এইমাত্র
  • বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার সুহাইল নিহত, দাবি ইসরাইলের
  • সাড়ে ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি
  • শেখ হাসিনা কোথায় আছেন, জানে না সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • সীমান্ত এলাকায় পূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিজিবির ফোন নম্বর
  • শেবাচিম হাসপাতালে নার্সদের কর্মবিরতি
  • আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় দ. কোরিয়ার সহায়তা চাইলেন জামায়াত আমির
  • আবারও কর্মবিরতিতে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের নার্সরা
  • গ্রাহক পিটিয়ে ক্ষমা চাইল স্টার কাবাব কর্তৃপক্ষ
  • দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় কোনো থ্রেট নেই : ডিএমপি কমিশনার
  • দুর্গাপূজা উপলক্ষে ছুটি একদিন বাড়ল
  • আজ মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৮ অক্টোবর, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    ভাঙ্গুড়ায় বিরোধপূর্ণ পুকুরের মাছ বিক্রির অভিযোগ বিএনপি নেতা ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে

    আব্দুল লতিফ রঞ্জু, পাবনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
    আব্দুল লতিফ রঞ্জু, পাবনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম

    ভাঙ্গুড়ায় বিরোধপূর্ণ পুকুরের মাছ বিক্রির অভিযোগ বিএনপি নেতা ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে

    আব্দুল লতিফ রঞ্জু, পাবনা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম

    পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বিরোধপূর্ণ পুকুরের মাছ তুলে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আব্দুর রশীদ ও তার ভাই বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পুকুরের মালিক দাবিদার মো. ইয়াহিয়া ও তার পরিবারের পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তাদের দাবি, ১৭ বিঘার ওই পুকুরটিতে অন্তত ১শ’ মণ মাছ ছিল। যার অধিকাংশই তুলে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিযুক্ত ২ ভাই।

    সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে ভাঙ্গুড়া থানা, ইউএনও ও সেনা ক্যাম্প বরাবর অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার।

    লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ১৭ বিঘার পুকুরটির অধিকাংশ মালিকানা (প্রায় ১০ বিঘা) প্রয়াত আজগার আলীর ২ সন্তান ও মেয়েদের। বাকি ৭ বিঘার মধ্যে সাড়ে ৪ বিঘা স্থানীয় গ্রামবাসীর এবং সোয়া ২ বিঘার মালিক আব্দুর রশীদ ও তার ভাই খানমরিচ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম। এই ২ বিঘার ক্ষমতাবলেই পুকুর কাটার দেড় বছরের মাথায় পুরো পুকুরটি দখলে নেন ২ ভাই।

    ভুক্তভোগী ইয়াহিয়া বলেন, ’আমি গত ৩ দফায় ধার-ধেনা করে এই পুকুর সাজিয়েছি। কিন্তু প্রতিবারই রশীদ এটি ভেঙে গ্রাস করে নিয়েছেন। পুকুর কাটার ২ বছরের মাথায় গ্রাম্য নেতাদের মাধ্যমে চাপ দিয়ে আমাকে এখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। সে সময় লিজ বাবদ প্রতিবছর টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও গত ১৪ বছরে আমাকে ১ টাকায় দেননি রশীদ।’

    তার দাবি, ’শুধু লীজের এই টাকা (প্রচলিত নিয়মে ২০ হাজার) ধরলেও গত ১৪ বছরে রশীদের কাছ থেকে তার পাওনা ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। তাই অবৈধ উপায়ে আজকের মাছ ধরা এবং গত ১৪ বছরের ক্ষতিপূরণ চান ভুক্তভোগী ইয়াহিয়া।’

    এর আগে রশীদের বিরুদ্ধে আদিবাসীদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকির অভিযোগ উঠে। পরে দিশা না পেয়ে পরিবারটি মামলা করে, যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    এসব অভিযোগের বিষয়ে আব্দুর রশীদ বলেন, ’গত ১১ বছর ধরে পুকুরটির মালিক আমি। অন্য মালিক এবং ইয়াহিয়ার অংশটুকুও আমার কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। সে দলিলও আছে। ইয়াহিয়া যে অভিযোগ করছে এসব মিথ্যা। আমার পুকুরের মাছ আমি তুলবো, বিক্রি করবো এটাই স্বাভাবিক।’

    তাঁর দাবি, ’আদিবাসীদের বসবাস করা জমিটি তার পূর্বপুরুষ কিনেছে। সে হিসেবে তারাই ওই জমির মালিক এবং এর দলিল-কাগজপত্র রয়েছে। সেই মালিকানা চাওয়ায় ২০০৭ সালে আদিবাসী পরিবারটি মামলা করে। বর্তমানে তার জমি প্রায় একশ’ বিঘার মতো বলে দাবি করেন তিনি। এত জমি কিভাবে হলো জানতে চাইলে ফোনের লাইন কেটে দেন তিনি।’

    আরেক অভিযুক্ত রশীদের ভাই খানমরিচ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক বছর ধরে আমরা পুকুর ভোগ দখল করতেছি। এখানে ইয়াহিয়ার কোনো জমি নাই। তাদের ভাইবোনের অংশ আমাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে অনেক আগেই। তার দলি কাগজপত্র সব আছে। তাদের কোনো জমি নেই। মিথ্যা অভিযোগ করছে।'

    ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ’সোমবার সকালে ফোনে জানানোর পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। বিকেলে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। উভয়পক্ষকে ডেকে নিয়ে বিষয়টি কার কি অবস্থা সব জেনে তারপর ব্যবস্থা নেয়া হবে। '

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…