এইমাত্র
  • খালেদা জিয়াসহ ৭ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ২০ নভেম্বর
  • মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটা বহাল রেখেই ঢাবির ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু
  • রাজনৈতিক নেতৃত্বরাই দেশ পরিচালনা করবে, এটাই বাস্তবতা: সুলতান সালাউদ্দিন
  • নির্বাচন কমিশনকে জরুরি ৯ নির্দেশনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের
  • সব বিভাগে বজ্রবৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা
  • মিসরে যাওয়ার ঘোষণা মেহজাবীন চৌধুরীর, সঙ্গী 'প্রিয় মালতী'
  • গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬ শতাধিক অভিযোগ
  • পিলখানা হত্যা মামলার পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের রুল
  • মালদ্বীপের সমুদ্র সৈকতে ফের বিয়ে করলেন সানি লিওন
  • গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ
  • আজ মঙ্গলবার, ২১ কার্তিক, ১৪৩১ | ৫ নভেম্বর, ২০২৪
    আন্তর্জাতিক

    ইসরায়েলে হামলার ১০টি পরিকল্পনা প্রস্তুত রেখেছে ইরান

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম

    ইসরায়েলে হামলার ১০টি পরিকল্পনা প্রস্তুত রেখেছে ইরান

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম

    ইসরায়েলে সম্ভাব্য হামলার জন্য ইতোমধ্যে অন্তত ১০টি পরিকল্পনা প্রস্তুত রেখেছে ইরান। দেশটির সেনাবাহিনীর এলিট শাখা ইসলিমক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইরানের বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি।

    লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযানের প্রতিবাদে গত ১ অক্টোবর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮০টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। ব্যাপক এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর গত ৫ অক্টোবর জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইরানে হামলার ঘোষণা দেন। তবে কবে নাগাদ এই হামলা চালানো হতে পারে, সে সম্পর্কিত কোনো সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ ঘোষণা করেননি তিনি।

    নেতানিয়াহুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আইআরজিসির এক কর্মকর্তা তাসনিম নিউজকে বলেন, “তিনি এ কথা বলতেই পারেন; তবে যদি ইসরায়েল ইরানের ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা করে, কিংবা ইরানের ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করে, সেক্ষেত্রে সেই হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার মতো সক্ষমতা আমাদের আছে। আর ইসরায়েলে হামলা চালানো সংক্রান্ত অন্তত ১০ পরিকল্পনা আইআরজিসি হাতে রয়েছে।”

    “এই ১০টি পরিকল্পনার কয়েকটি যদি আইআরজিসি বাস্তবায়ন শুরু করে, তাহলে ইসরায়েল অভূতপূর্ব সংকটে পড়বে।”

    প্রসঙ্গত, ইরান এবং ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের দুই চিরবৈরী দেশ। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সমর্থন ও মদতপুষ্ট যেসব সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী রয়েছে, সেগুলোর প্রত্যেকটির লক্ষ্য রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলকে ধ্বংস করা।

    তবে দু’দেশের বৈরিতা আরও বৃদ্ধি পায় ২০২৩ সালে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে। গত বছর ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ এখনও চলছে।

    এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে ইরানের সমর্থনপুষ্ট সশস্ত্র ইসলামিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। জবাব দিতে শুরু করে ইসরায়েলও। উভয়পক্ষের সংঘাতে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের অধিকাংশই হিজবুল্লাহর সদস্য এবং লেবাননের নাগরিক।

    সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি করে ইসরায়েল। দেশটির বিমান বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছেন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহসহ গোষ্ঠীটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডার। এক কথায়, গত দুই সপ্তাহে হিজবুল্লাহর চেইন অব কমান্ড ভেঙে দিয়েছে ইসরায়েল।

    প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা চালানোর পর ১ অক্টোবর ভোর থেকে সেখানে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের স্থল বাহিনী। ওই দিন রাতেই ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান।

    গত ৩ অক্টেবর কাতারের রাজধানী দোহায় এক ব্রিফিংয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তার দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ চায় না। তবে ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিন এবং লেবাননে সামরিক অভিযান বন্ধ না করে, তাহলে ভবিষ্যতে ইরান আরও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…