পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণ করা হয়েছে। এতে ওই ছাত্রীটি অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছে। মো. ফিরোজ হাওলাদার (৩৮) নামে এক ব্যক্তি এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফিরোজ ব্যক্তি জীবনে বিবাহিত, তার স্ত্রী ও চার সন্তান রয়েছে। উপজেলার নিমদী গ্রামের বাসিন্দা মো. মন্নান হাওলাদারের ছেলে।
সুত্রে জানা গেছে, ছাত্রীকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করতেন ফিরোজ। রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন ফিরোজ। তার কৌশলের কাছে হার মানে ছাত্রীটি। বিভিন্ন সময়ে টাকা পয়সা ও অন্যান্য উপহার দিয়ে সখ্যতা গড়ে তোলেন ছাত্রীটির সঙ্গে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন ফিরোজ। ছাত্রীটিকে ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য বলেন এবং বললে মেরে ফেলার হুমকি দেন ফিরোজ। এ কারণে ওই ছাত্রীটি কাউকে এ বিষয়ে জানায়নি। একপর্যায়ে অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে ছাত্রীটি তার মাকে জানায়।
মানসম্মানের ভয়ে মা কাউকে না জানিয়ে ফিরোজের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং নিরুপায় হয়ে গত শনিবার চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন। চিকিৎসক জানিয়েছেন ছাত্রীটি এখন সাত মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা। মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য (মেম্বার) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ফিরোজ হাওলাদার ফোন বন্ধ করে গাঢাকা দিয়েছেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন,‘ খোঁজ নিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআর