যশোরে ৯৫ টি অস্ত্র ও ১ হাজার রাউন্ড গুলি জমা দেয়া হয়নি। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের বেধে দেয়া সময়ে অস্ত্র জমা দিতে না পারায় সেগুলো এখন অবৈধ। তাদের বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনী অভিযান চালাবে।
মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) যৌথ বাহিনী জরুরি মিটিং করে। সেখানে অভিযান চালানোর রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার জানিয়েছেন, ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। মোট ৩৬৫টি অস্ত্রের মধ্যে জমা হয়েছে ২৭০টি। বাকি ৯৫ টি অস্ত্র জমা দেয়া হয়নি।
এছাড়া প্রায় ১ হাজার রাউন্ড গুলিও জমা পড়েনি। সরকারের বেধে সময়ে অস্ত্র-গুলি জমা না দেয়ায় সেগুলো এখন অবৈধ। এসব অস্ত্র গুলি উদ্ধারে যে কোন সময় যৌথ বাহিনী অভিযান চালাবে।
তিনি আরও জানান, অভিযানে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একজন মেজর, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেবেন।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফিরোজ কবির জানান, জমা না পড়া অস্ত্র-গুলি যৌথ বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা হবে।
উল্লেখ্য, যশোরে ৩৬৫ অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয় ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত। আর ওই সময়ের মধ্যে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের বেশিরভাগই পেয়েছিলেন আওয়ামী ঘরানার নেতা, কর্মী ও ব্যবসায়ী এবং পেশাজীবীরা। রাজনৈতিক কর্মসূচি ও প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে প্রায় ওই বৈধ এবং গোপন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শিত হয়েছে বিভিন্ন সময়। অনেকের নামে অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলেও তার কাছে অস্ত্র নেই। পলাতকদের কারো কারো সমর্থকদের কাছে সেই অস্ত্র রয়েছে।
এআই