গাজা উপত্যকায় ইসরাইল বাহিনীর হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকেই। এছাড়া মধ্য গাজায় বোমা হামলা এবং উত্তর ও দক্ষিণের গভীরে ট্যাংকা নিয়ে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) মেডিকেল কর্মীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির একদিন পরই গাজায় এমন ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে তেলআবিব। এদিকে হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায় অনেক ফিলিস্তিনি আশা করছেন হয়তো হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হবে এবং এক বছরের বেশি সময় ধরে গাজায় চলা হামলা বন্ধ হবে।
জাতিসংঘ আবারও সতর্ক করেছে, গাজায় দুর্ভিক্ষ আসন্ন, যেখানে দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ অল্প খাদ্য এবং নিরাপদ পানীয় জলের মাধ্যমে জীবন চালাচ্ছে।
১৬ বছরের কম হলে চালানো যাবে না সোশ্যাল মিডিয়া, বিল পাস করল অস্ট্রেলিয়া
গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া নারী আমাল আবু হামেইদ বলেন, ‘আশা করি লেবাননের মতো গাজাতেও যুদ্ধবিরতি হবে। কারণ আমি সন্তানদের আমার ভূমি দেখাতে চাই, বাড়ি দেখাতে চাই। ইসরাইল আমাদের সঙ্গে কী করেছে আমি সেই দৃশ্য দেখাতে চাই। আমরা নিরাপদে বাঁচতে চাই।’
গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস দক্ষিণ ইসরাইলে ইতিহাসের ভয়াবহ অভিযান চালায়। এর পর থেকে ইসরাইল গাজায় প্রতিনিয়ত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৩৩০ জন। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ চার হাজার ৯৩৩ জন। যা গত এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে। এতে গাজার ২৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এসএফ