সাতক্ষীরা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক (এডি) মোস্তফা জামান এর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা টিটিসি'র উপাধ্যক্ষের কোয়ার্টার দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
টিটিসিতে কর্মরত অনেকের অভিযোগ, সাতক্ষীরা টিটিসি'র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেএম মিজানুর রহমানের যোগসাজসে উপাধ্যক্ষের কোয়ার্টার অবৈধভাবে দখল করে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করছেন মোস্তফা জামান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাতক্ষীরা টিটিসিতে কর্মরত একাধিক ব্যক্তি বলেন, ২০১৭ সালে সাতক্ষীরা সাতক্ষীরা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক (এডি) হিসেবে যোগদান করেন মোস্তফা জামান। এরপর সাতক্ষীরার অন্য জায়গায় রুম নিয়ে বসবাস শুরু করেন। তবে সাতক্ষীরা টিটিসিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কেএম মিজানুর রহমান যোগদানের পর থেকে মোস্তফা জামান বসবাস শুরু করেন টিটিসির উপাধ্যক্ষের কোয়ার্টারে। দীর্ঘদিন যাবত সাতক্ষীরা টিটিসিতে উপাধ্যক্ষ পদে কেউ না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে টিটিসির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মাসিক চুক্তিতে উপাধ্যক্ষের কোয়ার্টারটি মোস্তফা জামানের কাছে ভাড়া দিয়েছেন।
তারা আরো বলেন, একজন সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে জনশক্তির এডি মোস্তফা জামানের বেতনের আনুপাতিক হারে বাড়ী ভাড়া বরাদ্দ করে সরকার। তাছাড়া সরকারী কোন কোয়ার্টারে থাকতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে অনুমতি নিতে হয়। তবে মোস্তফা জামান অন্য ডিপার্টমেন্টে চাকুরী করেও টিটিসির দূর্ণীতিগ্রস্থ অধ্যক্ষ কেএম মিজানুর রহমানের পাওয়ারে কোনো প্রকার অনুমোদন না নিয়ে টিটিসির অপাধ্যক্ষের কোয়ার্টার অবৈধভাবে দখল করে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করছেন। যেটি তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। আমরা দূর্ণীতিবাজ মোস্তফা জামান ও তার সহযোগী টিটিসির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেএম মিজানুর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।
সাতক্ষীরা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক (এডি) মোস্তফা জামান টিটিসির উপাধ্যক্ষের কোয়ার্টারে অবৈধভাবে বসবাসের কথা স্বীকার করে বলেন, 'সরকারী কোনো কোয়ার্টারে বসবাস করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয় তবে আমি সেটি নেইনি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অনুমতি নিয়ে আমি মাঝেমাঝে টিটিসির উপাধ্যক্ষের কোয়ার্টারে বসবাস করি। যেটি আসলে আমার উচিত হয়নি। আমি খুব দ্রুত ওই কোয়ার্টার ছেড়ে দেবো। আর যদি সমস্যা হয় তবে যতদিন থেকেছি ততদিনের ভাড়ার টাকা সরকারী কোয়ার্টারে জমা দিয়ে দেবো।'
সাতক্ষীরা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেএম মিজানুর রহমান বলেন, 'টিটিসির একজন ইনসট্রাক্টরের সাথে জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তির এডি মোস্তফা জামান থাকেন।'
অনুমোদন ছাড়াই কিভাবে টিটিসির উপাধ্যক্ষের কোয়ার্টারে আপনি থাকতে দিলেন এমন প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়েই কেএম মিজানুর রহমান মোবাইলের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এইচএ