বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহক ও বিক্রেতাদের পাওনা অর্থ ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়েছে মন্ত্রণালয়টি।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সংস্থাটি। মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিজিটাল কমার্স খাতের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, গ্রাহক ও বিক্রেতাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, যেসব ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রাহক ও বিক্রেতাদের অর্থ পাওনা রয়েছে, তাদের তালিকা আগামী ১৪ নভেম্বরের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে অনুরোধ করা হলো।
এছাড়া যেসব গ্রাহক অর্থ পরিশোধ করেও প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য পাননি এবং বিক্রেতারা পণ্য সরবরাহ করেও বিক্রয়মূল্য বুঝে পাননি, তাদের একই সময়ের মধ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে শুধু অনলাইন পোর্টালে অভিযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হলো।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের উপসচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের আটকে থাকা অর্থ ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিছু প্রতিষ্ঠান ভালো সাড়া দিলেও কিছু প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করছে না। এ কারণে পাওনাদারদের অভিযোগ করতে বলেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে শুনানি হবে। আইন অনুযায়ী প্রাপ্য অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পাওনাদার গ্রাহক ও বিক্রেতাদের তালিকা দাখিল না করলে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা টাকা ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১’ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের সার্কুলার নং ০৮/২০২১ তারিখ: ৩০ জুন ২০২১ অনুসারে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ও বিক্রেতাদের অনুকূলে পর্যায়ক্রমে ছাড়করণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, যেসব গ্রাহক ও বিক্রেতা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করবেন, তাদের অভিযোগগুলো পর্যায়ক্রমে নিষ্পত্তির মাধ্যমে পেমেন্ট গেটওয়ে অথবা ব্যাংক হিসাবে জব্দকৃত টাকা ছাড়করণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।