বিরিয়ানি হোক বা কষা মাংস, পাতিলের ভিতর থেকে খুঁজে বার করা চাই মুরগির ‘লেগ পিস’। তা না হলে মাংস খেয়ে আর সুখ কোথায়? বেশির ভাগ মানুষেরই নজর থাকে মুরগির ওই এক জোড়া লেগপিস দিকেই। একান্ত চিকেন স্টেক বা চিলি চিকেনের মতো কোনো পদ না হলে মুরগির মাংসের অন্যান্য অংশ বাড়ির কেউই খেতে চান না।
তবে, পুষ্টিবিদরা বলছেন ভিন্ন কথা। খেতে ভাল লাগলেও মুরগির লেগপিস শরীরের জন্য ভাল নয়। ইদানিং স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ কিন্তু মুরগির লেগপিসের মোহ ত্যাগ করে মন দিয়েছেন পাঁজরের অংশে। অবশ্য স্বাস্থ্য ভাল রাখতে খেলোয়াড়, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা অনেকদিন আগে থেকেই মুরগির এই ‘ব্রেস্ট’-এর অংশ নিয়ে সচেতন। চিবোতে কষ্ট হলেও কেন মুরগির পাঁজরের মাংস খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রোটিনের মাত্রা বেশি
মুরগির লেগপিসের চেয়ে পাঁজরের মাংসে প্রোটিনের মাত্রা বেশি। পেশির গঠনে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ১০০ গ্রাম সেদ্ধ পাঁজরের মাংস থেকে প্রায় ৩১ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। যাঁরা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তাঁদের জন্যেও মুরগির এই অংশের মাংস খাওয়া ভাল।
ফ্যাট কম
মুরগির পাঁজরের অংশে ফ্যাট নেই বললেই চলে। যেটুকু স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, তা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। মুরগির এই অংশের মাংসে ফ্যাটের পরিমাণ ৩.৬ গ্রাম। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই ফ্যাট হার্টের জন্য ভাল। পেশি মজবুত করতেও সাহায্য করে।
ভিটামিনে সমৃদ্ধ
মুরগির পাঁজরের মাংসে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় ভিটামিন রয়েছে। এই সমস্ত ভিটামিন বিপাকহারের সঙ্গে যুক্ত শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ পরিচালনা করতে সাহায্য করে। কায়িক পরিশ্রমের জন্য যে পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন, তা-ও পাওয়া যায় এখান থেকেই।
খনিজে ভরপুর
ফসফরাস, সেলেনিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ মুরগির পাঁজরের মাংসে রয়েছে। হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে ফসফরাস। সেলেনিয়াম আবার কাজ করে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো। শরীরে ফ্লুইডের সমতা এবং পেশির সঙ্কোচন-প্রসারণে সাহায্য করে পটাশিয়াম।
যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন, ক্যালোরি মেপে খাবার খান, তাঁদের জন্য মুরগির পাঁজরের মাংস খাওয়া নিরাপদ। কারণ ১০০ গ্রাম সেদ্ধ মাংসে ক্যালোরির পরিমাণ প্রায় ১৬৫। তাই প্রতিদিন খেলেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
এমএইচ