জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে বন্দোবস্তের শর্ত অমান্য করে খাস জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে আনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে। তিনি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের টুকেরগাঁও গ্রামের মৃত সফর উদ্দিনের স্ত্রী।
প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তিনি বন্দোবস্ত নীতিমালার ৫(ক) ধারার সুস্পষ্ট লংঘন করায় সরজমিন তদন্ত পূর্বক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের টুকেরগাঁও গ্রামের মৃত সফর উদ্দিনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ভূমিহীন হিসেবে সরকারী খাস খতিয়ানে কামারটুক মৌজায় ৪২নং জে,এল সংক্রান্তে ৪৫০ নং আর,এস খতিয়ানের ১৪৭৬ নং দাগে ১.০০ একর লাঃ পতিত রকম ভূমি যার বন্দোবস্ত মামলা নং ৮/১২ইং,জেলা প্রশাসক সূত্র নং ২১/১১-১২ মুলে ভূমি হিসাবে বন্দোবস্ত প্রাপ্ত হন।
সরেজমিন দেখা যায়, আনোয়ারা বেগমের ছেলে শহীদ নুর মায়ের নামে বন্দোবস্ত কৃত ভূমি থেকে বন্দোবস্ত নীতিমালার সকল শর্ত অমান্য করে অবৈধ ভাবে এস্কোভেটর দ্বারা গভীর গর্ত করে প্রায় ৩/৪ লাখ ঘনফুট মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে প্রায় দশলক্ষ টাকা।
সরকারী খাস জমি বন্দোবস্ত নীতিমালা অনুযায়ী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রণীত ৮/৩/১৯৯৫ইং তারিখের প্রকাশিত গেজেটে সুস্পষ্ট ভাবে ৫(ক) ধারায় উল্লেখ আছে যে সকল কারণে বন্দোবস্ত বাতিল করা হয় তারমধ্যে অন্যতম হলো (ক) জমি যে উদ্দেশ্যে বন্দোবস্ত প্রদান করা হইবে তাহা বন্দোবস্ত অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে অন্য কোন উদ্দেশ্যে বন্দোবস্তীয় ভূমি ব্যবহার করা হলে।
এবিষয়ে বন্দোবস্ত গ্রহীতা আনোয়ারা বেগম জানান, আমি বোরো জমি করার জন্য মাটি কাটছি। আমি কোন পুকুর করছি না।
এই বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি (সদর) কে ফোন দেওয়া হলে ফোন রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য দেওয়া যায়নি।