এইমাত্র
  • ওমরাহ করতে গিয়ে ১১ বছর পর হারানো ছেলেকে খুঁজে পেলেন মা
  • হিজড়ারা নিশ্চিন্তে নামাজ পড়তে পারেন যে মসজিদে
  • ভারতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩০০ ফুট গভীর খাদে ট্যাক্সি, নিহত ১০
  • জমিদারি মসজিদে ২৪০ বছর ধরে চলে নামাজ
  • মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমছে, বাড়ছে মাদরাসায়
  • জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ: প্রতিমন্ত্রী
  • কপালে ব্যান্ডেজ নিয়ে ইফতার পার্টিতে মমতা
  • কুড়িগ্রামের খাবার খেয়ে খুশি ভুটানের রাজা
  • বিশ্ববাজারে সোনার দামে রেকর্ড
  • নিরস্ত্র ২ ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর বালিচাপা দিল ইসরায়েলি সেনারা
  • আজ শুক্রবার, ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ | ২৯ মার্চ, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    চুনারুঘাটে গাভীর দুধের নামে বিক্রি হচ্ছে পাউডার মিশ্রিত দুধ

    মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ১২:৫৬ পিএম
    মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ১২:৫৬ পিএম

    চুনারুঘাটে গাভীর দুধের নামে বিক্রি হচ্ছে পাউডার মিশ্রিত দুধ

    মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৩, ১২:৫৬ পিএম

    হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে গাভীর দুধ নিয়ে চলছে ক্রেতা ঠকানোর রমরমা ব্যবসা। এ যেন দেখার কেউ নেই। একই এলাকায় গাভীর দুধ তিন দামে বিক্রি করা হচ্ছে দুধ। ফার্মের দুধ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বিভিন্ন চা বাগান ও গ্রামাঞ্চল থেকে সংগ্রহকৃত দুধ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়।

    আংশিক পরিমাণ গাভীর দুধ, পানীয়, পাউডার দুধ দিয়ে মিশ্রণ করে সেই দুধ বাজারে বিক্রি করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। দুধের স্বাদ ও পুষ্টির আদলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ছে। ব্যবসায়ীদের অজুহাত যেমন উপজেলার বিভিন্ন চা-বাগানের চা শ্রমিকের নিজস্ব পশুর গাভীর দুধ সংগ্রহ করে একটু বেশি দামে বিক্রি করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের ঘর গৃহস্থ থেকে সংগ্রহকৃত দুধ একই দামে বিক্রি হচ্ছে।

    ফার্মের দুধ ১০০ থেকে ১২০ টাকা দামে বিক্রি করা হয়। ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দামের বিভিন্ন চা বাগান ও গ্রামাঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা দুধ কিনে কিছুটা খাবার যোগ্য মনে হলেও ১০০ থেকে ১২০ টাকা দামের ফার্মের দুধ পানির মতো যা খাবার অযোগ্য। তবুও অসহায়ের মতো এসব দুধ কিনে খেতে হচ্ছে। তার উপরে গাভীর দুধ, পানীয়, পাউডার দুধ মিশ্রণ করে বিক্রয় করা হচ্ছে। চাহিদা তুলনায় উপজেলায় সর্বস্ব পাওয়া যাচ্ছে দুধ।

    ভোক্তারা বলেছে, ১০০০ গ্রাম ওজন এক কেজি বা এক লিটার বোঝায়। নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভেরাইরিজ স্টোর ব্যবসায়ী বলেন, বিভিন্ন ফার্ম, চা বাগান, গ্রামাঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা দুধ আলাদা করে ফ্রিজিং করে রেখে বিক্রি করা হয়। দুধ সংগ্রহকারীরা আমাদের যে দুধ দেয়, তা বোতলে ওজন দিয়ে দেয়া হয়। সেই দুধ, বিভিন্ন দামে বিক্রয় করা হয়ে থাকে। দুধে মিশ্রণ ও কোনো কারসাজি করে থাকলে দুধ সংগ্রহকারীরা করে থাকেন।

    এক সংগ্রহকারী দুধ ব্যবসায়ী বলেন, বিভিন্ন চা বাগান, গ্রামাঞ্চল থেকে দুধ সংগ্রহ করে হালকা পরিমাণ পানীয় মিশ্রণ করা হয়। কিন্তু ফার্মের দুধ এতো ঘন না থাকায় সেই দুধে পাউডার দুধ, পানীয় মিশ্রণ করে জ্বাল দিয়ে বাজারে সরবরাহ করা হয়।

    পৌর এলাকার মানিক মিয়া নামে একজন বলেন, আমার পার্শ্ববর্তী বাড়ির একজন গরুর ফার্ম করেছে। তার চারটি দুধের গাভী প্রায় ১৩০ থেকে ১৪০ লিটার দুধ দেয়। তিনি এই দুধে পানি মিশ্রণ করে ২০০ থেকে ২৫০ লিটার করে, সেই দুধ বাজারে সরবরাহ করছেন। তাতে ক্রেতাসাধারণ ঠকছেন।

    এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার আইন লঙ্ঘনে এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…