এইমাত্র
  • দক্ষ জনশক্তি দেশ গঠনের মূল ভিত্তি: প্রধান উপদেষ্টা
  • বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে সেনা ঘাঁটি ও সেনা স্টেশন করলো ভারত
  • জামায়াতে ইসলামী প্রতিশোধ নিলে দেশ বধ্যভূমি হতো: শফিকুর রহমান
  • ৬৬ দেশি নির্বাচক পর্যবেক্ষক চূড়ান্ত নিবন্ধন পেল
  • ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
  • যৌন হেনস্তার ঘটনায় মুখ খুললেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট
  • মালয়েশিয়ায় ‘বাংলাদেশিসহ’ নথিবিহীন ১৮৪ জন আটক
  • এবার কান্নায় ভেঙে পড়লেন ডিসি সারওয়ার
  • আল-আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়েছে ৯০০ ইসরায়েলি
  • এবার লেবাননের চার শহরে ইসরায়েলের হামলা
  • আজ শনিবার, ২৩ কার্তিক, ১৪৩২ | ৮ নভেম্বর, ২০২৫
    ধর্ম ও জীবন

    মিশরের প্রখ্যাত আলেম ড. আহমদ ওমর হাশেম মারা গেছেন

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৬ এএম

    মিশরের প্রখ্যাত আলেম ড. আহমদ ওমর হাশেম মারা গেছেন

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
    মিশরের প্রখ্যাত আলেম ড. আহমদ ওমর হাশেম: ছবি: সংগৃহীত

    মিশরের বিশিষ্ট আলেম আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র আলেম পরিষদের (হাইয়াতু কিবারিল উালামা বিল আজহারিশ শরিফ) সদস্য ড. আহমদ ওমর হাশেম (রহ.) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ভোরের আগেই তার ইন্তেকালের খবর পাওয়া যায় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, ‘আমরা আরব ও মুসলিম বিশ্ব, তার প্রিয়জন ও শিক্ষার্থীদের গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমাদের প্রিয় ইমাম ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ড. আহমদ ওমর হাশেম ইন্তেকাল করেছেন। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন তাকে তার ঘরের চেয়ে উত্তম ঘর দান করেন, উত্তম পরিবার দান করেন এবং জান্নাতকে তার আবাস বানান এবং আমাদের সবাইকে ধৈর্য ও সওয়াব লাভের তৌফিক দেন।’

    মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) জোহরের নামাজের পর আল-আজহার মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মিশরে তার নিজের গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।

    ড. আহমদ ওমর হাশেম ১৯৪১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন মিশরের আল-শারকিয়া প্রদেশে। তিনি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘উসূল আদ-দীন’ (ধর্মতত্ত্ব) অনুষদ থেকে ১৯৬১ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৬৭ সালে হাদিস ও উলূমুল হাদিসে উচ্চতর ডিগ্রি (ইজাযা আ’লিয়া), ১৯৬৯ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে হাদিস ও উলূমুল হাদিসে তিনি ডক্টরেটও করেন।

    তিনি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন আরব এবং ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন। এছাড়া তিনি ছিলেন ইসলামি গবেষণা পরিষদ (মাজমাউল বুহুসিল ইসলামিয়্যাহ), ইসলাম বিষয়ক উচ্চতর পরিষদ (আল মজলিসুল আ’লা লিশ-শুউনিল ইসলামিয়্যাহ) এবং মিশরের দুটি সংসদীয় পরিষদ মজলিসুশ-শা’ব ও মজলিসুশ-শুরার সদস্য।

    সুন্নাহ ও হাদিসশাস্ত্রে তার বৈচিত্র্যময় গবেষণা ও রচনার মাধ্যমে তিনি ইসলামি জ্ঞানভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। মিশর ও মিশরের বাইরে বহু ইসলামি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন এবং প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন জার্নালে তার গবেষণা-প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

    ২০১২ সালে (১৪৩৩ হিজরি) যখন মিশরের হাইআতু কিবারিল উলামা বা জ্যেষ্ঠ আলেম পরিষদ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়, তখন প্রথম দফায়ই তিনি এর সদস্য হিসেবে মনোনীত হন।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…