বরগুনার আমতলীতে উত্তর টেপুরা গ্রামে (৮ জুলাই, রবিবার) সকালে অগ্নিদগ্ধ হয়ে রিনা বেগম (৪০) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বরগুনার মর্গে পাঠিয়েছে। রিনা বেগম ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ মাতুব্বরের মেয়ে।
জানা গেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের উত্তর টেপুরা গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ মাতুব্বরের মেয়ে রিনা বেগমের সাথে কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কুকুয়া গ্রামের মোকলেছ মুন্সির সাথে ২৫ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর সে বাবার বাড়িতেই থাকতো। বাবার বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১৫ বছর পূর্বে রিনা বেগমের মানসিক সমস্যা দেখা দিলে তার স্বামী মোকলেছ মুন্সি রিনাকে ফেলে অন্যত্র বিয়ে করে নিরুদ্দেশ হন। এসময় রিনা তার বাবার বােিড়তে একটি দোচালা টিনের ঝুপরি ঘরে বসবাস করে আসছেন।
আজ সকাল সাড়ে ৮টার সময় প্রতিবেশীরা তার ঘরে আগুন জ্বলতে দেখে এগিয়ে আসেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রে আনেন। পরে তারা পুরে যাওয়া ঘরের মধ্যে থেকে রিনাকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।
নিহত রিনা বেগমের ভাই সালাউদ্দিন মাতুব্বর বলেন, আমার বোনের মাথায় সমস্যা আছে। এজন্য তাকে বাড়ির ভেতর একটি ছোট দুই চালা ঘর তুলে দেওয়া হয়েছে সেখানে সে একা থাকতো। আগুনের বিষয়ে তারা কিছু জানে না বলে জানান।
ভাই আরো জানান, রিনা বেগমের হৃদয় (২০) ও হৃদি (১৭) নামে দুটি সন্তান রয়েছে তারা ঢাকার একটি গর্মেন্টে চাকুরি করেন।
নিহত রিনা বেগমের মা সুফিয়া খাতুন বলেন, আমার মেয়ের ১০-১২ বছর ধরে মানসিক সমস্যা ছিল। কিভাবে আগুন লেগেছে তা বাবা কিছুই বলতে পারবো না।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাখয়াত হোসেন তপু বলেন, লাশ উদ্ধার করে বরগুনার মর্ঘে পাঠানো হয়েছে। থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।
এমআর