কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে অবস্থিত শরনার্থী শিবিরগুলোতে বসবাসরত রোহিঙ্গারা বিভিন্ন কাজের বাহানা দিয়ে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সাথে একাকার হয়ে মিশে যাওয়ার ঘটনা দিনের পর দিন বেড়েই চলছে।
সীমান্ত নগরী এই দুই উপজেলায় অবস্থিত শ্রমবাজারগুলোও প্রায় রোহিঙ্গা শ্রমিকদের দখলে চলে গেছে। এদিকে গত কয়েক দিন ধরে ক্যাম্প ছেড়ে রোহিঙ্গাদের আনা-ঘোনা প্রতিরোধ করার জন্য সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সৈনিকরা বিভিন্ন সড়কে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
তারেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (০৭ অক্টোবর) মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে উখিয়া-টেকনাফের প্রধান সড়কের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৭০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
ধৃতদের ১৭০ জনের মধ্যে ৮৮ জন পুরুষ, ৫০ জন নারী ও ৩২ জন শিশু রয়েছে।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, প্রধান সড়কে স্থাপন করা অস্থায়ী চেকপোস্ট ও টেকনাফ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ক্যাম্প ছেড়ে বিভিন্ন কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আসা রোহিঙ্গা নর-নারী ও শিশুদের আটক করার পর তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিজ নিজ ক্যাম্পের মাঝিদের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
লোকালয়ে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের প্রতিরোধ করার পাশাপাশি টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া অর্থলোভী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের অন্তর্গত লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি সৈয়দ নুর বলেন, ক্যাম্পে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট বাহিনীর সদস্যরা আমাদের সাথে বৈঠক করে রোহিঙ্গারা যেন কিছুতেই ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে না যায়। পাশাপাশি ক্যাম্পের ভিতরে মাইকিং করে নিষেধ করে সতর্ক বার্তা দিয়েছিলেন।
অথচ রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকেই সেই বিধিনিষেধ অমান্য করে বিভিন্ন কাজের বাহানা দিয়ে ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে চলে যায়। আবার অনেক অসুস্থ রোহিঙ্গা ডাক্তার দেখানোর জন্য বের হয়।
তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়া বেশিরভাগ রোহিঙ্গা নর-নারী পেটের দায়ে দিনমজুর কাজ করতে বের হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এসআর