পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় গ্রাম পুলিশ সজল মিস্ত্রি (২৭) এর বিরুদ্ধে দশম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার বিকেলে উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের রেখাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ পত্তাশী ইউনিয়নের রেকাখালী গ্রামের রবিন মিস্ত্রির ছেলে।
এ বিষয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর ভাই নেহার হালদার মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, সোমবার বিকেলে স্কুল ছাত্রীর মা তার প্রতিবেশি এক নাতি ও মেয়েকে বাসায় রেখে বাজার করতে যায়। পরে তার নাতি বাহিরে বের হলে সেই সুযোগে গ্রাম পুলিশ সজল মিস্ত্রি ঘরের ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে স্কুল ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
স্কুল ছাত্রীর ভাই নেহার হালদার বলেন, আমি খুলনায় চাকুরি করি তাই আমার বাড়িতে আমার মা আর বোন থাকে। আমাকে আমার বোন কল দিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি জানালে আমি সাথে সাথে খুলনা থেকে বাড়িতে আসি এবং রাতেই আমি থানায় বিষয়টি জানাই। আমি আমার বোনের ধর্ষককে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানাই।
ইন্দুরকানী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মারুফ হোসেন জানান, রেখাখালী গ্রামে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। স্কুল ছাত্রীকে মেডিকেলের জন্য পিরোজপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি এবং আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এআই