মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ড্রেজার দিয়ে মেঘনা নদীর তীরঘেঁষে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন চলছে। ফলে ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে ইমামপুর ইউনিয়নের নয়টি গ্রাম। তাই ভাঙন থেকে বাড়িঘর রক্ষা ও অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছেন এলাকাবাসী।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে হোগলাকান্দি গ্রামে ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে এ কর্মসূচি পালন করেন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া স্থানীয় ইউপি সদস্য হাজী মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম সহ স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বালুমহাল ইজারার নিয়ম না মেনে ইজারাদার নদীর তীরঘেঁষে ড্রেজার লাগিয়ে বালু উত্তোলন করছেন। এতে করে নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ অবস্থায় বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বেরি মোল্লা কান্দি, বড় কালিপুর, মল্লিকের চর সহ আশপাশের ৯টি গ্রামের তীরবর্তী ঘরবাড়ি গুলো।
তারা আরো দাবি করেন, সম্প্রতি জেলার গজারিয়া উপজেলার ইউনিয়নের বালুমহাল ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। বালুমহালের ইজারা পেয়েছেন ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। রাজধানীর দিলকুশার ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মেঘনায় বালু উত্তোলনের কাজ দেখভাল করে আসছেন গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ। শেখ হাসিনার পতনের পর জিন্নাহ আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর এই কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব নেয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মহন মিয়াজী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মহন মিয়াজী বলেন, আমি জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি। বালু মহলের সাথে আমি জড়িত নই। বালু মহল ইজারাদারের সাথে আমার কোন ব্যবসায়িক সম্পর্ক নেই। একটি পক্ষ ঈর্ষা নিত হয়ে আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে যাচ্ছে।
এমআর