বাজার সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে বরিশালে ন্যায্য মূল্যের দোকান বসানো হয়েছে।
“বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নাগরিক, বরিশাল” এর ব্যানারে বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে নগরের চাঁদমারি মাদ্রাসা সড়কস্থ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে প্রথমদিনের এ বাজার বসে। খুচরো বাজারের থেকে এ বাজারে পণ্য কম দামে পেয়ে প্রথম দিনেই ক্রেতাদের মাঝে সাড়া ফেলেছে।
সকাল ১০ টার দিকে শুরু হওয়া বাজারের সকল পণ্যই ১১ টার দিকে শেষ হয়ে যায়। ক্রেতারা বলছেন, এভাবে যদি বাজার বিভিন্ন স্থানে বসানো যায়, তাহলে বাজারের মূল্য সিন্ডিকেটের অধঃপতন ঘটবে। কারণ এ বাজারে টাটকা সবজি খুচরো বাজারের থেকে অনেক কম দামেই মিলেছে। চাঁদমারি এলাকার বাসিন্দা মরিয়ম বলেন, প্রথম দিনেই বাজার ভালো জমে উঠেছে, তবে চাহিদার থেকে তরিতরকারি অনেক কম ছিল।
অনেকেই খবর পেয়ে আসতে আসতে বেচাবিক্রি শেষ হয়ে গেছে। গরীব মানুষের জন্য এ ধরনের বাজার হলে ভালোই হয়। রাজিয়া নামের এক নারী বলেন, গত কয়েক মাসে ৮০ টাকার নিচে লাউ বাজার থেকে কিনতে পারি নাই সেখানে ৩০-৪০ টাকার মধ্যে লাউ চিন্তাও করিনি। আবার কলা ও শসার দামও কম বাজারের থেকে। বাজারটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আবু বক্কর সিদ্দিক জানিয়েছেন, প্রথমদিনে তারা “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নাগরিক, বরিশাল” এর চাঁদমারি কলোনীতে দোকান বসিয়েছেন। মূলত বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙার জন্যই এ উদ্যোগ।
তিনি বলেন, উজিরপুরের গুঠিয়া এলাকা থেকে পণ্য কিনে এনে এখানে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করছি। প্রথম দিনে নগরের চাঁদমারি কলোনি ব্যতীত আমতলার মোড় মডেল মসজিদের সামনেও একটি দোকান বসানো হয়েছে। আমরা চাচ্ছি এটিকে আরও বৃদ্ধি করতে, মূলত বস্তি এলাকায় আরও দোকান বসাতে চাচ্ছি। যতদিন বাজার সিন্ডিকেট না ভাঙবে ততদিন এ বাজার থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পণ্য এনে ভোক্তার কাছে বিক্রি করছি, মাঝে কোন সুবিধাভোগী নেই। ফলে আমরা যে কম মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে পারছি, তাতে ক্রেতারা সন্তুষ্ট হচ্ছেন।
তিনি বলেন, চাহিদা অনুযায়ী আমরা আরও বেশি পণ্য ক্রয় করবো এবং স্টলের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। আজ প্রথমদিনে আমরা ১০ টার সময় পণ্য নিয়ে এসে ক্রেতাদের এত আগ্রহ দেখেছি যে মুহূর্তের মধ্যে সব বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। উল্লেখ্য প্রথমদিনে কাঁচামরিচ ১১০ টাকা কেজি, করলা ৫০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, মুলা ২৫ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, কলা হালি প্রতি ২৫ টাকা, লাউ আকার ভেদে ৩০-৪০ টাকা এবং ধনে পাতা ১ শত গ্রাম ১৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কৃষকের কাছ থেকে পণ্য ক্রয়ের ওপর ভিত্তি করে এ দাম উঠানামা করবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
এমআর