মাগুরায় রাজনীতির মাঠে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শনিবার তাঁর পক্ষে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনার পর থেকে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা চলছে।
অত্যাসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র কিনেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এর মধ্যে দুটি নিজ জেলা মাগুরা-১ ও ২, অন্যটি ঢাকা-১০ আসনের। তারকা এই ক্রিকেটারের মনোনয়নপত্র কেনা এখন মাগুরায় টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। চায়ের দোকানে, বিভিন্ন আড্ডায় আলোচনার প্রধান বিষয় এখন এটি।
এ নিয়ে মাগুরাবাসীর মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত এ আলোচনা এখন সর্বত্র।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ফ ম আব্দুল ফাত্তাহ বলেন, ‘নেত্রী সব খবরই রাখেন। নিশ্চয় ত্যাগ ও পরিশ্রমের মূল্য তিনি দেবেন। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন এবং জেলা আওয়ামী লীগের কোনও কমিটিতেও নেই। তিনি যদি আমাদের নেত্রীর গ্রিন সিগন্যাল পেতেন তাহলে হয়তো এত আসন থেকে মনোনয়ন ফরম তুলতেন না, এক আসন থেকেই তুলতেন। এত আসন থেকে মনোনয়ন তোলা হাস্যকর। সভানেত্রী বিচক্ষণ মতামতের ভিত্তিতেই দলের ত্যাগী নেতাদের মনোনয়ন দেবেন।’
মনোনয়নের ক্ষেত্রে দলের ত্যাগী নেতারা মূল্যায়ন পাবেন- এমনটি জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ কুমার কুন্ডু। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি একদিনের নয়। দীর্ঘদিন ধরে তিলে তিলে তৈরি হয়েছে এই সংগঠন। এখানে যারা নেতৃত্বে থাকেন তারা দীর্ঘদিন সংগঠন এবং মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। তাই দলের বাইরে থেকে হঠাৎ এসে দলে স্থান পাওয়া খুব কঠিন। তবে আমাদের নেত্রী অত্যন্ত বিচক্ষণ মানুষ। তিনি সবসময়ই ত্যাগী নেতাদের পক্ষে থাকেন। দলের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রেও তার প্রতিফলন ঘটবে।’
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুর রহমান বলেন, ‘সাকিব আল হাসানের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনও সম্পর্ক নেই। তার পরিবারের কেউ আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। মাগুরার কোনও আসনে সাকিব আল হাসানের মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়টি হাস্যকর।’
মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীরেন শিকদার বলেন, ‘আমাদের নেত্রী কখনও ভুল সিদ্ধান্ত নেবেন না- এটি আমাদের বিশ্বাস। আর মনোনয়নের বিষয়টি সম্পূর্ণ দলীয় সিদ্ধান্ত। যাকেই মনোনয়ন দিক আমরা নৌকা মার্কার জন্য প্রয়োজন হলে জীবন দেবো।’