মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মেয়ের জামাতা গলিয়াত রেমার অত্যাচার থেকে বাঁচতে তার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার শাশুড়ি সনন্দা মানকিন৷ শুক্রবার সকালে উপজেলার ভারত সীমান্তঘেঁষা রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা-তাড়ানী গ্রামের নিজ বাড়ির আঙিনায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে পরিবারের প্রধান প্রয়াত মলয় রেমার স্ত্রী সনন্দা মানকিন সংবাদিকদের জানান, তার ৬ ছেলে ও ৭ কন্যা দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার তাড়ানী গ্রামে বসবাস করে আসছেন। একই গ্রামের গলিয়াত রেমার কাছে তার বড় মেয়ে রুমা মানকিনকে বিয়ে দেন। গারোদের মাতৃতান্ত্রিক পরিবার হওয়ায় মা-বাবার সম্পদের ওয়ারিশদার হন কন্যারা। তাই বড় মেয়ে রুমার ইন্ধনে তার স্বামী গলিয়াত ওই পরিবারে একক আধিপত্য বিস্তার ও সম্পত্তি ভোগদখল করতে চান। পরিবারের জমিজমাসহ সব অর্থবিত্ত গলিয়াতের একক নিয়ন্ত্রণে নিতে চাইলে শাশুড়ি, শ্যালক ও শ্যালিকাদের সাথে দ্বন্দ্ব বাধে। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই গলিয়াত তার শাশুড়ি, শ্যালক ও শ্যালিকাদের সঙ্গে হামলা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সম্প্রতি এমনই এক ঘটনায় শ্যালিকা রিনা মানকিন, বিচিত্রা মানকিন ও মনীষা মানকিন গুরুতর আহত হন। বর্তমানে আহত রিনা মানকিন নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। প্রায় এক যুগ ধরে জামাতা গলিয়াত রেমা নানা অপকর্ম করে আসলেও এর সমাধান পাচ্ছেন না তারা।
সনন্দা আরো জানান, গলিয়াত রেমা বড় মেয়ের জামাতা হওয়া সত্তেও তিনি পরিবারের দেখভাল না করে জমিজমা ও অর্থবিত্ত আত্মসাতের পায়তারা করছেন। গলিয়াত সম্পত্তির লোভে তিনি শাশুড়ি, শ্যালক ও শ্যালিকাদের একাধিকবার হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় পরিবারে অশান্তি নেমে এসেছে। তাই গলিয়াতের অত্যাচার থেকে বাঁচতে ও পরিবারে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সনন্দার ছেলে-মেয়েসহ জামাতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তারা গলিয়াতের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।