নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যরা।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান তারা। এ মামলা পেশাদার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন তারা।
বিবৃতিতে অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা। তারা তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এর পেছনে স্বার্থান্বেষী মহলের দুরভিসন্ধি ও হীন উদ্দেশ্য রয়েছে। সাজানো এ মামলা সাংবাদিকদের সামাজিকভাবে অপদস্থ ও হেয় করার অপচেষ্টার অংশ।
প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের সেক্রেেটার গিয়াস উদ্দিন রনির বাড়িতে হামলা ভাচুর,সাবেক সভাপতি সুভাষের ছেলের উপর হামলা,সাংবাদিক ইকবাল হোসেন মজনু দোকানঘর ভাংচুর।আমরা এসব অনিয়মের তিব্র নিন্দা জানাই এবং মামলা থেকে সাংবাদিক নেতার নাম প্রত্যাহার ও ষড়যন্ত্রকারী মহলকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে সাংবাদিকরা বলেন, অন্যথায় সাংবাদিক সংগঠনগুলো এ ব্যাপারে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
তারা আরো বলেন, আমরা মনে করি এসব করে সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধের অপচেষ্টা করছে একটি মহল। যা কারো জন্য শুভ নয়।
বিবৃতিতে প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহিম বলেন, কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক সমাজ সব সময় যেকোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে। রক্তস্নাত একটি আন্দোলনের পর দেশের মানুষ যেখানে একটি নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে, সেখানে মিথ্যা ও উদ্ভট নানা অভিযোগ এনে সাংবাদিকদের মামলার আসামি করার ঘটনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসলকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবে।
উল্লেখ্য গত ৩ সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ থানায় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়। এতে অন্য আসামিদের সঙ্গে সাংবাদিক নেতা হাসান ইমাম রাসেলকে আসামি করা হয়।
এফএস