সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্কুলের পাশাপাশি মাদ্রাসাতেও স্কাউটিং চালু করতে হবে। বাছাইকৃত নয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিটি শিক্ষার্থীই যাতে স্কাউটিংয়ের প্রশিক্ষণ পায় সে বিষয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাকে স্কাউট জাম্বুরির ৩২তম সমাবেশের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ?আমি প্রতিটি শিশুকে দেশের একজন যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। স্কাউটদের নৈতিক ও জীবনমুখী শিক্ষা দিয়ে, সেবা দেওয়ার মানসিকতা সম্পন্ন করে দেশপ্রেমিক ও সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।?
তিনি বলেন, আমি চাই আমাদের দেশটা আরো চমৎকারভাবে গড়ে উঠুক যেখানে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের কোন স্থান হবে না। দেশ সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাসমুক্ত থাকবে। কাজেই বাংলাদেশে যে শিশুরা বড় হবে তারা উদার মন নিয়ে বড় হবে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে এবং দেশকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা কাজ করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, স্কাউটিং নতুন প্রজন্মকে নৈতিক ও জীবনধর্মী প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে তরুণদের মাঝে আধুনিক, প্রগতিশীল ও সৃজনশীল গুণাবলী বিকশিত হয়। ফলে স্কাউট সদস্যরা সেবার মন্ত্রে দীক্ষিত হচ্ছে এবং সচেতন দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলছে। পরোপকারি হিসেবে সমাজ সেবার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান ও প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোভিড-১৯ কালীন স্কাউট সদস্যদের সেই আন্তরিকতা আমরা দেখতে পেয়েছি। কাজেই আমি চাই আমাদের দেশে এই স্কাউট আন্দোলন আরো ব্যাপকভাবে গড়ে উঠুক।
দেশে স্কাউট আন্দোলন জোরদার করতে তাঁর সরকারের উদ্যোগের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সরকার প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় স্কাউট ভবন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করবে।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব স্কাউটস জাম্বুরী ভবিষ্যতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে এ লক্ষে প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কাব স্কাউটসদের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি ?শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড? বিতরণ করেন এবং তাঁর নিজের স্বাক্ষরিত সনদপত্র ১২ জনের হাতে তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ এবং জাম্বুরী আয়োজক কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।
প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক ও জাতীয় স্কাউটদের জাম্বুরী চিহ্নিত করে একটি স্মারক ডাক টিকিট ও অবমুক্ত করেন।
এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হারুনুর রশীদ উপস্থিত ছিলেন।