বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ এর কবলে পড়ে পাথরঘাটার ২০ ট্রলার নিয়ে ৩ শত জেলে নিখোঁজ হয়েছিল গত শুক্রবার। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকল জেলে তীরে ফিরলেও ৩ ট্রলারসহ ৩৯ জেলের খোঁজ মেলেনি। এফবি মায়ের দোয়া নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এ সময় ৪ জেলে তিন ঘণ্টা ভেসে থাকার পর অন্য একটি ট্রলার থেকে তাদের উদ্ধার করা হলেও ডুবে যাওয়া ট্রলারসহ অপর ৮ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া এফবি তামান্নার ১৪ জন ও এলাহী ভরসা ১৭ জন জেলে নিখোঁজ রয়েছে। মোট ৩ টি ট্রলারে থাকা ৩৯ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে উদ্ধার হওয়া ৪ জেলে পটুয়াখালীর আলিপুর ঘাটে পৌঁছেছেন। তারা হলেন নুর জামান মুন্সি, মাসুম মিয়া, আজগর মিয়া ও রাজিব।
ট্রলার মালিক নিখোঁজ ইউসুফের ভাই ইয়াকুব আলী বলেন, গত মঙ্গলবার মাছ ধরার উদ্দেশে সাগরে যায় ট্রলারসহ ১২ জন জেলে। হঠাৎ শুক্রবার সকালে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ট্রলার ডুবে যায়। ৪ জেলে উদ্ধার হলেও আমার ভাইসহ ৮ জেলের সন্ধান মেলেনি। তাদের সবার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজে জেলেদের সন্ধানে ট্রলার মালিক সমিতির পক্ষ থেকে দুইটি ট্রলার সাগরে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার হওয়া চার জেলেকে পাথরঘাটায় নিয়ে আসার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
পাথরঘাটা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবি ও নিখোঁজ জেলের ঘটনা নৌবাহিনী ও কোষ্টগার্ডকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এছাড়াও পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলে পরিবারের স্বজনদের খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। নিখোঁজ জেলেদের পরিবারকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ।
এফএস