এইমাত্র
  • সৌদিতে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে রেমিট্যান্স যোদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু
  • কুড়িগ্রামে ৫ম শ্রেণির ছাত্রকে হত্যার অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
  • ১০-১৫ দিন পর দেশে আর বিদ্যুতের কষ্ট থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
  • বিয়ে প্রসঙ্গে শাকিব খানকে বেছে নিলেন ইধিকা পাল!
  • স্মার্ট লুটপাটের বাজেট দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল
  • বাজারে বেড়েছে সোনার দাম
  • বিএনপি ভোট চোর নয়, ভোট ডাকাত: শেখ হাসিনা
  • জাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীর ওপর হামলা তোপের মুখে উপাচার্য
  • বিসিবিতে বিদেশি কিউরেটর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন
  • হরেক রকম গল্পের সমাহার 'আন্তঃনগর'
  • আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ | ৮ জুন, ২০২৩
    দেশজুড়ে

    ৫০ বছরের মধ্যে চাঁদপুর হবে সাগরের অংশ

    মাহফুজুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর প্রকাশ: ২১ মে ২০২৩, ১১:৫২ পিএম
    মাহফুজুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর প্রকাশ: ২১ মে ২০২৩, ১১:৫২ পিএম

    ৫০ বছরের মধ্যে চাঁদপুর হবে সাগরের অংশ

    মাহফুজুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর প্রকাশ: ২১ মে ২০২৩, ১১:৫২ পিএম

    জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আগামী ৫০ বছরের মধ্যে চাঁদপুর সাগরের অংশ হবে হলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত।

    শুধু তাই নয়, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, ভোলাসহ উপকূলীয় জেলাগুলো সমুদ্রের লোনা পানিতে নিমজ্জিত হবে যা কৃষি ও মৎস চাষসহ জীবিকা নিরাপত্তায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশে জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।

    ইতোমধ্যে ৭০ বিলিয়ন ডলার সহযোগিতার আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রতি পাওয়া গেছে। তবে এই অর্থ ব্যবহারে আমাদের দক্ষতার ঘাটতি রয়েছে।

    শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস করে ক্ষয়ক্ষতি কমানো’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদে এসব কথা বলেন তিনি।

    ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি' আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকা’র প্রভাবে সেন্টমার্টিন ডুবে যাবে বলে যে শঙ্কা প্রচার হয়েছিল তার গতিপ্রবাহ সম্পর্কে বিশদ ব্যাখ্যা না দেওয়ায় কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। আবহাওয়ার সতর্ক সংকেত দুর্বোধ্য ভাষায় দেওয়া হয় বলে তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে না। এই সতর্ক সংকেত মূলত নদীবন্দর কেন্দ্রিক।

    আবহাওয়ার কয়েকটি আগাম সংকেত প্রায় একই ধরনের যা জনমনে সংশয় তৈরি করে। নদী ভাঙন রোধে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয় সেগুলো বাস্তবায়নে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে দুর্নীতি হচ্ছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ব্যবহারের পরিবর্তে কংক্রিট ও পাথর ব্যবহার করা হলে তা দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই হবে।

    সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশ দুর্যোগ ঝুঁকি কমাতে সফলতা অর্জন করলেও দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উদ্বেগজনক। এখনও দুর্যোগ ঝুঁকির ব্যাপক শঙ্কা নিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত কারণে বাস্তচ্যুত হয়ে অনেক মানুষ শহরে ভিড় করছে। বাস্তচ্যুত গৃহহীন এসব মানুষকে এখনও পুরোপুরি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে অর্ন্তভুক্ত করা সম্ভব হয়নি।

    বজ্রপাত নিরসনে তালগাছ রোপন কর্মসূচিতে যে অনিয়ম, দুর্নীতি ও সরকারি অর্থের অপচয় হয়েছে তার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জে পাহাহি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে বাঁধ ভেঙে ১৫৪টি হাওড়ের ফসল তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত রাঘব বোয়ালরাও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। প্রায় দেড় দশক আগে ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও বাঁধ নির্মাণের দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত কাউকে শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনা যায়নি। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে টিআর, কাবিখা, খাবিকা প্রকল্পগুলোকে মাঠ পর্যায়ে অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। দুর্যোগে ঝুঁকি হ্রাসে যে পরিমাণে বৈদেশিক সাহায্য আসে তার সুবিধা দুর্যোগকবলিত মানুষ পুরোপুরি পায়না।

    তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় মোকায় প্রাণহানি না ঘটলেও সেন্টমার্টিন, টেকনাফসহ কয়েকটি স্থানে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতসহ চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালীসহ ১২টি উপকূলীয় জেলায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই মহাবিপদ সংকেতের মধ্যে অনেক জেলায় বড় কোনো দমকা হাওয়া, এমনকি মহাবিপদ সংকেত প্রবণ এলাকার কোথাও কোথাও কোনো বৃষ্টিপাতও পরিলক্ষিত হয়নি। তাই মোকার কারণে ঘোষিত মহাবিপদ সংকেত অতিরঞ্জিত পূর্বাভাস ছিল কিনা তা নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

    দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ ১০ দফা সুপারিশ করেন। সুপারিশগুলো হলো- ২০১১-২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তার মধ্যবর্তী পর্যালোচনা ও এর বাস্তবায়নের কর্মসূচি গ্রহণ, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান আপডেট, দুর্যোগজনিত কারণে বাস্তচ্যুত জনগোষ্ঠীর ডাটাবেজ তৈরি করে বিশেষ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ, দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠির সম্পদ রক্ষার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত মুজিব কেল্লা রক্ষণাবেক্ষণ ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত, দুর্যোগ ঝুঁকিপ্রবণ এলাকায় বিপদাপন্ন জনগোষ্ঠির জন্য সরকারি উদ্যোগে বিশেষ বীমা স্কীম চালু, জলবায়ু ও দুর্যোগের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে এমন ফসল উৎপাদনে গবেষণা বাড়ানো এবং ফসল উৎপাদনে কৃষকদের প্রশিক্ষণ, আবহাওয়ার সতর্ক সংকেতকে আধুনিকায়ন ও বজ্রপাতে মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে লাইটিং অ্যারেস্টার যন্ত্র বেশি পরিমাণে স্থাপন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের আলোকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান চালু, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় পেশাগত উৎকর্ষতার লক্ষ্যে বিসিএস দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ক্যাডার চালু এবং নগর ও গ্রামীণ এলাকায় পরিবেশ বান্ধব উন্নয়নের লক্ষ্যে পরিকল্পিত বনায়ন জোরদার করা। ছায়া সংসদে চাঁদপুর সরকারি কলেজেকে পরাজিত করে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিজয়ী হয়।

    এফএস

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…