কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের খুন হওয়া মোঃ শাহজাহান ওরফে সাইমন (১৭) হত্যার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
নিহত সাইমন হলেন মনোহরগঞ্জ উপজেলার বিপুলাসার ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকার আবদুল হান্নানের ছেলে মোঃ শাহজাহান ওরফে সাইমন। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, একই উপজেলার গণিপুর এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে আবদুল ওয়াদুদ ও লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁও এলাকার মৃত নূরু মিয়ার ছেলে সানাউল্লাহ।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) খন্দকার আশফাকুজ্জামানের দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানান, মামলার তদন্তে নিয়োজিত পুলিশের একটি বিশেষ টিম সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থেকে আব্দুল ওয়াদুদ মানিককে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাইমনের অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার এবং মোঃ সানাউল্লাহ নামে আরেকজনকে লাকসাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা মঙ্গলবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
আরো জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মানিক স্বীকার করে যে, সানাউল্লাহর সাথে সাইমনের পূর্বের একটি মাদক সেবন নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল এবং সাইমন সানাউল্লাহর মোবাইল নিয়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে তারা সাইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যাকাণ্ডের দিন তারা সাইমনকে লাকসাম হাসপাতালের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে নিয়ে যায়, সেখানে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মানিক কাঠের লাঠি দিয়ে সাইমনের মাথায় আঘাত করে এবং সানাউল্লাহ ব্লেড দিয়ে তার গলা কাটে।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের ভেতরে খাটের ওপর সাইমনের মৃতদেহ সাদা কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। তার গলা কাটা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। এসময় মৃতদেহ থেকে পঁচা রক্ত ও পানি বের হচ্ছিল।
এফএস