প্রাণবন্ত, উজ্জ্বল ও সুন্দর ত্বকের স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। এজন্য ভেষজ রূপচর্চা থেকে শুরু করে কোনো কিছুই বাদ দেন না। অনেক অর্থও ব্যয় করেন। ত্বকের যত্ন নেওয়া অবশ্যই ভালো। কিন্তু এর পাশাপাশি যদি স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং পানীয় পান করেন তাহলে সুফল মিলবে। তাই প্রথমেই দিন শুরু করুন এক গ্লাস পানি পান করে। তাতে শরীর থেকে সব বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যাবে। ত্বকও থাকবে সতেজ। তবে সাধারণ পানি নয়। পান করতে হবে কিছু বিশেষ পানীয়। এতে দ্রুতই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ডাবের পানি:
সুন্দর ত্বকের জন্য সকালে খালি পেটে ডাবের পানি পান করতে পারেন। শরীর ভালো রাখার পাশাপাশি ত্বককেও হাইড্রেটেড রাখে এই পানীয়। ডাবের পানিতে রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ। ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করে ত্বককে টানটান রাখে এই পানীয়। ডাবের পানিতে থাকা ভিটামিন বি৩, বি২, সি ত্বকের উজ্জ্বলতা কয়েকগুণ বাড়ায়।
লেবু ও মধু মেশানো পানি:
সকালে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানিতে একটি লেবু এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। খালি পেটে এ পানীয় পান করুন। এই পানীয়ে রয়েছে ভিটামিন সি, যা ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে। পাশাপাশি কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতাও ধরে রাখে এই পানীয়। এছাড়া মধুর অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়ালের গুণের কারণে ত্বকে ব্রণের দাপটও কমে।
হলুদ ও আদা মিশ্রিত পানি:
সকালে হলুদ ও আদা মিশ্রিত পানি পান করুন। হলুদে থাকা কারকিউমিনে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। আদায়ও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অন্যান্য গুণ। এ দুটি ভেষজ একসঙ্গে খেলে ত্বকের সংক্রমণ দূরে থাকবে। ত্বকে ভাঁজ ও বলিরেখা দেখা যাবে না। অকালে ত্বক বুড়িয়ে যাবে না।
প্রথমে দেড় গ্লাস পানি ফুটিয়ে নিন। তাতে ১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং ২ ইঞ্চি আদা থেতো করে দিন। কয়েক মিনিট ফুটিয়ে নামিয়ে নিন। তারপর একটি গ্লাসে ছেঁকে নিন। রোজ সকালে এ পানীয় পান করুন।
অ্যালোভেরা জুস:
অ্যালোভেরা জুস ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর । তাই মর্নিং ড্রিঙ্ক হিসেবে এর তুলনা হয় না। এতে রয়েছে ভিটামিন ই, সি, বি। পাশপাশি এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফলিক অ্যাসিড আছে। এ সব উপাদান ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতাও বাড়ে।
এফএস