতীয় দৈনিক ও চাকরির খবর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে ওয়ার্ল্ডভিশনে সেকশন অফিসার পদে চাকরির আবেদন করেন তিনি। এ চাকরির জন্য সোমবার ইন্টারভিউ দিতে আসেন। তাকে নান্দাইল এলাকা থেকে প্রতারকচক্রটি নিয়ে আসে এ টর্চার সেলে। সেখানে অন্ধকার কক্ষে আটক রেখে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরিবার থেকে টাকা না দেওয়ায় চোখ-মুখ বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়। টাকা না দিলে শরীরের কিডনি খুলে বিক্রি করে দেবে বলেও ভয় দেখায়। দফায় দফায় ওরা অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে।

    তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে আমাকে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিল। গ্রেফতারকৃত শাহজাহান মোটরসাইকেল ড্রাইভিং করছিলেন। আর পেছনে আরেকজন ডেগার (ছুরি) ধরে রাখে। নাপ্তের আলগীর আজিজের মোড় এলাকায় লোকজন দেখে আমি চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে লাফিয়ে পড়ি। এ সময় জনতা মোটরসাইকেল চালককে আটক ও আমাকে রক্ষা করেন। এ সময় অন্যজন পালিয়ে যান।

    তিনি আরও বলেন, টর্চারসেলের ভেতরে আরও ৪ জন ছিলেন বলে ওরা আমাকে জানিয়েছে। এছাড়াও এ টর্চার সেলের ভিতরে শত শত চাকরি প্রার্থীর আবেদনপত্র পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

    মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরীপুর থানার এসআই বাহারুল ইসলাম জানান, মাকসিদুল গাজীকে নান্দাইলের খুররম খান কলেজের সামনে থেকে প্রতারকচক্র রিসিভ করে। এরপর গৌরীপুরের ভাংনামারী ইউনিয়নের সুতিরপাড় এলাকার এ টর্চার সেলে নিয়ে আসে। মামলায় শাহজাহান, সবুজ মিয়া ও শফিকুল ইসলামসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

    গৌরীপুর থানার ওসি সুমন চন্দ্র রায় জানায়, এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত শাহজাহানকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তাদের অপকর্ম জানতে তদন্ত ও এই চক্রের বিস্তারিত জানাতে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

    এলাকাবাসী সূত্র জানায়, এ জঙ্গলবাড়িতে একটি মাত্র বাতি (বাল্ব) রয়েছে। নির্যাতনের জন্য প্রত্যেকটি রুম একেকটি টর্চারসেল। তিন কক্ষের সমন্বয়ে ভিতরে এক গোপন কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে অপহৃত ব্যক্তিদের আটকিয়ে রাখলেও বাহির থেকে দেখা যায় না। বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীদের আবেদনপত্র, বায়োডাটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রুমে রুমে। প্রত্যেক রুমে রয়েছে নির্যাতনে ব্যবহৃত বস্তা, লাঠিসহ নানা সরঞ্জাম।

    এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, মো. সাবিকুর রহমান অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ১০টি কেন্দ্রে ১৫ হাজার ৮৫৮ ভোটের মধ্যে এই প্রার্থী মাত্র ১০৯ ভোট পান। কাঙ্ক্ষিত ভোট না পাওয়ায় জামানতের অর্থও বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মো. নেজামুল হক ৫ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

    এমআর

    নেত্রকোনায় ইট ভাঙ্গার মেশিন উল্টে শ্রমিক নিহত

    নেত্রকোনার মদনে ইট ভাঙ্গার মেশিন উল্টে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে এবং তিনজন আহত হয়েছে। 


    আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। 


    বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে মদন থেকে জগন্নাথপুর যাওয়ার সময় উপজেলার উচিতপুর এলাকায় বালই সেতু তে উঠতে গিয়ে মেশিন উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওয়াসিম মিয়া (৩০) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছে।


    নিহত ওয়াসিম উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফেকনি গ্রামের মৃত খায়রুল ইলামের ছেলে।


    নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে মদন থানার এসআই মো. শাহ জাহান মিয়া বলেন, ওয়াসিম দীর্ঘদিন ধরে কয়েকজনকে নিয়ে দল গঠন করে ইট ভাঙ্গার কাজ করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সকালে ইট ভাঙ্গার মেশিন নিয়ে মদন থেকে খালিয়াজুরী উপজেলার জগন্নাথপুর যাচ্ছিল। বালই নদীর কাছে যাওয়ার পর সেতুতে উঠার সময় সড়কের একটি ভাঙ্গার মধ্যে পড়ে গিয়ে মেশিন উল্টে যায়। এসময় ওয়াসিমসহ সাথে থাকা তিনজন সামান্য আহত হয়। পরে তারা ওয়াসিমকে নিয়ে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


    ইট ভাঙ্গা মেশিনের চালক সিদ্দিক মিয়া বলেন, ওয়াসিমসহ আমরা মেশিন নিয়ে জগন্নাথপুর যাচ্ছিলাম। বালই সেতুতে উঠার আগে সড়কে একটি খন্দক আছে। ওই খন্দকে চাকা পড়ে গেলে মেশিনটি আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। পরে উল্টে গিয়ে খায়রুলসহ আমরা তিনজন আহত হই। হাসপাতালে আসলে ডাক্তার ওয়াসিমকে মৃত ঘোষণা করেন।


    মদন থানার ওসি তদন্ত মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জানান, ওয়াসিম নামের এক ইট ভাঙ্গার শ্রমিক নিহত হয়েছে। সুরতহালের রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    এআই 
    বেদিতে ফুল দিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের সভাপতির উপর হামলা

    নেত্রকোনার পুর্বধলায় স্বাধীনতা দিবসে শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে যাওয়ার হামলার শিকার হয়েছেন ছাত্রলীগের উপজেলা সভাপতিসহ চারজন। তাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালালে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

    মঙ্গলবার(২৬ মার্চ) উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে স্লোগান দিয়ে বেরিয়ে যাবার সময় অতর্কিত এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, পুর্বধলা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সেলায়মান হোসেন হাসিব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনি বেপারি, দপ্তর সম্পাদক সালমান হাসান ও কর্মী রুহুল আমীন। 

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতা দিবসের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কর্মসূচী সকালেই শেষ হলেওে যারা বিছিন্ন ভাবে আসছেন তারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সেলায়মান হোসেন হাসিব সহ কয়েকজন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা চলে যাচ্ছিলো। এসময় জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে বের হওয়ার পথে অতর্কিতে ছাত্রলীগের আরেকটি অংশের ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হলে তাদের মধ্যে গুরুতর চারজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। 

    হামলাকারীদের মধ্যে এমপির এপিএস আল আমিন হোসেনের ছেলে সাব্বির আহমদের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জাহিদুল আলম প্রভাত, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম খানসহ বেশ কজন হামলা চালায়। এব্যাপারে কথা বলতে সাব্বির আহমদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোনটি কেটে দেন। 

    পুর্বলধলা থানার ওসি মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ফুল দেয়ার কাজ সকালেই শেষ হয়ে গেলে এসিল্যান্ড সহ সকলেই উপস্থিত ছিলেন। পরে দুপুরের দিকে হাসিব তার নেতৃত্বে ফুল দিয়ে স্লোগান দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। এসময় অতর্কিতে এই হামলা চালায়। দেশিয় অস্ত্রসহ। এতে বুঝা যায় পূর্ব পরিবল্পিত। আহতরা চিকিৎসা নিয়েছে। তবে কোন অভিযোগ এখনো দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

    উল্লেখ্য গত সংসদ নির্বাচনে আহত ছাত্রলীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীর প্রতকি) এর ভাই জাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডক্টর আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নির্বাচনে কাজ করেছিলেন। 

    এমআর

    ভালুকায় ২৪ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ গ্রেফতার ১

    ময়মনসিংহের ভালুকায় জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার নাজমুলের বাড়ি হতে ২৪ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ। এসময় বাড়ির মালিক মৃত ইব্রাহিম গাজীর ছেলে নাজমুল (২৫) কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।


    ভালুকা মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৫ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভালুকার মডেল থানার এস.আই নিরুপম নাগ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার নাজমুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি ঘরে থাকা ৫০ কেজির ২৪ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধারের পর থানায় নিয়ে আসে। ঘটনার সাথে জড়িত আরো ৩ জন পালিয়ে যায় বলে পুলিশ জানায়।


    ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ২৪ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার ও ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

    এআই 
    কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

    ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব প্রান্তে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।


    পরে তিনি সড়ক পথে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।


    ভুটানের রাজা ১৪ সদস্যের সফর সঙ্গী নিয়ে সকালে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে অবতন করেন। পরে সড়ক পথে দুপুর পৌনে ১২টায় কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে পৌছেন। সেখানে মধ্যান্য ভোজ শেষে দুপুর দেড়টায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের  নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।


    এ সময় তথ্যমন্ত্রী এম,এ আরাফাত, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য ডাঃ হামিদুল হক খন্দকার, সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, বেজার নির্বাহী  চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ  সাইদুল আরীফ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ  মোঃ মাহফুজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম সফরের বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা।


    আর ভুটানের রাজার আগমনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাসহ সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন স্থানীয় প্রশাসন। ধরলা নদীর পুর্ব পাড়ে ২১৯ একর জমির উপর গড়ে তোলা হবে জিটুজি ভিত্তিতে এ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল।


    ২০১৫ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এক জনসভায় এ  জেলায় একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। ভুটানের রাজার ৪ দিনের ঢাকা সফরের দ্বিতীয় দিন ২৫ মার্চ সোমবার ঢাকায় কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভুটান সরকারের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। 

    এআই 
    দিনাজপুরে এক পা নিয়ে নবজাতকের জন্ম, নেই প্রস্রাব ও পায়ুপথ

    দিনাজপুরের বিরামপুর মর্ডান ক্লিনিকে তছলিমা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূ এক সঙ্গে জমজ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু দুই’জনের একজন জন্ম নিয়েছেন এক’পা ও নেই কোনো প্রস্রাব ও পায়ুপথ। একজন সুস্থ আছেন।


     বুধবার (২৭ র্মাচ) বিকেলে বিরামপুর মডার্ণ ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার জমজ সন্তানের জন্ম হয়। তখন থেকে শহরে এ নিয়ে চলছে আলোচনার ঝড়। 


    জানাযায়, পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার শালখুরিয়া গ্রামের মাহফুজুর ইসলামের গর্ভবতী স্ত্রী তছলিমা বেগম কে বিরামপুর মডার্ণ ক্লিনিকে নেয়া হয়। পরর্বীততে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তার জমজ সন্তানের জন্ম হয়। তাদের মধ্যে একটি মেয়ে সন্তান এবং অপরটি প্রস্রাব ও পায়ুপথ বিহীন এক পা বিশিষ্ট্য সন্তান। এই এক পা বিশিষ্ট্য সন্তান জন্ম নেয়ার খবরে অনেকে শিশুটিকে দেখার জন্য ক্লিনিকে ভিড় করেন। ঐ দম্পতির ৮ বছরের একটি ছেলে এবং ৫ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।


    জন্ম নেওয়া নবজাতকের বাবা মাহফুজুর ইসলাম জানান, তার স্ত্রী এর আগেও দুই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, তারা সুস্থ ও স্বাভাবিক ভাবে জন্মগ্রহন করেন। তাদের পরিবারে প্রথম বারের মতই এমন সন্তানের জন্ম হয়েছে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। উন্নত চিকিৎসা করার মত নেই কোনো সার্মাথ। উন্নত চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চান সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি ও সরকারের কাছে।


    সিজারিয়ান অপারেশন কারী চিকিৎসক ডাক্তার তাহেরা বেগম জানান, জেনেটিক্যাল সমস্যার কারণে জন্মগত ভাবে শিশুটির ত্রুটি দেখা দিয়েছে। শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে। অপারেশনের মাধ্যমে তার প্রস্রাব ও পায়ুপথ বের করা না গেলে তার বেঁচে থাকা সংকটের মধ্যে পড়তে পারে।

    এআই 

    বিরামপুরে নকল পণ্য সরবরাহ, ভ্রাম্যমাণ আদালতে দু’জনের কারাদণ্ড

    দিনাজপুরের বিরামপুরে নকল’জুস, চকলেট ও পাউডার’জুস সরবরাহ করার সময় দুই ব্যবসায়ীকে এক মাস করে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 


    বৃহস্পতিবার (২৮ র্মাচ) দুপুর আড়াই টার দিকে পৌরশহরের ঢাকামোড় নাবিল কাউন্টার এর সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মুরাদ হোসেন।


    দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার দিওড় ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে লিটন ইসলাম(২৬), ও একই এলাকার সুরেন্দ্রনাথ মন্ডল এর ছেলে গৌতম কুমার (২৫)।


    জানা যায়, ঢাকা থেকে নকল বোতলজাত জুস চকলেট ও পাউডার’জুস সরবারহ করে করছিল। এমন সংবাদ পেয়ে পৌরশহরের ঢাকা মোড়  নাবিল কাউন্টারের সামনে অভিযান চালিয়ে দুই’জনকে আটক করা হয়। জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে চার হাজার ১শ' ৫০টি বোতলজাত নকল জুস, দুই কার্টুন পাউডার জুস ও দুই কার্টুন চকলেট।


    ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুরাদ হোসেন জানান, নকল পণ্য সরবারহের সময় দুই’জনকে ১ মাস করে ভ্রাম্যমাণ আদালত কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

    এআই 
    ফুলবাড়ীতে ষোল প্রহর ব্যাপী মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে ধর্মীয় আলোচনা সভা

    "কৃষ্ণস্ত ভগবান স্বয়ম বিশ্বশান্তি কল্পে" কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ষোল প্রহর ব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম মহানাম অনুষ্ঠানে এক ধর্মীয়ান আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


    বুধবার (২৭ মার্চ) রাত ৯টায় রাবাইতারী সার্বজনীন দোল মন্দির প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সার্বজনীন দোল মন্দিরের সভাপতি রবিন্দ্রনাথ মোহন্তের সভাপতিত্বে ও ভাঙ্গামোড় ইউনিয়ন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক বিপুল চন্দ্র সরকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানী সরকার, প্রধান ধর্মীয় আলোচক উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কার্ত্তিক চন্দ্র সরকার, নাগেশ্বরী উপজেলার ঘরজেয়াটার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রতিকান্ত রায়, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনীল চন্দ্র রায়, রাবাইতারী সার্বজনীন দোল মন্দিরে সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, সদস্য প্রধান শিক্ষক বিপুল চন্দ্র রায় ও শ্যামল চন্দ্র কর প্রমূখ। 


    এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাবাইতারী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুকুল আলী, রাবাইতারী বসুনিয়াটারী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শুধাংশু চন্দ্র রায়সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সুধীজন।


    প্রধান দুই ব্যক্তির ধর্মীয় আলোচনা শেষে অতিথি শিল্পীদের নিয়ে এক জমকালো ভজন কীর্তন চলে রাত ১টা পর্যন্ত। এরপর অধিবাসের মধ্য দিয়ে ষোল প্রহর ব্যাপী নাম সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ধোধন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার বিকালে ভোগরাগ ও মোহন্ত বিদায়ের মধ্য দিয়ে চারদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।


    এআই 

    বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ, দুর্ভোগে হাজারো পরিবার

    কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৫০ বছরের পুরোনো গ্রামীণ রাস্তা জোর পূর্বক বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন কয়েকজন প্রভাবশালী। এতে প্রায় এক হাজার পরিবারের প্রায় ৫ হাজার মানুষ চলাচল করতে পারছেন না। এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পরিবারগুলোর মানুষজনকে। উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের বগাপাড়া এলাকায় এমন ঘটনাটি ঘটেছে।


    সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পর থেকেই ওই রাস্তা দিয়ে মানুষজন চলাচল করে আসছে। গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাস্তার মালিকানা দাবী করে বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয় বাইজিদ ইসলাম ও খয়বর মিয়া। এতে জরুরী কাজে বেড় হতে পাচ্ছেনা এলাকাবাসীসহ পথচারীরা। 


    স্থানীয় মিয়াজ উদ্দিন, ফারুক হোসেনসহ অনেকেই জানান, রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় অন্য অন্য একটি এলাকা দিয়ে ঘুরে যেতে হচ্ছে যাতে করে শিশু, মহিলাসহ বৃদ্ধদের জন্য খুবই কষ্ট কর। এখন বোরো মৌসুম মাঠে কাজ চলছে এই রাস্তা দিয়ে কৃষকেরা মাঠে যেতে পারছে না। বর্তমানে চরম দুর্ভোগে আমরা পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। আমরা অতিদ্রুত চলাচলের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


    রাস্তা দখলকারী বাইজিদ ইসলাম ও খয়বর মিয়া জানান, আমাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা আমরা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। এতদিন আমাদের জমির গাছপালা কেটে রাস্তা নির্মাণ করে চলাচল করতে দিয়েছি এখন আর দিবো না।


    হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শায়খুল ইসলাম নয়া বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ এই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।


    উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, রাস্তা বন্ধের খবর পেয়েছি। দ্রুত প্রশাসনের লোক পাঠিয়ে রাস্তাটি চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।

    এআই 
    টেন্ডার ছাড়াই রাস্তার গাছ কেটে সাবাড় করলেন ইউপি চেয়ারম্যান

    জয়পুরহাট সদর উপজেলার রাঘবপুর সড়কের পাশের ১৭ থেকে ২০টি সরকারি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সরকারি টেন্ডার ছাড়াই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সামছুল আলম সামুনের নির্দেশে এ গাছগুলো কাটা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।


    স্থানীয় ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ‘বৃহত্তর পাবনা ও বগুড়া জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় দোগাছী ইউনিয়নের রাঘবপুর এলাকায় ৩৫০ মিটার সড়ক পাকাকরণ কাজ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। ওই রাস্তার দুইপাশে ঔষধি গাছ অর্জুন, জাম গাছ লাগানো আছে। পাকাকরণের ওই অংশে প্রয়োজন না থাকলেও ১৭ থেকে ২০টি গাছ কাটা হয়েছে।


    স্থানীয় কয়েকজন জানান, শ্রমিকেরা বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুইদিনে গাছগুলো কেটে ফেলেছেন। কাটার পরপরই তারা সেগুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলেন। দোগাছী গজনাইপুর ইউপির চেয়ারম্যান সামছুল আলম সুমনের নির্দেশে গাছগুলো কাটা হয়। কিন্তু রাস্তার কাজে গাছ কাটার কোন প্রয়োজন ছিল না। তবুও ক্ষমতা দেখিয়ে চেয়ারম্যান এসব করেছে।



    দোগাছী ইউপি চেয়ারম্যান সামছুল আলম সুমন বলেন, রাস্তাটি পরিষদের, তাই গাছও পরিষদের। সেখানে ১৭টির মতো গাছ ছিল। ঔষধি অর্জুন গাছ বেশি ছিল। তেমন দাম না থাকায় ১৭ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। এরমধ্যে আমার (পরিষদের) ফাণ্ডে ১০ হাজার টাকা ঢুকেছে।


    জয়পুরহাট সদর উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সামিন শারার ফুয়াদ বলেন, রাস্তার মধ্যে যদি দু-একটি গাছ পড়ে সেগুলো কাট হয়। কিন্তু এরকমভাবে গাছ এলজিইডি থেকে অনুমতি ছাড়া কাটা হয় না।


    সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অ্যাব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজ নিতে হবে।

    বগুড়ায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে পথচারীর মৃত্যু

    বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে স্বপন হোসেন বাবু (৩৫) নামে এক পথচারী যুবকের মৃত্যু হয়েছে।


    বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর একটার দিকে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের কোমল দোগাছী এলাকায় নিলুফা ইয়াসমিন রাইস মিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বাবু একই এলাকার বাছের আলী মন্ডল বাচ্চুর ছেলে।


    পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুর একটার দিকে কোমল দোগাছী এলাকায় নিহত বাবুর বাবার মালিকানাধীন ‘ভাই ভাই ট্রেডার্স’ নামের গুড়া চালনি মিল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় নওগাঁ থেকে বগুড়াগামী অজ্ঞাত একটি দ্রুতগামী খালি ট্রাক বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে যাওয়ার সময় চাকায় পিষ্ট হয় বাবু। স্থানীয়রা আদমদীঘি ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিলে তারা দ্রুত এসে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় তাকে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


    এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ঘাতক ট্রাকটি আটক করা সম্ভব হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দৃষ্টিনন্দন মসজিদ দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

    সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের। রমজান মাসে এটি দেখার জন্য দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন দর্শনার্থী উপস্থিত হয়। 


    ২০২৩ সালের শেষের দিকে উদ্বোধন করা হয় উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ। ১৯৮৩ সালে ইটের দেয়াল ও ছাদে নির্মিত হয় মসজিদটি। 


    নতুন এই মসজিদ নির্মাণ নিয়ে কথা হয় মসজিদ কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক গোলাম মোস্তফার  সাথে। তিনি জানান, পুরাতন মসজিদের জরাজীর্ণ অবস্থা এবং মুসল্লীদের জায়গা সংকট হওয়ায় তৎকালীন ইউএনও মো. উজ্জল হোসেনের কাছে জানানো হয়। এবং একটি নতুন মসজিদ নির্মাণের কথা বলা হয়। পরে ইউএনও মোঃ উজ্জল হোসেন উদ্যোগী হয়ে পেশাজীবি, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় বাসিন্দাদের অর্থায়নে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ তৈরী করেন। প্রায় ১ বছর ইট, পাথরে বিভিন্ন কারুকার্য করে ৩ তলা বিশিষ্ট মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ৪ হাজার স্কয়ারফিট মসজিদের দেয়ালে কার্লিওগ্রাফী যেন সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।


    মসজিদটির অসাধারণ নির্মাণ শৈলী, এর রং ও লাইটিং দূর থেকেই কাছে টানছে দর্শনার্থীদের। নির্মাণের পর থেকেই প্রতিদিন মসজিদটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন হাজারো দর্শনার্থীরা।


    অসাধারণ লাইটিং ও মসজিদের মোহনীয় সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভিড় করছেন দর্শনার্থীরা। মসজিদ দেখা শেষে মুগ্ধতার আবেশ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ধর্মপ্রাণ মুসলিম ও দর্শনার্থীরা। দিনের আলো, সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহুর্ত ও রাতের অন্ধকার, তিন সময়ে ভিন্নরকম সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে দৃষ্টিনন্দন এই মসজিদ। তবে সন্ধ্যার পর মসজিদের লাইট জ্বালানো হলে ফুটে ওঠে এর দূতি ছড়ানো সৌন্দর্য। এর সামনেই রয়েছে বাহারী ফুলের বাগান, ফুলের সৌন্দর্য আর সুঘ্রাণ মুগ্ধ করছে সবাই কে। এসি ব্যবহার করা হয়নি তবে  আধুনিক ব্যবস্থাপনায় নির্মিত মসজিদে গ্রীষ্মকালে সারাক্ষণ থাকে ঠান্ডা আবহাওয়া এবং শীতকালে গরম আবহাওয়া বিরাজমান। মসজিদটিতে রয়েছে ১ হাজার মুসল্লীর একসাথে নামাজের ব্যবস্থা এছাড়াও নারীদের জন্য আলাদা নামাজের ব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদের নিচতলায় রয়েছে ইসলামিক লাইব্রেরি, আরাবি ভাষা চর্চা কেন্দ্র। 


    মসজিদ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে উল্লাপাড়া উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা। মসজিদে নামাজের জন্য একজন ইমাম, একজন মুয়াজ্জিন ও ১ জন খাদেম নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। 


    মসজিদের খাদেম নুরুজ্জামান জানান, পুরাতন মসজিদে মুসল্লীদের নামাজ পড়তে অনেক কষ্ট হতো। কিন্তু বর্তমানে এই নতুন মসজিদ যেমনটা নান্দনিক তেমনটি নামাজের জন্য আরামদায়ক। দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থী আসে মসজিদ দেখার জন্য। রমজান মাসে এখানে কুরআন তেলওয়াত হয়। 


    উল্লাপাড়া উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার মো. হাসান আলী জানান, উল্লাপাড়া উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের এরকম সৌন্দর্য আমি কখনও দেখিনি। এখানে নামাজ পড়ে মনে অনেক প্রশান্তি পাই। এখান থেকে ঘরে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে না। 


    মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ যিনি নিয়েছিলেন তৎকালীন ইউএনও মো. উজ্জল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, পুরাতন মসজিদে মুসল্লীদের নামাজ পড়তে অনেক কষ্ট হতো জায়গা সংকট ছিল। উল্লাপাড়ার স্থানীয় মুসল্লীদের অনুরোধে নতুন মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করি। দীর্ঘ এক বছর নির্মাণ কাজ করে সম্পুর্ণ করা হয়েছে। এটির নঁকশা ইউএনও নিজেই করেছেন বলে জানান তিনি। 

    বেড়াতে গিয়ে বোনকে হত্যা, সৎভাইসহ আটক ৩

    রাজশাহীতে বোনকে পরিকল্পিতভাবে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে তার সৎভাইয়ের বিরুদ্ধে। 


    পুলিশ বলছে, ঘটনার সময় মেয়েটির সৎভাই ছাড়াও তার স্ত্রী এবং এক বন্ধু ছিলেন। তারাও এই খুনের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত। এ ঘটনায় তিনজনকেই আটক করেছে পুলিশ।


    নিহত তরুণীর নাম সন্ধ্যা রানী (২০)। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শীচা পাচপীর গ্রামের শ্রী হরিলালের মেয়ে সন্ধ্যা রানী।


    খুনের অভিযোগে আটক তিনজন হলেন- সন্ধ্যার সৎভাই ফুলবাবু রবিদাস ওরফে বাবু (২২), ফুলবাবুর স্ত্রী মিনতী রানী (২৫) এবং বন্ধু আদিল আহমেদ পলক (১৯)। পলকের বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার লালপুকুর গ্রামে।


    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফুলবাবু তার স্ত্রী মিনতী ও সৎবোন সন্ধ্যাকে নিয়ে রাজশাহীর কর্ণহার থানা এলাকায় ভাড়া থাকতেন। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে গোদাগাড়ীর গোগ্রাম এলাকায় নির্মাণাধীন ফাঁকা পড়ে থাকা একটি দোতলা বাড়ির ওপরের তলার বাথরুমে সন্ধ্যার মরদেহ পাওয়া যায়। তার পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।


    গোদাগাড়ী থানার ওসি আবদুল মতিন জানান, সন্ধ্যা রানীর মরদেহের পাশে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়। এই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে নিহত তরুণীর পরিচয় জানা যায়। এছাড়া এই খুনের সঙ্গে জড়িতদেরও শনাক্ত করা সম্ভব হয়। এরপরই অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন।


    ওসি জানান, ফুলবাবু তার স্ত্রী আর বোনকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। সেখানে সন্ধ্যার একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রাজশাহী চলে আসার পর ফুলবাবু তার বোনের বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু সন্ধ্যা বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলেন না। তাই তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হয়। এ জন্য ফুলবাবু, তার স্ত্রী মিনতী ও আদিল মঙ্গলবার বিকেলে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে সন্ধ্যাকে সিএনজি অটোরিকশায় করে গোদাগাড়ীর গোগ্রাম এলাকায় যান। আসার আগে রাজশাহীর হড়গ্রাম বাজার থেকে একটি ছোট ছুরি আর কাটার কিনেন। গোগ্রাম গিয়ে তারা সিএনজিটি ছেড়ে দেন। পরে হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করেন। এ সময় কৌশলে ওই নির্মাণাধীন ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন। যাওয়ার সময় ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে ধানের জমির নালায় ছুরি পুঁতে রেখে যান। আসামিদের নিয়ে বিকেলে ওই ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।


    ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হবে। কিন্তু মামলার বাদী করার মতো কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না। পরে আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

    এআই 

    চাঁপাইনবাবগঞ্জে কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার

    চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১২ কেজি ৮৭৫ গ্রাম ওজনের একটি কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৫। 


    বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার হরিপুর (পাজরাপাড়া) এলাকা থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।


    চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‌্যাব-৫ ক্যাম্পের ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মুনীম ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হরিপুরে অভিযান পরিচালনা করে ১২ কেজি ৮৭৫ গ্রাম ওজনের মূল্যবান কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পরে মূর্তিটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    এআই 
    মৌলভীবাজারে বিকাশ প্রতারক চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার

    মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বিশেষ অভিযানে বিকাশ প্রতারক চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান বিপিএম, পিপিএম (বার) প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

    প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গতকাল ২৬ মার্চ বিকেলে মৌলভীবাজার ডিবির অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে মৌলভীবাজার পৌরসভার সৈয়ারপুর এলাকার লন্ডনী হারুন মিয়ার মালিকাধীন হারুন মঞ্জিলের ৬ তলার ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. টিটুল মোল্লা টিটু (৩৬), পিতা- মৃত রতন মোল্লা, রুবেল শেখ (৩১), পিতা- বিদ্যুত শেখ সবুজ হাওলাদার (২৯), পিতা-আইয়ুব হাওলাদার, হৃদয় শেখ (২০), পিতা- শেখ ইমফাজ, সাজ্জাদ হোসেন (২৫), পিতা- নওশাদ আহমেদ, সর্ব থানা- ভাঙ্গা, হাসান খালাশি (২১), পিতা- সামছু খালাশি, থানা- সদরপুর, জেলা- ফরিদপুর।

    গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিকাশ প্রতারণা কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনসহ মোট ২১টি সচল মোবাইল সেট এবং নগদ ৬,৩৯০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

    এছাড়া তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন স্কুল কলেজের উপবৃত্তিভোগী শিক্ষার্থী এবং বয়স্কভাতা ভোগীদের মোবাইল নম্বরসহ ১২ পাতার একটি তালিকা জব্দ করা হয়েছে। যে তালিকা থেকে তারা ভিকটিমদের কল দিয়ে প্রতারণা করতো।

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। এই চক্র অনলাইনে সরকারি ওয়েবসাইট থেকে অবৈধভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকার বয়স্কভাতা ভোগী, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের উপবৃত্তি ভাতাভোগী শিক্ষার্থীদের তালিকা ডাউনলোড করে সেখান থেকে বিকাশ নম্বর সংগ্রহ করত। পরবর্তীতে নিজেদেরকে বিকাশের হেড অফিসের স্টাফ পরিচয় দিয়ে শুদ্ধ বাংলায় কথা বলে কৌশলে তাদের কাছ থেকে OTP (ONE TIME PASSWORD) নিয়ে বিকাশ একাউন্ট হ্যাক করে বিকাশ একাউন্টে থাকা টাকা আত্মসাৎ করত।

    তারা এই কাজের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত এবং এই কাজকে তারা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত সবাই ফরিদপুর জেলার স্থায়ী বাসিন্দা। মামলা ও গ্রেফতারের ভয়ে অথবা তাদের কাজের সুবিধার্থে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে এই প্রতারনা করে আসছিল।

    গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তাদের আরো সহযোগী আছে। আমরা তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদর্শন কুমার রায় (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ সারোআর আলম, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।

    হবিগঞ্জে গণধোলাইয়ে ডাকাত সর্দার নিহত

    হবিগঞ্জে লাখাই উপজেলায় গণধোলাইয়ে এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছেন। 


    মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার মাদনা রোডের জন্দ্রনিয়া ব্রীজের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাত সর্দার হিরাজ মিয়া (৪৫) সদর উপজেলার ধল গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে।


    বিষয়টি নিশ্চিত করে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, রাত অনুমান ১২টার দিকে ওই স্থানে কয়েকজন ডাকাত মোটর সাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে ডাকাতি করছিল। এ সময় কয়েকটি গ্রামের মানুষ ধাওয়া দিয়ে হিরাজ মিয়াকে গণপিটুনি দেয়। এসময় আরেক ডাকাতকে আটক করে।


    ওসি আরও জানান, খবরর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গুরুতর আহত অবস্থায় হিরাজ মিয়াকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।


    তিনি জানান, নিহত ডাকাত সর্দার হিরাজ মিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি ডাকাতির মামলা রয়েছে।


    এআই
     
    সীমানা জটিলতায় বিদ্যালয়ের হচ্ছে না বাউন্ডারি, টাকা ফেরত যাচ্ছে বারবার

    হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী-ধর্মঘর সড়কের পাশে চৌমুহনী বাজারে প্রতিষ্ঠিত চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে রয়েছে। ১৯৫১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচীর (বাউন্ডারি) নির্মাণের জন্য বরাদ্দকৃত ১২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩২২ পিডিবি-৪ প্রকল্প থেকে বরাদ্দ হয় গত ১৪ জুন ২০২৩ সালে।


    মেসার্স রনি ট্রেডার্স নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২৮ আগস্ট ২০২৩ সালে কাজের টেন্ডার লাভ করে। ভূমি সীমানা জটিলতার কারণে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের টাকা ফেরত যাওয়ার পথে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর আগেও একই জটিলতায় একাধিকবার বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচীর নির্মাণের বরাদ্দের টাকা ফেরত গেছে বলে জানা যায়।


    চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহি উদ্দিন জানান, ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে স্কুলটি এখানে খাস খতিয়ানভুক্ত জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। বিগত ভূমি জরিপে স্কুলটির নামে আলাবক্সপুর মৌজার ৩৪০,৩৪১ ও ৩৪২ দাগে ৩০ শতাংশ জমি পর্চা (মাঠ জরিপ) হয়েছে। বিদ্যালয়ের নিজস্ব নামে কোনো জায়গা নেই। বর্তমানে এখানে বিদ্যালয়ের মাঠে ৩য় তলা ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। এই ভবন বরাদ্দ পাওয়ার পর আমি গত ১৯ অক্টোবর ২০২২ সালে ৩০ শতক ভূমি পুনরুদ্ধার করে সীমানা চিহ্নিত করার জন্যে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করি। স্থানীয় সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে এই দাগে বিদ্যালয়ের নামে পর্চাকৃত ৩০ শতক ভূমি পাওয়া যায়নি।


    তিনি বলেন, স্থানীয় সার্ভেয়ারের পরিমাপে দেখা যায় বিদ্যালয়ের পিছনে স্থানীয়দের দখলে বিদ্যালয়ের জায়গা রয়েছে। স্থানীয় দখলদাররা বিদ্যালয়ের জায়গাতে দোকান ঘর নির্মাণ করে রেখেছে। বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচীর (বাউন্ডারি) নির্মাণের জন্যে বরাদ্দ পাওয়ার পর আমি আবার গত ২৮ আগস্ট ২০২৩ সালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাধবপুরের বরাবর বিদ্যালয়টির ভূমি সীমানা চিহ্নিত করে দেওয়ার জন্যে আবেদন করি। আজ পর্যন্ত ওনারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। বাউন্ডারি নির্মাণের জন্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান একাধিক বার এসেছে, আমরা তাদের বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণ করে দিতে পারিনি।


    তিনি আরও বলেন, এখানে শিশুদের নিরাপত্তায় সীমানা প্রাচীর অতি জরুরি। কারণ প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের সামনে সাপ্তাহিক হাট বসে। প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে মাধবপুর শিক্ষা অফিস বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচীরের প্রস্তাব পাঠায়। একাধিকবার যথারীতি প্রস্তাবটি পাস হয়ে সীমানা প্রাচীরের জন্য বরাদ্দও আসে কিন্তু জমির মালিকানা নিয়ে পার্শ্ববর্তী জমির মালিকদের সঙ্গে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় সে বরাদ্দ ফেরত গেছে। কয়েক দফা চেষ্টা করেও সীমানা প্রাচীরের কাজ করাতে পারেননি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।


    এ ব্যাপারে চৌমুহনী ইউ/পি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, সীমানা নির্ধারণের জন্যে আমি একাধিকবার উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় কথা বলেছি। শুধু বিদ্যালয়ের জমি না সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমির সীমানা নির্ধারণ করার জন্যে দাবি করছি। চৌমুহনী-ধর্মঘর সড়কের পাশে চৌমুহনী বাজারের মধ্যখানে চৌমুহনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান এটি উন্মুক্ত থাকায় শিশুরা চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকে। বিশেষ করে ছুটির সময় শিশুরা দল বেঁধে দৌড়ে সড়কের মধ্যে চলে যায়।


    উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এম জাকিরুল হাসান বলেন, সীমানা জটিলতার কারণে চলতি অর্থবছরে এই বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ না হলে টাকা ফেরত চলে যাবে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সীমানা প্রাচীরটা নির্মাণ করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি।


    উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, সীমানা জটিলতার কারণে বিদ্যালয়টির নিরাপত্তা দেয়াল নির্মাণের কাজ করতে পারছে না ঠিকাদার। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ না হলে বরাদ্দের টাকা ফেরত চলে যাবে। বিষয়টি দুঃখজনক। এ বিষয়গুলো নিয়ে সংশ্লিষ্টদের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা দরকার।


    সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত বিন কুতুব বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমরা দেখছি। জমিটি জেলা প্রশাসক নামীয় ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত। বিদ্যালয়ের নামে কোন রের্কডভুক্ত ভূমি নেই। যেহেতু বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ড নেই এবং খাস খতিয়ানভুক্ত জমি বিধায় বিদ্যালয়কে সীমানা নির্ধারণ করে জায়গা বুঝিয়ে দেওয়ার বিধি মোতাবেক কোন সুযোগ নেই। ইতিমধ্যে সার্ভেয়ার ও স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাসহ এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে এবং বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয়ের নামে যেন জমি বন্দোবস্ত পাওয়া যায় সে জন্যে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করার।


    মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফয়সাল বলেন, বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে এই বিষয় কথা হয়েছে। বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয়ের নামে জমি বন্দোবস্তের জন্যে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করার।

    এআই 

    মাছ ধরতে গিয়ে পায়ুপথে ঢুকে যায় কুঁচিয়া, অতঃপর...

    মৌলভীবাজারে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে এক জেলের পায়ুপথ দিয়ে ঢুকে গিয়েছিল একটি কুঁচিয়া। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জেলের পেট থেকে ২৫ ইঞ্চির জীবিত কুঁচিয়াটি বের করা হয়।


    জানা যায়, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের রহিমপুর ইউনিয়নের মিরতিঙ্গা চা–বাগানের জেলে সম্রা মুণ্ডা (৫৫) স্থানীয় হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে কোমর সমান কাদায় আটকে যান। তখন তার হাতে থাকা দুটি কুঁচিয়া কাদায় পড়ে যায়।


    হঠাৎ অনুভব করেন পায়ুপথ দিয়ে কি যেন তার পেটে ঢুকছে। তবে বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে বাড়িতে চলে আসেন তিনি। বাড়িতে আসার পর থেকে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন।


    পেটের ব্যথা নিবারণে রবিবার (২৪ মার্চ) কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।


    সেখানে চিকিৎসকরা মুণ্ডার কথা শুনে পরীক্ষা (এক্স-রে) করান। পরীক্ষায় ধরা পড়ে পেটের ভেতর লম্বা আকৃতির একটি বস্তু রয়েছে। পরে অপারেশনের সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় মুণ্ডাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়।


    সেখানে প্রফেসর জানে আলমের নেতৃত্বে ৪ জন চিকিৎসক প্রায় দুই ঘণ্টার অপারেশনে পেটের ভেতর থেকে একটি জীবন্ত কুঁচিয়া বের করেন। এ ঘটনায় ডাক্তাররা বিস্মিত হন।


    সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক জেলের পেট থেকে ২৫ ইঞ্চির জীবিত কুঁচিয়া বের করা হয়েছে। বর্তমানে সম্রা মুণ্ডা নামের ওই জেলে হাসপাতালের ১১নং ওয়ার্ডে শঙ্কামুক্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।

    এআই 

    বাবা-মা ও তিন ভাইয়ের পর বাঁচানো গেল না শিশু সোনিয়াকেও

    মৌলভীবাজারে বসত ঘরের চালে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত শিশু সোনিয়া সুলতানাও (৮) মারা গেছে। তার আগে একই ঘটনায় তার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোন মারা যায়।


    বুধবার (২৭ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সোনিয়ার মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করতো। 


    সোনিয়ার বাবা-মা ও তিন ভাইবোনেরও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সেই বেঁচে ছিল। সোনিয়ার মৃত্যুতে জুড়ীর বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর ফয়জুর রহমানের পরিবারে আর কেউ বেঁচে রইল না।


    শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. তারিকুল ইসলাম  বলেন, 'বাচ্চাটাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ঢাকা মেডিকেল থেকে পরে আমাদের এখানে আনা হয়। কিন্তু আগেই শিশুটির মৃত্যু হওয়ায় আর ভর্তি করা হয়নি।' 


    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাকপ্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমান দিনে ঠেলা চালিয়ে এবং রাতে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরীর কাজ করে সংসার চালাতেন। নিজের জমি না থাকায় পরিবার, ভাইবোনদের রেখে টালিয়াউরা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মইন উদ্দিনের বাড়িতে থাকতেন। ছয়-সাত বছর আগে একই ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামে রহমত আলীর টিলা বাড়িতে ঘর তৈরি করেন। সেই ঘরে ছিল না বিদ্যুতের সংযোগ। তবে ঘরের ওপর দিয়ে আগে থেকেই পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টের লাইন টানানো ছিল। মঙ্গলবার ভোরে বজ্রপাতসহ ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। বজ্রপাতের পর পাশের খুঁটি থেকে একটি তার ছিঁড়ে ফয়জুরের ঘরের ওপর পড়ে। এতে টিনের চালের ঘরটি বিদ্যুতায়িত হলে ওই পরিবারের পাঁচ সদস্য মারা যান। বুধবার ভোর ৪টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যায় সোনিয়া। ফয়জুরের ঘরে বিদ্যুৎ না থাকলেও বিদ্যুতের কারণেই ছারখার হতদরিদ্র এ পরিবার। 


    সোনিয়ার মামা আব্দুল আজিজ গণমাধ্যমকে জানান, সোনিয়ার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে যায় বলে জানান চিকিৎসকরা। প্রথমে তাকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। ঢাকায় পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়। তার মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছি।


    ফয়জুর রহমানের বড় মেয়ে সামিয়া বেগম হাজি ইনজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে, মেজো মেয়ে সাবিনা বেগম নওয়া বাজার আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ৭ম শ্রেণিতে এবং ছেলে সায়েম গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।


    অনলাইন ভোট

    আন্তর্জাতিক

    সব দেখুন
    কপালে ব্যান্ডেজ নিয়ে ইফতার পার্টিতে মমতা
    কলকাতার গার্ডেনরিচে বহুতল ভবন ধসে পড়ার পরদিন সকালেই ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে দিনও তার কপালে ব্যান্ডেজ দেখা গিয়েছিল। এরপর আজ বৃহস্পতিবার পার্ক সার্কাসে ইফতারে যোগ দেন তিনি।পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পাওয়ার পর এই নিয়ে তাকে দ্বিতীয়বার জনসমক্ষে দেখা গেল। ঘটনাচক্রে দু’টিই কলকাতা পৌরসভা এলাকায়। তবে মাথায় আঘাত নিয়েও নিয়মিত নবান্নে গিয়ে প্রশাসনিক কাজ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী রোববার তিনি লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করবেন নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভার ধুবুলিয়া থেকে।‘উদ্দীপনী’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আয়োজন করেছিল ইফতারের। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, বিদায়ী সাংসদ ও কলকাতার দুই কেন্দ্রের প্রার্থী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়, মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়সহ অনেকে।গত ১৪ মার্চ কালীঘাটে নিজের বাড়িতেই পড়ে গিয়ে কপালে আঘাত পান মমতা। গভীর ক্ষতের জন্য সেলাইও করতে হয়েছিল। তবে তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে, ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। এখনো তিনি নির্বাচনী সভা শুরু করেননি। তার সর্বশেষ রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল গত ১০ মার্চ।এফএস
    দিনে ৭৮ কোটির বেশি মানুষ অভুক্ত, অথচ নষ্ট হয় ১০০ কোটির খাবার: জাতিসংঘ
      পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও প্রতিদিন ১০০ কোটি মানুষের এক বেলার সমান খাবার নষ্ট হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে পাঁচ ভাগের একভাগ খাবার ফেলে দেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থার (ইউএনইপি) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।      খাদ্যের অপচয় নিয়ে ইউএনইপির ফুড ওয়াস্ট ইনডেক্স শীর্ষক ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২২ সালে ১০৫ কোটি টন খাবার নষ্ট হয়েছে, যা বিশ্ববাজারে আসা উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের প্রায় এক–পঞ্চমাংশ। আর ভোক্তাদের প্রায় ১৯ শতাংশ খাবার দোকান, রেস্তোরাঁ ও গৃহস্থালি পর্যায়ে নষ্ট হয়। এবং ফসল তোলার পর থেকে বিক্রি পর্যন্ত সরবরাহ শৃঙ্খলের মধ্যে ১৩ শতাংশ খাবারের অপচয় হয় বলে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য।  খাবার অপচয়ের এই চিত্রকে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৭৮ কোটির বেশি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন শত কোটি টন খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।ইউএনইপির নির্বাহী পরিচালক ইনগার অ্যান্ডারসন এক বিবৃতিতে বলেন, মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার কিনছে বলে এ ধরনের অপচয় হচ্ছে। এছাড়া তারা কতটুকু খেতে পারবে, তাও আন্দাজ করতে পারছে না। এতে খাবার উচ্ছিষ্ট থেকে যাচ্ছে।এধরনের ঘটনাকে ‘পরিবেশগত ব্যর্থতা’ হিসেবে তুলে ধরে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের অপচয়ের ঘটনা নৈতিক নয়। উড়োজাহাজ চলাচল থেকে নিঃসরিত কার্বন যতটা না বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়াচ্ছে, তার থেকে পাঁচ গুণ উষ্ণতা বাড়াচ্ছে খাদ্যবর্জ্য।এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। প্রতিবেদনটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি। খাবার অপচয় নিয়ে এটি এ পর্যন্ত সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র উপস্থাপন করেছে।ডব্লিউআরএপির কর্মকর্তা রিচার্ড সোয়ানেল বলেন, ‘এই চিত্র দেখে আমি হতভম্ব। বিশ্বে এক বেলায় যত খাবার নষ্ট হয়, শুধু তা দিয়েই অনাহারে থাকা প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে প্রতিবছর খাওয়ানো সম্ভব।’প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।সোয়ানেল বলেন, এ ধরনের অপচয় হওয়ার বড় কারণ, মানুষ তাদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাবার কিনছে। এছাড়া তারা কতটুকু খেতে পারবে তার আন্দাজ করতে পারছে না। এতে খাবার উচ্ছিষ্ট থেকে যাচ্ছে।সো  আরেকটি বিষয়ের কথা বলেছেন। তা হলো- মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ। উৎপাদিত খাবার নষ্ট হচ্ছে কারণ, মানুষ ভুলবশত ধারণা করে যে তাদের খাবারের মেয়াদ নেই।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রচুর খাদ্য অযথাই অপচয় হয়নি; বরং এগুলো পরিবহনের সময় কিংবা রেফ্রিজারেটরের অভাবে নষ্ট হয়েছে।এমএইচ
    বাইডেনের বক্তব্য থামিয়ে দিলেন ফিলিস্তিনপন্থিরা!
    গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের সমর্থনের কারণে আবারও তোপের মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) নর্থ ক্যারোলাইনায় নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তব্য দেয়ার সময় তাকে থামিয়ে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা তুলে ধরে স্লোগান দিতে থাকেন কজন ফিলিস্তিনসমর্থক। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে নর্থ ক্যারোলাইনায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি নিজের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ তার নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরছিলেন। ঠিক এ সময়েই বাধে বিপত্তি। গাজার নারী ও শিশুদের হত্যা ও সেখানকার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি তুলে ধরে স্লোগান দিতে থাকেন কজন বিক্ষোভকারী। বক্তব্য দেয়ার সময় রীতিমত ফিলিস্তিনসমর্থকদের তোপের মুখে পড়েন জো বাইডেন। আন্দোলনকারীদের স্লোগানের কারণে এক পর্যায়ে নিজের বক্তব্য বন্ধ করে দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য চুপ করে থাকেন তিনি। পরে বাইডেন বলেন, গাজার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ নেয়া উচিত।   এদিন নর্থ ক্যারিলাইনায় বাইডেনের গাড়িবহর যাওয়ার সময় রাস্তার দুপাশেই গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে আন্দোলন করেন শত শত মানুষ। এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েকবার ফিলিস্তিনসমর্থকদের আন্দোলনের কারণে বিড়ম্বনার শিকার হন বাইডেন। গেল ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে আসছে ইসরাইল। হামলার শুরু থেকেই তেল আবিবকে নগ্ন সমর্থন দিয়েছে ওয়াশিংটন। সামরিক থেকে শুরু করে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে বাইডেন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সমর্থনের কারণে দেশটির ভেতরেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন বাইডেন।   গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। তীব্র সমালোচনার মুখে গাজায় হঠাৎ করেই মানবিক সহায়তার পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরাইলের ওপর চাপ দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবেও প্রথমবারের মতো ভেটো দেয়া থেকে বিরতি থাকে দেশটি।বাইডেন
    যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
    যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে উইন রোজারিও (২২) নামে বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন। ওজন পার্কে ওই তরুণের নিজ বাসায় তাকে গুলি করে পুলিশ। এরপর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বাবার অভিযোগ, তার নিরপরাধ ছেলেকে পুলিশ হত্যা করেছে।মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার দুপুরের দিকে ৯১১ নম্বর থেকে ফোন আসে তাদের কাছে। ওই তরুণ জানান তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। নিজের মৃত্যুর মাধ্যমে মানসিক রোগের ইতি টানতে চান।ফোন কল পেয়ে ওজোন পার্কের ১০১তম অ্যাভিনিউয়ের ১০৩তম স্ট্রিটের বাড়িটিতে যায় পুলিশ। তারা বাড়িটির দ্বিতীয় তলায় ভেতরে তাকে দেখতে পান। পরে তাকে হেফাজতে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ওই তরুণ হাতে থাকা কাঁচি নিয়ে পুলিশ সদস্যদের দিকে তেড়ে আসলে আত্মরক্ষায় তাকে গুলি করে পুলিশ।এ ঘটনায় নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের চিফ অব পেট্রোল জন চেল জানিয়েছেন, ওই তরুণ হাতে থাকা কাঁচি নিয়ে তেড়ে আসছিল পুলিশ সদস্যদের দিকে। এ কারণে তাকে গুলি করা হয়ে। পরে জ্যামাইকা হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।নিহতের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিও সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমার ছেলে নিজেই যেহেতু বলেছে সে মানসিক ভারসাম্যহীন। তাহলে তাকে কেন গুলি করে মারতে হলো? এসময় পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ করেন তিনি। তবে পুলিশের দাবি, নিহত তরুণ মাদকাসক্ত এবং মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন।ফ্রান্সিস রোজারিও জানান, তাদের পরিবার ১০ ​​বছর আগে বাংলাদেশ থেকে নিউ ইয়র্কে অভিবাসী হয়। তার ছেলে উইন রোজারিও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে গত বছর স্বল্প সময়ের জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিল।এমআর
    শিশুদের ডায়াপার বন্ধ, বড়দের জন্য বানাবে জাপান
    জাপানের একটি ডায়াপার প্রস্তুতকারক কোম্পানি ঘোষণা করেছে, তারা দেশে শিশুদের জন্য ডায়াপার উৎপাদন বন্ধ করবে। এর পরিবর্তে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ডায়াপার তৈরি করবে। এর আগেও দেশটির বেশকিছু কোম্পানি এ ধরনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিল। আর এ সিদ্ধান্তের জন্য তারা কারণ হিসেবে দেখাচ্ছে জাপানের জন্মহার হ্রাস এবং বার্ধক্যের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধিকে।গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জাপানে প্রতিবছর প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি ডায়াপারের বিক্রি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি এ সময়ে শিশুদের জন্য তৈরি ডায়াপারের চেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি ডায়াপার। ২০২৩ সালে জাপানে শিশুর জন্মহার হ্রাস পেয়েছে ৫.১ শতাংশ।এ বছর দেশটিতে মোট ৭,৫৮,৬৩১ টি শিশু জন্মগ্রহণ করে। ১৯ শতকের পর এটিই জাপানে রেকর্ডে সর্বনিম্ন জন্মের সংখ্যা। ১৯৭০ সালে দেশটিতে শিশু জন্মের সংখ্যা ছিল ২০ লাখেরও বেশি।শিশুদের ডায়াপার উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া কোম্পানি ওজি হোল্ডিংস বলছে, তারা এখন বছরে ৪০০ মিলিয়ন শিশু ডায়াপার তৈরি করে। ২০০১ সালে এই পরিমাণ ছিল ৭০০ মিলিয়ন। ২০০০ সালের পর থেকেই জাপানে শিশুদের ডায়াপার বিক্রি ক্রমবর্ধমানভাবে কমছে বলেও জানিয়েছে কোম্পানিটি।২০১১ সালে জাপানের সবচেয়ে বড় ডায়াপার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইউনিচর্ম বলেছিল, তাদের প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি ডায়াপারের বিক্রি শিশুদের ডায়াপারের চেয়েও বেশি।জাপানে প্রাপ্তবয়স্কদের ডায়াপারের বাজার বাড়ছে এবং ধারণা করা হচ্ছে এর মূল্য ২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ। জাপান এখন বিশ্বের অন্যতম বাধ্যক্যপূর্ণ জনসংখ্যার দেশ। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের বয়স ৬৫ বছর বা তার বেশি। গত বছর ৮০ বছরের বেশি বয়সিদের অনুপাত প্রথমবারের মতো মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ অতিক্রম করেছে।জাপানের জনসংখ্যা বৃদ্ধি না পেয়ে বরং প্রতিবছর তা কমছে। জনসংখ্যা হ্রাস বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অর্থনীতি দেশটির জন্য একটি সংকটে পরিণত হয়েছে। আর এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে জাপানে নারীদের সন্তান ধারণের অনাগ্রহ থেকে। সন্তান ধারণে উৎসাহিত করতে নানা ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে জাপান সরকার; কিন্তু এখন পর্যন্ত তা খুব সামান্যই সফলতার মুখ দেখেছে।এফএস
    দুই বিমানের ধাক্কাধাক্কি, ভাঙল ডানা
    কলকাতা বিমানবন্দরের রানওয়েতে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ধাক্কা লাগে ইন্ডিগো বিমানের। বুধবার (২৭ মার্চ) রানওয়েতে দু’টি বিমান বিপজ্জনকভাবে একে অপরের কাছাকাছি এসে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটে। তবে বিমানের ডানা ভাঙলেও হতাহতের কোনো খবর নেই। এসময় ইন্ডিগো বিমানটিতে মোট ১৩৫ জন যাত্রী ছিল। সূত্র: এনডিটিভি।জানা যায়, কলকাতা বিমানবন্দরে ইন্ডিগো বিমানটি রানওয়েতে প্রবেশের জন্য ছাড়পত্রের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ধাক্কা মারে। ফলে এয়ার ইন্ডিয়া বিমানটির ডানার একটি অংশ ভেঙে যায়। ইন্ডিগো বিমানের একটি ডানাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিমান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ডিজিসিএ ইন্ডিগো বিমানের উভয় চালককে সাময়িকভাবে কাজ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।এক ডিজিসিএ আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। ইন্ডিগোর উভয় চালককে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গ্রাউন্ড স্টাফদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।এফএস
    সাগরে পড়া ত্রাণ তুলতে গিয়ে পানিতে ডুবে ১২ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
      গাজার উত্তরাঞ্চলে বিমান থেকে সাগরে পড়া ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করতে গিয়ে পানিতে ডুবে অন্তত ১২ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পদদলিত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার বেইত লাহিয়ার এক সমুদ্রসৈকতে এ ঘটনা ঘটে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।  হামাস নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘খাবারের প্যাকেট সংগ্রহ করতে সমুদ্রে নামতে গিয়ে ১২ জন ডুবে গেছে। মাটিতে পড়া অন্যান্য ত্রাণের প্যাকেজ সংগ্রহ করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।’ বিবৃতিতে বিমানের মাধ্যমে ত্রাণের প্যাকেজ ফেলাকে ‘আপত্তিকর, ভুল, অনুপযুক্ত ও অকেজো’ আখ্যা দিয়ে ‘অবিলম্বে তা বন্ধ করার’ আহ্বান জানানো হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে আসা এক ভিডিওতে সৈকতে ত্রাণ ফেলার পর ফিলিস্তিনিদের উপকূলের দিকে মরিয়া হয়ে ছুটে আসতে দেখা গেছে। এতে দেখা যায়, প্যারাসুটের সঙ্গে সংযুক্ত কয়েক ডজন ত্রাণ প্যাকেজ উপকূলের কাছে ভেসে আসছে। ইসরায়েলের দাবি, গত সোমবার তারা গাজার উত্তরাঞ্চলে এক টন ওজনের ১৫৯টি ত্রাণের প্যাকেজ পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। ইসরায়েলকে স্থলপথে গাজায় আরও ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গত সোমবার দুটি সি–১৭ বিমান গাজার উত্তরাঞ্চলে ৪৬ হাজার মানুষের জন্য প্রস্তুত খাবার (এমআরই) ফেলেছে। এদিকে যুক্তরাজ্য বলছে, তাদের একটি এ৪০০এম উড়োজাহাজে করে ১০টন পানি, চাল, রান্নার তেল, ময়দা, টিনজাত পণ্য ও বেবি ফর্মুলা ফেলা হয়েছে।গাজার উত্তরাঞ্চলে বিমান থেকে সাগরে পড়া ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করতে গিয়ে পানিতে ডুবে অন্তত ১২ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পদদলিত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার বেইত লাহিয়ার এক সমুদ্রসৈকতে এ ঘটনা ঘটে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।  হামাস নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘খাবারের প্যাকেট সংগ্রহ করতে সমুদ্রে নামতে গিয়ে ১২ জন ডুবে গেছে। মাটিতে পড়া অন্যান্য ত্রাণের প্যাকেজ সংগ্রহ করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে আরও ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।’ বিবৃতিতে বিমানের মাধ্যমে ত্রাণের প্যাকেজ ফেলাকে ‘আপত্তিকর, ভুল, অনুপযুক্ত ও অকেজো’ আখ্যা দিয়ে ‘অবিলম্বে তা বন্ধ করার’ আহ্বান জানানো হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে আসা এক ভিডিওতে সৈকতে ত্রাণ ফেলার পর ফিলিস্তিনিদের উপকূলের দিকে মরিয়া হয়ে ছুটে আসতে দেখা গেছে। এতে দেখা যায়, প্যারাসুটের সঙ্গে সংযুক্ত কয়েক ডজন ত্রাণ প্যাকেজ উপকূলের কাছে ভেসে আসছে। ইসরায়েলের দাবি, গত সোমবার তারা গাজার উত্তরাঞ্চলে এক টন ওজনের ১৫৯টি ত্রাণের প্যাকেজ পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। ইসরায়েলকে স্থলপথে গাজায় আরও ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গত সোমবার দুটি সি–১৭ বিমান গাজার উত্তরাঞ্চলে ৪৬ হাজার মানুষের জন্য প্রস্তুত খাবার (এমআরই) ফেলেছে। এদিকে যুক্তরাজ্য বলছে, তাদের একটি এ৪০০এম উড়োজাহাজে করে ১০টন পানি, চাল, রান্নার তেল, ময়দা, টিনজাত পণ্য ও বেবি ফর্মুলা ফেলা হয়েছে।
    গাজার পরিস্থিতি নারকীয়, দ্রুত সীমান্ত খুলে দিতে হবে: জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
     গাজা উপত্যকায় আরও বেশি মানবিক সাহায্য পাঠানো প্রয়োজন এবং এজন্য দ্রুত সীমান্ত খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক। তিনি গাজার পরিস্থিতিকে ‘নারকীয়’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) তিনি ইসরায়েল-গাজা সীমান্ত অঞ্চল কেরেম শালোম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাজার পরিস্থিতি নারকীয়। দ্রুত সীমান্ত খুলে দিতে হবে এবং সেখানে আরও অনেক বেশি পরিমাণে মানবিক সাহায্য পাঠাতে হবে।’বেয়ারবক বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামে (ডব্লিউএফপি) জার্মানি বরাদ্দ বাড়িয়েছে। অতিরিক্ত এক কোটি ইউরো দেওয়া হয়েছে গাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য।’জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কোথায় সমস্যা এখনও জট পাকিয়ে আছে, তা নিয়ে আলোচনা করার সময় আর নেই। রাফা সীমান্ত দিয়ে যে ট্রাকগুলো গাজায় মানবিক সাহায্য নিয়ে ঢোকে, সেগুলোতে তিনবার তল্লাশি চালানো হয়। সমস্ত জিনিস নামিয়ে দেখা হয়। যেভাবেই হোক এই প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে হবে। এর ফলে গাজায় যত দ্রুত মানবিক সাহায্য পৌঁছানো দরকার, তা পৌঁছাচ্ছে না।’আনালেনা বেয়ারবক বলেন, মিসর ও ইসরায়েল উভয়পক্ষই তাকে ট্রাক কীভাবে গাজায় ঢোকে, সে বিষয়ে তথ্য দিয়েছে। বস্তুত, তিনিই প্রথম বিদেশি মন্ত্রী যাকে ইসরায়েল কেরেম শালোম পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি দিল। তাকে দেখানো হয়েছে কীভাবে প্রতিদিন ১২০টি ট্রাকে মানবিক সাহায্য বোঝাই করে গাজায় পাঠানো হয়।২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ঘটনার আগে গাজায় প্রতিদিন ৫০০ ট্রাক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে যাওয়া হতো। তার মধ্যে ৩০০ ট্রাক যেত কেরেম শালোমের সীমান্ত দিয়ে। তা কমে এখন ১২০টি ট্রাকে এসে দাঁড়িয়েছে।ইসরায়েল জানিয়েছে, প্রতি ঘণ্টায় ১২টি ট্রাক সীমান্ত পার করে। ইসরায়েল সীমান্তে দুটি স্ক্যানারে এই ট্রাকগুলোকে পরীক্ষা করা হয়। দেখা হয়, নিওত্যপণ্যের সঙ্গে বন্দুক, গুলি বা এ জাতীয় কোনো অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে কি না।বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা তাদের জানিয়েছেন, আরও ট্রাক পারাপার করা সম্ভব। কিন্তু ট্রাক চালানোর জন্য যথেষ্ট ফিলিস্তিনি চালক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।বেয়ারবক এদিন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। সেখানে দ্বি-রাষ্ট্র বিষয়ক রাজনৈতিক সমাধান নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও দুই মন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়েছে।এমএইচ
    যুক্তরাষ্ট্রে জাহাজের ধাক্কায় সেতু ভেঙে নিহত ৬
     যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড রাজ্যের বাল্টিমোর নগরীতে পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় সেতু ধসে ৬ জন নিহত দুজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজদের খোঁজে চলানো তল্লাশি অভিযান বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে কোস্ট গার্ড। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তারা ধারণা করছেন, ওই ছয় জন হয়তো আর বেঁচে নেই। খবর এবিসি ও তাসের।স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রথম প্রহরের দিকে ওই কন্টেইনারবাহী জাহাজের ধাক্কায় বাল্টিমোরের ঐতিহাসিক ফ্রান্সিস স্কট কি ব্রিজের একাংশ ধসে পড়ে। আড়াই কিলোমিটারের বেশি লম্বা সেতুটির পিলারে কন্টেইনারবাহী জাহাজটি ধাক্কা মেরেছিল।কর্মকর্তারা জানান, জাহাজটিতে ‘বৈদ্যুতিক গোলযোগ’ দেখা দিয়েছিল এবং সেতুর সঙ্গে সংঘর্ষের কয়েক মুহূর্ত আগে সেটি সহায়তা চেয়ে জরুরি বার্তা পাঠিয়েছিল।সেতুটি ধসের পরপরই সেটি থেকে ৭/৮ জন পানিতে পড়ে গেছে বলে জানানো হয়। তাদের খোঁজে বেশ কয়েকটি নৌযান ও হেলিকপ্টার নিয়ে মার্কিন কোস্ট গার্ড নিচের প্যাটাপসকো নদীতে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করে। পরে তারা জানায়, পানি থেকে তারা দুইজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকি অন্তত ছয়জন নিখোঁজ রয়েছে।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা রিয়ার অ্যাডমিরাল শ্যানন গিলরথ বলেন, বাকি নিখোঁজ ব্যক্তিরা খুব সম্ভবত মারা গেছেন।এমএইচ
    ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে: জাতিসংঘ
     জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক এক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, তার বিশ্বাস গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালিয়েছে। জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে বিশেষজ্ঞ ফ্রাঞ্চেস্কা আলবানিজের এ নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। তবে ইসরায়েল এরই মধ্যে প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত একে গণহত্যা বিষয়ক কনভেনশনের আপত্তিকর বিকৃতি এবং ‘বাস্তবতার অশ্লীল বিকার’ বলে সমালোচনা করেছেন।গাজায় যুদ্ধ থামানোর পাশপাশি বেসামরিক নাগরিকদের আরও সুরক্ষা দেয়ার জন্য ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকার মধ্যে গণহত্যা নিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে।গণহত্যা সুনির্দিষ্ট একটি আইনি পরিভাষা। আলবানিজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এর কিছু বৈশিষ্ট্য পূরণ হয়েছে। অর্থাৎ, গাজায় চালানো গণহত্যামূলক কার্যকলাপ ‘গণহত্যা’ নির্ধারণের মাত্রায় পৌঁছেছে এমনটি বিশ্বাস করার যৌক্তিকতা আছে।বিবিসি জানায়, বিশেষজ্ঞ আলবানিজ তার 'অ্যানাটমি অব এ জেনোসাইড' শীর্ষক প্রতিবেদনে বলেছেন, ইসরয়েল ফিলিস্তিনিদেরকে একটি গোটা গোষ্ঠী হিসাবে কিংবা আংশিকভাবে ধ্বংস করার অভিপ্রায় নিয়ে কাজ করেছে। যেটি গণহত্যা কনভেনশনের মূল বৈশিষ্ট্য।আলবানিজ বিশেষত, জাতিসংঘ গণহত্যা কনভেনশন (জেনোসাইড কনভেনশন) আইনের তিনটি ধারা ইসরাইল লঙ্ঘন করেছে বলে উল্লেখ করেছেন। ১. গোষ্ঠীর সদস্যদেরকে হত্যা করা, ২. শারীরিক ও মানসিকভাবে গোষ্ঠীর সদস্যদের গুরুতর ক্ষতি করা ও ৩. গোষ্ঠীর অস্তিত্ব সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করতে হিসাব-নিকাশ করে ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের জীবনাচারের ওপর আঘাত হানা।গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেখানকার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।গাজার জনাকীর্ণ এলাকাগুলোতে বোমা হামলা এবং ত্রাণ প্রবেশে বাধা (যার কারণে জাতিসংঘের ভাষ্যমতে গাজা দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে)- এ সবই একটি গোষ্ঠীকে ধ্বংস করার অভিপ্রায়ের প্রমাণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ আলবানিজ।বহু নামকরা জাতিসংঘ ত্রাণ সংস্থাই সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, গাজার কোনও জায়গাই নিরাপদ নয়। সেখানকার মানুষজন এখন প্রাণীকে খাওয়ানোর খাবার খাচ্ছে কিংবা ঘাস খাচ্ছে। শিশুদেরকে অ্যানেসথেশিয়া ছাড়াই চিকিৎসা করা হচ্ছে।সবগুলো ত্রাণসংস্থাই বলেছে, গুরুত্বপূর্ণ ত্রাণ সরবরাহে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল। ত্রাণ সরবরাহে জাতিসংঘ দেরি করছে বলে ইসরায়েলের তোলা অভিযোগ নিয়ে সন্দিহান অনেক দেশই।তারপরও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষজ্ঞ তার প্রতিবেদনে যে ভাষা ব্যবহার করেছে তা হয়ত অনেকেই পছন্দ করবে না। কিন্তু প্রতিবেদনে তিনি যা বলেছেন তাতে যুদ্ধে ইসরায়েলকে তাদের আচরণ পরিবর্তন করার জন্য আন্তর্জাতিক চাপে নতুন মাত্রা যোগ হবে।

    বিনোদন

    সব দেখুন
    জায়েদ খানের নায়িকা ভারতের পূজা ব্যানার্জি
    চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ওপার বাংলার নায়িকা সায়ন্তিকার সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন তিনি। এবার ভারতের হিন্দি ও বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা ব্যানার্জির সঙ্গে জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন এ চিত্রনায়ক।জানা গেছে, বাংলাদেশের একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি সিনেমা নির্মাণ করা হচ্ছে। জায়েদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সিনেমার নাম ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম এখনই বলতে চাচ্ছেন না।এ প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, ‘আমি আগেই কিছু বলতে চাই না। আমি চমক দিতে পছন্দ করি, যা বলি তা করে দেখাই। অহেতুক আওয়াজ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ঈদে আমার সিনেমা ‘সোনার চর’ আসছে। সিনেমাতে দর্শক ভিন্ন এক জায়েদ খানকে পাবেন।’  এর আগে, জায়েদ খান কলকাতার সায়ন্তিকার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন। কিছু দিন সেই সিনেমার শুটিংয়ের পর প্রযোজক-নায়িকার জটিলতা তৈরি হয়।উল্লেখ্য, পূজা ব্যানার্জি স্টার প্লাসে সম্প্রচারিত ‘তুঝ সাং প্রীত লাগাই সাজনা’ শোতে বৃন্দা চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সুপরিচিত। এ ছাড়াও তেলেগু, কলকাতা বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি।এফএস
    সাত জেলায় মোশাররফ করিমের সাত বউ! আরেক বিয়ে করতে গিয়ে ধরা
    ওটিটি প্লাটফর্ম হইচই তাদের নতুন সিজনে সম্প্রতি ছয়টি সিরিজের ঘোষণা করেছে। ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ তারই একটি। গল্পের আব্বাস চরিত্রে অভিনয় করছেন মোশাররফ করিম। হইচইয়ের এ সিরিজটি নির্মাণ করছেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী। ‘বোহেমিয়ান ঘোড়ার’ গল্প অসাধারণ। ট্রাক ড্রাইভার আব্বাস একজন দুর্দান্ত প্রেমিক। সাত জেলায় তার সাত বউ। মজার বিষয় হচ্ছে, তার কোনো বউই জানে না, সে দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। গোপন রেখেছে সুনিপুণভাবে সাতটি সংসারই সে সামলায়।এদিকে একজন বৃদ্ধের সঙ্গে বিয়ে হওয়া থেকে সদ্য যুবতী সুন্দরীকে বাঁচানোর পর সুন্দরী আব্বাসের প্রেমে পড়ে ও তাকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু আব্বাস জানে আট মানে সর্বনাশ তাই সুন্দরীকে বিয়ে করতে না চাইলেও একপ্রকার বাধ্য হয়ে বিয়ে করতে হয় তাকে। এরপর শুরু হয় গন্ডগোল। আব্বাসের সাত সংসারে শুরু হয় বিভিন্নরকম ঝামেলা।হইচই মিট ২০২৪ প্রসঙ্গে হইচই বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাকিব আর খান বলেন, ‘হইচই বাংলাদেশ ২০১৯ সালে ঢাকা মেট্রো সিরিজটি রিলিজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। এরপর আমরা আরও ১৮টি সিরিজ রিলিজ করেছি যা বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছে। একটি ব্র্যান্ড হিসেবে হইচই এর লক্ষ্য সারা পৃথিবীতে বাংলা ভাষায় কথা বলা মানুষের কাছে তাদের নিজের ভাষায় মানসম্মত বিনোদন পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি আমরা দর্শকদের জন্য পছন্দসই কনটেন্ট নির্মাণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের খ্যাতিমান নির্মাতা এবং অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করছি। আমরা এ বছর ছয়টি কনটেন্টের ঘোষণা দিচ্ছি এবং ভবিষ্যতে এর সংখ্যা আরও বাড়বে।’
    নায়িকা পলির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ প্রযোজকের, থানায় জিডি
     চিত্রনায়িকা পলি। বর্তমানে অভিনয় থেকে অনেক দূরে আছেন তিনি। সম্প্রতি পলি বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাব লিমিটেডের নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। বর্তমানে ব্যস্ত আছেন আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে। প্রথমবারের মতো নির্বাচনে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে লড়বেন তিনি। এই নায়িকার বিরুদ্ধে গুরুতর এক অভিযোগ এনে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন প্রযোজক তাহেরা ফেরদৌস জেনিফার। এই প্রযোজককে প্রাণে মেরে ফেলাসহ এসিড মারার হুমকি দিয়েছেন পলি, এমনটাই সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করেছেন জেনিফার। গত ২০ ফেব্রুয়ারি বনানী থানায় পলির বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন জেনিফার। জিডি নং ১৪৯৮।জিডিতে প্রযোজক জেনিফার উল্লেখ করেছেন—২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় অনুমান ৭ ঘটিকার সময় বিবাদী চিত্রনায়িকা রিয়ানা পারভীন পলি একজন অপরিচিত লোকসহ আমার বনানী থানাধীন বাসায় এসে ড্রইং রুমে ঢুকে আমার ২ জন অতিথি মো. ওসমান গনি বাপ্পি এবং মুরাদ চৌধুরীদের সামনে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজসহ ভয়ভীতি হুমকি প্রদর্শন করে এবং আমাকে প্রাণে মেরে ফেলাসহ অ্যাসিড মারবে বলে হুমকি দেয়। এর তিন চার দিন আগে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে আমাকে একই রকম হুমকি দেয়।হঠাৎ পলি আপনাকে হুমকি দিয়েছে কেন, জানতে চাইলে সংবাদমাধ্যমকে জেনিফার বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি পরে কথা বলি। অভিযোগ প্রসঙ্গে পলি বলেন, ছোট একটু ঝামেলা হয়েছিল। সমাধানের চেষ্টা চলছে।২০০১ সালে মোহাম্মদ হোসেনের ‘ফায়ার’ সিনেমায় প্রয়াত মান্নার নায়িকা হিসেবে অভিষেক ঘটে পলির। এরপর তিনি ১১৩টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।অন্যদিকে, উপস্থাপক, প্রযোজক, মডেল, অভিনেত্রী ও ব্যবসায়ী তাহেরা ফেরদৌস জেনিফার। সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘আশীর্বাদ’ সিনেমার সহ-প্রযোজক তিনি। সিনেমাটি ২০২২ সালের আগস্টে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।এমএইচ
    ক্যাটরিনার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বোমা ফাটালেন স্বামী ভিকি
    দেখতে দেখতে বিয়ের দু’বছর হয়ে গেছে। তার আগে বেশ কয়েক বছর লুকিয়ে প্রেমও করেছেন বলিউডের জনপ্রিয় জুটি ভিকি কৌশল-ক্যাটরিনা কাইফ।  ২০২১ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন তারা। বিয়ের পরে অবশ্য দুই তারকার সমাজমাধ্যমের পাতায় চোখ রাখলেই স্পষ্ট হয়ে যায় তাদের সম্পর্কের রসায়ন। মধ্যবিত্ত পঞ্জাবি পরিবারে ছেলে ভিকি। অন্য দিকে, ক্যাটরিনা বিদেশিনি। তবে তাদের দু’জনের মধ্যে বোঝাপড়া দারুণ। কিন্তু সম্পর্কে জড়ানোর পরে একটা সময় ভিকিকে বড্ড ‘খিটখিটে’ ও ‘বদমেজাজি’ বলেই মনে হত ক্যাটরিনার। কিন্তু কেন, সেই কারণই জানালেন অভিনেতা।সম্প্রতি নেহা ধুপিয়ার ‘নো ফিল্টার নেহা’ শোয়ে হাজির হয়ে এ বিষয়েই মুখ খুলেছেন ভিকি কৌশল। ক্যাটরিনাকে তার কোন বিষয়টা সহ্য করতে হয়? এ প্রশ্নের উত্তরে ভিকি বলেন, সম্পর্কে জড়ানোর প্রথম দু’বছর ক্যাট নাকি তাকে শুধুই ‘খড়ুস’ বা (বদমেজাজি) বলে ডাকতেন। কিন্তু, এমন কেন মনে হত ক্যাটরিনার? সে প্রসঙ্গে ভিকি জানান, অভিনেত্রীর নাকি তার মুখটা দেখলেই মনে হত, তিনি রেগে আছেন। এখানেই শেষ নয়, ভিকির উপর আরও কিছু বিষয়ে বিরক্ত ক্যাটরিনা। ভিকি জানান, তার স্ত্রী ক্যাটরিনা মনে করেন, তিনি উপহার দেয়ার ব্যাপারে এক্কেবারেই রোম্যান্টিক নন। আর তখনই নেহা ধুপিয়া ভিকিকে প্রশ্ন করেন, তিনি স্ত্রী ক্যাটরিনার জন্য শেষ কী উপহার কিনেছেন? উত্তরে ভিকি জানান, গয়না। নেহার শোয়ে এসে তাদের দাম্পত্য জীবনের অনেক গোপন কথাই খোলসা করলেন ভিকি। পাশপাশি, স্ত্রী ক্যাটরিনার মেজাজের কথাও জানালেন অভিনেতা। তবে ঝগড়াঝাঁটি যা-ই হোক না কেন, ক্ষমাটা যে ভিকিই চান, সে কথাও স্পষ্ট করলেন অভিনেতা।ইন্ডাস্ট্রির খুব অল্প সংখ্যক লোকই উপস্থিত ছিলেন ভিকি-ক্যাটের বিয়েতে। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন নেহা ধুপিয়া। স্বাভাবিক ভাবেই তার শোয়ে এসে মন খুলেই কথা বলেছেন ভিকি।

    অর্থ-বাণিজ্য

    সব দেখুন
    ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার!
    দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। শুক্রবার (২৯ মার্চ) এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে দেশে আসছে। শুক্রবারের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে। জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।   বুধবার (২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ভারতের ন্যাশনাল করপোরেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে এই ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। সরকারই এই প্রতিষ্ঠানটিকে ঠিক করে দিয়েছে।এমএইচ
    ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির নীতিগত অনুমোদন
     ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে এর সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।আহসানুল ইসলাম জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ত্রয়োদশ মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকের সময় ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে। সেখানে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ পাঠানোর বিষয়ে চিঠি ইস্যু করতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।তিনি জানান, ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভারতের ন্যাশনাল করপোরেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে এ পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। সরকারই প্রতিষ্ঠানটিকে ঠিক করে দিয়েছে।এদিকে গত (২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) নারী উদ্যোক্তাদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসবে। এর ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।গত আগস্টে ভারতের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সরকার ৪০ শতাংশ শুল্কারোপ করে। এরপর গত অক্টোবরে পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করা হয় টনপ্রতি ৮০০ মার্কিন ডলার; কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে এসব পদক্ষেপ খুব বেশি কার্যকর না হওয়ায় গত ৭ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার।চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয়। ভারতের এ নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়ে পেঁয়াজের দাম। খুচরাপর্যায়ে প্রতি কেজি মুড়ি কাটা পেঁয়াজের দাম ওঠে ১৪০ টাকা পর্যন্ত।এমন পরিস্থিতিতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, বাংলাদেশকে ভারত ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ দেবে। রোজার শুরুতেই ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে চলে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তবে ভারতের পেঁয়াজ এখনো বাংলাদেশের বাজারে আসেনি।অবশ্য ভারতের পেঁয়াজ না আসলেও বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। তাতেই ধারাবাহিকভাবে কমছে পেঁয়াজের দাম। কিছুদিন আগে যে পেঁয়াজের কেজি ১৩০-১৪০ টাকা ছিলো এখন সেই পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৫৫-৬০ টাকা।এমএইচ
    আবারও দাম বেড়ে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
    ভারত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার খবরে আবারও অস্থির হয়ে ওঠেছে রাজধানীর পেঁয়াজের বাজার। দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়ে গেছে ২০ টাকা পর্যন্ত। সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ছাড়াও বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। গত বছরের ডিসেম্বরে (৭ ডিসেম্বর) অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিত্যপণ্যটির রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। এ নির্দেশনা ৮ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। এর পরেই বাংলাদেশের বাজারে বাড়তে বাড়তে প্রতি কেজি ২৫০ টাকার ওপরে উঠে যায় পেঁয়াজের দাম।  এদিকে, নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৩ মার্চ বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ‘ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। ভারত থেকে এরই মধ্যে যে পেঁয়াজ কেনা হয়েছে সেগুলো তিনদিনের মধ্যে রেলযোগে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।’ কিন্তু বিধি বাম! বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর এ ঘোষণার বিন্দুমাত্র প্রভাব দেখা যায়নি বাজারে। বাজারে পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞার খবরকে পুঁজি করে রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা চলছে হালি জাতের পেঁয়াজেরও। ক্রেতারা বলছেন, দুদিনের ব্যবধানে হালি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়ে গেছে ২০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আবারও পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে।   খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পাইকারি পর্যায়েই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকায়। তাই খুচরা পর্যায়ে ৭০ টাকায় বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই। তাছাড়া বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে হালি পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে না। আর আড়তদাররা জানান, পাবনা ও ফরিদপুরসহ দেশের সব স্থানের মোকামেই ১ হাজার ৭০০ টাকার বস্তা গিয়ে ঠেকেছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায়। তাই কিছুটা বেড়েছে দাম।এমএইচ
    ভারত রফতানি বন্ধের ঘোষণাতেই দাম বাড়ল পেঁয়াজের
    পেঁয়াজের সংকট আছে কি না, সেই প্রশ্নের ধারেকাছেও ঘেঁষছেন না ব্যবসায়ীরা। শুধু ভারতের রফতানি বন্ধের ঘোষণাতেই এক রাতের ব্যবধানে কেজিতে ১০-১২ টাকা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে পেঁয়াজের দাম। রাজধানীর পেঁয়াজ সরবরাহ করা সবচেয়ে বড় আড়ত শ্যামবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের এক ঘোষণা রাজধানীর শ্যামবাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিলো কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা। যদিও দেশের বাজারে নেই সংকট, তারপরও বেড়েছে দাম এই নিত্যপণ্যের। পুরান ঢাকার সবচেয়ে বড় আদা-রসুন-পেঁয়াজের আড়তে এসে আকস্মিক দাম বৃদ্ধির চাপে পড়েছেন বিভিন্ন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগের দিনও তারা ৪২-৪৫ টাকায় শ্যামবাজার থেকে পেঁয়াজ কিনেছেন। মাত্র এক রাতের ব্যবধানেই সেই পেঁয়াজ কিনছেন তারা ৫০-৫৫ টাকায়। আড়তদাররা জানান, পাবনা, ফরিদপুরসহ দেশের সব স্থানের মোকামেই ১ হাজার ৭০০ টাকার বস্তা গিয়ে ঠেকেছে ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকায়।   তবে আড়তদাররা জানান, পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হলেও শিগগিরই সংকটে পড়তে যাচ্ছে না দেশ, তবুও দিনশেষে এক রাতের ব্যবধানেই দামবৃদ্ধি দেখা গেল পেঁয়াজের। গত ডিসেম্বর থেকেই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রেখেছে ভারত। সেই সময়সীমা ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকাল করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। সেই ঘোষণার প্রভাবেই এক রাতের ব্যবধানে উত্তাপ ছড়াচ্ছে পেঁয়াজের বাজার। সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, শুধু ঘোষণার কারণেই তারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন, যদি দেশে সত্যিকার অর্থে সংকট দেখা দেয় তাহলে এই দাম আকাশছোঁয়া হবে। আর একবার কোনো কিছুর দাম বাড়ালে, সেই সংকট যতই কাটুক, দাম কমান না তারা। যদিও বিশেষ প্রক্রিয়ায় চলমান রয়েছে পেঁয়াজ আমদানি। তবে ভারতের হঠাৎ ঘোষণার রেশ কেটে গেলেই দাম আবার কমে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
    সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করল খলিল, মাংস বিক্রি করবে ৫৯৫ টাকা
     দেশে চলমান অনিয়ন্ত্রিত গরুর মাংসের বাজার নিয়ে বহুদিন ধরে চলছে অস্থিরতা। এরমধ্যে রমজানে ৫৯৫ টাকাতেই গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেন আলোচিত ব্যবসায়ী খলিল। দশ রোজা না পেরুতেই হঠাৎ করে কেজিতে ১০০টাকা বাড়িয়ে ৬৯৫ টাকায় বিক্রি শুরু করতেই ক্রেতাদের মাঝে শুরু হয় নানা প্রতিক্রিয়া। এরমধ্যেই দাম কমিয়ে আবারও পূর্বের মূল্য ৫৯৫ টাকাতেই গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস বিক্রেতা খলিল।রোববার (২৪ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে ‘সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি বিষয়ে’ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন খলিল। জানান, প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৫৯৫ টাকায় মাংস কিনতে পারবেন ভোক্তারা। তিনি বলেন, লাভ-লোকসান বুঝি না। ২০ রমজান পর্যন্ত ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করব। আমি কথা দিয়েছিলাম সেটা রাখবো। প্রতিদিন ২০টি করে গরু জবাই হবে বিকেল পর্যন্ত।এ সময় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, পুরান ঢাকার মাংস বিক্রেতা নয়ন, মিরপুরের মাংস বিক্রেতা উজ্জ্বলসহ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে মিরপুরের গরুর মাংস বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, যতদিন সাধ্য ছিল তিনিও ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করেছেন। এখন ৩৫ টাকা বাড়িয়েছেন। লোকসান যাতে না হয় তাই ৬৩৫ টাকা মাংসের দর নির্ধারণ করেছেন। যতদিন পারবেন এ দামেই বিক্রি করবেন।একই সম্মেলনে উপস্থিত পুরান ঢাকার মাংস বিক্রেতা নয়ন বলেন, তিনি ৫৭০ টাকায় মিক্সড মাংস বিক্রি করছিলেন। এখন ৩৫ টাকা বাড়িয়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি করবেন। আর ঝুলানো মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি করবেন যা আগে ছিল ৬০০ টাকা।এর আগে, দশ রোজা না পেরুতেই গরুর মাংসের দাম বাড়িয়ে দেয় আলোচিত এই গরুর মাংস ব্যবসায়ী খলিল। কেজিতে ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৬৯৫ টাকা করা হয়। সেসময় তিনি জানান, নানামুখী চাপে আছেন তিনি। খামার থেকে যে দামে গরু কিনতে হচ্ছে, তাতে ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করে পোষাতে পারছেন না। এতে লোকসান হচ্ছে। আরও বলেন, ক্রেতাদের ভিড় হওয়ায় বাধ্য হয়ে মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বাড়াতে হয়েছে।
    ভারত থেকে পেঁয়াজ-চিনি আর কবে আসবে?
    পবিত্র রমজানের ১২ দিন পার হলেও ভারত থেকে আমদানির খবর নেই পেঁয়াজ ও চিনির। সে কারণে দেশের বাজার কোনোভাবেই স্থিতিশীল থাকছে না। সময়মত না আসার সুযোগে দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে এদেশের সিন্ডিকেটের সদস্যরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, খাদ্যদ্রব্যের আমদানি স্বাভাবিক হলে এসব পণ্যের দাম কমে আসবে। গত ২৪ জানুয়ারি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রীকে ১ লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ সরবরাহের জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন।জানা যায়, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ছিল, সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে রমজানের আগেই নিত্যপণ্যের বাজার ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে আর স্বস্তির নি:শ্বাসে পার করবেন মাসটি।সূত্র জানায়, গত ২৪ জানুয়ারি জরুরি খাদ্যদ্রব্যের সরবরাহ বাড়াতে সরকারের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প, বস্ত্র ও ভোগ্যপণ্য এবং খাদ্য ও গণবিতরণবিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন। এ সময় আহসানুল ইসলাম তাকে ১ লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ সরবরাহের পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান।তখন জানানো হয়, রমজানের আগেই পেঁয়াজ ও চিনি দেশে ঢুকবে। এ ঘোষণার প্রায় মাস পার হতে চললেও নানান প্রতিবন্ধকতায় এখন পর্যন্ত পেঁয়াজ, চিনি ভারত থেকে দেশে আসেনি। ভারত সরকার অন্য দেশ থেকে পেয়াজ কিনে বাংলাদেশে রফতানি করবে। সেই লক্ষে ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে রফতানির সময়সীমা এগিয়ে এনেছেন।এদিকে, আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, খাদ্যদ্রব্য আমদানি স্বাভাবিক হলে রমজানে এসব পণ্যের দাম কমে আসবে।বেনাপোলের আমদানিকারকরা জানান, বছরখানেক ধরে ভারত থেকে চাল, চিনি, পেঁয়াজ ও গম আমদানি বন্ধের কারণে ও সেইসঙ্গে বাজার সিন্ডিকেটের ফলে কোনোভাবেই এসব পণ্যের বাজার মূল্য স্থিতিশীল থাকছে না। মাঝে-মধ্যে আমদানির খবরে দাম কমে এলেও পরে আবার তা বেড়ে যায়।বেনাপোলের আমদানিকারক সাজেদুর রহমান বলেন, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী রোজার আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ ও চিনি আমদানির ঘোষণা দিয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত তার কিছুই আসেনি। জরুরি পণ্য আমদানি স্বাভাবিক থাকলে বাজারে দাম কমে আসতো।বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল জানান, ভারতের নিষেধাজ্ঞা নিত্যপণ্য আমদানিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।বেনাপোল আমদানি, রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, দেশের বাইরে পেঁয়াজ রফতানিতে ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একের পর এক শর্ত অস্থির করে তুলেছে আমদানি নির্ভর বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার। এতে দ্রব্যমূল্যের এ ঊর্ধ্বগতির বাজারে আরো বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।তিনি বলেন, এ অবস্থা থেকে উত্তরণে বার্ষিক কোটা চুক্তিতে ভারতের কাছে গম ৪৫ লাখ টন, চাল ২০ লাখ টন, পেঁয়াজ ৭ লাখ টন, চিনি ১৫ লাখ টন ও আদা দেড় লাখ টন, ডাল ৩০ হাজার টন ও ১০ হাজার টন রসুন রফতানির অনুরোধ করা হয়েছে। এর আগে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল ও ভুটানকে কোটা সুবিধায় পণ্য আমদানিতে সুযোগ দিয়েছে ভারত। ভারতের সঙ্গে নিত্যপণ্যের কোটা চুক্তির বাস্তবায়ন আমাদের দেশের যে কোনো খাদ্যসংকট মেটাতে পারে। তারা আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুদেশ। আশা করছি, বাণিজ্য সহজীকরণ করতে তারা পাশে থাকবে।বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানিয়েছেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে অন্যান্য পণ্যের আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও অনেকদিন ধরেই ভারত থেকে পেঁয়াজ, চিনি, গম ও চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে।উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং রফতানি মূল্য ৮শ ৫০ ডলার বৃদ্ধি করায় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।২০২২ সালের ২০ জুলাই থেকে সিদ্ধ ও আতপ চাল আসাও বন্ধ রয়েছে। একই বছরের ১৩ মে থেকে বন্ধ রয়েছে গম এবং ২৮ ডিসেম্বর থেকে চিনি আমদানি বন্ধ রয়েছে। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারি মিলস অ্যাসোসিয়েশনের একটি অভিযোগ দায়ের করার কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে চিনি আমদানি বন্ধ রয়েছে। 
    বিশ্ববাজারে সোনার দামে রেকর্ড
     বিশ্ববাজারে সোনার দামে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম দুই হাজার দুইশ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে এই মাইলফলক স্পর্শ করে সোনা। এখন পর্যন্ত প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৯ ডলার। সোনার এত দাম আগে কখনো দেখিনি বিশ্ববাসী। বিশ্ববাজারের পাশাপাশি বাংলাদেশের বাজারেও রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা। দেশের বাজারে সোনার দাম সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ, যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে।বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বাড়ার কারণ উল্লেখ করে সেদিন সব থেকে সোনার দাম বাড়ে। ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। দেশের বাজারে সোনার এত দাম আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে এই দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।অবশ্য সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গয়না বিক্রি করা হয়। একই সঙ্গে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে এক লাখ ২৩ হাজার ২৭৭ টাকা। দেশের বাজারে সর্বশেষ যখন সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ১৫৫ ডলারের কাছাকাছি। অর্থাৎ দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর পর এরই মধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৫০ ডলারের মতো বেড়ে গেছে। 
    ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে শুক্রবার!
    দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করছে সরকার। শুক্রবার (২৯ মার্চ) এর মধ্যে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ দেশে আসতে পারে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অধিশাখা) রেজওয়ানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রথম পর্যায়ে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজ ট্রেনে করে দেশে আসছে। শুক্রবারের মধ্যে আসার কথা রয়েছে। অবশিষ্ট পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে আমদানি হবে। জানা গেছে, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভারত থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়ায় দেশটির সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পরে হঠাৎ করে পণ্যটির দাম অনেক বেড়ে যায়।   বুধবার (২৭ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ভারতের ন্যাশনাল করপোরেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে এই ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। সরকারই এই প্রতিষ্ঠানটিকে ঠিক করে দিয়েছে।এমএইচ
    ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির নীতিগত অনুমোদন
     ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে এর সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।আহসানুল ইসলাম জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ত্রয়োদশ মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকের সময় ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে। সেখানে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ পাঠানোর বিষয়ে চিঠি ইস্যু করতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।তিনি জানান, ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ভারতের ন্যাশনাল করপোরেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের কাছ থেকে এ পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। সরকারই প্রতিষ্ঠানটিকে ঠিক করে দিয়েছে।এদিকে গত (২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) নারী উদ্যোক্তাদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসবে। এর ফলে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।গত আগস্টে ভারতের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে সরকার ৪০ শতাংশ শুল্কারোপ করে। এরপর গত অক্টোবরে পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করা হয় টনপ্রতি ৮০০ মার্কিন ডলার; কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে এসব পদক্ষেপ খুব বেশি কার্যকর না হওয়ায় গত ৭ ডিসেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার।চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড বা বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয়। ভারতের এ নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়ে পেঁয়াজের দাম। খুচরাপর্যায়ে প্রতি কেজি মুড়ি কাটা পেঁয়াজের দাম ওঠে ১৪০ টাকা পর্যন্ত।এমন পরিস্থিতিতে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, বাংলাদেশকে ভারত ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ দেবে। রোজার শুরুতেই ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে চলে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তবে ভারতের পেঁয়াজ এখনো বাংলাদেশের বাজারে আসেনি।অবশ্য ভারতের পেঁয়াজ না আসলেও বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। তাতেই ধারাবাহিকভাবে কমছে পেঁয়াজের দাম। কিছুদিন আগে যে পেঁয়াজের কেজি ১৩০-১৪০ টাকা ছিলো এখন সেই পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৫৫-৬০ টাকা।এমএইচ
    আবারও দাম বেড়ে অস্থির পেঁয়াজের বাজার
    ভারত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞার খবরে আবারও অস্থির হয়ে ওঠেছে রাজধানীর পেঁয়াজের বাজার। দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়ে গেছে ২০ টাকা পর্যন্ত। সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ছাড়াও বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। গত বছরের ডিসেম্বরে (৭ ডিসেম্বর) অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিত্যপণ্যটির রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত। এ নির্দেশনা ৮ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়। এর পরেই বাংলাদেশের বাজারে বাড়তে বাড়তে প্রতি কেজি ২৫০ টাকার ওপরে উঠে যায় পেঁয়াজের দাম।  এদিকে, নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৩ মার্চ বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু জানিয়েছেন, ‘ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। ভারত থেকে এরই মধ্যে যে পেঁয়াজ কেনা হয়েছে সেগুলো তিনদিনের মধ্যে রেলযোগে বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।’ কিন্তু বিধি বাম! বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর এ ঘোষণার বিন্দুমাত্র প্রভাব দেখা যায়নি বাজারে। বাজারে পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞার খবরকে পুঁজি করে রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা চলছে হালি জাতের পেঁয়াজেরও। ক্রেতারা বলছেন, দুদিনের ব্যবধানে হালি পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়ে গেছে ২০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আবারও পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে।   খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, পাইকারি পর্যায়েই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকায়। তাই খুচরা পর্যায়ে ৭০ টাকায় বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই। তাছাড়া বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে হালি পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে না। আর আড়তদাররা জানান, পাবনা ও ফরিদপুরসহ দেশের সব স্থানের মোকামেই ১ হাজার ৭০০ টাকার বস্তা গিয়ে ঠেকেছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায়। তাই কিছুটা বেড়েছে দাম।এমএইচ
    ভারত রফতানি বন্ধের ঘোষণাতেই দাম বাড়ল পেঁয়াজের
    পেঁয়াজের সংকট আছে কি না, সেই প্রশ্নের ধারেকাছেও ঘেঁষছেন না ব্যবসায়ীরা। শুধু ভারতের রফতানি বন্ধের ঘোষণাতেই এক রাতের ব্যবধানে কেজিতে ১০-১২ টাকা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে পেঁয়াজের দাম। রাজধানীর পেঁয়াজ সরবরাহ করা সবচেয়ে বড় আড়ত শ্যামবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের এক ঘোষণা রাজধানীর শ্যামবাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিলো কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা। যদিও দেশের বাজারে নেই সংকট, তারপরও বেড়েছে দাম এই নিত্যপণ্যের। পুরান ঢাকার সবচেয়ে বড় আদা-রসুন-পেঁয়াজের আড়তে এসে আকস্মিক দাম বৃদ্ধির চাপে পড়েছেন বিভিন্ন বাজারের খুচরা ব্যবসায়ীরা। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আগের দিনও তারা ৪২-৪৫ টাকায় শ্যামবাজার থেকে পেঁয়াজ কিনেছেন। মাত্র এক রাতের ব্যবধানেই সেই পেঁয়াজ কিনছেন তারা ৫০-৫৫ টাকায়। আড়তদাররা জানান, পাবনা, ফরিদপুরসহ দেশের সব স্থানের মোকামেই ১ হাজার ৭০০ টাকার বস্তা গিয়ে ঠেকেছে ২২০০ থেকে ২৩০০ টাকায়।   তবে আড়তদাররা জানান, পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি না হলেও শিগগিরই সংকটে পড়তে যাচ্ছে না দেশ, তবুও দিনশেষে এক রাতের ব্যবধানেই দামবৃদ্ধি দেখা গেল পেঁয়াজের। গত ডিসেম্বর থেকেই পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রেখেছে ভারত। সেই সময়সীমা ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকাল করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। সেই ঘোষণার প্রভাবেই এক রাতের ব্যবধানে উত্তাপ ছড়াচ্ছে পেঁয়াজের বাজার। সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, শুধু ঘোষণার কারণেই তারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন, যদি দেশে সত্যিকার অর্থে সংকট দেখা দেয় তাহলে এই দাম আকাশছোঁয়া হবে। আর একবার কোনো কিছুর দাম বাড়ালে, সেই সংকট যতই কাটুক, দাম কমান না তারা। যদিও বিশেষ প্রক্রিয়ায় চলমান রয়েছে পেঁয়াজ আমদানি। তবে ভারতের হঠাৎ ঘোষণার রেশ কেটে গেলেই দাম আবার কমে আসবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
    সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করল খলিল, মাংস বিক্রি করবে ৫৯৫ টাকা
     দেশে চলমান অনিয়ন্ত্রিত গরুর মাংসের বাজার নিয়ে বহুদিন ধরে চলছে অস্থিরতা। এরমধ্যে রমজানে ৫৯৫ টাকাতেই গরুর মাংস বিক্রি শুরু করেন আলোচিত ব্যবসায়ী খলিল। দশ রোজা না পেরুতেই হঠাৎ করে কেজিতে ১০০টাকা বাড়িয়ে ৬৯৫ টাকায় বিক্রি শুরু করতেই ক্রেতাদের মাঝে শুরু হয় নানা প্রতিক্রিয়া। এরমধ্যেই দাম কমিয়ে আবারও পূর্বের মূল্য ৫৯৫ টাকাতেই গরুর মাংস বিক্রির ঘোষণা দিয়েছেন উত্তর শাহজাহানপুরের মাংস বিক্রেতা খলিল।রোববার (২৪ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নতুন সভাকক্ষে ‘সাশ্রয়ী মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি বিষয়ে’ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন খলিল। জানান, প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৫৯৫ টাকায় মাংস কিনতে পারবেন ভোক্তারা। তিনি বলেন, লাভ-লোকসান বুঝি না। ২০ রমজান পর্যন্ত ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করব। আমি কথা দিয়েছিলাম সেটা রাখবো। প্রতিদিন ২০টি করে গরু জবাই হবে বিকেল পর্যন্ত।এ সময় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, পুরান ঢাকার মাংস বিক্রেতা নয়ন, মিরপুরের মাংস বিক্রেতা উজ্জ্বলসহ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে মিরপুরের গরুর মাংস বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, যতদিন সাধ্য ছিল তিনিও ৫৯৫ টাকায় মাংস বিক্রি করেছেন। এখন ৩৫ টাকা বাড়িয়েছেন। লোকসান যাতে না হয় তাই ৬৩৫ টাকা মাংসের দর নির্ধারণ করেছেন। যতদিন পারবেন এ দামেই বিক্রি করবেন।একই সম্মেলনে উপস্থিত পুরান ঢাকার মাংস বিক্রেতা নয়ন বলেন, তিনি ৫৭০ টাকায় মিক্সড মাংস বিক্রি করছিলেন। এখন ৩৫ টাকা বাড়িয়ে ৬০০ টাকায় বিক্রি করবেন। আর ঝুলানো মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি করবেন যা আগে ছিল ৬০০ টাকা।এর আগে, দশ রোজা না পেরুতেই গরুর মাংসের দাম বাড়িয়ে দেয় আলোচিত এই গরুর মাংস ব্যবসায়ী খলিল। কেজিতে ১০০ টাকা বাড়িয়ে ৬৯৫ টাকা করা হয়। সেসময় তিনি জানান, নানামুখী চাপে আছেন তিনি। খামার থেকে যে দামে গরু কিনতে হচ্ছে, তাতে ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করে পোষাতে পারছেন না। এতে লোকসান হচ্ছে। আরও বলেন, ক্রেতাদের ভিড় হওয়ায় বাধ্য হয়ে মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বাড়াতে হয়েছে।

    শিক্ষাঙ্গন

    সব দেখুন
    ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
     ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে এক লাখ দুই হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০ হাজার ২৭৫ জন পাস করেছেন।ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীর হার ১০ দশমিক ০৭ শতাংশ।  বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফল ঘোষণা করেন।  এই ইউনিটেরে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তী মন্ডল। তিনি খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।  কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে মোট আসন দুই হাজার ৯৩৪টি।  তার মধ্যে মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য এক হাজার ৭০৭টি, বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৪৪টি, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ২৮৩টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।  সম্মেলনে বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটের ফলও প্রকাশ করা হয়।  যেভাবে ফল জানা যাবেপরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে।  এছাড়া মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে।  এজন্য টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে ‘কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের’ জন্য DU ALS <roll no>, ‘বিজ্ঞান ইউনিটের’ জন্য DU SCI <roll no>, ‘ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের’ জন্য DU BUS <roll no> এবং ‘চারুকলা ইউনিটের’ জন্য DU FRT <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে সেন্ড করতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানা যাবে।চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট, ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিট এবং ৯ মার্চ চারুকলা ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এমএইচ
    ১৭ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
    ইস্টার সানডে, শবে-ই-কদর, জুমাতুল বিদা, ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ১৭ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)।বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জবির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়, আগামী ৩১ মার্চ (রবিবার) থেকে ১৪ এপ্রিল (রবিবার), ২০২৪ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি পরিসেবা (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, নিরাপত্তা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি) চালু থাকবে।যদিও বন্ধের আগে দু-দিন (শুক্র-শনি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা মোট বন্ধ পাচ্ছেন ১৭ দিন। তবে প্রশাসনিক কার্যক্রমের কথা বিবেচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ইনস্টিটিউট, বিভাগ ও প্রশাসনিক দফতরসমূহ আগামী ৭ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত (৮ দিন) বন্ধ থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।ছুটি শেষে আগামী ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষা ও দফতরসমূহ চালু থাকবে।এআই 
    ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ আজ, দেখা যাবে যেভাবে
    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ আজ বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। শিক্ষার্থীরা দুইভাবে ফলাফল দেখতে পারবেন।জানা গেছে, ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ফল দেখতে পারবেন। পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে। এজন্য পরীক্ষার্থীকে এসএসসি ও এইচএসসির রোল নম্বর এবং বোর্ড লিখে লগইন করতে হবে।এছাড়া শিক্ষার্থীরা ইউনিটভিত্তিক যেভাবে এসএমএস এর মাধ্যমে মুঠোফোনের ফলাফল জানতে পারবে 'কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট'-এর জন্য DU ALS <roll no>, 'বিজ্ঞান ইউনিট'-এর জন্য DU SCI <roll no>, 'ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট'-এর জন্য DU BUS <roll no> এবং 'চারুকলা ইউনিট'-এর জন্য DU FRT <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাবির প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ফলাফল প্রকাশিত হবে।এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট দিয়ে এবারে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা, ১ মার্চ বিজ্ঞান এবং ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন)। চারুকলা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা বাদে বাকিগুলো ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। চলতি শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৪টি ইউনিটের ৫ হাজার ৯৬৫ আসনের জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার ২টি। সে অনুযায়ী, আসন প্রতি আবেদন লড়েছেন প্রায় ৪৭ জন ভর্তিচ্ছু।এরমধ্যে বিজ্ঞান ইউনিটে ১ হাজার ৮৫১টি এবং আসনের জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৮০টি। কলা আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২২৫টি।ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ১ হাজার ৪০টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩৭ হাজার ৬৬০ জন শিক্ষার্থী। এই ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা ১ হাজার ৫০ জন। আর চারুকলা ইউনিটের ১৩০টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদন সংখ্যা ৭ হাজার ৩৭টি ছিল।এআই 
    সংঘর্ষে আহত রাবি ছাত্রকে ৫০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান
    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর চোখের চিকিৎসায় পঞ্চাশ হাজার টাকা সহায়তা  প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।  বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরে এ টাকা প্রদান করা হয়। আহত শিক্ষার্থী আলিম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের ছাত্র।এ ব্যাপারে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ বলেন, গত বছর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়। তবে তিন জন ছাত্র চোখে গুরুতর আঘাত পায়। বিভিন্নভাবে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই ধারাবাহিকতায় এই শিক্ষার্থীকেও এই চিকিৎসার অর্থ প্রদান করা হয়েছে। আলিম বলেন, ওই ঘটনায় চোখে গুরুতর আঘাত পাই। ফলে আমার এক চোখ ছোট হয়ে গেছে। ভারতে এখনও চিকিৎসা চলছে। তিন দিন আগে অর্থের বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের আবেদন করেছিলাম। আজ পঞ্চম হাজার টাকা পেয়েছি। এর আগে, গত বছর ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ফটক সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ বাঁধে। সন্ধ্যা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত কয়েকদফার সংঘর্ষে কয়েকশো শিক্ষার্থী আহত হন। রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ছোড়া বুলেটে আরো অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এদের তিনজন চোখে গুরুতর আঘাত পান। তাদের অনেকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিয়ে এখন কিছুটা সুস্থ হয়েছেন।এমআর

    তথ্য-প্রযুক্তি

    সব দেখুন
    কিস্তিতে মোবাইল বিক্রি সহজ করতে এলো 'ইএমআই ম্যানেজার' অ্যাপ
    বর্তমান সময়ে সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন। অনেকেই চান একটি ভালো ক্যামেরা, ভালো ডিসপ্লে এবং ভালো প্রসেসরের স্মার্টফোন কিনতে। কিন্তু সাধ্যের মধ্যে না হওয়ায় যারা কিনতে পারেন না, তাঁরা কিস্তিতে মোবাইল কিনে নিজের স্বপ্ন পূরণ করে থাকেন। তবে বর্তমানে অনেক মোবাইল বিক্রেতাগণ কিস্তিতে মোবাইল বিক্রয় নিয়ে দ্বিধায় থাকেন। এর অন্যতম কারণ ক্রেতারা সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করেন না, ফলে মোবাইল বিক্রেতাগণ প্রচুর ভোগান্তির শিকার হন। এই কিস্তির টাকা আদায় সময়মতো নিশ্চিত করার লক্ষে এই প্রথম বাংলাদেশে 'ইএমআই ম্যানেজার' মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সমাধান এনেছেন দেশের স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান আম্বালা আইটি।তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আর্থিক সংস্থায় বিভিন্ন সফটওয়্যার পরিষেবা প্রদানের মধ্য দিয়ে ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে আম্বালা আইটি। তাঁরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সফলতার সাথে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে তথ্য প্রযুক্তি ও সফটওয়্যার পরিষেবা দিয়ে আসছে। সফলতার এই ধারাবাহিকতায় যুক্ত হলো 'ইএমআই ম্যানেজার' মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি। এই অ্যাপটি ব্যবহার করার ফলে বিক্রেতাগণ সহজেই বিক্রয়কৃত মোবাইলে কিস্তির টাকা পরিশোধের নোটিশ বা অডিও বার্তা পাঠাতে পারবেন। প্রয়োজনে উক্ত মোবাইলটি লক করতে পারবেন এবং কিস্তির টাকা পরিশোধপূর্বক আনলক করতে পারবেন। একইসাথে রয়েছে রিয়েল টাইম ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে কিস্তির টাকার হিসাব রাখাসহ বহুবিধ সুবিধা।আম্বালা আইটি জানিয়েছেন, অ্যাপটি তৈরির প্রধান উদ্দেশ্য হলো কিস্তিতে মোবাইল বিক্রয় করে বিক্রেতাগণ যেন কিস্তির টাকা আদায় নিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। অ্যাপটি এমন টেকনোলজিতে তৈরি করা হয়েছে যে বিক্রেতাকে পূর্ণাঙ্গ ইন্সটলমেন্ট সিকিউরিটি প্রদান করবে। তবে কিস্তির সমস্ত টাকা পরিশোধ পূর্বক গ্রাহক তার মোবাইল ডিভাইস এই সিস্টেম থেকে রিলিজ করে নিতে পারবেন।এ বিষয়ে আম্বালা আইটির ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা কিছু মোবাইল বিক্রেতার চাহিদার ভিত্তিতে এই অ্যাপটি বাস্তবায়ন করেছি এবং তাঁরা সফলতার সাথে এই অ্যাপের মাধ্যমে কিস্তিতে মোবাইল বিক্রয় করছেন। যার ফলে তাদের বিক্রয় বেড়েছে আশানুরূপ এবং সেই সাথে কিস্তির টাকা আদায় নিয়েও নিশ্চিন্তে থাকতে পারছেন। এককথায় এই টেকনোলজির মাধ্যমে কিস্তিতে মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় হবে সহজ এবং নিরাপদ।আরও বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন: 01701267047
    ইউরোপের উড়ন্ত গাড়ির তৈরি প্রযুক্তি কিনে নিল চীন
    ইউরোপের উড়ন্ত গাড়ির তৈরির প্রযুক্তি কিনে নিয়েছে চীনের এক কোম্পানি। ‘এয়ারকার’ নামে উড়ন্ত গাড়ির পরীক্ষামূলক উড়াল সফল হয়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে গাড়িটির উড়তে মাত্র দুই মিনিট সময় লাগে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। ‘এয়ারকারে’ বিএমডব্লিউ ইঞ্জিন ও স্বাভাবিক জ্বালানি ব্যবহার করা হয়। উড়ন্ত গাড়িটির উড্ডয়ন ও অবতরণের জন্য রানওয়ের দরকার হয়। এটি ২০২১ সালে স্লোভাকিয়ার এক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে আরেক বিমানবন্দরে সফল অবতরণ করে। ৩৫ মিনিটেরজন্য উড়েছিল এয়ারকারটি। এই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি নতুন গাড়ি ‘চীনের সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায়’ ব্যবহার করা হবে। তবে সেই এলাকার নাম জানা যায়নি। চীনের কাংঝোভিত্তিক হেবেই জিয়ানসিন ফ্লাইং কার টেকনোলজি কোম্পানি এই প্রযুক্তির একচেটিয়া অধিকার কিনে নিয়েছে। এয়ারকার প্রস্তুতকারক কোম্পানি ক্লেইনভিশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা অ্যান্টন জাজ্যাক বলেন, তারা এই প্রযুক্তি তৈরি করেননি, স্লোভাকিয়ারই এয়ারক্রাফট প্রস্তুতকারক আরেকটি কোম্পানির কাছ থেকে কিনে নেন। পরে নিজস্ব বিমানবন্দর ও ফ্লাইট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ইউরোপের উড়ন্ত গাড়ি নির্মাতা ক্লেইনভিশন প্রযুক্তিটি কত দামে বিক্রি করেছে তা জানায়নি। ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল (ইভি) বা বৈদ্যুতিক গাড়ির উন্নয়নে চীন বেশ এগিয়ে। এখন উড়ন্ত গাড়ি শিল্পের বিকাশ ঘটানোর চেষ্টা করছে। গত মাসে শেনজেন ও ঝুহাই শহরের মধ্যে যাত্রীবাহী ড্রোনের পরীক্ষামূলক ফ্লাইট চালায় অটোফ্লাইট নামের কোম্পানি। গাড়িতে ৩ ঘণ্টার দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লেগেছিল মাত্র ২০ মিনিট। তবে ওই ড্রোনে কোনো যাত্রী ছিল না। বৈদ্যুতিক উড়ন্ত ট্যাক্সি ব্যবহারে ২০২৩ সালে চীনা কোম্পানি ইহাং নিরাপত্তা সনদ পায়। ২০২৮ সালের মধ্যে আকাশে উড়ন্ত ট্যাক্সি চলাচল স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হবে বলে যুক্তরাজ্য সরকারের ভাষ্য। তবে ড্রোনের মতো দেখতে এসব যাত্রীবাহী এয়ারক্রাফট যেমন উল্লম্বভাবে উড্ডয়ন বা অবতরণ করে, এয়ারকার তেমন নয়। এর জন্য রানওয়ের প্রয়োজন। ২০২২ সালে স্লোভাকিয়ার পরিবহন কর্তৃপক্ষ এয়ারকারকে আকাশের ওড়ার অনুমোদন দেয়। চলতি বছরের শুরুর দিকে ইউটিউবার মিস্টার বিস্টের ভিডিওতে এই এয়ারকার দেখানো হয়। চমকপ্রদ এই পরিবহনের উড়াল সফল হলেও অবকাঠামো, বিধিবিধান ও জনসাধারণের মধ্যে প্রযুক্তির গ্রহণযোগ্যতার বিচারে এ ধরনের পরিবহনের সামনে এখনো যথেষ্ট প্রতিবন্ধকতা আছে। বিমান পরিবহন বিশেষজ্ঞ স্টিভ রাইট বলেন, ‘ব্যক্তিগত পরিবহনের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী নতুন প্রযুক্তি বৈষম্য নিরসনে বড় প্রভাব রাখবে।’ তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা বিশ্বে এসব প্রযুক্তির গতি কখনো কখনো ধীর করে দেওয়া হয়। কারণ নতুন মেশিনগুলো পুরোনো ক্যাটাগরিতে ফেলার প্রবণতা আছে তাদের। তবে চীন এটিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হিসেবে দেখতে পারে। বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রেও একই ধরনের উদ্বেগ দেখা গিয়েছিল। তবে চীন এখন বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারের নেতৃত্ব দিচ্ছে। উড়ন্ত গাড়ি নিয়েও একই পরিকল্পনা থাকতে পারে দেশটির।এমএইচ
    জমকালো আয়োজনে বাংলাদেশে অপোর ১০ বছর পূর্তি উদযাপন
    স্মার্টফোন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অপো বিশ্বব্যাপী অনেক জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড। বৈশ্বিকভাবে ২০ বছর পূর্তি উদযাপনের পাশাপাশি অপো বাংলাদেশে উদযাপন করেছে ১০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। রবিবার (২৪ মার্চ) অপো বিশ্বব্যাপী ২০ বছর পূর্তি উদযাপনের পাশাপাশি বাংলাদেশের ১০ বছর পূর্তির ঘোষণা দিয়েছে। এই উদযাপনের মাধ্যমে স্মার্টফোন শিল্পে প্রতিষ্ঠানটির এক দশকের নিরলস উদ্ভাবন, সৃজনশীলতা ও উৎকর্ষ প্রতিফলিত হয়। অপোর উদ্দেশ্য হলো এই উদযাপনের মাধ্যমে আনন্দ ছড়িয়ে দেওয়া ও পারিবারিক আবহে মজবুত বন্ধন গড়ে তোলা।এই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে অপো এ৩৮ (৪জিবি)-এর একই দামে বেশি ফিচারের এ৩৮ (৬জিবি) মাত্র ১৫,৯৯০ টাকায় নিয়ে এসেছে। এর ফলে ব্যবহারকারীরা বাড়তি কোনো খরচ ছাড়াই আরও উন্নত সব সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো ৬জিবি সংস্করণের মূল্য বৃদ্ধি ছাড়াই গ্রাহকদেরকে এর প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের অভিজ্ঞতা দেওয়া। অপো ভবিষ্যতে খুশির আবহ ছড়িয়ে দিতে আরও চমক নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।অপো এ৩৮ (৬জিবি)-এর মাধ্যমে স্মার্টফোন প্রযুক্তির ভবিষ্যৎতের অভিজ্ঞতা পাবেন গ্রাহকরা। এতে রয়েছে অত্যন্ত দ্রুত গতির ৩৩ডব্লিউ সুপারভক চার্জিং, দারুণ ৯০ হার্জ সানলাইট ডিসপ্লে, উন্নত ৫০এমপি এআই ক্যামেরা ও মুগ্ধ করার মতো ডায়নামিক অপো গ্লো ডিজাইনসহ অসাধারণ সব ফিচার। এ৩৮ (৪জিবি)-এর মতো স্মার্টফোনটির মূল্য মাত্র ১৫,৯৯০ টাকা হওয়ায় আরও বেশি সংখ্যক গ্রাহক এর সুবিধাগুলি উপভোগ করতে পারবেন।আকর্ষণীয় গল্প উপস্থাপনের জন্য অপো বিশেষভাবে পরিচিত। এরই ধারাবাহিকতায় এবার অপো প্রিমিয়ার করেছে “এভরি স্মাইল ম্যাটার্স পার্ট টু-লাভ মোর গিভ মোর” নামের একটি ফিল্ম। এতে জীবনের বিশেষ মুহূর্তগুলির সৌন্দর্যকে উদযাপন করা হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ ২০২৪-এ মুক্তি পেতে যাওয়া এই সিনেমাটিক অভিজ্ঞতা হৃদয় ছোঁয়া কাহিনী ও শ্বাসরুদ্ধকর চিত্রায়ণের মাধ্যমে দর্শকদের অনুপ্রাণিত করবে। দারুণ এই অভিজ্ঞতা উপভোগের জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।অপো বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে আবারও চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বিখ্যাত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। অপো আনুষ্ঠানিকভাবে আজ এই ঘোষণা দেয়। মাঠে এবং মাঠের বাইরে সাকিবের অসাধারণ অর্জন ও ব্র্যান্ড হিসেবে অপোর মূল্যবোধের মধ্যে রয়েছে বিশেষ সামঞ্জস্য। অসাধারণ এক যাত্রা শুরুর এই সময়ে তাঁকে প্রতিনিধি হিসেবে পেয়ে অপো গর্বিত।১০ বছর পূর্তি উদযাপনের পাশাপাশি অপো বাংলাদেশ বিশেষ ঈদ ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দিতে পেরে আনন্দিত। এতে গ্রাহকরা কোটি টাকার পুরস্কার ও বিশেষ রিওয়ার্ড জেতার সুযোগ পাবেন। ২৪ মার্চ থেকে ১১ই এপ্রিল ২০২৪, পর্যন্ত গ্রাহকরা জিততে পারবেন:এক্সক্লুসিভ গিফট বক্সবাই ওয়ান গেট ওয়ান অফার১০ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি স্বপ্নের ভ্রমণএক্সক্লুসিভ ব্যাক প্যাকইন্টারনেট ডেটা বান্ডেলচরকি/ হৈচৈ সাবসক্রিপশন অফারঅপো বাংলাদেশের অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং গত এক দশকে নিরন্তর সহযোগিতার জন্য গ্রাহক, অংশীদার ও সহযোগীদের  প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।তিনি বলেন, ১০ বছর পূর্তির এই বিশেষ মুহূর্তে আমরা অত্যন্ত গর্ব এবং কৃতজ্ঞতার সাথে অপোর যাত্রাকে স্মরণ করছি। আমরা উদ্ভাবনের সীমানাকে প্রসারিত করতে ও সাকিব আল হাসানের সাথে গ্রাহকদেরকে ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অপো এ৩৮ ও ঈদ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা সাফল্য ও অগ্রগতির এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে চাই।
    ওড়ার অপেক্ষায় বিশ্বের বৃহত্তম উড়োজাহাজ
    যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডোভিত্তিক একটি কোম্পানি বিমান পরিবহনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ তৈরি করতে যাচ্ছে। এর নামকরণ করা হয়েছে ‘উইন্ডরানার’, যা আভিধানিক অর্থ দাঁড়ায় ‘হাওয়ার দৌড়বিদ’। উড়োজাহাজটিতে থাকবে ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের বিশাল ডানা। বিশ্বের কার্বন নিরোধ লক্ষ্যমাত্রা মোকাবিলায় এতে ব্যবহার করা হবে সাশ্রয়ী বিমান জ্বালানি। তবে অবতরণের জন্য একে দিতে হবে খানিকটা অমসৃণ রানওয়ে। এ ক্ষেত্রে খুব চকমকে উপরিভাগের রানওয়ে ব্যবহার করা যাবে না। সূত্র: সিএনএন। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রাডিয়া জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি আন্তর্জাতিক রুটে চলাচল করবে না। এটি চলবে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রুটে। মালপত্র পরিবহনে উইন্ডরানারের ভেতরে অন্তত ২ লাখ ৭২ হাজার কিউবিক ফুট জায়গা থাকবে, যা তিনটি অলিম্পিক সুইমিংপুল ধারণে সক্ষম। এটা বোয়িং ৭৫৭-৪০০-এর চেয়ে ১২ গুণ বড়। উইন্ডরানার ১ হাজার ৮০০ মিটার রানওয়েতে অবতরণ করতে পারবে। অন্য কোনো বাণিজ্যিক বিমানের পক্ষে এক অল্প রানওয়েতে অবতরণ সম্ভব নয়। বিশ্বের সবচেয়ে ভারী উড়োজাহাজ ছিল রাশিয়ার আন্তোনভ অ্যান-২২৫। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের শুরুর দিকে এটি ধ্বংস হয়ে যায়। উইন্ডরানার ওই উড়োজাহাজের চেয়ে অনেক বড়। বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২০২৭ সালের দিকে বাণিজ্যিকভাবে কাজ শুরু করবে উড়োজাহাজটি। তবে রাডিয়ার পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তাদের ওয়েবসাইটে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া নেই। এফএস
    ফেসবুকে আবারও নতুন সমস্যা
    জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবারও সমস্যা দেখা দিয়েছে। বুধবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পর থেকে ফেসবুক পেজ এবং প্রোফাইলের কাভার ফটো দেখা যাচ্ছে না। এছাড়া ফেসবুক সার্চ রেজাল্টও খালি দেখাচ্ছে।ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অনেকে এই সমস্যার কথা জানিয়েছেন। আবার অনেকেই জানিয়েছেন- ফেসবুকে অ্যাক্টিভ স্ট্যাটাস দেখা যাচ্ছে না। তবে, ফেসবুকের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য জানানো হয়নি। এর আগে গত ৫ মার্চ বিশ্বজুড়ে ফেসবুক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় লগইন করা আইডিগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগআউট হয়ে যায়। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অনেকে। বেশিরভাগ মানুষ ভয় পেয়ে যান এই ভেবে যে তাদের আইডি হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে।এমআর
    ফাইভজির লাইসেন্স পেল গ্রামীণফোন, রবি ও টেলিটক
     ফাইভ জি চালুর দিকে এক ধাপ এগিয়ে গেল দেশের ৩ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও টেলিটক। তবে অনুমোদন পায়নি বাংলালিংক। সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ৩ অপারেটরকে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা দেয়ার পঞ্চম প্রজন্মের প্রযুক্তি ফাইভ জির একীভূত (ইউনিফাইড) লাইসেন্স দেয়া হয়। বিদেশে দুই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলালিংকের মূল কোম্পানি ভিওনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্যের (পিএসআই) কারণে বাংলালিংকের পর্ষদ সভায় লাইসেন্সের আবেদন করার বিষয়টি অনুমোদন করা হয়নি। যে কারণে অন্যতম এ অপারেটর এ যাত্রায় লাইসেন্স পায়নি। দ্রুতই এ বিষয়ে আবেদন করার কথা এদিন রাতে এক বার্তায় জানিয়েছে অপারেটরটি।বিটিআরসির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একীভূত বা ইউনিফাইড লাইসেন্স পাওয়ার পর অপারেটরগুলোর ফাইভ জি বা এর চেয়ে উন্নততর প্রযুক্তির তারবিহীন সেবা দিতে আর কোনো লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না। একই সঙ্গে ১৫ বছর মেয়াদী এই লাইসেন্সের আওতায় অপারেটরগুলোকে পৃথকভাবে টুজি, থ্রিজি, ফোর জি বা ফাইভ জির লাইসেন্স নিতে হবে না। বর্তমানে দেশে ফোর জি প্রজন্মের তারবিহীন সেবা দিচ্ছে অপারেটরগুলো। এর আগে ফাইভ জির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও অপারেটরগুলোর দিক থেকে।অনুষ্ঠানে জানানো হয়, একীভূত লাইসেন্সে ফাইভজির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তরঙ্গের প্রাপ্যতা ও ‘ব্যাকহল ফাইবারের’ পাশাপাশি ‘পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ ব্যবহারের অনুমতি, অফশোর ক্লাউড সুবিধা, ‘রোল আউট’ বাধ্যবাধকতা ও নেটওয়ার্ক নিরাপত্তার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হয়। ঢাকার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের প্রধান সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ লাইসেন্স হস্তান্তর করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ‘রেগুলেটরি অ্যান্ড লাইসেন্সিং’ নীতিমালার আলোকে অপারেটরগুলোকে ‘সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস অপারেটর লাইসেন্স’ এবং ‘রেডিও কমিউনিকেশন্স অ্যাপারেটাস লাইসেন্স ফর সেলুলার মোবাইল সার্ভিসেস’ এর আওতায় এই একীভূত লাইসেন্স দেয়া হয়।  

    আইন-আদালত

    সব দেখুন
    ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
     চেক প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের (প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান) বিরুদ্ধে চেক প্রতারণার একটি মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ গঠনের সময় পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আ বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) ঢাকার ষষ্ঠ যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ হুমায়ুন কবির আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। মামলার বাদী তোফাজ্জল হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিয়া হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, আজ আদালতে এ মামলার চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আসামিরা উপস্থিত না থাকায় আদালত চার্জ গঠন করে তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করেন। পরবর্তী তারিখে সাক্ষ্য গ্রহণ হবে।চেক প্রতারণার অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন।

    প্রবাস

    সব দেখুন
    ইতালিতে প্রবাসীদের ইফতার ও দোয়া মাহফিল
    ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ কমিউনিটি- ভিচেন্সা সিটির আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে।  রোববার (২৪ মার্চ) ইতালির ভিচেন্সায় (teatro san giuseppe ) কাঁচা বাজারের সামনে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভিচেন্সায় বসবাসরত প্রায় ৫ শতাধিক বাংলাদেশিরা  অংশগ্রহণ করেন। এদিন স্থানীয় মসজিদ, মার্কেট , দোকানে ইফতার বিতরণ করে  সংগঠনটি। ইফতার আগ মুহূর্তে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা শেষে ফি‌লি‌স্তি‌নি‌দের মুক্তি, জা‌তি ও সারা বিশ্বে  মুস‌লিম উম্মাহর সুখ শা‌ন্তি সমৃ‌দ্ধি কামনা ক‌রে মোনাজাত করা হ‌য়। এতে এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি­ ­ এমদাদুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র সহ - সভাপতি­  মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক তারেক আহমেদ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রনি শেখ, প্রচার সম্পাদক মাসুদ আলী, দপ্তর ও আইন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হুসেন,  অর্থ সম্পাদক শিবলী সাদিক,  ধর্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আব্দুল হালিম, ক্রীড়া সম্পাদক মো. জামাল উদ্দিন,  সাংস্কৃতিক সম্পাদক এমদাদুল হক, আপ্যায়ন সম্পাদক মো. মোবারক হোসেন। সহ-সভাপতি­  বিপুল দাস, সহ - সভাপতি­ সেলিম হুসাইন, সহ-সভাপতি­ মইনুল ইসলাম মিন্টু, সহ-সাধারণ সম্পাদক মহিন উদ্দিন, সহ-প্রচার সম্পাদক ইসমাইল হুসেন স্বপন, সহ-ধর্ম সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রাজিব  চৌধুরী, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক মো. মনজুর রহমান ,সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মামুন সহ আরও অনেকে। এছাড়াও বাংলাদেশ কমিউনিটি- ভিচেন্সা সিটি ইতালির ইফতার অনুষ্টানে  ভিচেন্সা এলাকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ,বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন।

    লাইফস্টাইল

    সব দেখুন
    তরমুজ খেলে কি সত্যিই ওজন কমে?
    বাজারে এখন তরমুজে ভরে গেছে। টকটকে লাল রসালো এই ফল সবার কাছেই প্রিয়। স্বাস্থ্যের জন্য এই ফল খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। আর এ কারণেই অনেকে ভাবেন তরমুজ ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে সত্যিই কি তরমুজ ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে?তরমুজ ও শসা কিউকারবাইটেসিয়া পরিবারের অন্তর্গত। এ পরিবারের সব খাবারেই পানির পরিমাণ বেশি। ১০০ গ্রাম তরমুজে ৩০ ক্যালোরি, ০.৬ গ্রাম প্রোটিন, ৭.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৬.২ গ্রাম চিনি ও ০.৪ গ্রাম ফাইবার থাকে। অন্যদিকে এতে মোট পানি থাকে ৯১ শতাংশ।সুস্বাদু মিষ্টি এই ফল সবারই প্রিয়। তবে অনেকেই প্রতিদিন তরমুজ খাওয়ার বিষয়ে চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন না। কারণ তরমুজের গ্লাইসেমিক সূচক ৭২, যা অনেক বেশি। ডায়াবেটিক রোগীর জন্য এটি মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।তবে কয়েকটি স্বাস্থ্য প্রতিবেদন অনুসারে, যেহেতু এতে কার্বোহাইড্রেট তুলনামূলকভাবে কম, তাই এটি পরিমিতভাবে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া এতে থাকে ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, কপার, ভিটামিন বি ৫ ও ভিটামিন এ সহ উদ্ভিদ যৌগ সিট্রুলিন ও লাইকোপেন।তরমুজের লাল রসালো সজ্জাকে ঢেকে রাখা সাদা অংশটি হল সিট্রুলাইন। যা অপরিহার্য অ্যামিনো অ্যাসিড আরজিনাইনে রূপান্তরিত হয়। ফুসফুস, কিডনি, লিভার ও প্রজনন ব্যবস্থার স্বাভাবিক কার্যকারিতা বাড়াতে আরজিনাইন গুরুত্বপূর্ণ।ওজন কমানোর জন্য তরমুজ কি আদর্শ?ওজন কমানোর জন্য আপনি যে খাবারই নির্বাচন করুন না কেন, আগে জানতে হবে তার ক্যালোরি ও ফাইবার কত। ১০০ গ্রাম তরমুজে মাত্র ৩০ ক্যালোরি থাকে। এর ৯১ শতাংশ পানি ওজন কমাতে সাহায্য করে বলে জানা যায় বিভিন্ন গবেষণায়।তবে এতে ফাইবার কম থাকে। ১০০ গ্রাম তরমুজে মাত্র ০.৪ গ্রাম ফাইবার থাকে। আপনি যদি ডায়েটে তরমুজ যোগ করতে চান তবে আপনাকে ফাইবারের একটি ভালো উত্সও যোগ করতে হবে।হার্ভার্ডের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তরমুজে বেশ কিছু পুষ্টি উপাদান আছে যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। একটি হলো লাইকোপেন, যা আসলে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তচাপ উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।অন্যটি হল সিট্রুলাইন, যা একটি অ্যামিনো অ্যাসিড। এটি নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বাড়াতে পারে। রক্তনালিগুলো শিথিল করতে ও রক্তচাপ কমায় এই অ্যাসিড।তরমুজ বেশি খেলে কী হয়?অত্যধিক তরমুজ খেলেই কিন্তু আপনার শরীরের চর্বি পুড়বে না। বরং আরও জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। অত্যধিক তরমুজ খেলে লিভারের প্রদাহ, গ্লুকোজের মাত্রা বৃদ্ধি, হজমের সমস্যা ও কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বাড়তে পারে। তাই নির্দিষ্ট পরিমাণেই তরমুজ খাওয়া উচিত সবারই।সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়াএমআর

    Loading…