হিন্দুদের ওপর সহিংসতার অভিযোগ এবং এর প্রতিবাদে কানপুরে বাংলাদেশ-ভারতের ম্যাচ না হতে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল হিন্দু মহাসভা। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারত সফরে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবেন নাজমুল হোসেন শান্ত-লিটন দাসরা।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে চেন্নাইতে শুরু হবে বাংলাদেশ-ভারতের প্রথম টেস্ট। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কানপুরে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। বিসিসিআইয়ের ঘনিষ্ঠ সূত্রে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি লাইভ জানিয়েছে, কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টে না হতে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হিন্দু মহাসভা। এমন হুমকিতে চিন্তায় ফেলেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকেও (বিসিসিআই)। এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্তের কথা শোনা না গেলেও গুঞ্জন রয়েছে, পরিবর্তন হতে পারে ভেন্যু। সে ক্ষেত্রে কানপুর থেকে দ্বিতীয় টেস্ট মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছে বিসিসিআই।
এর আগে হিন্দু মহাসভার হুমকি এসেছিল টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। বাংলাদেশ-ভারত সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি হওয়ার কথা ছিল ধর্মশালায়। হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন তাদের স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমের সংস্কারকাজের জন্য ম্যাচটি সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করে। বিসিসিআই তাদের অনুরোধে ম্যাচটি ধর্মশালা থেকে সরিয়ে পরে গোয়ালিয়রে নিয়ে যায়।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি কিংবা মন্দিরে হামলার অভিযোগে এমন হুমকি দেয় ভারতীয় হিন্দু সংগঠনটি। ফলে ৬ অক্টোবর গোয়ালিয়রে হতে যাওয়া প্রথম টি-টোয়েন্টির বিরোধিতা করবেন বলে জানিয়েছিলেন হিন্দু মহাসভার সহসভাপতি ডা. জয়বীর ভরদ্বাজ।
গত ২৪ আগস্ট ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ভরদ্বাজ বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের গণহত্যা করা হচ্ছে, মন্দির ধ্বংস করা হচ্ছে। তাই হিন্দু মহাসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে গোয়ালিয়রে ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যাচের বিরোধিতা করা হবে। শান্তি বজায় রাখার জন্য ম্যাচটি বাতিল করা উচিত কারণ অন্যথায় দেশে অশান্তি হবে।’
এমএইচ