’শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীসভা, নেতৃবৃন্দ প্রমাণ করেছে তারা বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেনি। তারা ভারতের আশ্রিত সরকার হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের ওপরে জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। সেই জুলুমের অবসান ঘটেছে গত ৫ আগস্ট। বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে।’
এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও পাবনা জেলা বিএনপির সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পরিবার ও আহতদের সঙ্গে সাক্ষাত এবং মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুুর ১২টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার হাজিরহাটের বেতেপাড়ায় এই সাক্ষাৎ এবং মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। আওয়ামী সরকারের গুম, খুন ও পঙ্গুত্বকারীদের পাশে দাঁড়াতে গঠিত ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শিমুল বিশ্বাস তার বক্তব্যে আরো বলেন, গত ১৮ বছর দেশকে জাতিকে বিভক্ত করা হয়েছে। পাকিস্তানের দালাল বলে, রাজাকার আলবদর বলে, বিএনপি-জামায়াত বলে বিভিন্নভাবে ট্যাগ তৈরীর করার চেষ্টা হয়েছে। এই লড়াইয়ের পর কিন্তু কেউ পাকিস্তানে পালিয়ে যায়নি। তারা বাংলাদেশের মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছে। আর যাদের জনগণ অগোচরে বলতেন ওরা ভারতের দালাল। তারা ঠিকই ভারতে পালিয়ে গেছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনকারী জুলুমবাজরা যেন আর এদেশের মাটিতে ফিরে আসতে না পারে। এই বাংলাদেশ হবে জনগণের বাংলাদেশ। এবার বাংলাদেশের বুক থেকে সকল অনাচার বৈষম্য দূর করে একটা উন্নত বাংলাদেশ গঠন করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন বলেন, তারেক রহমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরাও তার নির্দেশে এই শহীদ ও আহতদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। দেশের রাস্তাঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো শহীদদের নামে নামকরণ হবে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই শহীদ ও আহতদের জন্য যা যা করণীয় তার সবই করা হবে ইনশাআল্লাহ।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন বকুল, পাবনা-২ আসনের সাবেক এমপি সেলিম রেজা হাবিব, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল হক বাবু, নুর মোহাম্মদ মাসুম বগা, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার, কাতার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাজু প্রমুখ।
তারেক রহমান তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান আন্দোলনের সময় পাবনায় নিহত শহীদ জাহিদুল ইসলামের বাবা দুলাল উদ্দিন মাস্টার এবং শহীদ মাহবুব হাসান নিলয়ের বাবা আবুল কালাম। তারা তাদের সন্তান হত্যার বিচার দাবি করেন এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার দাবি করেন।
জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা জাসাসের আহ্বায়ক খালেদ হোসেন পরাগ।
এমআর