প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এলোমেলো আক্রমণে সে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি কাবরেরার শিষ্যদের। উল্টো যোগ করা সময়ে গোল হজম করে মাঠ ছাড়ে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) ভুটানের বিপক্ষে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের জয়ের নায়ক কিংগা ওয়াংচুক। এর আগে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে মোরসালিনের গোলে ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটে গোছানো আক্রমণ সাজিয়েছিল স্বাগতিক দল। তবে সে যাত্রায় লাল-সবুজ শিবিরকে বাঁচিয়ে দেন ডিফেন্ডার তপু বর্মন।
ম্যাচের ২০তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে লিড নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল ভুটান। কিন্তু অল্পের জন্য বেঁচে যায় বাংলাদেশ। ৬ মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শট নেন গেল ম্যাচের নায়ক শেখ মোরসালিন। তবে তা জালের দেখা পাননি।
এরপর ৩৩তম মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিল ভুটান। বাংলাদেশের কয়েকজন টপকে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকেন পড়েন ভুটানের ফরোয়ার্ড। লক্ষ্যে শটও নেন। তবে ঝাঁপিয়ে পড়ে দলকে এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা।
প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে উন্টার অ্যাটাকে ভালো সুযোগ পেয়েছিল সফরকারীরা। ইমনের দুর্দান্ত শট রুখে দেন ভুটানের গোলরক্ষক। ফিনিশিংয়ের অভাব, রক্ষণের দৃঢ়তায় না পাওয়ার হতাশায় শেষমেশ গোলশূন্য সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় দল দুটি।
বিরতির পর ফাহিমের জায়গায় মাঠে নামেন রাব্বি হোসেন। আর মোরসালিনের জায়গায় জামাল। তবে বাংলাদেশের খেলার ধরনে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। এই অর্ধেও বলার মতো কোনো আক্রমণ করতে পারেনি বাংলাদেশ।
অন্যদিকে গোল পেতে মরিয়া হয়ে উঠে স্বাগতিক দল। লাল-সবুজের ডিফেন্সকে ব্যস্তও রাখে। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মিলছিল না।
এরপর ম্যাচের একদম শেষদিকে ডেড লক ভাঙে ভুটান। বাংলাদেশের ভুলে জয়সূচক গোল পেয়েছে তারা। ইনজুরি টাইমে সতীর্থের হেড থেকে বক্সের ভেতর ফাঁকায় বল পেয়ে ডান পায়ের প্লেসিংয়ে শটে জালে জড়ান ওয়াংচুক কিংগা। এরপর আর কোনো গোল না হলে ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সফরকারীরা।
এমএইচ