পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইলিয়াস হাওলাদার (২২) নামের এক কলেজ ছাত্রকে অপহরণ করে অপহরণকারীরা। তাদের দাবি করা ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে প্লাস দিয়ে দাঁত তুলে ফেলে অপহরণকারীরা।
এ ঘটনায় ইলিয়াসের বোন সালমা বেগম বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ইলিয়াস মঠবাড়িয়া পৌর শহরের আরামবাগ এলাকার আব্দুল হকের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে ইলিয়াস মঠবাড়িয়া পৌর শহরের আরামবাগ এলাকার গাজী বাড়ির জামে মসজিদ সংলগ্ন বহেরতলা খালের পাড়ে দাড়ানো ছিল। এসময় অপহরণকারীরা জিআই পাইপ, চাইনিজ কুড়াল, হাতুড়ি, প্লাস নিয়া এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি ও পিটাইয়া নীলা ফুলা জখম করে মুখ বেধে জোরপূর্বক মোটরসাইকেল যোগে অপহরণ করে স্থানীয় সাফা গ্রামের অজ্ঞাত স্থানে নিয়া যায়। পরবর্তীতে ইলিয়াসের ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে তার ভগ্নিপতি বাদল হোসেন এর কাছে ফোন করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। দাবিকৃত মুক্তিপনের টাকা না পেয়ে অপহরণকারীরা প্লাস দিয়া ইলিয়াসের ১টি দাঁত তুলে ফেলে ও অপর ১টি দাঁত তোলার চেষ্টা করে। তাকে জিআই পাইপ দিয়া এলোপাথারীভাবে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। এসময় ইলিয়াসের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয়রা গুরুতর আহত ইলিয়াসকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে। এঘটনায় রাতেই ইলিয়াসের বোন সালমা বেগম বাদী হয়ে অপহরণকারী নিউমার্কেট কলেজ এলাকার মোঃ মহারাজের ছেলে মিশাত (৩২), মোঃ মুবিন (২৭), সরকারি কলেজের উত্তর পার্শে আর্সি ণগরের মোঃ সাগর (২৭), পিতা-অজ্ঞাত, মোঃ মনজু, পিতা-অজ্ঞাত, বহেরাতলা এলাকার মোঃ রিয়াজ (২৭), পিতা-অজ্ঞাত, খান সাহেব বাড়ি এলাকার মোঃ নাদিম (২২), পিতা-অজ্ঞাতসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা করেন।
মামলার বাদী সালমা আক্তার জানান, এ ঘটনা আসামিদের পরিবারকে জানানো হলে তারা মুমিনের ভাই মিশাতকে বের করে দিতে বলে এবং বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ তৎক্ষণাৎ মুবিন এর ভাই মিশাতকে মঠবাড়িয়া থানায় নিয়ে চাপ প্রয়োগ করলে মুবিন বাহিনী ভিকটিমকে চরখালীর কাছাকাছি একটি নির্জন স্থানে রেখে পালিয়ে যায়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রাজিব বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ও স্বজনদের সহযোগিতায় ইলিয়াসকে উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় একটি অপহরণ মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এইচএ