মাদারীপুরে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ, অগ্নিদগ্ধ করে নির্যাতন এবং গৃহবন্দি করার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাজৈরের ঘটকচর এলাকার মফিজ সরদারের ছেলে সোহাগ সরদার তার ভাড়াটিয়া প্রবাসীর স্ত্রীকে কৌশলে গেস্টরুমে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ সময় তিনি ঘটনাটি সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইলে ধারণ করে ভিকটিমকে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকেন। পরবর্তীতে সেই ভিডিও দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১ অক্টোবর দুপুরে সোহাগ সরদারের ছোট ভাই জসিম সরদার ভিকটিমকে জিজ্ঞাসা করেন—ঘটনাটি কাউকে জানিয়েছে কি না। ঠিক সেই সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে সোহাগ সরদার, সাজিদ হাওলাদার, মিম বেগম, লামিয়া, ঝর্ণা বেগম, কালাম সরদারসহ আরও কয়েকজন ওই গৃহবধূর কক্ষে প্রবেশ করে দরজা-জানালা বন্ধ করে নির্যাতন শুরু করে।
নির্যাতনের একপর্যায়ে তারা গ্যাসের চুলায় খুন্তি গরম করে গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাকা দেয়। এরপর দড়ি দিয়ে বেঁধে ঘরের ভেতরে আটকে রাখা হয়। দীর্ঘ সময় ভিকটিমকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে দ্রুত মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢামেক বার্ন ইউনিটে পাঠান।
এ ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, 'ভিকটিমকে আটকে রেখে মারধরের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
এসআর