রাজধানীর উত্তরায় পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জাহিদুজ্জামান তানভীন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে এখন পাগলপ্রায় তার মা। থেকে থেকেই মূর্ছা যাচ্ছেন, বিলাপ করছেন তানভীনের মা বিলকিস জামান। তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানের লাশের বিনিময়ে দেশে শান্তি চাই।’
বিলকিস জামান বলেন, ‘আমার ছেলে দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতে স্থান দেবেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ চেয়ে তিনি বলেন, আর যেন কোনো মায়ের বুক খালি না হয়।
জাহিদুজ্জামান তানভীন মা-বাবা আর এক বোনকে নিয়ে থাকতেন উত্তরা আজমপুর কাঁচাবাজার জামতলার ভাড়া বাড়িতে। ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি ইউনিভার্সিটিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
জাহিদুজ্জামান তানভীনের মামা সমকালের সাংবাদিক আবু সালেহ মুসা বলেন, অত্যন্ত মেধাবী জাহিদুজ্জামান তানভীনের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ডিটি ভিশারা গ্রামে। তার বাবা শামসুজ্জামানও একজন ইঞ্জিনিয়ার। বৃহস্পতিবার সকালে আজমপুর ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য বের হয়েছিলেন তিনি। বারোটার দিকে সংবাদ পান ভাগ্নে গুলিবিদ্ধ হয়ে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আছেন। এরপর হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন আদরের ভাগ্নে মারা গেছেন।
তানভীনের মামা আরও জানান, তার ভাগ্নে ও চারজন বন্ধু মিলে এনএনটিএস ড্রোন কোম্পানি খুলেছিলেন। আজ দেশের জন্য তার ভাগ্নে জীবন দিয়েছেন।
রাতেই মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানেই দাফন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।
এমএইচ