এইমাত্র
  • কিশোরকে বলাৎকারের অভিযোগে মসজিদের ইমাম আটক
  • মিষ্টির বক্সের ভেতর থেকে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার
  • গাইবান্ধায় আনিস হত্যাকাণ্ডে খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
  • যশোরে বাড়ি বিক্রির ২১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে রেজাউলকে হত্যা!
  • ঘরের দরজা বন্ধ করে নিজেই নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলল যুবক!
  • জাপান সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে হাইকোর্টের রুল
  • আখাউড়ায় পৃথক অভিযানে দেশীয় অস্ত্র ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৩
  • এস আলমের আরও ৫৬৩ একর জমি জব্দের আদেশ
  • সঠিক বিচার হলে আ.লীগ পরিচালনা করার কেউ থাকবে না: মামুনুল হক
  • আজ সোমবার, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    আবরার ফাহাদকে নিয়ে ছোট ভাইয়ের হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৩ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৩ পিএম

    আবরার ফাহাদকে নিয়ে ছোট ভাইয়ের হৃদয়স্পর্শী স্ট্যাটাস

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১:১৩ পিএম

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ প্রকৌশলী বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ফেসবুকে ভারতবিরোধী স্ট্যাটাস দেওয়ায় তাকে খুন করা হয়।

    আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে ফেসবুকে একটি মর্মস্পর্শী স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ।

    রোববার রাতে নিজের ফেসবুক ওয়ালে তিনি লেখেন, ২০১৯ সালের আজ অর্থাৎ ৬ অক্টোবর ভাইয়া ঢাকাতে যায়। ২৬ সেপ্টেম্বরে কুষ্টিয়াতে আসার পরই ইলিশ আর ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে দুটি পোস্ট দিয়েছিল। সেদিন আম্মু নিজে ভাইয়াকে গাড়িতে তুলে দিয়ে আসছিল। এরপর মাত্র ১৩-১৪ ঘণ্টার মধ্যে ওকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতন করা হয়। আর ২০ ঘণ্টা পরই বাসায় আসে মৃত্যুর সংবাদ।

    সেদিন সকালে যাওয়ার আগে ৯টার দিকে আম্মু আমাকে ডেকেছিল। ‘ভাইয়া চলে যাচ্ছে, ওঠ’। কিন্তু ভাইয়া বলে, ‘না থাক, অনেক রাতে ঘুমাইছে ঘুমাতে দাও। আমি চলে গেলাম। তুই বেশিদিন থাকিস না, তাড়াতাড়ি ঢাকা চলে আসিস’।

    যাওয়ার আগের রাতে আম্মুকে ভাইয়া বলেছিল, ‘আম্মু অনেক ছারপোকা কামড়ায়। পিঠে একটু হাত বুলিয়ে দাও তো। কোনো দাগ হয়ে গেছে নাকি? আচ্ছা, তোমার কাছে কি এমন কোনো ওষুধ আছে, যা লাগালে আর কামড়াবে না আমাকে’।

    প্রসঙ্গেত, ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পানি ও গ্যাস চুক্তির বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন আবরার।

    ওই দিনই শেরেবাংলা হলের গেস্টরুমে আসামিরা সভা করে বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র আবরারকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।

    স্ট্যাটাসটি দেওয়ার সময় তিনি কুষ্টিয়ায় গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। পর দিন (৬ অক্টোবর) বিকালে তিনি বাড়ি থেকে বুয়েটের হলে ফেরেন।

    হলে ফেরার কয়েক ঘণ্টার মাথায় রাত ৮টার দিকে আবরারসহ দ্বিতীয় বর্ষের সাত-আটজন ছাত্রকে শেরেবাংলা হলের দোতলার ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে পাঠান তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাত-আটজন নেতা।

    তারা আবরার ফাহাদের মোবাইল নিয়ে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ঘেঁটে দেখেন। এ সময় আবরার শিবিরের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ আনা হয়। আবরার এসব অস্বীকার করলে শুরু হয় স্টাম্প দিয়ে আবরারকে পেটাতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আরও কয়েকজন নেতাকর্মী আসেন। তারা আরেক দফা পেটান আবরারকে।

    মার খেয়ে একপর্যায়ে আবরার অচেতন হয়ে পড়লে কোলে করে মুন্নার কক্ষে (২০০৫ নং) নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে দোতলা ও নিচতলার সিঁড়ির মধ্যবর্তী জায়গায় অচেতন আবরারকে নিয়ে যান তারা। অচেতন আবরারের চিকিৎসার জন্য হল প্রভোস্ট ও চিকিৎসককে খবর দেয় ছাত্রলীগের সেসব কর্মী। কিন্তু এরই মধ্যে প্রাণ হারান আবরার।

    চিকিৎসক এসে আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়।

    এফএস

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…