এইমাত্র
  • নতুন বাবরি মসজিদের জন্য একজন একাই দিচ্ছেন ৮০ কোটি টাকা
  • ৪ নারী পাচ্ছেন বেগম রোকেয়া পদক
  • নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনে কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত, প্রধান উপদেষ্টাকে জানালেন সিইসি
  • ইরানে ম্যারাথনে হিজাব লঙ্ঘনের অভিযোগে আয়োজক গ্রেফতার
  • সৌদিতে এক সপ্তাহে ১৯ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
  • ইসরায়েলের রাজনীতি থেকে কী সরে দাঁড়াচ্ছেন নেতানিয়াহু
  • পেঁয়াজ আমদানি শুরু, এক লাফে প্রতিকেজিতে দাম কমল ৩০ টাকা
  • দেশে চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
  • খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান সম্পন্ন, রিপোর্ট নরমাল: মেডিকেল বোর্ড
  • হাড় কাঁপাতে ধেয়ে আসছে শৈত্যপ্রবাহ ‘পরশ’
  • আজ রবিবার, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    মেহেরপুরের ডিসি ইকোপার্ক এখন অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়া!

    এস এম তারেক, মেহেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম
    এস এম তারেক, মেহেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম

    মেহেরপুরের ডিসি ইকোপার্ক এখন অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়া!

    এস এম তারেক, মেহেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ৩ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম

    ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের ভাটপাড়ায় অবস্থিত ঐতিহাসিক নীলকুঠি ১৮৫৯ সালে নির্মিত হয় ব্রিটিশদের হাত ধরে। কাজলা নদীর তীরে অবস্থিত ব্রিটিশদের নির্যাতনের সাক্ষী এই ভাটপাড়া নীলকুঠি। প্রায় ২৭ একর জমির ওপর ২০১৭ সালে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ডিসি ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়।

    শুরুতে এই পার্কটি বিনোদনের জন্য নির্মিত হলেও ধীরে ধীরে এখন এই পার্ক অপরাধকারীদের কাছে অপকর্মের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। পার্কে নেই বিনোদনমূলক কোনো কিছুই। তবে এখন চলছে অসামাজিক এবং অশ্লীল কার্যকলাপ। পার্কের দায়িত্বে থাকা কয়েকজনের হাত ধরেই এই অশ্লীলতা এবং অসামাজিক কার্যকলাপ শুরু হয়েছে বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, পার্কের মধ্যে দিনের বেলায় চলছে দেহ ব্যবসা এবং রাতের বেলায় চলছে মাদক সেবন। পার্কের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় পার্কের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্কে এখন কোনো পর্যটকের পদচারণা নেই। দিন দিন অপরাধকারীদের আস্তানায় পরিণত হচ্ছে পার্কটি।

    সরেজমিনে পার্কে প্রবেশের পর দেখা যায়, ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্ককে জঙ্গলে ঘিরে রাখা হয়েছে। পার্কের মধ্যে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে অশ্লীল ও অসামাজিক কাজের সুযোগ। স্থান ভেদে সেখান থেকে নেওয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। পার্কের মধ্যে দেহব্যবসা হচ্ছে ফুল বাগানের মধ্যে থাকা ভূতের ঘরে, আইসল্যান্ড নামক আরেকটি ঘর এবং মেইন সড়কের সাথে বাউন্ডারির পাশ ঘেঁষে থাকা জঙ্গলের মধ্যে ৮ থেকে ১০টি বেঞ্চ পাতানো হয়েছে সেখানে।

    যেখানে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ এবং স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের কেউ অসামাজিক অশ্লীল কার্যক্রমের সুযোগ করে দিচ্ছে পার্কের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা। বিনিময়ে নিচ্ছে টাকা। ইকোপার্কে সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় মাদকের রমরমা কারবার। ফুলবাগানের মধ্যে রাতভর চলে মাদক সেবনের আখড়া।

    অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে পার্কের আইসল্যান্ডের দায়িত্বে থাকা জামাল হোসেন এবং ফুল বাগানের দায়িত্বে থাকা সুমন হোসেন টাকার বিনিময়ে এসমস্ত অপকর্মের সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে পার্কের মধ্যে।

    অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আইসল্যান্ডের দায়িত্বে থাকা জামাল হোসেন বলেন, 'গাংনী ইকোপার্কের সাথে ডিসি ও ইউএনওর মানসম্মান জড়িত, তাই এ ব্যাপারে সবাই মাথা ঘামায় না। পার্কের মধ্যে অনেক কিছুই হচ্ছে কিন্তু কোনো কিছু লিখা কিংবা করার আগে আমাদের সাথে দেখা করেন।'

    ফুলবাগানের দায়িত্বে থাকা সুমন হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

    ইকোপার্কের গেটের দায়িত্বে থাকা আসমাউল হুসনা বলেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই পার্কের পরিবেশ ঠিক হোক। এ সমস্ত অশ্লীল অসামাজিক কাজ ফুলবাগানের দায়িত্বে থাকা সুমনের হাত ধরেই পার্কে শুরু হয়। সুমনের দেখাদেখি জামাল বিষয়টি শিখেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই পার্কে কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। আমরা চাই পার্কে সংস্কার কাজ হোক এবং বিনোদনের পরিবেশ ফিরে আসুক, তখন এগুলো ঠিক হয়ে যাবে।'

    সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসমাতারা বলেন, 'পার্কের ডিসি ও ইউএনও স্যারের তাদেরকে বিষয়টি অবগত করবো।'

    গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন বলেন, 'বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…