বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৮ ঘন্টার হরতাল চলাকালে চলন্ত ট্রাকে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সাড়াসি অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৮জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন, নন্দীগ্রাম দক্ষিণপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আজিজুল হক রুবেল (৪৫), কচুগাড়ি এলাকার মৃত ময়েজ মিয়ার ছেলে পৌর বিএনপির প্রচার সম্পাদক মজনু মিয়া (৫৫), ওমরপুরের মোশাররফ হোসেনের ছেলে হাবিবুল্লাহ (৩৬), রণবাঘার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে জাকির হোসেন (৩১), একই এলাকার এনামুল হকের ছেলে সেলিম (৩৭), আতাউর রহমানের ছেলে আব্দুল আউয়াল (২৪), রণবাঘা কৈগাড়ীর মৃত ছবির উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসেন (২৭) এবং হাটলাল গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে একরামুল হক আপেল (৩০)।
সোমবার ২০ নভেম্বর দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে রোববার রাতে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের উপজেলার ইউসুবপুর-তেঘরী এলাকায় ট্রাকে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ক্ষতিসাধন করার অভিযোগে অজ্ঞাত ৭০/৮০জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন ট্রাকচালক দিনাজপুর সদরের কাশিমপুর শিয়ালডাঙ্গার আফছার আলীর ছেলে ফয়সাল আলম।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে কাথম কোয়ালিটি ফিড থেকে একটি খালি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো ট-১২-১১৩১) নাটোরের সিংড়ার দিকে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে মহাসড়কের ইউসুবপুর-তেঘরী এলাকায় কয়েকটি মোটরসাইকেলে একদল যুবক ট্রাকের সামনে এসে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে ট্রাক থামিয়ে রেখে চালক দৌড় দেয়।
এসময় তারা ট্রাক ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাৎক্ষণিক একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার আধাঘন্টা পরই পৌর শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এরপর রনবাঘা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় খড় বোঝাই একটি নসিমনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। একই রাতে পৃথক চারটি ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসাইন আজম জানান, গাড়িতে আগুন এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের অজ্ঞাত ৭০/৮০জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ট্রাকচালক। এ ঘটনায় ৮জনকে আটক করা হয়েছে। বাদবাকী নাশকতাকারীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
এমআর