এইমাত্র
  • হারিয়ে যাওয়া আইনের শাসন গড়ে তুলতে হবে : তারেক রহমান
  • জাতীয় জীবনে বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম: জামায়াত আমীর
  • ইজতেমা মাঠ ঘিরে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার
  • মানুষ জুলাই অভ্যুত্থান ভুলে গেছে বলেই খুনিদের নামে স্লোগান হয়: সারজিস
  • অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র: হোয়াইট হাউস
  • পিলখানা হত্যা মামলার ফের তদন্ত চায় ভুক্তভোগীদের পরিবার
  • ‘রাজনীতিবিদরাই যদি সংস্কার করেন, তাহলে ৫৩ বছর তারা কী করেছেন’: রিজওয়ানা
  • পঞ্চগড়ে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায়ও সূর্যের হাসি
  • রাখাইনের মংডু শহর আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা
  • বুদ্ধিজীবী দিবসে বন্ধ থাকবে ঢাকার যেসব সড়ক
  • আজ শুক্রবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    মাগুরায় পাট নিয়ে বিপাকে চাষিরা, ফলন নিয়েও শঙ্কা

    মতিন রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মাগুরা প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম
    মতিন রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মাগুরা প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম

    মাগুরায় পাট নিয়ে বিপাকে চাষিরা, ফলন নিয়েও শঙ্কা

    মতিন রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, মাগুরা প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম

    মাগুরা জেলায় এবছর পাটচাষে মৌসুমের শুরু থেকে প্রচন্ড খরার কারণে চিন্তিত ছিলো চাষিরা। এখন চলছে পাটকাটার শেষ সময়। জেলা সদরসহ মহম্মদপুর, শ্রীপুর ও শালিখা এই চার উপজেলায় পাট উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে। পাটের বাড় বাড়তিও কম হয়েছে। পর্যাপ্ত পানির অভাবে পাট জাগ দেওয়া নিয়েও চিন্তিত ও বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। ফলে এবছর পাট চাষে খুব একটা লাভের মুখ দেখছে না চাষিরা। তবে পাটের দাম যদি বেশি হয় তবে ক্ষতি পূষিয়ে নিতে পারবেন বলে মনে করছেন চাষিরা।

    কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এবছর পাটের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ হাজার ৭০০ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬৪২ বেল। মাগুরায় এবার বিজেআরআই ও পাট-১ বেশি চাষ করা হয়েছে। কৃষক প্রতিকূলতা কাটিয়ে সঠিক ভাবে পাট জাগ দিতে পারলে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রাখা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

    মাগুরার শত্রুজিৎপুর গ্রামের পাট চাষি রবিউল ইসলাম জানান, তিনি এবার পাট বুনেছে প্রায় দুই একর জমিতে। শুরুর দিকে প্রচন্ড খরাতে পাটের বাড়তি কম হয়েছে। এখন পানির অভাবে পাট কাটতে দেরি হচ্ছে।নদী নালা খাল বিল শুকিয়ে গেছে পানির অভাবে। যার ফলে সঠিক সময়ে পাট কাটা ও জাগ দেওয়া নিয়ে সংশয় ও বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের।

    জেলার অন্যান্য পাট চাষিরা জানান, পাট কাটা প্রায় শেষের দিকে। এখন স্বল্প পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে। সেচের পানি দিয়ে পাট জাগ দিতে হয়েছে অনেকের। এতে পাট চাষে খরচ হচ্ছে অনেক টাকা। এ বছর পাটের ফলন, উৎপাদন ও জাগ দেওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন অনেকে। পাটের দাম যদি বাজারে বেশি হয় তবে ক্ষতি কাটিয়ে কিছুটা লাভের মুখ দেখবেন বলে মনে করছেন পাট চাষিরা। অন্যথায় লোকসানে পড়ে অনেক চাষিরা পাট চাষে আগ্রহ হারাবে বলেও মনে করছেন তারা।

    মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মো. ইয়াছিন আলী সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, পাট মৌসুমের শুরু থেকেই এবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এতে পাটের বাড় বাড়তি কম হয়েছে। তবে মৌসুমের শেষ পযায়ে এসে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। এতে পানির সংকট কমে এসেছে। এখন পর্যন্ত জেলার প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি জমি থেকে পাট কর্তন করা হয়েছে।

    এখন বৃষ্টির দেখাও মিলেছে। তাই সেচ পানির পাশাপাশি পাট জাগ দেওয়ার সময় পাটের উপরে পলিথিন বিছিয়ে ভারি জিনিস দিয়ে পাট পানির নিচে তলিয়ে জাগ দেওয়ার জন্য কৃষকদেরকে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন পাটের আঁশ ও গুণগত মান ভালো হবে। অন্যদিকে কৃষক বাজারে পাটের দাম বেশি পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…