টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থেকে ঘাটাইল উপজেলার সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে মাত্র ১ কিলোমিটার সড়ক এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই ভাঙা অংশে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে, ভোগান্তিতে পড়ছেন তিন উপজেলার লাখো পথচারী ও যানবাহনের যাত্রী।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভূঞাপুর পৌরশহরের কালিভিটা থেকে শুরু করে শুরু করে পাচটিকড়ি হাট পর্যন্ত পুরো ১ কিলোমিটার সড়কজুড়ে খানাখন্দ, গর্ত আর জলাবদ্ধতা। কোথাও কার্পেটিং উঠে গেছে, কোথাও জমে থাকা পানির নিচে গর্ত ঢেকে থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সাপ্তাহিক হাটের দিনে এই ভোগান্তি চরমে পৌঁছায়। ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহনে বাধ্য হয়ে ৫ কিলোমিটার ঘুরপথে যেতে হয়, ফলে পরিবহন খরচ দ্বিগুণ হয়ে যায়। এছাড়া চালকরা এই সড়কে যেতে অনিচ্ছুক হওয়ায় অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয় যাত্রীদের।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন ঘাটাইল, গোপালপুরের লাখো মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। ওষুধ পরিবহন, পণ্যসামগ্রী আনা-নেওয়ার জন্য দিনরাত চলে ভারী যানবাহন। কিন্তু সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
ট্রাকচালক আবজাল হোসেন বলেন, রাস্তার অবস্থা ভালো না। এমন রাস্তায় মাল নিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনার শঙ্কা সব সময় থাকে। গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যায়। স্বাভাবিক গতিতে চালানো যায় না বলে তেলের খরচও বেড়ে যায়। ভাঙা রাস্তায় গাড়ির চাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়।
রনি সরকার নামের এক পোল্ট্রি খামারি বলেন, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়েই খামারের মুরগি ও ডিম বাজারজাত করতে হয়। রাস্তার বেহাল দশায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ি উল্টে গিয়ে ডিম ভেঙে লোকসান হয়। এমনিতেই খামারিদের অবস্থা ভালো না। অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করার দাবি জানাই।
ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. রাজিব হোসেন বলেন, এটি দুই উপজেলার সংযোগ সড়ক। ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।
এসকে/আরআই