এইমাত্র
  • জীবননগরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ১
  • আবারও দেশকে ফ্যাসিবাদের যুগে নিয়ে যাচ্ছে: মির্জা ফখরুল
  • টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের সীমান্ত পার করে দিচ্ছে আরাকান আর্মি!
  • বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা
  • শেকৃবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, বাজার ও থানা ঘেরাও
  • দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • বরগুনায় পরিত্যক্ত আদালত ভবনে মিলল অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ
  • প্রথমবার নিলামে ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক
  • যাত্রী রেখে চলে গেল ট্রেন: স্টেশন মাস্টার বরখাস্ত
  • মির্জাপুরে দাফনের তিন মাস পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন
  • আজ সোমবার, ৩০ আষাঢ়, ১৪৩২ | ১৪ জুলাই, ২০২৫
    ধর্ম ও জীবন

    ধূমপানের পর নামাজ আদায় করলে কি তা কবুল হবে?

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ এএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ এএম

    ধূমপানের পর নামাজ আদায় করলে কি তা কবুল হবে?

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ এএম

    ধূমপানের অভ্যাসে আর্থিক অপচয় এবং নিজেকে ইচ্ছে করে স্বাস্থ্যঝুঁকির দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সম্পদ অপচয় করা ও নিজের শরীরের ক্ষতি করা গুনাহের কাজ। আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

    وَلا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ

    তোমরা নিজের হাতে নিজেদের ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না। (সুরা বাকারা: ১৯৫)

    আরেক আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, যারা রাসুলকে অনুসরণ করে, তিনি তাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ জায়েজ করেন এবং অপবিত্র ও খারাপ বস্তু তাদের জন্য হারাম করেন। আল্লাহ বলেন,

    اَلَّذِیۡنَ یَتَّبِعُوۡنَ الرَّسُوۡلَ النَّبِیَّ الۡاُمِّیَّ الَّذِیۡ یَجِدُوۡنَهٗ مَکۡتُوۡبًا عِنۡدَهُمۡ فِی التَّوۡرٰىۃِ وَ الۡاِنۡجِیۡلِ ۫ یَاۡمُرُهُمۡ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ یَنۡهٰهُمۡ عَنِ الۡمُنۡکَرِ وَ یُحِلُّ لَهُمُ الطَّیِّبٰتِ وَ یُحَرِّمُ عَلَیۡهِمُ الۡخَبٰٓئِثَ

    যারা সেই নিরক্ষর রাসূলের অনুসরণ করে চলে যার কথা তারা তাদের নিকট রক্ষিত তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিখিত পায়, যে মানুষকে সৎ কাজের নির্দেশ দেয় ও অন্যায় কাজ করতে নিষেধ করে, আর সে তাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ জায়েজ করে এবং অপবিত্র ও খারাপ বস্তু তাদের জন্য হারাম করে। (সুরা আরাফ: ১৫৭)

    জনসমক্ষে ধুমপান করলে বা ধুমপানের গন্ধ মুখে নিয়ে জনসমাগমে গেলে তা অন্যদের কষ্ট ও ক্ষতির কারণ হয়। এটাও গুনাহের কাজ। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন,

    مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ فَلاَ يُؤْذِي جَارَهُ.

    যে আল্লাহ তাআলা ও শেষ দিবসের ওপর ইমান রাখে সে যেন তার আশপাশের মানুষদের কষ্ট না দেয়। (সহিহ বুখারি)

    তাই কারো যদি ধূমপানের অভ্যাস থাকে, তাহলে তার জন্য তা ছেড়ে দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করা আবশ্যক। এরপরও ধূমপানের অভ্যাস থাকলে নামাজ আদায়ের আগে শরীর থেকে সিগারেটের দুর্গন্ধ ভালোভাবে দূর করতে হবে। দুর্গন্ধযুক্ত অবস্থায় নামাযে দাঁড়ানো মাকরুহ বা অপছন্দনীয় হওয়ায় ধূমপানের পর মুখের দুর্গন্ধ দূর না করে নামাজে দাঁড়ানো মাকরুহ হবে। মুখে দুর্গন্ধ নিয়ে মসজিদে ঢুকতেও নিষেধ করা হয়েছে হাদিসে। রাসুল (সা.) বলেছেন,

    مَنْ أَكَلَ الْبَصَلَ وَالثُّومَ وَالْكُرَّاثَ فَلَا يَقْرَبَنَّ مَسْجِدَنَا، فَإِنَّ الْمَلَائِكَةَ تَتَأَذَّى مِمَّا يَتَأَذَّى مِنْهُ بَنُو آدَمَ

    যে পেঁয়াজ, রসুন এবং পেঁয়াজের মতো গন্ধ হয় এমন কোনো সবজি খাবে, সে যেন আমাদের মসজিদের ধারে কাছেও না আসে, কারণ মানুষ যে খারাপ গন্ধে কষ্ট পায়, ফেরেশতারাও কষ্ট পায়। (সহিহ মুসলিম)

    বিড়ি-সিগারেটের দুর্গন্ধ পেঁয়াজ-রসুনের দুর্গন্ধের চেয়ে তীব্র হয়ে থাকে। তাই সিগারেট খেয়ে মসজিদে গিয়ে অন্যদের কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে না পারলে নামাজ পড়া বা মসজিদে যাওয়া ছেড়ে দেওয়া যবে না। সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করার পাশাপাশি মসজিদে ঢোকা বা নামায আদায়ের আগে ব্রাশ করে বা অন্য যে কোনো উপায়ে মুখ ও শরীরের দুর্গন্ধ দূর করে নিতে হবে।

    এসএফ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…