এইমাত্র
  • কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে মসজিদের ইমাম আটক
  • মিষ্টির বক্সের ভেতর থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
  • গাইবান্ধায় আনিস হত্যাকাণ্ডে খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
  • যশোরে বাড়ি বিক্রির ২১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে রেজাউলকে হত্যা!
  • ঘরের দরজা বন্ধ করে নিজেই নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলল যুবক!
  • জাপান সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে হাইকোর্টের রুল
  • আখাউড়ায় পৃথক অভিযানে দেশীয় অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৩
  • এস আলমের আরও ৫৬৩ একর জমি জব্দের আদেশ
  • সঠিক বিচার হলে আ.লীগ পরিচালনা করার কেউ থাকবে না: মামুনুল হক
  • আজ সোমবার, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    শেরপুরে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা, নারীসহ তিনজনের মৃত্যু

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম

    শেরপুরে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা, নারীসহ তিনজনের মৃত্যু

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৬ পিএম
    সংগৃহীত ছবি

    টানা বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা প্রবল পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের তিন উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। উজানে পানি কিছুটা কমা শুরু করলেও নিম্নাঞ্চলের আরও অন্তত ৪০ গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ঢলের পানি ভাটির দিকে নামতে থাকায় নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার নিম্নাঞ্চলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নতুন করে ঢলের পানি ঢুকেছে নকলা উপজেলার নিম্নাঞ্চলেও।

    এ পর্যন্ত ওই চার উপজেলার ২০ ইউনিয়নের অন্তত ১২২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় চরম কষ্টের মধ্যে পড়েছে লোকজন। প্রতি মুহূর্তেই বানের পানি বাড়ছে। এমন বন্যা ৮৮ সালের পরিস্থিতিকে ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

    এদিকে, বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করায় নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে যাওয়ার সময় নালিতাবাড়ীতে নারীসহ নালিতাবাড়ীর খলিশাকুড়ির খলিলুর রহমান (৬৫), আন্ধারুপাড়ার বৃদ্ধ ইদ্রিস আলী (৬৫) বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। গত রাত থেকে সেনাবাহিনী, পুলিশ, সিভিল প্রশাসন দুর্গম ও দুর্গত এলাকায় আটকে পড়াদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে।

    বন্যার্ত এলাকায় খাবার সংকট চরমভাবে দেখা দিয়েছে। রাস্তাঘাট-ব্রিজ-কালভার্ট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলেও দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। তবে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বিএনপি শুকনা খাবার বিতরণ করছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন ৬ জাহার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করেছে।

    জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত জেলায় ৭ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির আমন ধান সম্পূর্ণ পানির নিচে এবং ৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ আংশিক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ৬০০ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তবে এ ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

    ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ, নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ রাজনৈতিক দল বন্যার্তদের মাঝে রান্না করা ও শুকনো খাবার বিতরণ শুরু করেছে।

    এদিকে ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সব স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম এবং ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ সমন্বয়ের জন্য কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার জন্য পৃথক টিম গঠন করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিতদের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

    জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এখনো প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উদ্ধার কাজ চলছে। উদ্ধার ও শুকনা খাবার দেওয়া এখন বড় দায়িত্ব। সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছে।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা জানিয়েছেন, নালিতাবাড়ী পৌরসভা, কাকরকান্দি, বাঘবেড়সহ প্রায় সব ইউনিয়ন পাহাড়ি ঢলে আক্রান্ত। এসব জায়গার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকাজ পরিচালনার জন্য একটি স্পিডবোট, লাইফ জ্যাকেটসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে।

    পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাকিবুজ্জামান খান জানিয়েছেন, আজ শনিবার সকালেও নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদী দুটি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নালিতাবাড়ীর ভোগাই, চেল্লাখালী ও ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড়ি ঢলে দুই পাড় ও তীর রক্ষার বাঁধ ভেঙে গেছে। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন ঠোকানোর চেষ্টা চলছে।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…