এইমাত্র
  • প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৯২, সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে মুশফিক
  • জুলাই গণহত্যা: জাতিসংঘ প্রতিবেদনকে ঐতিহাসিক রিপোর্ট ঘোষণা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
  • ফুলবাড়ীতে গরীব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল প্রদান
  • গাজীপুরে কারখানার গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
  • মুশফিককে ‘হাই কোয়ালিটি প্লেয়ার’ বললেন পন্টিং
  • মুন্সিগঞ্জে দুটি বেকারিকে জরিমানা
  • ফুলবাড়ীতে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী গণসংযোগ ও জনসভা
  • বাংলাদেশের কাছে হারের পর যা বলছে ভারতীয় গণমাধ্যম
  • শততম টেস্টে ফিফটি তুলে নিলেন মুশফিক
  • দেশের সব মোবাইল ফোন বিক্রির দোকান বন্ধের ঘোষণা
  • আজ বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    হামলার মধ্যেই গাজায় আনন্দ উদযাপন, ঘরে ফেরার আশা

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৪ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৪ পিএম

    হামলার মধ্যেই গাজায় আনন্দ উদযাপন, ঘরে ফেরার আশা

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২৪ পিএম

    ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফিলিস্তিনের গাজা ও ইসরায়েলে জিম্মিদের পরিবারগুলোর মধ্যে আনন্দের জোয়ার বইছে। গাজায় এখনো কোথাও কোথাও ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকলেও যুদ্ধবিরতির খবরেই মানুষ নেমে এসেছে রাস্তায়।

    বৃহস্পতিবার গাজার তরুণ-তরুণীরা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া রাস্তায় নেচে, স্লোগান দিয়ে উদযাপন করেছে এই মাহেন্দ্রক্ষণকে। টানা দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার ২০ লাখেরও বেশি মানুষের প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

    দক্ষিণ গাজার শহর খান ইউনিসের বাসিন্দা আব্দুল মজিদ আব্দ রাব্বো রয়টার্সকে বলেন, “এই যুদ্ধবিরতি ও রক্তপাত বন্ধের জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। শুধু আমি না, পুরো গাজা খুশি। আরব বিশ্বসহ যারা আমাদের পাশে ছিলেন, সবাইকে ধন্যবাদ ও ভালোবাসা জানাই।”

    ইসরায়েলের তেল আবিবে ‘জিম্মি চত্বর’-এও ছিল আনন্দের উৎসব। গাজায় হামাসের হাতে বন্দি এক জিম্মির মা আইনভ জাঙ্গাউকার বলেন, “আমি দম নিতে পারছি না, কী অনুভব করছি তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। এটা অপরিসীম আনন্দ।”

    নিজের ছেলের প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ওকে দেখলে আমি শুধু জড়িয়ে ধরবো, চুমু খাবো, আর বলবো— আমি তোমাকে ভালোবাসি। তার চোখে আমার চোখ ডুবে যাবে— এটাই আমার স্বস্তি।”

    বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে নেওয়া গাজায় শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এই সমঝোতা হয়। এতে যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দি বিনিময়ের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পরিকল্পনাটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে গাজায় দুই বছর ধরে চলা প্রাণঘাতী যুদ্ধের অবসান ঘটতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

    রয়টার্সের প্রশ্নে সাবেক ইসরায়েলি জিম্মি ওমের শেমটোভ সংক্ষেপে বলেন, “এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।”

    গাজায় তরুণদের একজন তার বন্ধুর কাঁধে উঠে ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিয়ে আনন্দ করছিল। কেউ হাসছিল, কেউ কাঁদছিল, কিন্তু সবাই আশা করছিল— এই চুক্তি যুদ্ধের ইতি টানবে এবং তারা আবার ঘরে ফিরতে পারবে।

    বাস্তুচ্যুত ব্যবসায়ী তামের আল-বুরারি রয়টার্সকে বলেন, “আমি হাসি আর কান্না থামাতে পারছি না। আমরা বেঁচে আছি, এটা বিশ্বাস করা কঠিন। আমাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেলেও আমি ফিরে যেতে চাই। বোমার ভয় ছাড়া ঘুমাতে চাই, আবার নতুন করে জীবন শুরু করতে চাই।”

    তবে হামাস প্রশাসন জনগণকে সতর্ক করেছে, চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত যেন কেউ নিজ নিজ এলাকায় ফিরে না যায়। ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল থেকেও দূরে থাকতে বলা হয়েছে।

    ইসরায়েলি সেনাবাহিনীও একই সতর্কতা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) তারা জানিয়েছে, “গাজার উত্তরাঞ্চলের অনেক এলাকা এখনো বিপজ্জনক যুদ্ধক্ষেত্র। সেখানে ফেরা নিরাপদ নয়।”

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…