ইসরাইলি অবরোধ ভাঙতে গাজা অভিমুখে নতুন করে রওনা হয়েছে আরও ১১টি জাহাজ। বহরটিতে প্রায় ১০০ জন মানবাধিকারকর্মী ও যাত্রী রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এক বিবৃতিতে এই খবর জানিয়েছে।
আনাদোলু এজেন্সির তথ্য মতে, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন ২০০৮ সাল থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো ও অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা তুলে ধরতে একাধিক মিশন পরিচালনা করে আসছে।
এক বিবৃতিতে এফএফসি জানিয়েছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ইতালীয় ও ফরাসি পতাকা বাহিনী জাহাজ ইতালির অটরান্টো থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর ‘কনসায়েন্স’ নামে আরও একটি জাহাজ এর সাথে যোগ দেয় এবং ‘থাউজন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা’ নামে আরও ৮টি জাহাজের একটি বহর খুব শিগগিরই যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এরপর ১১টি জাহাজের বহর একসঙ্গে গাজা অভিমুখে যাত্রা করবে। বাংলাদেশ থেকে অংশ নেওয়া খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও অধিকারকর্মী শহিদুল আলম এই বহরের থাকা ‘কনসায়েন্স’ নামের জাহাজটিতে আছেন।
আজ শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে ফেসবুকে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম বলেছেন, ‘কনসায়েন্স’ বহরের সবচেয়ে বড় জাহাজ। তাদের সঙ্গে আরও ৮টি ছোট নৌকা আছে। আজ তারা ফিলিস্তিনি টাইম জোনে প্রবেশ করেছেন।
এর আগে, গত মাসের শুরুর দিকে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামে একটি নৌবহর গাজার উদ্দেশে রওনা হয়। তবে ইসরাইলি নৌবাহিনী এই বহরের ৪৪টি জাহাজের পাশাপাশি সেগুলোতে থাকা ৫০০ জনেরও বেশি কর্মীকে গ্রেফতার করে। ইসরাইল এর আগেও গাজামুখী জাহাজে হামলা চালিয়ে যাত্রীদের বহিষ্কার ও পণ্য জব্দ করেছে।
প্রায় ১৮ বছর ধরে অবরুদ্ধ গাজায় ২৪ লাখ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। গত প্রায় দুই বছর ধরে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সামরিক আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। শুধু তাই নয়, ভূমধ্যসাগর পাড়ের এই ছোট্ট ভূখণ্ডের ওপর সর্বাত্মক অবরোধ করা হয়েছে। এর ফলে বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন গাজায় তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষও।
এইচএ