এইমাত্র
  • এম. আজিজুর রহমানের চলে যাওয়ার এক বছর আজ
  • বিএনপি নেতা শাহাদাতকে চট্টগ্রামের মেয়র ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি
  • দেশে প্রথম লিমিটলেস ইন্টারনেট প্যাক চালু করল গ্রামীণফোন
  • সংলাপে ডাক পাচ্ছে না জাতীয় পার্টি
  • সাবেক এমপি মানিক গ্রেপ্তার
  • বাংলাদেশি ৫ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
  • গা ঢাকা দিয়েছেন সেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঊর্মি
  • অনলাইন ভূমিসেবায় শতভাগ দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব: উপদেষ্টা
  • স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
  • নাসার হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের মিরহার সাফল্য
  • আজ বুধবার, ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৯ অক্টোবর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    টানা বন্ধের পর ফের চালু শার্শার সাতমাইল পশুর হাট

    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম

    টানা বন্ধের পর ফের চালু শার্শার সাতমাইল পশুর হাট

    মো. জামাল হোসেন, বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম

    টানা বন্ধের পর দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সবচেয়ে বড় যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ার সাতমাইল পশুর হাট নতুন করে চালু করেছে উপজেলা প্রশাসন। এতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে হাটটিতে গরু ছাগল এবং ক্রেতা-বিক্রেতায় ভরপুর হয়ে উঠে।

    জানা যায়, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে হাটটি ইজারা না নিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে হাটটি পরিচালনা করতো স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস কবির বকুল ও কায়বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান ফিরোজ টিংকু। তাদের কাছ থেকে ব্যাপারীরা ৩ হাজার টাকা করে ব্যাপারী কার্ড গ্রহণ করলেও গরু প্রতি তাদের কাছ থেকে ৫ শত টাকা করে আদায় করা হতো এবং সাধারণ ক্রেতাদের কাছে থেকে গরু প্রতি এক হাজার থেকে ১২ শত টাকা আদায় করা হতো। অথচ গরু হাট ইজারা না হওয়ায় সরকারি পাশ মুল্য ছিল ৪ শত থেকে ৬ শত টাকা।

    গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের পরে হাটটি পরিচালনায় আওয়ামী লীগের ওই সকল নেতা গা ঢাকা দিলে ছাত্রজনতাকে সাথে নিয়ে হাটটি ২দিন পরিচালনা করছিলেন উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সভাপতি বকুল ও টিংকুর কাছ থেকে করা ব্যাপারী কার্ড এর কোন সুবিধা পাইনি কার্ডধারী ব্যাপারীরা। হাটে কার্ডধারী ব্যাপারী ও সাধারণ ক্রেতাদের একই মুল্যে প্রতিটি গরুর পাশ শুরু হলে ক্ষোভে ফুসে উঠে কার্ডধারী ব্যাপারীরা। হাটে আন্দোলন শুরু করলে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটার আশংকায় তখন হাটটি বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।

    পরে বাগআঁচড়া সাতমাইল গরু হাট বন্ধ ঘোষণায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতা ও গরু ব্যবসায়ীরা এমন সংবাদ প্রকাশিত হলে সেটি প্রশাসনের নজরে আসে এবং মঙ্গলবার থেকে গরুর হাটটি নতুন করে খুলে দেন উপজেলা প্রশাসন।

    গরুর ব্যাপারী আজম বলেন, আমি ১৯৯৬ সাল থেকে এই হাটের সাথে জড়িত। এখানে গরু কেনা বেচা করি। এবার হাটটি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা হতাশায় ভুগছিলাম। কারণ সারাবছর ধরে খামারের গরু লালন-পালন করে এখন মাথায় হাত দেওয়ার উপক্রম হয়েছিলো। বাইরে থেকে ব্যাপারী না এলে আমাদের গরু লোকশানে বেচাকেনা করতে হতো। এখন পশু হাটটি সচল হওয়ায় আমরা খুব খুশি হয়েছি।

    স্থানীয় বাগআঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেনের বলেন, এই হাটটি এর আগে প্রায় ১০ বছর ইজারা নিয়ে চালিয়েছে এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াছ কবির বকুল। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন অনিয়মের মধ্যে হাট পরিচালনা করেছে। চলতি বছর হাটের কোন ইজারা তারা না নিয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা হাটটি পরিচালনা করে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। শেখ হাসিনার পতন হওয়ার পর হঠাৎ প্রশাসন হাটটি বন্ধ করে রেখেছেন এটা দুঃখজন। এই হাট থেকে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতে প্রশাসন ও জড়িত ছিলো বলে তিনি অভিযোগ করেন।

    এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী বলেন, সাতমাইল গরু হাটটি পরিচালনা করতে ১৩০ থেকে ১৫০ জন জনবল প্রয়োজন। এতো জনবল উপজেলা প্রশাসনের না থাকায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে কিছুদিন হাটটি বন্ধ রাখা হয়েছিলো। পরে উর্ধতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে তাদের নির্দেশে পশু হাটটি আবারও চালু করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, দক্ষিণ বঙ্গের সব থেকে বড় পশুহাট শার্শার সাত মাইল পশুহাট। এখানে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার দুইদিন হাট বসতো। দুই দিনের এ হাটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল বেচাকেনা হয়। সরকারিভাবে প্রতি বছর মোটা অংকের টাকায় এ হাট ইজারা দেওয়া হয়। গত বাংলা ১৩২৮ সালে সাত মাইল পশুহাটের ইজারা ডাক ছিল সাড়ে ৮ কোটি টাকা, ১৩২৯ সালে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ও ১৩৩০ সালে এ হাটের ডাক ছিল সাড়ে ১০ কোটি টাকা। তবে নতুন বছর ১৩৩১ সালে এ হাটের কোন ডাক বা ইজারা হয়নি। যে কারণে পূর্বের ইজারাদারেরা সরকারি আইন অমান্য করে হাটের খাজনা আদায় করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিয়েছে।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…