হিজবুল্লাহর নতুন মহাসচিব শেখ নাঈম কাসেম তার পূর্বসূরি শহিদ সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহর পথ অনুসরণের প্রতিজ্ঞা করেছেন।
বুধবার বিকালে হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান হিসেবে প্রথমবারের মতো এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি এ প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।
শেখ কাসেম প্রত্যয়ের সঙ্গে বলেন, লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন (হিজবুল্লাহ) দখলদার ও যুদ্ধবাজ ইসরাইলি শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রামে দৃঢ় থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিরোধের পথে দৃঢ় থাকব এবং যুদ্ধের পরিকল্পিত উন্নয়নের মুখেও আমাদের অবস্থান অব্যাহত রাখব’।
হিজবুল্লাহর দেওয়া ভারি দায়িত্বের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ নাঈম কাসেম বলেন, ‘এই দায়িত্ব আমাদের প্রতি আস্থার প্রতীক এবং শহিদ নেতাদের রক্ত আমাদের এই পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করবে’।
নাঈম কাসেম তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বলেন, ‘আমার কর্মপরিকল্পনা আমাদের নেতা সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহর মতোই। আমরা তার নির্ধারিত সামরিক কৌশল অনুসরণ করব’।
সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হিজবুল্লাহকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। গত সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ লেবাননে ইসরাইলি বাহিনীর এক বড় ধরণের বিমান হামলায় তিনি নিহত হন।
এরপর মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) হিজবুল্লাহর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব পালন করে শুরা কাউন্সিল ৭১ বছর বয়সি শেখ নাঈম কাসেমকে মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়।
মহাসচিব হিসেবে নিজের প্রথম ভাষণে নাঈম কাসেম গাজার জনগণের প্রতি সমর্থনের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গাজা আমাদের সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট এবং ইসরাইলের আক্রমণ মোকাবিলায় গাজার জনগণের সমর্থন অপরিহার্য।
শেখ কাসেম আরও বলেন, ইসরাইল কখনোই আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে চলেনি। তিনি এ সময় জাতিসংঘের প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ইসরাইল জাতিসংঘের প্রস্তাব ১৭০১ মেনে চলেনি এবং লেবাননের আকাশ ও সমুদ্রসীমা ৩৯,০০০ বার লঙ্ঘন করেছে’।
তবে আন্তর্জাতিক প্রস্তাব নয়, বরং হিজবুল্লাহই ২০০০ সালে লেবানন থেকে ইসরাইলি বাহিনীকে বিতাড়িত করেছে বলেও জানান হিজবুল্লাহর এই নতুন নেতা।
ইসরাইল গত বছর লেবাননের বিভিন্ন শহর ও গ্রামে বিমান হামলা শুরু করার পর এ বছর অক্টোবরের শুরুতে দক্ষিণ লেবাননে স্থল আক্রমণ চালায়। হিজবুল্লাহ এর জবাবে ইসরাইলি স্থাপনায় রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে শেখ নাঈম কাসেমের নেতৃত্বে হিজবুল্লাহর প্রতিরোধ ও আক্রমণ আরও জোরালোভাবে চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: ইরনা
এসএফ