টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরে সৃষ্ট বন্যায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ঢলের পানি যেদিক দিয়ে নেমে যাচ্ছে, সেসব অঞ্চলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত জেলায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন এক নারীসহ দুই জন।
রোববার (৬ অক্টোবর) বিকেল থেকে বৃষ্টি কমে যাওয়ায় জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, জেলার ভোগাই নদীর পানি বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার, চেল্লাখালী নদীর পানি ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া অপর দুটি পাহাড়ি নদী মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানিও বিপদসীমার নিচে রয়েছে। এদিকে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, মৃগী ও দশানী নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পাউবো।
পাউবো সূত্র জানিয়েছে, রোববার দুপুর থেকে উজানের পানি নামতে শুরু করেছে। এর ফলে নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এরই মধ্যে নতুন করে শেরপুর সদর ও নকলা উপজেলার অন্তত ১০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি রয়েছে বহু মানুষ। আর শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।
জেলা কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক ( উদ্ভিদ সংরক্ষণ ) হুমায়ুন কবীর বলেন, এ পর্যন্ত জেলার সাড়ে ৩৬ হাজার ৬৭৬ হেক্টর জমির আমন ধানের আবাদ ও ৯২৬ হেক্টর জমির সবজির আবাদ পানিতে ডুবে রয়েছে।
তবে সোমবারের মধ্যে সব নদীর পানি কমবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাকিবুজ্জামান খান।
এমআর