প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার সোনার বার আত্মসাতের ঘটনায় যশোর ডিবি পুলিশ বেনাপোল পৌরসভার একজন কাউন্সিলরসহ ৬ জনকে আটক করেছে। গত ২ দিনে বেনাপোল ও ঢাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। হত্যাকান্ডে জড়িত একটি প্রাইভেট ও একটি মাইক্রো জব্দ করেছে ডিবি পুলিশ।
গত ১৬ নভেম্বর যশোরের শার্শা থানার টেংরালী গ্রামের ওমর ফারুক ওরফে সুমন (২৬) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ মাগুরার আলমখালী থেকে উদ্ধার করার ৪ দিনের মধ্যে হত্যাকান্ডে জড়িতদের আটক করে পুলিশ।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর ওমর ফারুককে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় ওমর ফারুকের মা ফিরোজা বেগম অপহরণের ২ দিন পর বাদি হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকার শাখারী বাজার এলাকা থেকে শনিবার মাইক্রো চালকসহ সোনা চোরাকারবারি অজ্ঞন, ডালিম কুমারকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বেনাপোল পৌর সভার বড় আঁচড়া ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর কামাল হোসেন এবং তার দুই শ্যালক ইজাজ (২৮) ও ইফাজ (২৯) কে আজ সোমবার বেনাপোল পোর্ট থানার সীমান্তবর্তী সাদীপুর গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
নিহত ওমর ফারুক সুমন শার্শা থানার টেংরালী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে ও পেশায় একজন রং মিস্ত্রি। নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১১ নভেম্বর দুপুরে ওমর ফারুক বাসা হতে কালো রং এর পালসার মোটরবাইকে বিয়ের জন্য পাত্রি দেখার উদ্দ্যেশে বাসা হতে বের হয়ে আর বাসায় ফেরেনি। পরদিন সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি ফোনে ওমর ফারুকের অপহরণের বিষয়টি তাদেরকে জানায়।
বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায়, প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা মুল্যের ৩ কেজি সোনার বার আত্মসাৎ করে সোনা বহনকারী ওমর ফারুক। সোনা আত্মসাৎ এর ঘটনায় ওমর ফারুককে পোর্ট থানার পাশের একটি তৃতীয় তলা ভবনের কক্ষে আটকিয়ে রাতভর মারধর করে সোনা চোরাকারবারের সাথে জড়িতরা। তারা স্বীকারোক্তি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তাকে মাগুরায় নিয়ে খুন করে এবং এসিড দিয়ে মুখ ঝলসে দেয়।
ধৃত ইজাজ হোসেন পুলিশের নিকট ওমর ফারুককে অপহরণ পর হত্যা করার বিস্তারিত তথ্য স্বীকার করেছে। ধৃতরা বর্তমানে যশোর ডিবি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
এমআর