রংপুরের বদরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, বদরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র টুটুল চৌধুরী, এমপিপত্নী সুরভি চৌধুরী, এমপি ডিউকের ঘুষ কালেক্টর হেলাল মাস্টার ও পিএস আবুল কালাম আজাদসহ ১৬৩ জনকে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বদরগঞ্জ আমলী আদালতে মামলার আবেদন করেন বৈষম্যবিরোধী নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাংবাদিক বাদশাহ ওসমানী। পরে শুনানি শেষে মামলাটিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে বদরগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক কৃষ্ণ কমল রায়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিন্দিউল হাসান চৌধুরী শান্ত, বদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজিজুর রহমান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম পান্না, লোহানি পাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ডলু শাহ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাফিউল ইবনে সরকার মিম, কৃষক লীগ নেতা আব্দুল মান্নান মাস্টার, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রশিদ আলভী, রাধানগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ বাচ্চুসহ হামলায় জড়িত ১৬৩ জন।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট এমপি ডিউকের নির্দেশে সকাল সাড়ে দশটায় বদরগঞ্জ পৌর শহরের হক সাহেবের মোড় ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ ছাত্রীদের ওড়না ড্রেস টেনে ছিড়ে রাস্তায় ফেলে মারপিট করে। এ সংবাদ পেয়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকা অভিভাবক সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুললে তারা কিছুটা পিছপা হয়ে বদরগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাছাকাছি পৌঁছে প্রতিবাদী ছাত্র জনতার উপরে সাঁড়াশি আক্রমণ শুরু করে। এতে মনিরুজ্জামান, সাজু, মিয়া, সোহান, আশিকুলসহ প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন ছাত্র-জনতা আহত হয়। পরে তারা সেন্টারের দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করে রাস্তার ধারে পার্কিং করা ৩০-৩৫টি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে এলএসডি রোডে গিয়ে উপজেলা পরিষদের সরকারি পাজেরো গাড়ি পুড়িয়ে দেয়।
এর পরদিন ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের দিনে আবারও আন্দোলনে হামলা চালায়। এতে আরও ২০০ জন ছাত্র -জনতা আহত হয়। এ সময় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, দোকান ভাঙচুর, লুটপাটসহ তাণ্ডব লীলা চালায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এইচএ